চলারপথে রিপোর্ট :
বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি পালিত হয।
দিবসটি উপলক্ষে আজ ৬ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির আয়োজনে শহরে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়। সকালে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ি থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে র্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে পুনরায় কালিবাড়ীতে এসে শেষ হয়।
র্যালিতে অংশ গ্রহনকারী জেলা ব্রাহ্মণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী জানান, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ দুষ্টের দমন এবং শিষ্টের পালন করার জন্য তিনি যুগে যুগে অবতীর্ণ হয়েছিলেন। তারই অংশ হিসেবে বুধবার তার ৫ হাজার ২৪৯ তম জন্মতিথি পালন করছেন তারা। তিনি বলেন, মথুরার অত্যাচারী রাজা কংসকে ধ্বংস করে তিনি সেখানে ধর্ম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক অ্যাডভোকেট প্রণব দাস উত্তম বলেন, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উপলক্ষে র্যালি বের করা হয়। দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় প্রতি বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মদিন উৎসব মুখরভাবে পালন করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, জন্মাষ্টমীর র্যালি উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি উপলক্ষে শহরের আনন্দময়ী কালিবাড়িতে পূজার্চনা করা হয়।
স্টাফ রিপোর্টার :
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেছেন, সাংবাদিকরা হলেন দেশের বিবেক। সাংবাদিকদের লেখনীর মাধ্যমেই সমাজ, দেশ ও জাতি উপকৃত হয়। তিনি আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের কার্যকরী কমিটির নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে মতবিনিময়কালে এ কথা বলেন।
জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় তিনি আরো বলেন- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকতা অনেক সমৃদ্ধ। এখানকার সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ। যা অন্যান্য জেলায় নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকগণ সাংবাদিকতার পাশাপাশি সামাজিক বিভিন্ন কর্মকা-ের সাথেও জড়িত। তারা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করেন। তিনি সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকা-গুলো তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন- আমি সাংবাদিক ও প্রেস ক্লাবের উন্নয়নে সম্ভবপর সকল ধরণের সাহায্য-সহযোগিতা করব।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হেলেনা পারভীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর।
মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোঃ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচএম সিরাজ, সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী ও কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মীর মোঃ শাহীন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্প্রতি বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৯শত জন কৃষকের মাঝে শীতকালীন সবজি উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সে সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের তত্ত্বাবধানে কৃষকদের মাঝে এই সার ও বীজ বিতরণ করা হয়।
সার ও বীজ বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা, উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক তালুকদার ও সকল ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ।
সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রণোদনার কর্মসূচি আওতায় রবি ২০২৪-২৫ মৌসুমে সম্প্রতিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মাঝে শীতকালীন সবজির আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ৯০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার দেয়া হয়েছে।
কৃষকদের মাঝে ফুলকপি, বাঁধাকপি, টমেটো, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, মরিচ, ব্রোকলি, লাউয়ে বীজ ও ১০ কেজি ডিএপি সার, ১০ কেজি এমওপি সার এবং বিকাশের মাধ্যমে প্রত্যেক কৃষককে ১হাজার টাকা করে প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
স্বাধীনতার মহান স্থপতি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মৌড়াইল শাখার উদ্যোগে আজ ১৪ আগস্ট সোমবার সকালে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সকাল ১১টায় স্থানীয় ইউনাইটেড কলেজ প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও জেলা বিএমএর সাধারণ সম্পাদক ডাঃ আবু সাঈদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ এফ জামান, জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, ডাঃ মিজানুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খাঁন খোকনসহ বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, মোস্তাকের অনুসারীরা সব সময় ঘাপটি মেরে থাকে। ১৯৭১ সালেও এই মোস্তাক ছিলো কিন্তু সে সময় কেউ তাকে চিনতে পারেনি। সেই মোস্তাক ১৯৭৫ সালে তার প্রকৃত চরিত্রের বহিঃ প্রকাশ করেছিল।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দেশের প্রচলিত আইনেই বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছে। তারা জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতা দখল করেছিল। বাংলার জনগণ শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় বসিয়ে তার প্রতিশোধ নিয়েছে। তারা মানুষ হত্যা করেছে আর আমরা নিজেদের রক্ত দিয়ে মানুষকে বাঁচিয়ে রক্তের ঋণ শোধ করব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাহিত্য সংগঠন কবির কলম এর ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে গুণীজন সংবর্ধনা, কবিতা পাঠ ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
আজ ১৮ অক্টোবর শুক্রবার বিকেলে শহরের কাউতলীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এ আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি জাবেদ রহিম বিজন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ রাইটার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক, দেশ বরেণ্য কবি শাহ মোহাম্মদ সানাউল হক।
সংগঠনের উপদেষ্টা কবি এডভোকেট মো. হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কবি মানিক রতন শর্মা, রম্য লেখক পরিমল ভৌমিক, কবি রুদ্র মোহাম্মদ ইদ্রিস প্রমুখ।
এ বছর যারা কবির কলম গুণীজন সম্মাননা পেলেন তারা হলেন: কবি, কথা শিল্পী ও গীতিকার, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার সম্পাদক মো: ইব্রাহিম খান সাদাত, কবি ও গীতিকার শিক্ষক মো: আব্দুর রহিম, কবি গোলাম মোহাম্মদ মোস্তফা, কবি আজিজা সোপান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন আবদুল মতিন শিপন।
সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সভাপতি তিতাস হুমায়ুন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সোনালী ব্যাংক এবং কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিল কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
আজ ৭ এপ্রিল রবিবার দুপুরে এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে স্থানীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়।
এতে জেলার সোনালী ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, রুপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংকসহ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্সভূক্ত ৯টি সরকারী ব্যাংকের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি মোঃ শরিফুল হকের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাকিবুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক নূরে আলম, কৃষি ব্যাংকের ডিজিএম মোঃ ইউসুফ খান, ব্যাংক কর্মকর্তা মোঃ শহিবুর রহমান প্রমুখ।
বক্তারা বান্দরবান ও থানচিতে সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে সারাদেশে ব্যাংক ও ব্যাংকারদের উপর সন্ত্রাসী হামলায় শঙ্কা প্রকাশ করে নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। পরে একটি প্রতিবাদ মিছিল শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।