অনলাইন ডেস্ক :
ইতালির তুরিনে দ্রুতগতির ট্রেনে কাটা পড়ে পাঁচ শ্রমিক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরো দুই জন।
গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরিন-মিলান সংযোগ রেললাইনে ওই শ্রমিকরা মেরামতের কাজ করছিলেন। এসময় একটি মালবাহী ট্রেন তাদের আঘাত করলে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনার সময় ট্রেনটি ১৬০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছিল।
শ্রমিকরা জানিয়েছে, থামার আগেই তাদের কয়েক সহকর্মীকে বেশকিছুর দূর টেনে নিয়ে যায় ট্রেনটি। এসময় তাদের দুই সহকর্মী কোনো মতে সরে যেতে পেরেছেন।
ওই এলাকায় ছিন্নভিন্ন অবস্থায় মানব শরীরের নানা অঙ্গপ্রত্যক্ষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতে দেখা গেছে। ট্রেন চালক অক্ষত রয়েছেন। সূত্র: আল জাজিরা
চলারপথে রিপোর্ট :
হিন্দু ধর্মালম্বীদের ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া সীমান্তে বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স বা ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীকে (বিএসএফ) মিষ্টি উপহার দিয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
১৯ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আখাউড়া-আগরতলা চেকপোস্টের (নোম্যান্সল্যান্ড) শূন্য রেখায় সৌজন্য সাক্ষাতে মিলিত হয় দু’দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর চেকপোস্ট ক্যাম্প কমান্ডারদ্বয়।
এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলা আইসিপি বিএসএফ ক্যাম্প কমান্ডার মো. জাবেদ সশীলের হাতে মিষ্টির প্যাকেট তুলে দেন আখাউড়া চেকপোস্ট ৬০ ব্যাটালিয়নের বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম। এ ছাড়া দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কমান্ডাররা কুশল বিনিময় করেন। এ সময় উভয় দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা উপস্থিত ছিলেন।
বিজিবি ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহ আলম বলেন, সৌহাদ্য, সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখতে প্রতিবছর শারদীয় দুর্গোৎসবে একে অপরকে মিষ্টি বিতরণ করে আসছে বিজিবি ও বিএসএফ। এতে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ববোধ আরো সুদৃঢ় হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে কলম্বিয়ায় ৯ সেনা সদস্য নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় আজ ৩০ এপ্রিল মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। ২৯ এপ্রিল সোমবার দেশটির উত্তরাঞ্চলে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। বিধ্বস্ত হেলিকপ্টারটি রাশিয়ার তৈরি এমআই-১৭ মডেলের।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়েছে।
কলম্বিয়ার সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, ‘সামরিক হেলিকপ্টারটি অভিযানের জন্য সান্তা রোসা দেল সুর এলাকায় সৈন্যদের নিয়ে যাচ্ছিল। এলাকাটিতে সম্প্রতি ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি গেরিলা গ্রুপ এবং গালফ ক্ল্যান নামে পরিচিত মাদক পাচারকারী গ্রুপের মধ্যে লড়াই চলছিল।’
কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফরম এক্সে বলেছেন, গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানের জন্য সেনাদের নিয়ে যাওয়ার সময় হেলিকপ্টারটি দুর্ঘটনার মুখে পড়ে।
মূলত, এই অঞ্চলেই বৃহত্তম কোকেন কার্টেলের বিরুদ্ধে লড়াই করছে দেশটির সামরিক বাহিনী। কলম্বিয়ায় গালফ ক্ল্যান গোষ্ঠীটির চার হাজার সশস্ত্র যোদ্ধা রয়েছে। প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো বা দেশটির সামরিক বাহিনীর কেউই রাশিয়ার তৈরি এই হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার কারণ সম্পর্কে কিছু বলেননি। সূত্র : এবিসি নিউজ
অনলাইন ডেস্ক :
নিউইয়র্কসহ যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে উদযাপিত হলো থ্যাংকস গিভিং ডে। প্রতিবছর নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবার, অর্থাৎ ২৮ নভেম্বর এই উৎসব উদযাপন করা হয়। এ দিনে দেশ ও জাতির প্রতিটি সাফল্যের জন্য সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানান সর্বস্তরের নাগরিক। কয়েক শতাব্দী ধরেই মূলত মার্কিনদের উৎসব হলেও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে উত্তর আমেরিকাজুড়ে উদ্যাপন হয়ে আসছে থ্যাংস গিভিং ডে।
সর্বজনীন সামাজিক-সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয় এ দিন। প্রতি বছরের মতো এ বছরও নিউইয়র্ক এর ম্যাসির উদ্যোগে ম্যানহাটনে এদিন অনুষ্ঠিত হয় এক বর্ণিল শোভাযাত্রা। বিশাল বর্ণাঢ্য প্যারেডে অংশ নেন হাজার হাজার নারী পুরুষ।
আমেরিকানদের পাশাপাশি বাংলাদেশি কমিউনিটিও উৎসবমুখর পরিবেশে দিনটি উদযাপন করে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশি কমিউনিটি নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে থ্যাংকস গিভিং ডে উদযাপন করে।
ইতিহাসবিদরা জানান, ১৬২১ সালের ২৬ নভেম্বর ছিল প্রথম থ্যাংকস গিভিং ডে। ১৮৬৩ সালে প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন একটি জাতীয় ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা দিবস উদ্যাপন করার আহ্বান জানান। তিনি নভেম্বর মাসের শেষ বৃহস্পতিবার ‘থ্যাংস গিভিং ডে’ হিসেবে সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেন। এরপর থেকে বন্ধুত্ব ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নভেম্বরের শেষ বৃহস্পতিবারেই উৎসবটি পালনের প্রথা শুরু হয়। ধীরে ধীরে তা যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে গোটা উত্তর আমেরিকাতেই ছড়িয়ে পড়ে।
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশনের ভাষ্যমতে, ৯০ শতাংশ আমেরিকান এই দিনে টার্কি দিয়েই সারা দিনের ভোজনপর্ব সম্পন্ন করে। তবে রীতি অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউজে ন্যাশনাল টার্কি ফেডারেশন থেকে প্রাপ্ত একটি টার্কিকে জীবন ভিক্ষা দিয়ে সাধারণ ক্ষমা করেন প্রেসিডেন্ট। এটি ‘হোয়াইট হাউজ টার্কি পার্ডন’ নামে পরিচিত। ১৯৪৭ সাল থেকে হোয়াইট হাউজে এ রীতি প্রচলিত রয়েছে।
থ্যাংকস গিভিং ডে’র পরের দিন শুক্রবার। ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’ নামে পরিচিত এই শুক্রবার ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য কোনো কালো দিন নয়। বরং বছরের সেরা মূল্য হ্রাসের দিনটি ক্রেতাদের কাছে যেমন রঙিন তেমনি পণ্য বিক্রি করে লাভবান ব্যবসায়ীদের কাছেও আনন্দঘন। কম দামে ভালো একটা কিছু কেনার জন্য দিনটির জন্য অপেক্ষায় থাকেন ক্রেতারা। সে হিসাবে উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে বিপনী বিতানগুলোতে।
ইউএসএ ৯৭-৯৯ : গত ১ ডিসেম্বর রোববার হয়ে গেল জ্যাকসন হাইটসের একটি পার্টি হলে ফেসবুকভিত্তিক সংগঠন ইউএসএ ৯৭-৯৯ এর থাংকস গিভিং পার্টি। গ্রুপটির অন্যতম অ্যাডমিন জামিল সারোয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শুরু হয়। এরপর মঞ্চে আসেন অ্যাডমিন তানভীর আতাহারী। তিনি তার স্বাগত বক্তব্যে গ্রুপটি কীভাবে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন সেটা নতুন মেম্বারদের কাছে তুলে ধরেন।
এরপরে মঞ্চে আসেন আরেক অ্যাডমিন সাম শাহরিয়ার, তিনি তার বক্তব্যে গ্রুপটির বিভিন্ন ধরনের কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে নতুন বন্ধুদের চাকরি পেতে সহযোগিতা, বিভিন্ন ধরনের গ্রুপভিত্তিক অনুষ্ঠান, বাংলাদেশে এবং প্রবাসে যখন বন্ধুরা অসুস্থ হয়ে পড়েন তাদের আর্থিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। এই অনুষ্ঠানে এক শতাধিক লোকের সমাগম হয় এখানে গ্রুপের সদস্যরা ছাড়াও তাদের পরিবার পরিজন ছিল এবং অন্যান্য স্টেট থেকেও বন্ধুরা আসেন। গ্রুপটির অ্যাডমিন জামিল সরোয়ার বলেন, তারা গ্রুপের শুরু থেকেই যেভাবে নতুন বন্ধুদের চাকরিসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে সাহায্য করে আসছেন, এভাবেই তারা তা অব্যাহত রাখবেন আগামী দিনগুলোতে এবং সবার সাথে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকবে এই আশা করেন। বর্তমানে চার শতাধিক সদস্য রয়েছে এই সংগঠনে। অনুষ্ঠানটি সন্ধ্যা ছয়টা থেকে শুরু হলেও সময় গড়িয়ে রাত একটা পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি হয়। এতে সঙ্গীত পরিবেশন করেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী প্রতীক হাসানসহ প্রবাসের জনপ্রিয় সঙ্গীত কণ্ঠশিল্পী আফতাব জনি, খন্দকার সোহাগ। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে ছিল রাফেল ড্র।
আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেসক্লাব : নিউইয়র্কে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার প্রতিনিধিদের নিয়ে থ্যাংকসগিভিং ডে উদযাপন করেছে পেশাজীবী সাংবাদিকদের সংগঠন আমেরিকা-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব। গত ২৮ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জ্যাকসন হাইটসে একটি পার্টি হলে এ আয়োজনে অতিথি ছিলেন নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য অ্যাসেম্বলি মেম্বার জেনিফার রাজকুমার।
তিনি বলেন, এখন সময় হচ্ছে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অধিকার আদায়ের পথ সুগম করার। সামনের বছর নিউইয়র্ক সিটির কম্পট্রোলার হিসেবে আমি ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়নের দৌঁড়ে রয়েছি। আশা করছি অতীতের মত সামনের নির্বাচনেও বাংলাদেশিদের সমর্থন পাবো।
প্রধান অতিথি শাহনেওয়াজ বলেন, সংবাদকর্মীরা বিশাল এই কমিউনিটির পথপ্রদর্শক। তারা বিগত দিনের মত অনাগত দিনেও সার্বিক কল্যাণে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখবেন বলে আশা করছি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন দুলাল বেহেদু, নুরুল আজিম ও আহসান হাবিব।
স্বাগত বক্তব্য দেন এবিপিসিরি সাবেক সভাপতি লাবলু আনসার। সংগঠনের সভাপতি রাশেদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শাহ ফারুক রহমান ও রেজওয়ানা এলভিস।
অতিথির মধ্যে আরও ছিলেন ব্রঙ্কস কমিউনিটি বোর্ডে ইমিগ্রেশন বিষয়ক কমিটির চেয়ারপারসন শাহজাহান শেখ এবং শোটাইম মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলম। উপস্থিত ছিলেন, এবিপিসির ভাইস প্রেসিডেন্ট আলিম খান আকাশ, কোষাধ্যক্ষ জামান তপন, নির্বাহী সদস্য কানু দত্ত, নুরুন্নাহার খান নিশা ও অনিক রাজ।
কুইন্স প্যালেসে ফ্যামিলি নাইট পার্টি : প্রবাসী বাংলাদেশিদের সর্ববৃহৎ সংগঠন বাংলাদেশে সোসাইটির নতুন কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে থ্যাংকস গিভিং ফ্যামিলি নাইট পার্টির আয়োজন করেছে কমিউনিটির বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। এ আয়োজনের মূল উদ্যোক্তা ইশতিয়াক রুমি, এজাজুল ইসলাম নাঈম ও ন্যান্সি।
২৭ নভেম্বর উডসাইডের কুইন্স প্যালেসে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন কমিটির সবাইকে উষ্ণ অভ্যর্থনা ও সংবর্ধনা দেয়া হয়।অনুষ্ঠানে সোসাইটির নবনির্বাচিত সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী, সিনিয়র সহসভাপতি মহিউদ্দিন দেওয়ান, সহ সভাপতি মোহাম্মদ কামরুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অনিক রাজ, স্কুল সম্পাদক হাসান জিলানীসহ সবাইকে বরণ করে নেয়া হয়।সঞ্চালনায় শো টাইমে মিউজিকের কর্ণধার আলমগীর খান আলমের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গোল্ডেন এজ হোম কেয়ারের প্রেসিডেন্ট, সিইও এবং সেলিম আলী পরিষদের নির্বাচনী পরিচালনা কমিটর আহ্বায়ক শাহনেওয়াজ। উপস্থিত ছিলেন নাসির আলী খান পল, নুরুল আজিম, রায়হান জামান, কাজী আজম, আহসান হাবীব, মহিউদ্দিন দেওয়ান, কামরুজ্জামান কামরুল, অনিক রাজ, সেজাদ রহমান, বদরুদ্দোজা সাগর, মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শাহনেওয়াজ সবাইকে থ্যাংস গিভিংস-এর শুভেচ্ছা জানিয়ে নবনির্বাচিত কমিটির সবাইকে একইসাথে মঞ্চে আহ্বান জানান এবং কমিউনিটি বিনির্মাণে সোসাইটির সবার সহযোগিতা কামনা করেন। নতুন সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। এজন্য সব বাংলাদেশিকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। নতুন সাধারণ সম্পাদক মো. আলী সোসাইটির কল্যাণে কাজ করার জন্য সবাইকে এগিযে আসার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে একে একে উপস্থিত বিশিষ্টজনরা এক মিনিট করে বক্তব্য দেন এবং শুভেচ্ছা জানান।
সংগীত পরিবেশন করেন রানো নেওয়াজ, কৃষ্ণা তিথি, বিন্দু কণা ও অংকন।
যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি : যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনগুলো প্রথমবারের মত থ্যাংক গিভিংস ডে উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমী গেট টুগেদারের আয়োজন করে। এ গেট টুগেদার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সমন্বয়ক ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি নেতা শহিদুল ইসলাম শিকদার।
পরিচালনায় ছিলেন জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাধারণ সম্পাদক সমন্বয়ক মোতাহার হোসেন। অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র নেতা যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সিনিয়র নেতা আবদুস সবুর, বিএনপি নেতা ডা. শাহজাহান মিয়া, যুক্তরাষ্ট্রের যুবদলের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক, সাহিত্যিক ও যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক সৈয়দ মুরাদ হাছান রেজা, জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের আন্তর্জাতিক সম্পাদক ও যুগ্ম সম্পাদক মাকসুদুল হক চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা পারভেজ সাজ্জাদ ,জাতীয়তাবাদী ফোরামের সাবেক সভাপতি নাছিম আহম্মেদ, প্রধান উপদেষ্টা বিএনপি নেতা বাচ্চু মিয়া, হাবিবুর রহমান হাবিব, সৌদি বিএনপির সাবেক সভাপতি আবদুল বাতেন, বিএনপি নেতা জাফর ছাদিক, বরিশাল জাতীয়তাবাদী ফোরামের সভাপতি মনজুর মোর্শেদ, সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, বিএনপি নেত্রী নীরা রাব্বানী, বরিশাল ফোরাম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, হোসেন মোল্লা, মনি আক্তার, জাহিদ ইসলাম, আসাদুজ্জামান মিয়া ,তারেক ইব্রাহিম, সাইদ ইসলাম জয়,তামিম আহসান, জিসান হোসেন, নাজিম উদ্দিন, রায়হান রকিব, সাইদুর রহমান, বেলালুর রহমান. ফারুক হোসেন প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক ফৈজি রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনবারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জন্য দোয়া করা হয়। আরও দোয়া করা হয় যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডাঃ মজিবুর রহমানের মজুমদারের সুস্থতার জন্য।
এদিকে ‘৯৪ ইউএসএ’ গ্রুফ কুইন্সের জ্যাকসন হাইটসে থ্যাঙ্কস গিভিং ডে উপলক্ষে গত ৩০ নভেম্বর শনিবার আয়োজন করে ‘ফ্রেন্ডস গিভিং ডিনার’ অনুষ্ঠানের। এতে এসএসসি ৯৪ ব্যাচের বন্ধু ও তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন। অন্যদিকে সোস্যাল মিডিয়া পার্সনাল মাকসুদা আহমদও এদিবসটি পালন করেছেন ।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের প্রতিনিধি দল। পৃথকভাবে আসা পরিদর্শন দলে ইইউর চার সদস্য এবং অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্য ছিলেন। সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত পরিদর্শন টিম ক্যাম্পে ছিলেন।
আজ ১৩ নভেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ক্যাম্পে আসা ইইউর প্রতিনিধি দলে চার সদস্যর নেতৃত্ব দেন ইউরোপিয়ান এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিসের (ইইএএস) এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক পাওলা পাম্পালোনি ও অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্যরের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ফার্স্ট সেক্রেটারি ঢাকার অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এমিলি ম্যাকডোনাল্ড।
ইইউর প্রতিনিধি দলটি প্রথমে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প-৪ এ পৌঁছে। সেখানে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত রেজিস্ট্রেশন সেন্টার ও পরে এক্সটেনশন-৪ এর ডাটা এন্ট্রি সেন্টার পরিদর্শন করেন।
এরপর ক্যাম্প-৪ এ ইউনিসেফ পরিচালিত লার্নিং সেন্টার পরিদর্শন করেছেন তারা। পরে উখিয়ার কুতুপালংয়ের ১৮ ও ১৯ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে দুপুর ২টায় ক্যাম্প থেকে কক্সবাজারের দিকে রওনা দেন। প্রতিনিধি দল বিকাল ৪টার দিকে কক্সবাজারের শরণার্থী ও ত্রাণ প্রত্যাবাসন কমিশনার কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন।
অপরদিকে, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনার এমিলি ম্যাকডোনাল্ডের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সকাল ১০টার দিকে উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৩, ১৫ ও ১৯ পরিদর্শন শেষে শরণার্থী কমিশনার কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেন। তবে প্রতিনিধি দলটি সাধারণ কোনো রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেনি।
১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের উপঅধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. সাইফুজ্জামান বলেন, উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে আসেন ইইউর চার এবং অস্ট্রেলিয়ান দূতাবাসের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল। এদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান ফার্স্ট সেক্রেটারিও ছিলেন। প্রতিনিধি দলটি এনজিও সংস্থার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। তারা বিকালে ক্যাম্প ছেড়ে কক্সবাজারের উদ্দেশে রওনা দেন।
হাকিকুল ইসলাম খোকন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে :
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইমিগ্রেশন ক্র্যাকডাউনের অংশ হিসাবে যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের তাড়াতে ঝটিকা অভিযান শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। নতুন প্রশাসনের নির্দেশে ২৬ জানুয়ারি রোববার থেকে শুরু হয় এ তৎপরতা। প্রথম দিনের অভিযানে গ্রেফতার করা হয়েছে ৯৫৬ জনকে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্রেফতার করা হয়েছে ২ হাজার ৬৮১ জনকে। সে হিসাবে গড়ে প্রতিদিন গ্রেফতার করা হচ্ছে এক হাজার জন। শিকাগোয় ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে শহরটির অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলো।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এ তথ্য জানিয়েছে। রবিবার শুরু হওয়া এই অভিযানে আইসিইর পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন এফবিআই ও ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ (ডিইএ) বিচার বিভাগের বিভিন্ন সংস্থার সদস্যরা। এই অভিযান এক সপ্তাহ ধরে চলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের ইশারায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসী তাড়ানোর দায়িত্ব পেয়েছেন টম হোম্যান। তিনি আইসিইর সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক। সিএনএনের সাথে সাক্ষাৎকারে হোম্যান ঝটিকা অভিযান শুরুর দিনকে ‘একটি ভালো দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, এই অভিযান ‘মোড় বদলে’ দেওয়ার মতো একটি ঘটনা।
ওই সাক্ষাৎকারের সময় ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের শিকাগো শহরে ছিলেন টম হোম্যান। তিনি বলেন, এ বিষয়ে (অবৈধ অভিবাসন) পুরো প্রশাসনকে কাজে লাগিয়েছেন। শিকাগোর জননিরাপত্তা এবং জাতীয় নিরাপত্তা হুমকিগুলোর ওপর নজর রাখতে আজ আমরা সরকারের সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে মাঠে নামিয়েছি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে আইসিই লিখেছে, রবিবার দেশজুড়ে ৯৫৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অবৈধ অভিবাসীদের ধরতে শিকাগোয় এই ‘বাড়তি অভিযান’ ছাড়াও আটলান্টা, পুয়ের্তো রিকো, কলোরাডো, লস অ্যাঞ্জেলেস, অস্টিন ও টেক্সাস শহরে অভিবাসনসংক্রান্ত কর্মকর্তাদের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
সূত্র জানিয়েছে, আইসিইর মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতিদিন ৭৫ জনকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর ফলে গত বছরের তুলনায় চলতি বছরে প্রতিদিন গড় গ্রেপ্তারের সংখ্যা বাড়বে। গত অর্থবছরে আইসিইর অভিযানে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তবে প্রতিদিনি গ্রেপ্তারের সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়ার তথ্য অস্বীকার করেছেন টম হোম্যান।
অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক : প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় থাকাকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্ত দিয়ে বহু অভিবাসী প্রবেশ করেছিলেন। তাঁদের বড় অংশের ঠিকানা হয়েছিল টেক্সাস। তখন টেক্সাসের গভর্ণর গ্রেগ অ্যাবট এই অভিবাসীদের বাইডেনের দল ডেমোক্রেটিক পার্টি শাসিত শহরগুলোয় পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে শিকাগোর স্থানীয় একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ট্রাম্প প্রশাসনের নানা তৎপরতার মুখে আতঙ্কে রয়েছেন শহরটির অনেক অধিবাসী। তাঁদের অনেকে স্কুল বা কাজে যাচ্ছেন না। যেমন শহরটির উপকণ্ঠে বসবাস করা দুই বোন ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পর থেকে স্কুলে যাচ্ছে না। তাদের মা–বাবাও কাজে যাওয়া বন্ধ রেখেছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত তাঁদের অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান চলছে।
ইউএস কমিটি ফর রিফিউজিস অ্যান্ড ইমিগ্র্যান্টস নামের আরেকটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এনা মারিয়া বেনা বলেন, ‘শিশুরা স্কুলে যেতে চাচ্ছে না। তারা ভয় পাচ্ছে। তারা মা–বাবার কাছ থেকে এসব বিষয়ে শুনছে।
সম্প্রদায়ের মানুষের কাছ থেকে শুনছে। আমার মনে হয়, যখন শিক্ষার্থীরা ভয়ের কারণে স্কুলে যেতে চায় না, তখন ওই সম্প্রদায়ের মনের অবস্থা কী, তা অনেকটাই বোঝা যায়?’
এদিকে শিকাগোতে ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী পদক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে শহরটির অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে সোচ্চার সংগঠনগুলো। আদালতে দাখিল করা নথিপত্রে বলা হয়েছে, শিকাগোয় অভিবাসীদের জন্য ছাড় থাকার কারণে শহরটি ট্রাম্প প্রশাসনের অভিযানের কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। এটা সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে যে বাক্স্বাধীনতার অধিকার দেওয়া হয়েছে, সেটি খর্ব করে। একই সঙ্গে চতুর্থ সংশোধনীতে অযৌক্তিক তল্লাশি ও আটকের বিরুদ্ধে যে সুরক্ষা দেওয়া হয়েছে, তা লঙ্ঘন করে।
দেশজুড়ে অভিযানÑধরপাকড় : জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যের আটলান্টা শহরের উপকণ্ঠ থেকে ওয়াল্টার ভালাদারেস নামের ৫৩ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছেন আইসিইর সদস্যরা। তিনি হন্ডুরাস থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছিলেন। তবে তাঁর বৈধ কোনো নথিপত্র নেই। সিএনএনকে ওয়াল্টারের পরিবারের সদস্যরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
ওয়াল্টারের ভাই এডউইন ভালদারেস বলেন, ওয়াল্টার নির্মাণশ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। আটলান্টার উপকণ্ঠে লিলবার্ন এলাকায় চার সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন। ওয়াল্টারের বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অপরাধের অভিযোগ নেই। একবার শুধু লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালানোর জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল। সে ঘটনায় জরিমানাও পরিশোধ করেছিলেন তিনি।
আটলান্টার উপকণ্ঠে টাকার এলাকা থেকে নথিপত্রহীন আরেক অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তিনি একটি গির্জায় ছিলেন। ওই গির্জার যাজক লুইস ওরতিজ সিএনএনকে বলেন, ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা চলাকালে তিনি দেখতে পান গির্জার কয়েকজন সদস্য ওই ব্যক্তিকে বাইরে বের করে নিয়ে যাচ্ছেন। বাইরে যাওয়ার পর তাঁকে গ্রেপ্তার করেন আইসিই সদস্যরা।
রোববার রাতে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, দেশটির হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ পর্যন্ত তাঁদের অবৈধ অভিবাসীবিরোধী অভিযান চলছে। এই দ্বীপপুঞ্জের হনুলুলু শহরের অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করেছেন ডিইএ ও আইসিই সদস্যরা। ডিইএ জানিয়েছে, রোববার সকালে কলোরাডোয় মাদক চোরাচালানিদের এবং ভেনেজুয়েলার অপরাধী চক্রগুলো লক্ষ্য করে চালানো অভিযানে প্রায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
টার্গেটে স্টুডেন্ট ভিসাধারীরা : অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেফতারের পরই নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার অভিযানে স্টুডেন্ট ভিসায় আগতরাও টার্গেট হয়েছেন। ৩ বাংলাদেশি ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে স্টুডেন্ট ভিসার শর্ত লঙ্ঘনের দায়ে। তারা ভার্সিটিতে না গিয়ে নিয়মিত কাজ করছিলেন।
এদিকে পিএইচডি কোর্স করতে ঢাকা থেকে জেএফকে অবতরণকারী আরেক স্টুডেন্টকে জেএফকে থেকেই ফেরৎ পাঠানো হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। ইমিগ্রেশন বিভাগের অফিসার জিজ্ঞাসাবাদের সময় এই স্টুডেন্টের কাছে থেকে সদুত্তর না পাওয়ায় তার ভিসা বাতিল করে ফিরতি ফ্লাইটে উঠিয়ে দেয়া হয়।
আমেরিকান বার অ্যাসোসিয়েশনের পরিচালক (সরকার বিষয়ক) এবং আমেরিকা সুপ্রিম কোর্টের লাইসেন্সপ্রাপ্ত অ্যাটর্নি মঈন চৌধুরী। ডেমক্র্যাটিক পার্টির লিডার এটর্নী মঈন চৌধুরী আরো জানান, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে ভিসা গ্রহণের সময় উল্লেখিত তথ্যের ব্যাপারে জানতে চেয়েছিলেন জেএফকে এয়ারপোর্টে ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস অফিসার। সঠিক জবাব পাননি। অপরদিকে, স্টুডেন্ট ভিসা লংঘন করে নিয়মিতভাবে কাজ করার তথ্য উদঘাটিত হয় সংশ্লিষ্টদের সেলফোন ট্র্যাকিংয়ে। ভার্সিটি অথবা কলেজের পরিবর্তে ভিন্ন একটি স্থানে প্রতিদিনই দীর্ঘ সময় অবস্থানের তথ্য খতিয়ে দেখার সময় উদঘাটিত হয় ভিসা বাতিলের অপকর্ম।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট ভিসায় আগত অনেক এশিয়ানই বিভিন্ন রেস্টুরেন্ট, সুপার মার্কেট কিংবা ট্র্যাভেল এজেন্সি অথবা চিকিৎসকের প্রাইভেট ক্লিনিকে রিসিপশনিষ্টের কাজ করছেন। কেউ কেউ অনলাইনে ক্লাস করছেন। অবৈধ অভিবাসীদের ধর-পাকড়ের অভিযানে এহেন অপকর্মে লিপ্ত ‘ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট’রাও ধরা পড়ছেন বলে নিউজার্সি, ভার্জিনিয়া, পেনসিলভেনিয়া, ম্যাসাচুসেট্্স, জর্জিয়া, ফ্লোরিডা, ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস, মিশিগান, আরিজোনা থেকে জানা গেছে।
এদিকে, আইসের (ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট) উদ্ধৃতি দিয়ে ফক্স নিউজের এক বুলেটিন বলা হয়েছে, সোমবার টেক্সাসের বিভিন্ন স্থান থেকে ৮৪ জনসহ সারা আমেরিকা থেকে এক হাজার অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম ৭ দিনে গ্রেফতারস হলো ৩৩ অবৈধ অভিবাসী। এরা সকলেই নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টের হুমকি বলেই অবৈধদের বিরুদ্ধে সাড়াশি অভিযান চালানো হচ্ছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিটে হেকসেথ জানান, সোমবার আরো ৪ শতাধিক সৈনিক টেক্সাসের সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে। এরফলে আগের সপ্তাহের তুলনায় বেআইনীভাবে সীমান্ত অতিক্রমকারির সংখ্যা ৯০% কমেছে বলেও দাবি করেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী।
আইসের গ্রেফতার-অভিযানে সন্ত্রস্ত গোটা কম্যুনিটি। জ্যাকসন হাইটস, জ্যামাইকা, ওজোনপার্ক, ব্রুকলীনের বাংলাদেশী অধ্যুষিত পরিভ্রমণকারে সোমবার অধিকাংশ রেস্টুরেন্ট, সুপারমার্কেট, গ্রোসারি স্টোরে গ্রহকের মত বিক্রেতার সংখ্যাও একেবারেই নগন্য মনে হয়েছে। একধরনের ভীতি তৈরী হয়েছে ইমিগ্র্যান্ট কম্যুনিটিতে। টাইমস স্কোয়ার, ডাউন টাউন, মিডটাউন, আপটাউনের ব্যবসা-বাণিজ্যেও স্থবিরতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। জানা গেছে, নিউইয়র্কে নূন্যতম মজুরি হচ্ছে ঘন্টায় ১৭ ডলারের মত। অবৈধদের দিয়ে সে সব কাজ করিয়ে ঘন্টায় ৫/৬ ডলার করে দিতে পারায় ব্যবসায় মুনাফা বেশী বলে ব্যবসায়ীরা জানান। যদিও করোনা মহামারির পর অন্যসকল পন্যের মত খাদ্য-বস্ত্র-বিনোদনের সকল পন্যের দামও দ্বিগুণ করা হয়েছে। অর্থাৎ অবৈধদের দিয়ে ব্যবসা চালাতে না পারলে লাভের অংক অনেক কমবে বলে ব্যবসায়ীরা ট্রাম্পের ওপর নাখোশ।
উল্লেখ্য, গ্রেফতারের পরই নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার জন্যে সেনাবাহিনীর বিমান ব্যবহার করছে ট্রাম্প প্রশাসন। কারণ, যুক্তরাষ্ট্রে ডিটেনশন সেন্টারের ৪১ হাজার বেডই পূরণ হয়ে আছে আগে থেতেই। এজন্য গ্রেফতারের পরই অবৈধ অভিবাসীদেরকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়ার এই কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আরো উল্লেখ্য, ১৭ লাখের অধিক অভিবাসীর বিরুদ্ধে বহিষ্কারের আদেশ জারি রয়েছে অনেক আগে থেকেই। এর সাথে যোগ হয়েছে গত চার বছর বাইডেন-কমলার আমলে বেআইনীভাবে সীমানা অতিক্রমকারিরা। এ সংখ্যা ২০ লাখের বেশী বলে বিভিন্নভাবে জানা গেছে। এদের সকলকে গ্রেফতার এবং দ্রুত বহিষ্কার করা সম্ভব না হলে বিপুল অর্থ লাগবে থাকা-খাওয়া বাবদ। সে ইস্যুতেও দুশ্চিন্তায় রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। সেদিকে লক্ষ্য রেখে যারা সীমানা অতিক্রমের পর রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করবেন-তাদেরকেও সরাসরি মেক্সিকো-তে পাঠিয়ে দেয়া হবে আবেদনের চ’ড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত। সবকিছু মিলিয়ে সারা আমেরিকায় অভিবাসী-সমাজে টেনশন আর অস্থিরতা বিরাজ করছে।