অনলাইন ডেস্ক :
আনসার ব্যাটালিয়ন আইন-২০২৩ অনুযায়ী, বিদ্রোহ বা বিশৃঙ্খলা করলে মৃত্যুদণ্ড ও যাবজ্জীবনসহ বিভিন্ন ধরনের শাস্তির বিধান রাখা হয়েছে। পাশাপাশি চাকরি থেকে বরখাস্ত করার বিধানও রাখা হয়েছে।
আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই আইনের খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ের মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে এই বৈঠক হয়। পরে বিকালে সচিবালয়ে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বিশৃঙ্খলা ও বিদ্রোহ করলে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে এই আইনে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের বিধানও রাখা হয়েছে। এই আইনে যে অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে, একই অপরাধের জন্য পুরোনো আইনে কোনও শাস্তির বিধান ছিল না।
তিনি আরো জানান, আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য দুটি আদালত গঠন করা হবে। একটির প্রধান হবেন ডিজি। অপরটির প্রধান হবেন একজন অতিরিক্ত ডিজি।
অনলাইন ডেস্ক :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, গত ৫৪ বছর ধরে নদীকে যেভাবে দখল করে, পরিবেশগত প্রভাব নিরূপণ না করে, অবকাঠামো দিয়ে এবং এক ধরনের জেদ করে যে- আমি যা বলেছি সেটাই সঠিক আর কারো কথা সঠিক নয়, এগুলো করে নদীর যেই ক্ষতিটা আমরা করেছি তা এক দেড় বছরে সরকারের পক্ষে পুরো সমাধান করা সম্ভব না।
আজ ১৯ মে সোমবার দুপুরে ২ টারদিকে নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার আটঘরিয়া এলাকায় বড়াল-১ ভেল্ট রেগুলেটর ও বড়াল নদী পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, তবে সমস্যার সমাধানে রুপরেখা করে যাওয়া সম্ভব। যা ইতিমধ্যেই আমরা শুরু করেছি। যার অংশ হিসাবে প্রতিটা বিভাগে আমরা একটি করে নদী নিয়েছি। আসলে প্রতিটি জেলায় একটি করে নদী দখলমুক্ত দূষণমুক্ত করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেগুলোর কাজ করে যাওয়ার সময় আমরা পাব না। ফলে প্রতিটি বিভাগে একটি করে নদী, কক্সবাজারে ১ টি ও ঢাকায় আলাদা ৪টি নদীর পরিকল্পনা করে বাজেট এনে কাজ শুরু করে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এসময় উপস্থিত ছিলেন, প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ সচিব মোবাশশেরুল ইসলাম, নাটোরের জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন, পুলিশ সুপার আমজাদ হোসাইন, বড়াইগ্রাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) লায়লা জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
১০০ টাকা মূল্যমানের প্রাইজবন্ডের ১১৬তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ছয় লাখ টাকার প্রথম পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর ০৯৩৪০৭৭। আর তিন লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কার বিজয়ী সিরিজের নম্বর ০৬২৯২২০।
বুধবার (৩১ জুলাই) ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ড্র হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার বিভাগ ঢাকার পরিচালক শিবির বিচিত্র বড়ুয়া।
একক সাধারণ পদ্ধতি তথা প্রত্যেক সিরিজের একই নম্বরে ড্র পরিচালিত হয়। এবার ৮০টি সিরিজের ৪৬টি সাধারণ সংখ্যার মোট ৩ হাজার ৬৮০টি নম্বর পুরস্কারের যোগ্য বিবেচিত হয়েছে।
বর্তমানে প্রচলনযোগ্য ১০০ টাকা মূল্যমানের ৮০টি সিরিজ যথা: কক, কখ, কগ, কঘ, কঙ, কচ, কছ, কজ, কঝ, কঞ, কট, কঠ, কড, কঢ, কথ, কদ, কন, কপ, কফ, কব, কম, কল, কশ, কষ, কস, কহ, খক, খখ, খগ, খঘ, খঙ, খচ, খছ, খজ, খঝ, খঞ, খট, খঠ, খড, খঢ, খথ, খদ, খন, খপ, খফ, খব, খম, খল, খশ, খষ, খস, খহ, গক, গখ, গগ, গঘ, গঙ, গচ, গছ, গজ, গঝ, গঞ, গট, গঠ, গড, গঢ, গথ, গদ, গন, গফ, গব, গম, গল, গশ, গষ, গপ, গস, গহ, ঘক এবং ঘখ এই ‘ড্র’-এর আওতাভুক্ত।
তৃতীয় পুরস্কারের এক লাখ টাকার দুটি বিজয়ী সিরিজ হলো ০০১২২২১ ও ০১৬৮০১৮। চতুর্থ পুরস্কার ৫০ হাজার টাকা বিজয়ী নম্বর দুটি হলো ০১০১৬৮৬ ও ০৮৬২২৫০। এছাড়া পঞ্চম পুরস্কার বিজয়ী প্রতিটি সিরিজের ৪০টি সংখ্যা ১০ হাজার টাকা করে পাবে।
৪০টি পঞ্চম পুরস্কারের নম্বর
০০২৯৪২৫, ০২২৬৩২০, ০৪৭৩৩৫০, ০৬৫৭৭৬৮, ০৮৫৫২৬৬, ০০৭৪৩১১, ০২৭০৩৭১, ০৫৪৮৩৮৯, ০৬৬৫১৭৯, ০৮৬৬৫৪৭, ০১১০১৯৬, ০৩৯৯৬২৮, ০৫৭৫২৯০, ০৬৯১৮২৫, ০৮৬৭৩০৩, ০১৪৪৩৩৬, ০৪১২৬৮৩, ০৫৭৬০৬৮, ০৭৪১৭১০, ০৮৯১৩১৮, ০১৫৪৯৪২, ০৪৩৬৪৪১, ০৬০৭০৮১, ০৭৭৬৩০৫, ০৯৩৬২৮১, ০১৮৪৬৯৭, ০৪৪৬৩২৯, ০৬৪০৪১৯, ০৮০৬৯৮৩, ০৯৭২১৫৫, ০১৮৫৯২১, ০৪৫৯১৬৭, ০৬৪৬৭০২, ০৮১৫৭৫৫, ০৯৭৫৫২২, ০২০৭১৭৩, ০৪৬৮৮৫৫, ০৬৫৫০৫৬, ০৮৩৫১৭২ ও ০৯৯৫৯০৭।
ড্রয়ের নির্ধারিত তারিখ থেকে ৬০ দিন আগে (বিক্রির তারিখ ধরে ও ড্রয়ের তারিখ বাদ দিয়ে) যেসব প্রাইজবন্ড বিক্রি হয়েছে, সেগুলো এ ড্রয়ের আওতাভুক্ত। আয়কর আইন ২০২৩ এর ১১৮ ধারার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রাইজবন্ডে পুরস্কারের অর্থ থেকে ২০ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করার বিধান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
রংপুরে দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলনমেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা’ রংপুর বিভাগের আটটি জেলার প্রতিযোগীদের নিয়ে বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৩ ডিসেম্বর রবিবার সকালে নগরীর সিও বাজার মাদরাসাতুল হুফফাজ, কেল্লাবন্দ আদর্শ বহুমুখী দাখিল মাদ্রাসা মাঠে কুরআনের নূরের এ বাছাই পর্ব অনুষ্ঠিত হয়। এই অনুষ্ঠান চলবে বাচাই পর্বের শেষ পর্যন্ত।
কুরআনের পাখিদের ভিড়ে মিলনমেলায় পরিণত হয় মাদরাসা মাঠের অনুষ্ঠানস্থল।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুদে হাফেজরা ছুটে আসে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুদে হাফেজরা ছুটে আসে রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, নীলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন বিষয়ক মেগারিয়ালিটি শো ও প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’-এর প্রথম বাছাই পর্ব আসর শুরু হয় সকালে। এবার এ প্রতিযোগিতা জাতীয় পর্যায়ের পাশাপাশি আন্তর্জাতিকভাবেও পরিচালিত হবে।
প্রতিযোগিতায় হাফেজ ও মাওলানাসহ প্রায় ৬০০ উপস্থিত হয়েছে। এর মধ্যে রেজিস্ট্রেশন করে প্রায় সাড়ে ৩০০ জন হাফেজ। তাদের মধ্য থেকে ১০ জনকে বাছাই করা হয়। এই ১০ জন প্রতিযোগী ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে চূড়ান্ত পর্বে অংশ নেবে।
জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ীরা অংশ নেবে আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায়।
দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের সহযোগিতায় এ আয়োজনে দেশসেরা অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী পবিত্র কুরআনের হাফেজদের সম্মাননা ও পুরস্কার দেওয়া হবে। জাতীয় পর্যায়ে পুরো দেশের অনূর্ধ্ব-১৬ বছর বয়সী ৩০ পারা কুরআনের হাফেজরা অংশ নিতে পারবে।
প্রতিটি জোন থেকে মূল্যায়িত সেরা হাফেজরা ইয়েস কার্ড প্রাপ্তির মাধ্যমে দ্বিতীয় রাউন্ডে অংশ নেবে। এরপর তাদের নিয়ে শুরু হবে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।
দেশবরেণ্য ইসলামিক স্কলার ও অভিজ্ঞ হাফেজদের সমন্বয়ে গঠিত বিচারকমণ্ডলী তাদের মধ্য থেকে আটজন হাফেজকে বিজয়ী হিসেবে নির্বাচিত করবেন।
এবারের কুরআনের নূর প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ের প্রথম বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে সাত লাখ টাকা ও সম্মাননা। তৃতীয় পুরস্কার পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা। চতুর্থ ও পঞ্চম পুরস্কার দুই লাখ টাকা করে এবং সম্মাননা। এ ছাড়া ষষ্ঠ থেকে অষ্টম স্থান অর্জনকারী বাকি তিনজন পাবে এক লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার ও সম্মাননা। এবারও জাতীয় পর্যায়ের আট বিজয়ী, তাদের পরিবার ও ওস্তাদকে ওমরাহ পালন করতে পারবে।
আন্তর্জাতিক হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৪-এর প্রথম বিজয়ী পাবে ১৫ লাখ টাকা ও সম্মাননা। দ্বিতীয় বিজয়ী পাবে ১০ লাখ টাকা ও সম্মাননা এবং তৃতীয় বিজয়ী পাবে পাঁচ লাখ টাকা ও সম্মাননা।
কুরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এ অনুষ্ঠানে প্রথম পর্যায়ে স্থানীয় বিচারক হিসেবে হাফেজ মাওলানা আতিকুর রহমান, হাফেজ মাওলানা ক্বারী ইউনুস, মাওলানা শাহজাহান আলী, হাফেজ মাওলানা আব্দুল হাকিম উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা গ্রুপের পক্ষ থেকে নিবেদন করা হচ্ছে ‘কুরআনের নূর’। এই আয়োজনের মাধ্যমে কুরআনের শ্রেষ্ঠ হাফেজদের সম্মাননা ও আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করবে বসুন্ধরা গ্রুপ। বরাবরই আন্তরিকতার সঙ্গে দেশের কুরআনে হাফেজদের পাশে থেকেছে বসুন্ধরা গ্রুপ।
এই অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্যায়ে বিচারক ছিলেন হাফেজ মাওলানা কারী নুরুদ্দিন আহমেদ, হাফেজ মাওলানা কারী মিজানুর রহমান, হাফেজ মাওলানা কারী শাহাদাত হোসাইন, হাফেজ মাওলানা ওয়াহিদুজ্জামান।
আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র পেস ইমাম বায়তুল মোকাররমের মুক্তি মিজানুর রহমান ও নাজমুল হুদা সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, বায়তুল মোকারম জাতীয় মসজিদ মসুল্লি কমিটি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মেঘনা নদীর রেল সেতুতে ধাক্কা লেগে পণ্য বোঝাই একটি বাল্কহেড তলিয়ে গেছে। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যাওয়ায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। আজ ১৪ জুন শনিবার ভোর পাঁচটার দিকে আশুগঞ্জ-ভৈরবের একটি সড়ক, দুটি রেলসেতুর দুটি পিলার ও একটি জাহাজের সাথে ধাক্কা বাল্কহেড নদীতে ডুবে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জেলার সরাইল উপজেলার অরুয়াইল থেকে সিলেকশন পাথরবাহী এম ভি রিফাত ইসলাম নামের একটি বাল্কহেড মেঘনা নদী দিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়।
অরুয়াইলের মো. সাইমন নামের এক ব্যক্তি বাল্কহেডটির মালিক। সড়ক ও রেলসেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাল্কহেডটির মাঝখান দিয়ে ভেঙে নদীতে তলিয়ে যায়। তবে বাল্কহেডে থাকা লোকজন নিরাপদ স্থানে চলে যেতে পারায় হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি।
আশুগঞ্জ নৌবন্দরের একাধিক শ্রমিক জানান, অরুয়াইল থেকে একটি বাল্কহেড আশুগঞ্জের মেঘনা নদীতে আসে। সকাল সাড়ে পাঁচটার দিকে বাল্কহেডটি প্রথমে সৈয়দ নজরুল ইসলাম সড়ক সেতুর ৩ নম্বর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এরপর মেঘনার নদীর পুরাতন রেলসেতুর দুই নম্বর পিলার এবং সর্বশেষ নতুন রেলসেতুর ২ নম্বর পিলারের সঙ্গে বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। নতুন রেলসেতুর পাশে আগে থেকে একটি জাহাজ ভিড়ানো ছিল। সেটির সঙ্গেও বাল্কহেডের ধাক্কা লাগে। এতে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীতে ডুবে যায়।
কিশোরগঞ্জের ভৈরব নৌ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক মো. রাশেদ স্থানীয়দের বরাত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, আশুগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী পণ্যবাহী একটি বাল্কহেড সড়ক ও রেলসেতুর পিলারে সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ভেঙে বা ফুটো হয়ে বাল্কহেডটি মেঘনা নদীর আশুগঞ্জ অংশে ডুবে যায়। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটেছে। কেউ ভালো করে বিষয়টি দেখেওনি। ধারণা করা হচ্ছে বাল্কহেডে সিলেকশন পাথর বা বালু ছিল এবং এটি ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। তবে এতে কেউ হতাহত হননি বা কেউ নিখোঁজ নেই। খবর পেয়ে ভৈরব নৌ পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধারে বিআইডব্লিউটিএ-এর সদস্যরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সেতুর পিলারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে একটি বাল্কহেড ডুবে গেছে বলে শুনেছেন বিআইডব্লিউটিএ-এর আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নৌবন্দরের পরিদর্শক মো. মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘ভোর পাঁচটার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে। এটি কার, কোথায় থেকে আসছিল এবং কোন দিকে যাচ্ছিল, কীভাবে এ ঘটনা ঘটেছে কিছুই জানতে পারিনি। আমাদের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এটি নৌপুলিশের আওতায় পড়েছে। বাল্কহেডের মালিক এটি উদ্ধারের বিষয়ে হয়তো সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন।’
অনলাইন ডেস্ক :
ভুল চিকিৎসায় ও চিকিৎসকের গাফিলতির কারণে রোগী মারা গেলে দায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থাসহ হাসপাতাল-ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
আজ ২৬ ফেব্রুয়ারি সোমবার টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে কুমুদিনী হাসপাতাল, কুমুদিনী উইমেন্স মেডিকেল কলেজ, কুমুদিনী নার্সিং কলেজ, ভারতেশ্বরী হোমসসহ কুমুদিনী কমপ্লেক্সের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ইউনিট পরিদর্শনে এসে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ যাতে ঘরে বসেই চিকিৎসার সেবা পায় এবং হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে কোনো প্রকার হয়রানির শিকার না হন সেই লক্ষ্য নিয়েই প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় কাজ শুরু হয়েছে।
এ সময় তিনি জানান, যেকোনো উপায়ে দেশের চিকিৎসাসেবার মান আমূল পরিবর্তন করা হবে।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গত পরশু দিন আমি দেখা করেছি। দেশের চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধিসহ ঘরে বসে মানুষ যেন চিকিৎসা সেবা পান সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন।
আমি একেবারে তৃণমূল গ্রাম থেকে উঠে এসেছি। চিকিৎসা সেবার কোথায় কোথায় সমস্যা রয়েছে আমি তা জানি। দেশের উপজেলা সরকারি হেলথ কমপ্লেক্স এবং জেলা সদরের হাসপাতালগুলোকে স্বাবলম্বী করতে হবে, বলেন ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেন, গ্রামের মানুষ যাতে শহরে চিকিৎসার জন্য এসে বিড়ম্বনার শিকার না হয় সে জন্য চিকিৎসকসহ আমদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। চিকিৎসাসেবার মান বৃদ্ধিসহ সরকারি সেবা ছড়িয়ে দিতে হবে।
এ সময় কুমুদিনী হাসপাতালের সেবার মান, পরিষ্কার-পরিচ্ছনতা, নিয়ম-কানুন, শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক চর্চার পরিবেশ দেখে প্রশংসা করেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।