অনলাইন ডেস্ক :
সুইডেনের স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য এ বছরের নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে আয়োজক নোবেল ফাউন্ডেশন। ওই তিন দেশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ জানানোয় ক্ষোভ সঞ্চার হলে এই সিদ্ধান্ত নেয় ফাউন্ডেশন।
এর আগে ২০২২ সালে নোবেল ফাউন্ডেশন নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান ও ভোজ সভায় রাশিয়া ও বেলারুশের রাষ্ট্রদূতকে আমন্ত্রণ না জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানায় ফাউন্ডেশন।
যদিও গত বৃহস্পতিবার ফাউন্ডেশন জানিয়েছিল, তারা তাদের পুরোনো রীতি অর্থাৎ সুইডেনে প্রতিনিধিত্বকারী সব দেশকে আমন্ত্রণ জানানোর সিদ্ধান্তে ফিরে যাবে। তবে এই সিদ্ধান্ত ব্যাপক ক্ষোভের জন্ম দেয়।
আজ শনিবার ফাউন্ডেশন জানায়, নতুন এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে প্রতিষ্ঠানের মূল্যবোধ রক্ষায় নোবেল পুরস্কার যে বার্তা বহন করে তা তুলে ধরতে।
এক বিবৃতিতে ফাউন্ডেশন জানায়, ‘আমরা গত বছরের ব্যতিক্রমকে সাধারণ চর্চা হিসেবে আবারও গ্রহণ করতে যাচ্ছি। আর এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাশিয়া, বেলারুশ ও ইরানকে স্টকহোমে অনুষ্ঠিতব্য নোবেল পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি না।’
অনলাইন ডেস্ক :
ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। হামলায় অন্তত আট জন নিহত হওয়ার কথা জানিয়েছে পাকিস্তান কর্তৃপক্ষ। এর জবাবে ভারতেও পাল্টা হামলার হুমকি দিয়েছে পাকিস্তান। এ ঘটনায় পরমাণু শক্তিধর এই দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে।
ভারত সরকার জানায়, তারা নয়টি স্থানে ‘সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে সুনির্দিষ্ট হামলা’ চালিয়েছে। এ হামলাগুলো পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। কয়েকদিন আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পর্যটকদের ওপর হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করেছিল নয়াদিল্লি।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন পাকিস্তানি নিহত এবং ৩৫ জন আহত হয়েছেন। এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, কাশ্মীর সীমান্তে পাকিস্তানের গোলাবর্ষণে তিনজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন।
এর আগে, পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরীফ চৌধুরী বলেন, মধ্যরাতের পর কোটলি, ভাওয়ালপুর, মুরিদকে, বাঘ এবং মুজাফফরাবাদে ভারতের ‘কাপুরুষোচিত’ ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় তিনজন পাকিস্তানি শহীদ এবং ১২ জন আহত হয়েছেন। এর জবাবে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ইতিমধ্যে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছে
তিনি এ হামলাকে ‘জঘন্য উস্কানি’ বলে অভিহিত করে বলেন, ‘আমরা সুবিধামত সময়ে প্রতিশোধ নেব।’
ওয়াশিংটনে ভারতীয় দূতাবাস জানিয়েছে, নয়াদিল্লির এই হামলার পরপরই ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওকে পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেছেন। দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ভারতের হামলাগুলো ছিল সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ বলেছেন, ইসলামাবাদ ভারতীয় হামলার জবাব দিচ্ছে, তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি।
পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী জানান, পাকিস্তানে পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। হাসপাতালসহ ও জরুরি পরিষেবাব্যবস্থা উচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের একজন সামরিক মুখপাত্র জিও ব্রডকাস্টারকে বলেন, ভারতের হামলায় দুটি মসজিদও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা মুহাম্মদ আসিফ গণমাধ্যমটিকে বলেন, ভারত সব বেসামরিক লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করেছে, সেখানে কোনো জঙ্গি শিবির ছিল না। তিনি বলেন, ভারত তাদের নিজেদের আকাশসীমা থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে এবং ‘সন্ত্রাসীদের শিবির’ লক্ষ্যবস্তু করার ভারতীয় দাবি মিথ্যা।
পরে তিনি রয়টার্সকে জানিয়েছেন, পাকিস্তান পাঁচটি ভারতীয় জেট বিমান ভূপাতিত করেছে। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে পরে বলা হয় যে তারা তিনটি রাফাল, একটি এসইউ-৩০ এবং একটি মিগ-২৯ বিমান ভূপাতিত করেছে। তারা জানায়, পাকিস্তানে হামলা চালানোর পরেই কেবল বিমানগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী মুজাফফরাবাদে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর এবং পাঞ্জাবে এএফপির সাংবাদিকরা বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনেছেন বলে জানিয়েছেন।
ভারত সরকার এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘কিছুক্ষণ আগে, ভারতীয় সশস্ত্র বাহিনী “অপারেশন সিঁদুর” শুরু করে পাকিস্তান এবং পাকিস্তান-অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের সন্ত্রাসী অবস্থানগুলোতে আঘাত হেনেছে।’
ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর একটি সূত্র রয়টার্সকে জানায়, ‘ভারতীয় বাহিনী জইশ-ই-মোহাম্মদ এবং লস্কর-ই-তৈয়বার সদর দফতরে হামলা চালিয়েছে।’
ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলেছে, ‘ন্যায়বিচার করা হয়েছে।’ নয়াদিল্লির তরফে আরও বলা হয়, তারা পাকিস্তানের কোনো সামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করেনি।
চলারপথে ডেস্ক :
সৌদি আরবের মক্কায় ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশন এবং কোবা হজ এজেন্সির মালিককে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। আটককৃত ব্যক্তিরা হলেন- কোবা এয়ার ইন্ট্যারন্যাশনালের মালিক মো. মাহমুদুর রহমান ও তার ছেলে ইউরো ও আহসানিয়া হজ মিশনের মালিক সাদ বিন মাহমুদ। তাদের তিনটির এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রী রয়েছেন। এজেন্সি মালিকদের আটকের ফলে হজযাত্রীরা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাশেম মুহাম্মদ শাহীনের স্বাক্ষরিত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা যায়, এই এজেন্সি মালিকদের বিরুদ্ধে ১৫ শতাংশ সৌদি কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। সৌদির একটি ব্যাংক থেকে এই এজেন্সির মালিকরা ৯ লাখ সৌদি মুদ্রা রিয়াল উত্তোলন করেন। এরপর পুলিশের জেরার মুখে কর ফাঁকির বিষয়টি ধরা পড়লে রিয়ালসহ তাদের আটক করা হয়।
এদিকে হজ ফ্লাইটের প্রথম দিন ভিসা জটিলতায় ও হজ এজেন্সির অবহেলায় ১৪০ জন হজযাত্রী নির্ধারিত ফ্লাইটে হজে যেতে পারেননি। এরপর তিন এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীরা পড়েছেন দুশ্চিন্তায়।
এদিকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, এই তিনটি এজেন্সির অধীনে ৮২৩ জন হজযাত্রীর আগামী ১ জুন বিমানের টিকিট নিশ্চিত করা আছে। মালিকদের আটকের কারণে নির্ধারিত তারিখের ন্যূনতম ১০ দিন বিমানের টিকিট পিছিয়ে দিতে বলেছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়।
এই বিষয়ে হজ পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনটি হজ এজেন্সির মালিক টাকা উত্তোলন করতে গিয়ে সৌদি আরবের পুলিশ তাদের আটক করেছে। তবে হজযাত্রীদের অনিশ্চিয়তার কোনো কারণ নেই। তাদের মালিকদের আটক করায় ১০ দিন সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে। তাদের হজযাত্রায় কোনো সমস্যা হবে না বলে জানান তিনি।
এদিকে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় সৌদি যাওয়া হজযাত্রীদের বিড়ম্বনার অভিযোগে ৮টি হজ এজেন্সিকে শোকজ করেছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। শোকজে বলা হয়, গত ২১ মে ৮টি এজেন্সির হজযাত্রী মক্কায় আসেন। এসব এজেন্সি হজযাত্রীদের ভিসায় যে হোটেলের ঠিকানা রয়েছে সেই হোটেলে না উঠিয়ে মক্কার বিভিন্ন ফিতরা করা হোটেলে উঠায়। ফলে হজযাত্রীদের নানা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। এসব অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৮ হজ এজেন্সিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়।
অনলাইন ডেস্ক :
ইসরায়েলের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইরান।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ফিলিস্তিনের ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়াকে হত্যা করার জন্য ইহুদিবাদী ইসরায়েলকে কঠোর জবাব পেতে হবে। তিনি বলেছেন, ইরান ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ আন্দোলনের নেতার রক্তের বদলা নেওয়া দায়িত্ব মনে করে।
আজ ৩১ জুলাই বুধবার ভোরে রাজধানী তেহরানে হামাস নেতার হত্যাকাণ্ডের পরপরই ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “অপরাধী এবং সন্ত্রাসী ইহুদিবাদী রেজিম আমাদের স্বদেশে আমাদের প্রিয় মেহমানকে শহীদ করেছে এবং আমাদেরকে শোকাহত করেছে, তবে এর মধ্য দিয়ে নিজের জন্য কঠোর শাস্তির ভিত্তি তৈরি করেছে।”
তিনি আরো বলেন, “ইহুদিবাদী ইসরায়েলের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইসমাইল হানিয়ার দীর্ঘ আত্মত্যাগ ও সংগ্রামী জীবনের প্রশংসা করেন সর্বোচ্চ নেতা।”
এদিকে, ইরানের জাতিসংঘ মিশনের এক্স অ্যাকাউন্ট থেকে এ ব্যাপারে বলা হয়েছে, “গুপ্তহত্যার জবাব হবে একটি বিশেষ অভিযান— শক্তিশালী। যেটির লক্ষ্য থাকবে হত্যাকারীদের মধ্যে গভীর অনুশোচনা তৈরি করা।”
এর আগে ইরানের শক্তিশালী বাহিনী ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের পক্ষ থেকে প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
লেবাননে নিযুক্ত ইরানি রাষ্ট্রদূত মোজতবা আমানি বিপ্লবী গার্ডের হুমকির সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলেছেন, “জবাব অবশ্যই আসছে।”
লেবাননের রাজধানী বৈরুত থেকে ইরানি রাষ্ট্রদূত বলেছেন, “ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের পরিধি বাড়াতে চাইছিল না ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলকে এই অঞ্চলকে শিকার বানাতেও দেবে না ইরান।”
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে নিজেদের প্রভাব বিস্তারে দীর্ঘদিন ধরে প্রক্সি বাহিনীকে সহায়তা করে আসছে ইরান। ইরাক, সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেনসহ অন্যান্য দেশগুলোকে ইরান রাইফেল, ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য মারণাস্ত্র দিয়ে থাকে। যদিও ইরান এ বিষয়টি প্রকাশ্যে কখনও স্বীকার করে না।
অপরদিকে দখলদার ইসরায়েলকে অস্ত্র দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। তারা মূলত ইসরায়েলকে দিয়ে ইরানকে দমিয়ে রাখতে চায়। সূত্র: সিএনএন, পার্সটুডে
অনলাইন ডেস্ক :
চীনের নতুন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল ডিপসিক বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছে। অল্প সময়ের মধ্যেই এটি ওপেনএআই-এর চ্যাটজিপিটি, গুগলের জেমিনি ও ক্লডের মতো শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বীদের ছাড়িয়ে গেছে। ডিপসিকের এই অসাধারণ সাফল্যের পেছনে অন্যতম প্রধান কারিগর ২৯ বছর বয়সী লুও ফুলি।
কে এই লুও ফুলি?
লুও ফুলি চীনের ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP) গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি বেইজিং নরমাল ইউনিভার্সিটিতে কম্পিউটার সায়েন্স নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর পিকিং ইউনিভার্সিটির ইনস্টিটিউট অব কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিকস থেকে উচ্চতর গবেষণা করেন।
২০১৯ সালে অ্যাসোসিয়েশন ফর কম্পিউটেশনাল লিঙ্গুইস্টিক্স কনফারেন্সে আটটি গবেষণা প্রবন্ধ উপস্থাপন করে প্রযুক্তি বিশ্বে নিজের প্রতিভার জানান দেন তিনি। এরপর আলিবাবার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ড্যামো একাডেমিতে যোগ দিয়ে মাল্টিলিঙ্গুয়াল এআই মডেল ভেকো (VECO) তৈরিতে কাজ করেন।
ডিপসিকের সাফল্যে ফুলির ভূমিকা
২০২২ সালে লুও ফুলি ডিপসিকে যোগ দেন এবং ডিপসিক (V-2) মডেলের উন্নয়নে মূল ভূমিকা রাখেন। তার গবেষণা ও নেতৃত্বে ডিপসিকের এআই মডেল বিশ্ববাজারে নতুন মাইলফলক তৈরি করেছে।
সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানায়, ডিপসিকে কাজ করার সময় ফুলি তার অসাধারণ দক্ষতা দিয়ে শাওমির প্রতিষ্ঠাতা লেই জুনের নজর কাড়েন। লেই জুন তাকে ১০ মিলিয়ন ইউয়ান বার্ষিক বেতনে শাওমিতে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন, কিন্তু ফুলি সেই প্রস্তাব নাকচ করে ডিপসিকের সঙ্গেই কাজ চালিয়ে যান।
ডিপসিক বনাম প্রতিদ্বন্দ্বী এআই মডেল
চীনের ৪০ বছর বয়সী লিয়াং ওয়েনফেং ২০২৩ সালে ডিপসিক প্রতিষ্ঠা করেন। কম খরচে তৈরি হওয়া এই চীনা এআই চ্যাটবট বর্তমানে উন্নত লার্জ ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল (LLM) প্রতিযোগিতায় সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডিপসিক ৩-এর পারফরম্যান্স মেটার লামা ৩.১ ও আলিবাবার কুয়েন ২.৫-এর সমতুল্য। এটি ওপেনএআই-এর GPT-4o ও অ্যানথ্রপিকের Claude 3.5 Sonnet-এর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে সক্ষম।
শুধু তাই নয়, ডিপসিকের আর-১ মডেল ওপেনএআই-এর মিনি মডেলকেও ছাড়িয়ে গেছে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান Artificial Analysis জানায়, গুগল, মেটা ও অ্যানথ্রপিকের তৈরি মডেলগুলোর তুলনায় ডিপসিকের এআই প্রযুক্তি আরও উন্নত।
যুক্তরাষ্ট্রেও চমক দেখাচ্ছে ডিপসিক
মাত্র এক সপ্তাহে ডিপসিক যুক্তরাষ্ট্রে চ্যাটজিপিটিকে পেছনে ফেলে অ্যাপল অ্যাপ স্টোরের শীর্ষস্থান দখল করেছে। এর ফলে এনভিডিয়া, মাইক্রোসফট ও মেটার মতো মার্কিন প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোর শেয়ারমূল্য কমতে শুরু করেছে।
তথ্যসূত্র: সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট, রয়টার্স
আখাউড়া প্রতিনিধি :
আখাউড়ায় আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার কারিমা রেষ্টুরেন্ট এন্ড পার্টি সেন্টারে ভারত ত্রিপুরা রাজ্যের ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত। ভারত ও বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গেয়ে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে আখাউড়া যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুল মমিন বাবুল’র সভাপতিত্বে ও ছাত্র নেতা মনির হোসেন’র সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র সভাপতি ড. দেবব্রত দেবরায়, সাধারণ সম্পাদক ড. মুজাহিদ রহমান, আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মনির হোসেন বাবুল, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আবদুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু।
বিশেষ করে, ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র কমিটি দিয়ে দুই দেশে সু-সম্পর্ক হবে বলে বক্তরা মনে করেন।
ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র পক্ষ থেকে দুই দেশের মধ্যে বই সহ উপহার সামগ্রী আদান-প্রদান করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারত বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদ’র বিশিষ্ট শিল্পী ও সহ সম্পাদক স্বর্ণিমা রায়, বিশিষ্ট চিত্র শিল্পী ও কোষাধ্যক্ষ নির্মল দেব, কবি গীতিকার ও কার্যকরী সম্পাদক গৌরাঙ্গ চন্দ্র দেবনাথ, সমাজসেবী কবি ও সহ-সভাপতি বিশ্বজিৎ রায় চৌধুরী, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী কুশল দেব, বিশিষ্ট ব্যাচিক শিল্পী শ্বেতা দেবরায়, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী ইন্সা আক্তার, কবি গীতিকার ও সহ-সম্পাদক শ্যামল কান্তি দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী মনিদীপা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী শ্যামলীমা দে, বিশিষ্ট নৃত্য শিল্পী সাগরীমা দে, বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী অমর ঘোষ, আখাউড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তাপস চক্রবর্তী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন সফিক আলিয়া, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কাওছার ভূঁইয়া, সাবেক দক্ষিণ ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাবুল পারভেজ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ তজিবুর রহমান, আখাউড়া যুব মহিলা লীগের সভাপতি রোকসানা আক্তার, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ইকবাল হোসেন, সাজ্জাদ মাস্টার, সেলিম মিয়া, ক্রিড়াবিদ মো: সাগর হোসেন, আখাউড়া উপজেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অমিত হাসান অপু, কার্যকরী সদস্য শাহাবুদ্দিন রিফাত প্রমুখ।