অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা বার বার তাদের বক্তব্যের মাধ্যমে প্রমাণ করেছেন, জনগণের মধ্যে বিএনপির কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে জনগণের প্রতি যে দায়িত্ববোধ ও সংবেদনশীলতা দেখানো প্রয়োজন বিএনপি তা বিগত দিনে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। সে কারণে তাদের রাজনৈতিক শক্তির সাংগঠনিক ভিত্তি জনগণের মধ্যে প্রোথিত নেই।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের বক্তব্যকে হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মনগড়া আখ্যা দিয়ে এসব বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
বিএনপি কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সংকট সৃষ্টি করতে পারে বলে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জিয়াউর রহমানের আমলেই রোহিঙ্গা সংকটের শুরু। বিএনপি যতবার ক্ষমতায় এসেছে এই সংকট আরও ঘনীভূত হয়েছে। বিএনপি কোনো সমস্যার সমাধান করতে না পারলেও সংকট সৃষ্টি করতে পারে।
তিনি বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে যে রূপরেখা উপস্থাপন করা হয়েছে তা অত্যন্ত হাস্যকর। এটা রোহিঙ্গা সংকটকে আরও ঘনীভূত করার গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছাড়া আর কিছু নয়। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে পার্বত্য-অঞ্চলে অশান্তির সূচনা হয়। সেই অশান্ত পাহাড়ে শান্তির পতাকা উড়িয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। এখানে বাংলাদেশ কোনো পক্ষ নয়, পক্ষ হলো দুটি। একটি মিয়ানমার সরকার, অন্যটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। এই দুপক্ষের বিবাদমান সমস্যার বিরূপ প্রভাবের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, এই সংকট সমাধানে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গা পুনর্বাসন ও প্রত্যাবাসনে শেখ হাসিনার গৃহীত উদ্যোগ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রশংসিত হয়েছে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আজ বিশ্বদরবারে একটি আত্মমর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমনে বাংলাদেশের সাফল্য সর্বক্ষেত্রে অনুকরণীয় উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের ধারাবাহিক অগ্রগতি এবং কূটনৈতিক সাফল্যের কারণে কৌশলগত ভূ-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ আজ গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব আরও সুসংহত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে আমাদের এই সাফল্যের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকবে। কোনো প্রকার দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের এই অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।
তিনি বলেন, জনগণের ওপর আস্থা না রেখে যে কোনো উপায়ে ক্ষমতার মসনদে বসার জন্য তারা বরাবরই বিদেশি প্রভুদের দ্বারস্থ হয়েছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বক্তব্যে তাদের তথাকথিত আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহের নিকট করুণা ভিক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের রাজনৈতিক দেউলিয়াত্বের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। একটি রাজনৈতিক দল কতটুকু দেউলিয়া ও নির্লজ্জ হলে এই ধরনের অবিবেচনা প্রসূত আবেদন জানাতে পারে!
চলারপথে রিপোর্ট :
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আয়োজনে প্রতিন্দ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সহনশীলতা ও সহযোগিতাকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এফসিডিওর অর্থায়নে প্রকল্পের আওতায় আজ ১ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকালে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে প্রধান রাজনৈতিক দল সহ বিভিন্ন যুব সংগঠন এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রী, সুশীল সমাজ ও সাংবাদিক প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সভাপতি গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকনের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান।
মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আবুল বাশার। বক্তব্য রাখেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম সহ-সভাপতি আবু কাউসার খান, মো. মনির হোসেন, শামীমা বাছির স্মৃতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, তরী বাংলাদেশ আহবায়ক শামীম আহমেদ, মহিলা পরিষদ নেত্রী নেলী আক্তার, পৌর কলেজ সহকারি অধ্যাপক মোশারফ হোসেন ভূঞা, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল। সঞ্চালনা করেন মাল্টিপার্ট অ্যাডভোকেসি ফোরাম যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মিনহাজ মামুন ও সদস্য আফরিন ফাতিহা জুঁই।
ডেমোক্রেসি ইন্টারন্যাশনালের এসপিএল প্রকল্পের উদ্যোগে গড়ে উঠা মাল্টিপার্টি অ্যাডভোকেসি ফোরাম (ম্যাপ) সমাজের নানা সমস্যা নিয়ে একসাথে কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম বা মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। জেলা পর্যায়ে ইতিবাচক রাজনৈতিক চর্চাকে ধরে রাখতে ম্যাপ তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা সুসংহত করেছে। বিভিন্ন প্রতিদ্বন্দ্বি দল থেকে আসা ম্যাপ এর সদস্যরা বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধান, রাজনীতিতে নারী ও যুবদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি ও রাজনৈতিক সম্প্রতিকে উৎসাহিত করতে ম্যাপ-এর মাধ্যমে যৌথভাবে কাজ করছে। এসব উদ্যোগে তারা সমাজের সদস্যদেরকেও সম্পৃক্ত করছে।
এবছর অর্থাৎ ২০২৩ সনে ইউএসইআইডি’র সহযোগিতায় পরিচালিত এসপিএল প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জেলায় রাজনৈতিক সম্প্রীতির লক্ষ্যে গঅঋ সমাজ পর্যায়ে অ্যাডভোকেসি করছে।
অনলাইন ডেস্ক :
জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এই প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ১৮ (১) ধারা অনুযায়ী জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির ও তাদের অন্যান্য অঙ্গ-সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এর আগে নিষিদ্ধ করার বিষয়ে আইনি মতামত দিয়ে ফাইল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় পাঠায় আইন মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক প্রদত্ত কয়েকটি মামলার রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী (পূর্বনাম জামায়াত-ই- ইসলামী/জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ) এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির (পূর্বনাম ইসলামী ছাত্রসংঘ)-কে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধকালে সংঘটিত গণহত্যা, যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে দায়ী হিসেবে গণ্য করা হইয়াছে; এবং যেহেতু, বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশন নং-৬৩০/২০০৯-এ ১ আগস্ট ২০১৩ তারিখের প্রদত্ত রায়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এর রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রদত্ত/প্রাপ্ত নিবন্ধন বাতিল করিয়া দিয়াছে এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগের ওই রায়কে বহাল রাখিয়াছে; এবং যেহেতু, সরকারের নিকট যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রহিয়াছে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং তার অঙ্গ সংগঠন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সাম্প্রতিককালে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞ, ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে সরাসরি এবং উসকানির মাধ্যমে জড়িত ছিল।
প্রজ্ঞাপনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, যেহেতু সরকার বিশ্বাস করে যে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ উহার সব অঙ্গ সংগঠন সন্ত্রাসী কার্যকলাপের সহিত জড়িত রহিয়াছে সেহেতু, সরকার, সন্ত্রাস বিরোধী আইন, ২০০৯ এর ধারা ১৮(১) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে রাজনৈতিক দল ও সংগঠন হিসাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করিল এবং উক্ত আইনের তফসিল-২ এ বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরসহ তার সব অঙ্গ সংগঠনকে নিষিদ্ধ সত্ত্বা হিসেবে তালিকাভুক্ত করিল। ইহা অবিলম্বে কার্যকর হইবে। এর আগে, সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জামায়াতে ইসলামী, ছাত্রশিবির এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের যেসব কর্মী ১৯৭১ সালের পর জন্ম নিয়েছেন তাদের গণহারে বিচার করা হবে না।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ও নবগঠিত জেলা বিএনপির সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহাবুব শ্যামল বলেছেন, সামনে কঠিন পরীক্ষা। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একেক সময় একেক কথা বলছেন। তারা বিভিন্ন সংস্কারের কথা বলছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত সংস্কারের কথা বলছেন তা তারেক রহমানের ৩১ দফা কর্মসূচিতে রয়েছে। তারপরেও যদি কোন সংস্কার করেনসটি হল সঠিক নির্বাচনের সংস্কার। সেই সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। জনগণ যাকে ইচ্ছে তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। আগামী দিনে এই নির্বাচিত সরকার সকল সংস্কার করবে। এই শাহবাগের সংস্কার বাদ দিয়ে আগারগাঁওয়ে আমাদের সংসদ আছে সেই সংসদের মাধ্যমে সকল সংস্কার করুন। তিনি দলীয় নেতা কর্মীদেরকে উদ্দেশ্যে বলেন, আগামী নির্বাচনে আগ মুহূর্তে পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে কাটাতে হবে। আজ ১৫ মে বৃহষ্পতিবার বিকেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়ে আয়োজিত আনন্দ মিছিল শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের টেংকেরপাড়ে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা বিএনপি কর্মীরা এমন কাজ করবো না যাতে করে আমরা সাধারণ জনগণের কাছ থেকে দূরে সরে যাই। এই আওয়ামীলীগ তিনটি নির্বাচন ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনে জনগণ ছাড়াই ভোটার বিহীন নির্বাচন মাধ্যমে তারা সম্পূর্ণভাবে জনগণকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। যার ফলশ্রুতিতে জুলাই আগস্ট এর আন্দোলন। এই আন্দোলনে দলীয় নেতাকর্মীরা তাদের সাথে থাকে নাই। এই আন্দোলন মাধ্যমে আওয়ামী লীগের বিদায় হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে রাজনীতিবিদদের জন্য একটি শিক্ষা হয়েছে। ভবিষ্যতে যারা এই জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে, জনগণ বিরোধী যারা কাজ করবে, তাদের পরিণতি এরকমই হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি জহিরুল হক খোকন, এডভোকেট শফিকুল ইসলাম, এডভোকেট গোলাম সারোয়ার খোকন, এডভোকেট আনিছুর রহমান মঞ্জু, এবিএম মোমিনুল হক, জসিম উদ্দিন রিপন, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আলী আজম, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান শাহিন, সাবেক আহবায়ক এডভোকেট আব্দুল মান্নান, বিএনপি নেতা কবীর আহমেদ প্রমুখ।
এর আগে পূর্ব ঘোষিত আনন্দ মিছিলে অংশ নিতে বিকেল ৩টা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ মাঠে জেলার নয় উপজেলা থেকে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীরা বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রঙবরঙের বিভিন্ন ছবি সম্বলিত ব্যানার, ফেস্টুন বাদ্য বাজনা বাজিয়ে উপস্থিত হয়। বিকেল ৪টায় হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে আনন্দ র্যালি বের হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহরের টেংকের পাড় পৌছে।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটকে বাস্তবতা বিবর্জিত আখ্যা দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এই বাজেট মানুষের মধ্যে কোনো স্বস্তি আনতে পারে নাই। এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর লাগবে।
কারো আয় করমুক্ত সীমার নিচে রয়েছে, অথচ সরকারি সেবাগ্রহণের ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন দাখিল বা টিআইএনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে, এমন সেবাগ্রহীতাদের ন্যূনতম কর দুই হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে বাজেটে।
এই প্রস্তাবের সমালোচনা করে মির্জা ফখরুল বলেন, এখন ভিক্ষা করতে গেলেও টিন নম্বর দিতে হবে। বাজারে গেলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে। এদেরকে (সরকার) বিদায় করতে হবে। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না।
আজ ২ জুন শুক্রবার বিকেলে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় দেশের একটি জাতীয় পত্রিকার কার্টুন দেখিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একজন ভিক্ষুক, তার দুই পা কাটা, তিনি একটা থালা নিয়ে ভিক্ষা করছেন, আর বুকের মধ্যে একটা বোর্ডে লাগিয়েছেন তার টিন নম্বর। অর্থাৎ যারা আয়কর বহির্ভূত তাদেরও দুই হাজার টাকা কর দিতে হবে। তাদের টিন নম্বর দিতে হবে। এখন ভিক্ষা করতে হলেও টিন নম্বর লাগবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, এইভাবে সাধারণ মানুষকে নিঃস্ব করে পকেট কেটে উন্নয়নের নামে মেগা প্রজেক্ট করছে। আর সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে হাহাকার করছে। এই পরিস্থিতিতে এটা একটা বাস্তবতা বিবর্জিত বাজেট। এই সরকারকে আর ক্ষমতায় রাখা যায় না।
বাজেটকে গোঁজামিলের বাজেট উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রী (অর্থমন্ত্রী) বলছেন চমৎকার বাজেট। সরকার বলছে সুন্দর বাজেট। কিন্তু তাদের নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া বলছে, এই বাজেট মানুষের মধ্যে স্বস্তি আনতে পারে নাই।
অর্থনৈতিক সংকটে যে বাজেট হওয়া দরকার ছিল সেই বাজেট দিতে সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে বলে দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, কীভাবে টাকা আসবে, কোথা থেকে আসবে তার সুস্পষ্ট কিছু বলা হয়নি বাজেটে। এটা ওদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য। এরা সব সময় মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে জনগণকে বিভ্রান্ত করে টিকে থাকতে চায়। আজও তারা এই কাজ করেছে।
সরকারের উদ্দেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা দেন। নইলে জনগণ কীভাবে পদত্যাগ করাতে হয় তা ভালোভাবে জানে।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি নেতারা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে হীন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বক্তব্য প্রদান করেছেন।
আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিএনপি নেতাদের নির্লজ্জ মিথ্যাচারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতেই এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা নিয়ে বক্তব্যে বিএনপির ধারাবাহিক ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের অপতৎপরতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। নির্বাচন নির্দিষ্ট কোনো দলের জন্য অনুষ্ঠিত হয় না বা কোনো দলের জন্য থেমে থাকে না। সাংবিধানিক বিধান অনুযায়ী জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য যথাসময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ভুল রাজনীতির কারণে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়া বিএনপি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতেই নির্বাচন প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লাগাতার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। জনগণের মুখোমুখি হতে ভয় পেয়ে বিএনপি ষড়যন্ত্র ও চক্রান্তের পথে রাজনীতি করছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ইতিহাসের নিষ্ঠুর সামরিক স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বিদেশি এজেন্টদের সমন্বয়ে গঠিত বিএনপি কোনো দিনই গণতন্ত্রকে ধারণ করেনি। তারা হ্যাঁ/না ভোট ও ভোটারবিহীন প্রহসনমূলক নির্বাচন আয়োজন, রউফ, সাদেক ও আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন গঠন, ১ কোটি ২৩ লক্ষ ভুয়া ভোটার সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের পথে হেঁটেছে বারবার।
তিনি বলেন, জনবিচ্ছিন্ন বিএনপি তাদের ভুয়া ভোটার ব্যাংক নষ্ট হওয়ায় এবং পেছনের দরজা দিয়ে ক্ষমতা দখলের সুযোগ না থাকায় নির্বাচনে অংশগ্রহণে ভয় পায়। বিএনপি গণতন্ত্র, নির্বাচন ও জাতীয় অগ্রগতিকে ধারণ করে না, উল্টো গণতান্ত্রিক অভিযাত্রাকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে যাদের হাত ধরে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্ট হয়েছে; হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের রাজনীতি সূচনা হয়েছে আজ তারা গণতন্ত্রের কথা বলে! হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, লুটপাট ও দুঃশাসনের গডফাদার এবং সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের পৃষ্ঠপোষকদের মুখে গণতন্ত্রের কথা মানায় না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপির রাজনৈতিক দর্শনে জনগণের ভাগ্যোন্নয়নের কোনো প্রত্যয় নেই। তারা যখনই ক্ষমতায় এসেছে দেশের মানুষকে শোষণ করেছে; গণবিরোধী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দুর্নীতি ও লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করেছে। বহিরাবরণে লুটপাটতন্ত্রের নীতি ও অন্তরে অগণতান্ত্রিক মানসিকতা ধারণ করে বিএনপি সবসময় শাসন করেছে। তাই দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তাদের চোখে পড়ে না। এ পর্যন্ত দেশের মানুষের স্বপ্নের যেসব মেগাপ্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে, সেসব প্রকল্প নিয়ে তারা নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, এদেশের মানুষের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিএনপির গাত্রদাহ থেকেই প্রমাণিত হয় তাদের রাজনীতি কেবল ক্ষমতা দখলের; জনকল্যাণের জন্য নয়। আমরা বিএনপি নেতাদেরকে আহ্বান জানাই, তাদের রাজনৈতিক দর্শনের চশমার লেন্স পরিবর্তনের জন্য। তাহলেই তারা দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির অভিযাত্রা দেখতে সক্ষম হবেন।
কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সর্বদা গণতান্ত্রিক নীতি, আদর্শ ও মূল্যবোধকে ধারণ করে রাজনীতি করে আসছে। আওয়ামী লীগের প্রাণপুরুষ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ গণতান্ত্রিক আন্দোলন, স্বাধিকার ও স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দীর্ঘ স্বৈরশাসনের নাগপাশ থেকে মুক্তি পেয়েছে বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেৃতত্বেই বাঙালির ভাত ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত ও সুসংহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ এদেশের গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির মজবুত ভীত রচনায় বদ্ধপরিকর।