স্টাফ রিপোর্টার:
বিজয় দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দরের নো-ম্যানসল্যান্ডে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ’র) মধ্যে ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে মিষ্টি ও গাছ বিনিময় হয়। বেলা সাড়ে চারটার দিকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিএসএফ’র হাতে মিষ্টি তুলে দেয় বিজিবি। ভারতীয় বিএসএফ’র পক্ষ থেকে বিজিবিকে দেওয়া হয় গাছের চারা। পরে বিউগলের সুরে দু’দেশের পতাকা একসঙ্গে নামানো হয়, যা ‘জয়েন্ট রিট্রিট সিরিমনি’ হিসেবে পরিচিত। দু’দেশের শত শত মানুষ এ সুন্দর আয়োজন উপভোগ করেন। এ সময় সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বিজিবি সরাইল রিজিওনের ডেপুটি রিজিওয়ন কমান্ডার কর্ণেল কাজী শামীম, বিজিবি ৬০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মুহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, উপ-অধিনায়ক মেজর মুহাম্মদ নুরুল আবছার। ভারতের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন বিএসএফ ১২০ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক রাখনেশ কুমার, লঙ্কামোড়া কম্পানি কমান্ডার বিনদ সিং।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপির আইনজীবীদের আদালত বর্জনকে রাজনৈতিক স্ট্যান্টবাজি বলে মন্তব্য করে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, এর কোন মর্মার্থ নাই। কারণ হচ্ছে, আদালত আদালতের কাজ করে যাচ্ছে। আদালত বিচার কার্যে মনোনিবেশ করছেন। আদালতকে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের মধ্যে টেনে আনা আমার মনে হয় বিএনপির ভুল বা অন্যায়। আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার সকালে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে সাংবাদিকদের সাথে তিনি এসব কথা বলেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচন তামাশার নির্বাচন, বিএনপির এমন মন্তব্যের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, যারা এ নির্বাচনকে তামাশা বলছেন, তাদের বক্তব্যটাই তামাশা। কারণ হচ্ছে, জনগণ এ নির্বাচনকে মেনে নিয়েছেন এবং নির্বাচনে তারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জনগণের এখনের কার্যকলাপে বুঝা যাচ্ছে। উনারা (বিএনপি) কথা বলে যেতে পারেন কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ সঠিকভাবে তাদের অধিকার ব্যক্ত করবে।
এর আগে তিনি আন্ত:নগর মহানগর প্রভাতী ট্রেনে সকাল সাড়ে দশটায় ঢাকা থেকে আখাউড়া রেলওয়ে ষ্টেশনে এসে পৌঁছে। এসময় আওয়ামীলীগ ও সহযোগি সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী তাঁকে স্বাগত জানায়। পরে তিনি সড়ক পথে কসবা উপজেলায় নিজ বাড়িতে যান।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে রবিবার ২২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে পিঠা উৎসব হয়েছে। অনুষ্ঠানে রাজনীতিবিদ, প্রশাসনের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকদের মিলন মেলা বসে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) প্রশান্ত চক্রবতীর্, জেলা পরিষদের সদস্য সাংবাদিক মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মোঃ শফিকুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাৎ হোসেন।
কাজী হান্নান খাদেমের সঞ্চালনা অনুষ্ঠানে ম্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলে রাব্বি। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন বাবুল, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোঃ আতাউর রহমান নাজিম, উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, উপজেলা যুবলীগের যু্গ্ম আহবায়ক মোঃ আব্দুল মমিন বাবুল, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল ফারুক বকুল।
বক্তারা বলেন, বাঙালী ঐতিহ্যের একটি গুরুত্বপুর্ণ অংশ শীতের পিঠা। শীতকালে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে মানুষ নানান রকম সুস্বাধু পিঠা তৈরি করে পরিবার ও প্রতিবেশি নিয়ে আনন্দ করে খায়। পিঠা উৎসবের আয়োজন করায় সাংবাদিকদেরকে ধন্যবাদ জানান বক্তারা।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া রেলওয়ে নিরাপত্তা বানিহীর (আরএনবি) চীফ ইন্সপেক্টর মোঃ আবু সুফিয়ান, আখাউড়া ইমিগ্রেশন পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর স্বপন চন্দ্র দাস, পৌরসভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ ফয়ছাল আহমেদ খান, পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি আব্দুল হান্না, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন সহ প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, আখাউড়া থেকে :
আখাউড়ায় বজ্রাঘাতে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। আজ ১১ মে রোববার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি এবং বনগজ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন শেখ সেলিম মিয়া (৬০) ও মো. জামির খান (২২) নামে দুই কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. আশেক মিয়া বজ্রপাতে দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামে নিজ জমিতে ধান কাটার পর খড় শুকানোর সময় শেখ সেলিম এবং একই ইউনিয়নের বনগজ গ্রামে মেশিন দিয়ে ধান মাড়ানোর সময় মো. জামির খান আকস্মিক বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মার যান।
নিহত শেখ সেলিম মিয়া ধরখার ইউনিয়নের রুটি গ্রামের উত্তর পাড়ার শেখ বাড়ির শেখ নোয়াব মিয়ার ছেলে। আর মো. জামির খান একই ইউনিয়নের বনগজ গ্রামের মদন খানের ছেলে।
আখাউড়া থানার ওসি মো. ছমিউদ্দিন জানান, বনগজ গ্রামের জাকির খাঁ ধান ভাঙার মেশিন নিয়ে কাজ করছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় শ্বাসরোধ করে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ব্যক্তি হলো উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মিনারকুট গ্রামের নূর মোহাম্মদের পুত্র মোরছালিন ভূঁইয়া (২৬)।
গতকাল রবিবার বিকালে একই ইউনিয়নের শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র আব্দুল্লার তালাবদ্ধ বসত ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতের স্বজনদের দাবি পাওনা টাকা চাওয়ায় আব্দুল্লাত ও তার সহযোগিরা মোরছালিনকে হত্যা করেছে। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূইয়া বাদী হয়ে ৮ জনকে আসামি আখাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা করেছে। মামলায় শিবনগর গ্রামের মঙ্গল মিয়ার পুত্র আব্দুল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, শনিবার ৯টার দিকে পাশবর্তী শিবনগরের সোহেল মোরছালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। ওই রাতে তিনি আর বাড়ি ফেরেনি। রোববার দুপুরে শিবনগরের আব্দুল্লাহর ঘর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের ভাই রায়হান ভূইয়া বলেন, শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহ ও হৃদয়ের কাছে আমার ভাই ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা পাওনা ছিল। শনিবার দুপুরে ভাই আমাকে বলে পাওনা টাকার বিষয়টি আব্দুল্লাহর পরিবারকে জানাবে কাগজে হিসাবটি লিখে দিতে বলে। আমি হিসাব লিখে দিই। মোরছালিন পোল্টি মুরগির ব্যবসা করতো বলে রায়হান জানায়।
নিহতের বড় ভাই হাকিম ভূঁইয়া বলেন, শনিবার রাত ৯টার দিকে আমার দোকানের সামনে থেকে শিবনগর গ্রামের তালু মিয়ার ছেলে সোহেল মোরছালিনকে ডেকে নিয়ে যায়। সে পরিকল্পিতভাবে আমার ভাইকে হত্যা করেছে।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ শিবনগর গ্রামের আব্দুল্লাহর ঘরের তালা ভেঙ্গে বস্তায় বাঁধা অবস্থায় মরদেহ উদ্ধার করে। তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে বলে ধারনা করছি।
তিনি আরো বলেন, অভিযুক্ত আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে পুলিশের উপর হামলা, মাদকসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে লেনদেনের বিরোধকে কেন্দ্র করে হত্যা করেছে বলে মনে হচ্ছে।