চলারপথে রিপোর্ট :
বাগেরহাটের রামপালে মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তামার তার চুরির মামলার দুই পলাতক আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রামপাল থানা পুলিশ মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আসামিদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করে।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন বাগেরহাট সদর উপজেলার খানপুর গ্রামের নিজাম ফকিরের ছেলে সোহাগ ফকির (৩০) ও রামপাল উপজেলার সিকিরডাঙ্গা গ্রামের আবু জাফর শেখের ছেলে রাসেল শেখ (২২)।
রামপাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আশরাফুল আলম জানান, রামপালে মৈত্রী তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের তামার তার চুরির মামলার দুই পলাতক আসামি বাড়িতে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে আসামিদের বাড়ি থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। বুধবার সকালে গ্রেফতারকৃতদের বাগেরহাট আদালতে পাঠালে বিচারক তাদের করাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতায় নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে জানানো হয়েছে। নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রস্তুত নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ ৯ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনের সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সার্বিক প্রস্তুতি এবং তপশিলের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানাতে বঙ্গভবনে যান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আগামী নির্বাচন নিয়ে তাঁরা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনা করেন।
বঙ্গভবন থেকে বেরিয়ে সিইসি বলেন, শীঘ্রই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে। আমরা রাষ্ট্রপতিকে আমাদের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে জানিয়েছি। উনি শুনেছেন, সন্তুষ্ট হয়েছেন। রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেছেন, আসন্ন নির্বাচন অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে। এ ব্যাপারে উনার সহযোগিতার প্রয়োজন হলে সে ব্যাপারে উনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরাও বলেছি, প্রয়োজনে আপনার সহযোগিতা আমরা কামনা করি। রাষ্ট্রপতি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, অবাধ নির্বাচনের স্বার্থে যেকোনো রকমের সহযোগিতা দিতে তিনি প্রস্তুত থাকবেন। গণতান্ত্রিক যে ধারাবাহিকতা, সাংবিধানিক যে ধারাবাহিকতা সেটা যেকোনো মূল্যে অব্যাহত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন।
সিইসি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি, সাংবিধানিকভাবে দায়িত্ব অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে, নির্ধারিত পদ্ধতিতে আমরা নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে বদ্ধপরিকর। আমরা সকল রাজনৈতিক দল, সরকার ও জনগণের সহযোগিতা কামনা করে যাচ্ছি। আমরা আশ্বস্ত করেছি, সকলের সহযোগিতায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক যে বাধ্যবাধকতা আছে তার আলোকে যথাসময়ে নিষ্কণ্টকভাবে সম্পন্ন করব।
তিনি বলেন, তফসিল ও নির্বাচনের সম্ভাব্য সময়সূচি আমরা রাষ্ট্রপতিকে জানিয়েছি। যেকোনো মূল্যে ২৯ জানুয়ারির আগেই নির্বাচন করতে হবে। আমরা এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আজকে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গেলাম। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সম্ভাব্য সময়সূচি নির্ধারণ করব। আমরা যেটা বলেছি, প্রথম সপ্তাহে বা দ্বিতীয় সপ্তাহে; এখনও সেই অবস্থানে আছি।
চলারপথে ডেস্ক :
২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার রুটিন প্রকাশিত হয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে এ পরীক্ষা শুরু হবে। চলবে ২৩ মে পর্যন্ত। আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকাশিত রুটিনে দেখা গেছে, প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ২০২৩ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। পরীক্ষা শুরুর দিন অর্থাৎ ৩০ এপ্রিল বাংলা ১ম পত্র, ২ মে বাংলা ২য় পত্র, ৩ মে ইংরেজি ১ম পত্র, ৭ মে ইংরেজি ২য় পত্র, ৯ মে গণিত, ১০ মে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ১১ মে ধর্ম শিক্ষার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এছাড়া ১৪ মে পদার্থ বিজ্ঞান, ১৫ মে গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, ১৬ মে রসায়ন, ১৭ মে ভূগোল ও পরিবেশ, ১৮ মে জীববিজ্ঞান, ২১ মে বিজ্ঞান, ২২ মে হিসাববিজ্ঞান ও ২৩ মে বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়ের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চলতি বছরের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা সব বিষয়েই নেওয়া হবে। প্রতি বিষয়ে স্বাভাবিক সময় বা তিন ঘণ্টা পরীক্ষা হবে। সৃজনশীল এবং নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন (এমসিকিউ) থাকবে আগের মতোই।
পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ছাড়া পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ স্কুলে হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
এর আগে গত প্রায় এক দশক ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি আর এইচএসসি এপ্রিল মাসে নেওয়া হচ্ছিল। করোনা পরিস্থিতিতে গত দুই বছর এই সূচি লন্ডভন্ড হয়ে যায়। পাশাপাশি সিলেবাসও কাটছাঁট করতে হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলা সদরের মাছ বাজারে কেনাবেচা নিষিদ্ধ রাক্ষুসে মাছ ‘পিরানহা’ বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে ১৫ কেজি পিরানহা মাছ জব্দ করা হয়েছে। আজ ২১ আগস্ট সোমবার সকাল ১০টায় সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুনিরা সুলতানা এ জরিমানা করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, সোমবার সকালে উপজেলা সদরের মাছ বাজারে নিষিদ্ধ রাক্ষুসে মাছ ‘পিরানহা’ বিক্রির সংবাদ শুনে মৎস্য বিভাগ অভিযান চালায়। এসময় দোকানে রাখা ১৫ কেজি মাছ জব্দ করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে নিষিদ্ধ পিরানহা মাছ বিক্রির দায়ে স্বপন চন্দ্র মন্ডল (৫৪) নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সেখানে উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সুজয় পাল উপস্থিত ছিলেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মুনিরা সুলতানা জরিমানা করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় সেপটিক ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে প্রাণ হারালেন ২ ছেলেসহ বাবা। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বহদ্দারকাটা গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- আনোয়ার হোসেন (৭০), তার ২ ছেলে শাহাদত হোসেন (৪৮) ও শহীদুল ইসলাম (২১)।
পুলিশ জানায়, সেফটি ট্যাংক পরিষ্কার করতে নেমে বিষক্রিয়ায় শাহাদাত ও শহীদুল ঘটনাস্থলে মারা যান। এসময় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন আনোয়ার হোসেন। তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত আড়াইটার দিকে তিনি মারা যান।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. ইউনুছ।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন চিকিৎসকরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও চিকিৎসকদের মারধরের ঘটনায় এ ঘোষণা দিয়েছেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের আবাসিক সার্জন আব্দুল আহাদ।
ঢাকা মেডিকেলের চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, শনিবার হাসপাতালের পরিচালকের অনুরোধে রাত ১১টায় কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাই। আমরা সকাল ৮টা পর্যন্ত ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিয়েছি। হাসপাতালে আমরা ছিলাম। কিন্তু আমরা কোনো নিরাপত্তা ফোর্স এখানে দেখি নাই। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের সামনে নিরাপত্তা ফোর্স থাকার কথা ছিল। কিন্তু আমরা দেখি নাই। তাই আমরা বাধ্য হয়ে নিরাপত্তার জন্য আজ থেকে সারা দেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছি।
হামলাকারীদের আটক ও শাস্তির পাশাপাশি সারা দেশে চিকিৎসক ও রোগীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ দুই দফা দাবি জানানো হয় চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। কিন্তু দাবি পূরণের আশ্বাস না মেলায় দুপুরে সারা দেশে সব চিকিৎসাকেন্দ্রে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করে ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
সারা দেশের সব হাসপাতালে চিকিৎসক ও রোগীর নিরাপত্তা নিশ্চিতে স্বতন্ত্র স্বাস্থ্য পুলিশ নিয়োগের দাবি জানান ডা. আব্দুল আহাদ বলেন। আজ ১ সেপ্টেম্বর রোববার দুপুর ২টায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ঢামেকের নিউরো সার্জারি বিভাগের ডা. আব্দুল আহাদ।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, শনিবার নিউরো সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চিকিৎসকরা দোষীদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তার ও কর্মস্থলে নিরাপদ নিশ্চিতের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থ হওয়ায় রোববার সারাদেশে কর্মবিরতিতে যাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে চিকিৎসকদের ওপর হামলার বিচার ও নিরাপত্তার দাবিতে রোববার সকালে ইন্টার্নি চিকিৎসক এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সব চিকিৎসক কর্মবিরতি শুরু করেন। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন, ঢামেকের নার্স ও কর্মচারীরা। নার্সদের পক্ষ থেকে জামাল উদ্দিন বাদশা বলেন, আমরা চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করছি। আমাদের দাবি, সকল কর্মস্থলে নার্সদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
কর্মবিরতির কারণে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা রোগীরা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে দেখা গেছে অনেক রোগীকে। সকাল থেকে দূর দূরান্ত থেকে আসা রোগীরা জরুরি বিভাগে দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে।
হামলার ঘটনায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন চিকিৎসক ও কর্মচারীরা। তবে তার আগেই রোববার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন তারা। সকালে চিকিৎসকরা হাসপাতালে এসে কাজ শুরু করলেও ধীরে ধীরে তারা হাসপাতাল ত্যাগ করেন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা কক্ষ বন্ধ করে দেন। এক পর্যায়ে জরুরি টিকিট কাউন্টারটিও বন্ধ হয়ে যায়। এতে ঢামেকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের ভিড় বাড়তে থাকে।
আব্দুল আহাদ বলেন, প্রথম ঘটনা আমাদের নিউরো সার্জারি বিভাগে। একজন আবাসিক ডাক্তার অপারেশন করার জন্য অপারেশন থিয়েটারে যায়। রোগীর লোক তাকে বের করে তার উপর ধস্তাধস্তি করে, ডাক্তারকে মারে। তাকে রক্ষা করার জন্য আমাদের আরেক ডাক্তার ওখানে যান, তখন তার ওপরও অতর্কিতে আক্রমণ করে। কলার ধরে তাকে ২০১ নম্বর অপারেশন থিয়েটারের সামনে থেকে পরিচালকের সামনে নিয়ে আসে।
তিনি বলেন, আমরা এ নিয়ে বৈঠকে বসেছিলাম, দুইটা সিদ্ধান্ত, আমাদের চিকিৎসকদের ওপর যারা আক্রমণ করেছে, অবিলম্বে তাদের গ্রেপ্তার করতে হবে এবং আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যারা ইমার্জেন্সি সার্ভিস দিই, আপনারা দেখেছেন, সেখানে কত লোক থাকে। ইমার্জেন্সি সার্ভিস দেওয়ার জন্য আমাদের যথেষ্ট আর্মি পুলিশ এবং অন্যান্য ফোর্স এখানে থাকবে। সশরীরে উইথ আর্মস সেখানে উপস্থিত থাকবে। কিন্তু ঢাকা মেডিকেল প্রশাসন এটা করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই চিকিৎসক বলেন, কালকে রাতে আরও দুটি ঘটনা ঘটে, একটা ঘটনা হচ্ছে, একটি গ্রুপ বাইরে আরেকটা গ্রুপকে আক্রমণ করেছিল। সেই গ্রুপ সেবা নেওয়ার জন্য হাসপাতালে এসেছিল। ঢাকা মেডিকেল কলেজের ইমার্জেন্সিতে এসেছিল চিকিৎসা সেবা নিতে, তাদের যে বিরোধী পক্ষ ছিল, তারা ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা নিশ্চিত করে চলে গেছে। তাই, আমরা দেখছি এখানে রোগীও নিরাপদ না। আপনারা কোথায় সেবা নিতে আসবেন। এখানে রোগীও নিরাপদ না।
তিনি বলেন, আরেকটা ঘটনা, ইমার্জেন্সি রুমে একজন কিডনি রোগী এসেছিল, অনেক ইমার্জেন্সি রোগী মারা যায়। মারা যাওয়ার পরে ডক্টর ও মেডিকেল অফিসারের উপর হামলা হয়। ইমার্জেন্সি কমপ্লেক্স ওসেক ভাঙচুর করা হয়। তাই আমরা দেখতে পাই এখানে ডক্টর রোগী কেউই নিরাপদ না।