অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘নির্বাচনের ট্রেন কারও জন্য অপেক্ষা করবে না, যথাসময়ে নির্বাচন হবে।’
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে রাজধানীর গুলশানে একটি হোটেলে নতুনভাবে প্রকাশিত দৈনিক বাংলা পত্রিকার প্রথম বর্ষপূর্তি অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দৈনিক বাংলার প্রকাশক ও কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ’র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ড. চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক চৌধুরী জাফরউল্লাহ শারাফাত, বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অ্যাসোসিয়েশন ও ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শেখ কবীর হোসেন প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদের ‘তফসিল ঘোষণা হলেই যে নির্বাচন হয়ে যাবে, এতো সহজ নয়’ মন্তব্যের জবাবে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘আসলে বিএনপি তো চায় দেশে নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভন্ডুল করতে। ২০১৪ সালে তারা সে চেষ্টা করেছিল, ব্যর্থ হয়েছে। এবার সেই চেষ্টা করলে জনগণ কঠোর হস্তো দমন করবে। বাংলাদেশে বেশিরভাগ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, সেই মানুষগুলো বসে থাকবে না। আমরা আওয়ামী লীগও বসে থাকব না।’
‘আর নির্বাচনের ট্রেন কারো জন্য দাঁড়াবে না’, উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনের ট্রেন যেমন কারো জন্য দাঁড়ায়নি, ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি পাদানিতে বসে নির্বাচনের ট্রেনে চড়েছিল। আমরা আশা করব, এবার নির্বাচনের ট্রেনে তারা ভালোভাবে বসবে। আর তারা না চড়লেও নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘উনাদের কোন নেতা কী বললো এতে কিচ্ছু আসে যায় না। নির্বাচনে জনগণ অংশগ্রহণ করল কি না সেটিই মুখ্য। যদি জনগণ ব্যাপকভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে তাহলেই সেটি একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে।’
‘তাদের বর্জন সত্ত্বেও যেভাবে সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করেছে, আগামী নির্বাচনও যদি তারা বর্জন করে জনগণ ব্যাপকভাবেই অংশগ্রহণ করবে ইনশাআল্লাহ। তবে আশা করব, তারা অংশগ্রহণ করবে।’
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘বিএনপি ক্ষমতায় এলে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধান করবে’ বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল তখন যে রোহিঙ্গারা এসেছিল তাদেরই তো তারা পরিপূর্ণভাবে ফেরত পাঠাতে পারেনি। ১৯৭৬-৭৭ সালে রোহিঙ্গারা এসেছিল সেই রোহিঙ্গারা এখনো আছে, ওরা এখন বাংলাদেশি হয়ে গেছে। ১৯৯১-৯২ সালে আবার রোহিঙ্গারা এসেছিল যখন বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী। সেই রোহিঙ্গাদের বহুজন চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এখন তারা রোহিঙ্গা ফেরত পাঠাতে সেমিনার করে বেড়াচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে তারা চায় না যে, রোহিঙ্গা সমস্যার কোনো সমাধান হোক। কারণ, বিএনপির সাথে যে জঙ্গিগোষ্ঠী আছে তাদের জন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো রিক্রুট করার উর্বর ক্ষেত্র হয়েছে, এ জন্য উনারা প্রকৃতপক্ষে চায় না এ সমস্যার সমাধান হোক। আমরা চেষ্টা করছি, কূটনৈতিকভাবে চেষ্টা করছি এবং অনেক অগ্রগতিও আছে। ইনশাআল্লাহ এই সমস্যার সমাধান হবে।’
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনের জন্য একটি জন্মনিবন্ধন সনদ থাকা সত্ত্বেও আরেকটি জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দ্বারস্থ হওয়ার দিন শেষ। কেননা, এরকম আবেদন আমলে না নেওয়ার জন্য ইসিকে চিঠি দিয়েছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এনআইডি তথ্য পরিবর্তনের জন্য অনেকেই জন্মসনদ নিয়ে আবেদন করেন। কিন্তু সেটা যাচাই করতে গিয়ে দেখা যায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির একাধিক জন্মসদন রয়েছে। এই অবস্থায় করণীয় নির্ধারণে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের মতামত চাওয়া হয়। তার পরিপ্রেক্ষিতেই ওই সুপারিশ করেছে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষ।
ইসির এনআইডি অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবীরকে লেখা জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. রাশেদুল হাসান তিন ধরনের সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের লক্ষ্যে ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ থাকায় কোন জন্মসনদটি যথার্থ সে মর্মে প্রত্যয়ন প্রদানের জন্য অনুরোধ করা হয়। ব্যক্তির একাধিক জন্মসনদ বিদ্যমান থাকলে নিম্নলিখিত নির্দেশনা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো-
১) একই ব্যক্তির যদি একাধিক জন্মসদন অনলাইনে বিদ্যমান থাকে তাহলে ওই ব্যক্তিকে একটি জন্মসনদ বাতিল করার জন্য নির্দেশনা দিতে হবে। অনলাইনে দুটি জন্ম নিবন্ধন থাকা অবস্থায় ওই জন্ম নিবন্ধনের ওপর ভিত্তি করে এনআইডি দেওয়া যাবে না।
২) একই ব্যক্তির যদি দুটি জন্মসনদ থাকে (একটি অনলাইন এবং অন্যটি ম্যানুয়াল), তাহলে যেটি অনলাইনে অর্থাৎ BDRIS সফটওয়্যারে বিদ্যমান জন্মসনদ অনুযায়ী কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।
৩) একই ব্যক্তির দুটি অনলাইন জন্ম নিবন্ধন থাকলে যে নিবন্ধনের রেজিস্ট্রেশন তারিখ পূর্বের, সেটি বহাল রাখা হয়।
এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কারো এসএসসি বা সমমানের সনদ বা তার ঊর্ধ্বের কোনো সনদ না থাকলে অষ্টম শ্রেলি, পঞ্চম শ্রেণির সনদের পাশপাশি জন্মসনদকে আমলে নেওয়া হয় এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে। এতে অনেকেই এসএসসি পাস করে থাকলেও তা গোপন করে বা এসএসসি পাস করেনি মর্মে স্বীকারোক্তি দিয়ে এবং নতুন করে জন্মসনদ দাখিল করে এনআইডি তথ্য পরিবর্তনের সুযোগ নেন। এখন থেকে কোনো ব্যক্তি জন্মসনদের ভিত্তিতে জাল-জালিয়াতি করে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধনের আর সুযোগ পাবে না। এক্ষেত্রে যে জন্মসনদটি আগে নেওয়া হয়েছে, এনআইডি সংশোধনের ক্ষেত্রে সেটিই আমলে নেওয়া হবে। সূত্র : বাংলানিউজ।
ডেস্ক রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারি কর্মকর্তাদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণ না করার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের অপ্রয়োজনীয় বিদেশ ভ্রমণকে নিরুৎসাহিত করেছেন। বিকল্প রপ্তানি বাজার অন্বেষণ করতে বলেছেন। কারণ বিগত বছরগুলোতে উৎপাদন ও রপ্তানিযোগ্য পণ্যের সংখ্যা বেড়েছে।
আজ ১১ মে বৃহস্পতিবার আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিতে গিয়ে তিনি এ নির্দেশ দেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী কয়েকটি বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘উই মাস্ট ফিল সেল্ফ রেসপেক্টস’। নিজের আত্মসম্মান নিজের সমুন্নত রাখতে হবে। এটা দেশের প্রতি আহ্বান এবং আমাদের জন্য নির্দেশ। প্রতিটি পয়সা যেখানে প্রয়োজন সেখানে বিধি-বিধান এবং জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যয় করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এবং বিলাসবহুল মানসিকতা পরিহার করে সরকারি ব্যয়ে সংযত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক থাকতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে মান্নান বলেন, আমরা খরচ করব, কিন্তু যেখানে প্রয়োজন সেখানে খরচ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (এফডিআই) আকৃষ্ট করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা দূর করার ওপর গুরুত্বারোপ করে বিদেশি ঋণ সমর্থিত প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সচিবদের নির্দেশ দিয়েছেন। মান্নান বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে আরো প্রকল্প গ্রহণ করার পর্যাপ্ত সক্ষমতা রয়েছে তাদের আরো প্রকল্প গ্রহণের এবং সাধারণভাবে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে সরকার জনগণকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করবে কি না জানতে চাইলে মান্নান বলেন, সরকার তার নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা আমাদের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ চালিয়ে যাব। আমরা জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য কাজ করি।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সম্প্রতি ওয়াশিংটন সফরকালে বিশ্বব্যাংককে বলেছেন, তারা আরো ঋণ দিলে বাংলাদেশ তা যথাসময়ে পরিশোধ করবে।
এ সময় পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিৎ কর্মকার বলেন, এখন থেকে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে বৈদেশিক সাহায্যের পরিবর্তে প্রত্যক্ষ প্রকল্প ঋণ বা প্রত্যক্ষ প্রকল্প অনুদান শব্দটি ব্যবহার করবেন।
তিনি জানান, এনইসি এডিপিতে জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের অধীনে করা বিনিয়োগ প্রতিফলনের একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পিছিয়ে থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে এডিপি বাস্তবায়নে সক্ষমতা বাড়াতে সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা চালাতে বলেছেন।
তিনি আরো বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো মন্ত্রণালয়গুলো আরো প্রকল্প নিয়ে আসতে পারে। সূত্র : বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দর শুধু বাংলাদেশের নয়, আশপাশের দেশগুলোর অর্থনীতির জন্যও হৃৎপিণ্ডস্বরূপ। এই বন্দর ব্যবহারের সুযোগ পেলে নেপাল, ভুটান এমনকি ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যও (সেভেন সিস্টার্স) লাভবান হবে। আজ ১৪ মে বুধবার সকালে চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৫ নম্বর ইয়ার্ড পরিদর্শনের সময় বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, এই বন্দর কেবল বাংলাদেশের হৃৎপিণ্ড নয়, বরং তা হয়ে উঠতে পারে এই অঞ্চলের দেশগুলোর জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল। তাই নেপাল, ভুটান কিংবা সেভেন সিস্টার্স— সবার জন্য এটি একটাই হৃৎপিণ্ড। নেপালের তো সমুদ্রবন্দর নেই, আমাদের এই হৃৎপিণ্ডের মাধ্যমে তাদের চলতে হবে। আমরা সেই সংযোগ তৈরি করতে চাই। হৃৎপিণ্ডে যুক্ত হলে শুধু তারা নয়, আমরাও উপকৃত হবো। এটি কোনো দয়াদাক্ষিণ্য নয়, পারস্পরিক লাভের বিষয়। যারা এই সংযোগ থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন রাখবে, তারাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা চাই সবাই মিলে এই বন্দর থেকে শক্তি গ্রহণ করুক, যেনো অর্থনীতির গতি বাড়ে।
বন্দরের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘সবকিছু পাল্টে গেলেও বন্দরের পরিবর্তন কেন এত ধীরগতি? এটা নতুন প্রশ্ন নয়। চট্টগ্রামবাসী হিসেবে অনেকবার এই ভোগান্তি দেখেছি। রাস্তায় যানজট, ট্রাক ঠাসা, মাল খালাসে বিলম্ব, ট্রেন মিস— এসব সমস্যা পুরনো। এসব ভেবে আগেও লেখালেখি করেছি, এবার দায়িত্বে এসে শুরু থেকেই নজর দিচ্ছি, কীভাবে বন্দরের কার্যকারিতা বাড়ানো যায়।’
বাংলাদেশের অর্থনীতির কাঠামোগত পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরই হলো আমাদের ভরসার জায়গা। এটিকে উপেক্ষা করে দেশের অর্থনীতির নতুন অধ্যায়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এ পথ খুলে দিলে অর্থনীতির পথও খুলে যাবে। না খুললে যত চেষ্টা করি, উন্নতির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, অভিবাসনের সঙ্গে সঙ্গে দিন দিন ঢাকায় ভূমিকম্পসহ অন্যান্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি বাড়ছে।
আজ ১ জুন শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত ‘ইন্টারন্যাশনাল সেমিনার অন আর্থকোয়েক রেজিলিয়েন্স’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন তিনি।
মন্ত্রী মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ভূমিকম্প সহনীয় স্থাপনা নির্মাণ এবং ভূমিকম্প সহনশীল নগরায়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সরকার এবং জনগণ সবাইকে একসঙ্গে একযোগে কাজ করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব নয়। ভূমিকম্প সহনীয় নগরায়নে সমাজের প্রত্যেক স্তরের অংশীজনকে সম্পৃক্ত হতে হবে এবং এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
দ্রুত নগরায়ন, নির্মাণ নিয়ন্ত্রণের অভাব এবং নৈতিকতার অভাবের কারণে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের সব জেলা শহর ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও আইনের সঠিক প্রয়োগের অভাবে শহরের উন্মুক্ত স্থানসমূহ বেদখল হয়ে যাচ্ছে। ঢাকার দ্রুত বৃদ্ধি এবং অভিবাসনের ফলে ভূমিকম্প এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক বিপদের ঝুঁকি ক্রমাগত বাড়ছে বলে জানান তিনি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ভূমিকম্পের ঝুঁকি হ্রাসের জন্য বিল্ডিং কোডের প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন, তৃতীয় কোনো পক্ষের মাধ্যমে অবকাঠামোগত নকশা পরীক্ষা ও পরিদর্শন এবং গুণগত ও নিরাপদ নির্মাণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য সরকার, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসমূহ সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে একযোগে কাজ করতে হবে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সবাই মিলে একটি উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান। তিনি তার বক্তব্যে সেমিনার থেকে প্রাপ্ত পরামর্শ ও দিকনির্দেশনাসমূহ ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সব জেলা ও উপজেলা শহরে প্রয়োগের জন্য গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান।
রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সিদ্দিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবিরুল ইসলাম।
এ ছাড়া গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শামীম আখতার, স্থাপত্য অধিদফতরের প্রধান স্থপতি মীর মঞ্জুরুর রহমান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, বাংলাদেশ পুলিশ, বিশ্বব্যাংক, ইউএসএআইডি, জাইকা, এডিবি, আইইবি, বিআইপি, আইডিইবির প্রতিনিধিসহ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ভূমিকম্প বিশেষজ্ঞরা সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশের সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) বদলি করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ইসির উপসচিব মো. মিজানুর রহমান এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠিয়েছেন।
ইসি জানায়, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (ওসি) পর্যায়ক্রমে বদলি করার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত দিয়েছে। এ লক্ষ্যে প্রথম পর্যায়ে যেসব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বর্তমান কর্মস্থলে ৬ মাসের অধিক চাকরিকাল সম্পন্ন হয়েছে তাদের অন্য জেলায় বা অন্যত্র বদলির প্রস্তাব আগামী ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে প্রেরণ করা প্রয়োজন। এ অবস্থায় উল্লিখিত সিদ্ধান্ত অনুসারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্দেশিত হয়ে বিনীত অনুরোধ করা হলো।
প্রসঙ্গত, দেশের ৬৪ জেলায় ৬০০টির বেশি থানা আছে। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ইসি এসব থানার ওসিদের বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে।