চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১৩ কেজি গাঁজা এবং ৮৩০ কেজি ইয়াবা ট্যাবলেটসহ ৫ মাদক ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার বিকেলে উপজেলার বায়েক ও খাড়েরা ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সকিনা বেগম (৫০), একই উপজেলার খাড়েরা গ্রামের শিপন মিয়া (৩০) ও মাহবুবুর রহমান নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের জাহিদা বেগম (৩২) ও একই গ্রামের পারুল আক্তার (৩০)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিউদ্দিন জানান, বুধবার বিকেলে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের বায়েক গ্রামে অভিযান চালিয়ে ১৩ কেজি গাঁজাসহ ৩ নারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে খাড়েরা ইউনিয়নে পৃথক অভিযান চালিয়ে ৮৩০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ শিপন ও মাহবুবকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা রেলওয়ে স্টেশনে সিগন্যাল যন্ত্রে শর্ট সার্কিট হওয়ায় পাঁচদিন ধরে অচল হয়ে আছে সিগন্যাল ব্যবস্থা। গত ২০ ডিসেম্বর রাত থেকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানায় স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এতে করে প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন ঢুকতে না পারায় যাত্রীদের যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ঘটনায় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় যাত্রী সাধারণের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আগামী দু’দিনের মধ্যে সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে বলে জানান দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার।
স্টেশন সূত্রে জানা যায়, গত ২০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সিগন্যাল যন্ত্রের কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে যায় স্টেশনের দু’পাশে থাকা সকল সিগন্যাল বাতি। সিগন্যাল কাজ না করায় দুর্ঘটনার আশঙ্কা তৈরি হলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় সরাসরি লাইনে ট্রেন থামানোর ব্যবস্থা করে ট্রেন চলাচল কার্যক্রম চালু রাখা হয়। ট্রেনের প্ল্যাটফর্ম লাইনে ট্রেন আসতে না পারায় যাত্রীদের ওঠানামায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কসবা রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মো. শফিকুর রহমান জানান, সিগন্যাল লাইন হঠাৎ করে অকেজো হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়তে হয় আমাদের। তবে বিকল্প ব্যবস্থায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রেখেছি। ঘটনার পরপরই বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করলে টেকনিশিয়ান টিম এসে ত্রুটি খুঁজে বের করে। বর্তমানে মেরামত কাজ চলছে। আগামী দু’দিনের মধ্যেই সিগন্যাল ব্যবস্থা স্বাভাবিক হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় কৃষি জমির পত্তনের পাওনা ১ হাজার টাকা দিতে না পারায় মুসা মিয়া (৩৪) নামে এক কৃষককে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে জমির মালিকের ছেলে রুহুল আমিন। আজ ৩০ মার্চ শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার কুটি ইউনিয়নের দক্ষিনখার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মুসা মিয়া দক্ষিনখার গ্রামের মৃত জজু মিয়ার ছেলে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। ওই প্রান্তিক কৃষকের মৃত্যুতে পরিবারে চলছে শোকের মাতম। হত্যাকারী রুহুল আমিন একই গ্রামের মৃত তৌহিদ মিয়া পুত্র । ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত রুহুল আমিন।
স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘ বছর ধরে দরিদ্র পরিবারের সন্তান প্রান্তিক কৃষক মুসা মিয়া একই গ্রামের তৌহিদ মিয়ার জমি পত্তন নিয়ে চাষাবাদ করে আসছিলো। প্রতি বছরই জমি পত্তনের টাকা যথাসময়ে পরিশোধ করে আসছিলো। এ বছর পত্তনের তিন হাজার টাকার মধ্যে ২ হাজার টাকা কিছুদিন আগে পরিশোধ করেছিলো মুসা মিয়া। অবশিষ্ট পাওনা ছিলো ১ হাজার টাকা। ওই ১ হাজার টাকা শনিবার পরিশোধ করার কথা ছিলো।
সকালে ঘটনার সময় রুহুল আমিনদের কাছ থেকে পত্তন নেয়া জমিতেই কাজ করছিলো মুসা মিয়া। সকালে টাকা আনতে গিয়ে বাড়িতে না পেয়ে জমিতে যায় রুহুল আমিন। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে রুহুল আমিনের সাথে থাকা একটি ছুরি দিয়ে কৃষক মুসা মিয়াকে উপুর্যপরি ছুরিকাঘাত করে। এসময় মুসা মিয়ার আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা ও বাড়ির লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাজু আহমেদ জানান, জমির টাকা নিয়ে ছুরিকাঘাতে কৃষক নিহতের ঘটনায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছেন জেলা বিএনপি ও যুবদল। দুপুরে আখাউড়া উপজেলার বন্যাকবলিত এলাকা আখাউড়া স্থলবন্দর, কর্ণেল বাজার, ইটনা, আইরল, হাওড়া বেড়ি বাঁধ এবং বিকেলে কসবা উপজেলার প্রত্যন্ত বায়েক ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামের বানবাসি মানুষের মাঝে এসব খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকন, জেলা বিএনপি’র সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি এড. সফিকুল ইসলাম, এড. গোলাম সারওয়ার খোকন, এড. আনিসুল ইসলাম মঞ্জু, এ.বি.এম. মমিনুল হক, জেলা বিএনপি’র কোষাধ্যক্ষ জসিম উদ্দিন রিপন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক, আলী আজম, পৌর বিএনপির সভাপতি নজির উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপি আহবায়ক ভিপি জহিরুল ইসলাম লিটন, সদস্য সচিব আলমগীর হোসেন, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন মাহমুদ, শ্রমিক দলের সভাপতি হেফজুল বারী প্রমুখ।
জেলা বিএনপি ও যুবদলের ২ হাজার পরিবারের মাঝে চাল, তেল, ডাল, আটাসহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রীর ব্যাগ প্রদান করা হয়।
নেতৃবৃন্দ জানান, বিএনপি জনগণের দল। বিএনপি সব সময় জনগণের পাশে ছিল। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে আখাউড়া ও কসবায় বন্যা কবলিত মানুষের মাঝে উপহার সামগ্রী নিয়ে এসেছি।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমান (১৯) হত্যা মামলায় মো. রানা মিয়া (২২) নামে এক যুবককে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত। আজ ৬ মার্চ সোমবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ শারমিন নিগার এই রায় ঘোষণা করেন।
নিহত সাইদুর রহমান কসবা উপজেলার কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের হুমায়ূন কবিরের ছেলে। মৃত্যুদন্ড পাওয়া রানা মিয়া একই গ্রামের মো. দানু মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি রানা মিয়া আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক সাইদুর রহমানকে মোবাইল ফোনে বাড়ি থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ধারীরা যেতে বলেন। পরে সাইদুর রহমান তার মাকে জানায় সে পাশের গ্রামের একটি মাহফিলে যাচ্ছে। এরপর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে সাইদুরের মা ঘটনার দুইদিন পর ৩১ ডিসেম্বর কসবা থানায় একটি জিডি করেন।
পরে ২০২০ সালের ২ জানুয়ারি কাঞ্চনমুড়ি গ্রামের মারকাজুল কোরআন ক্যাডেট মাদ্রাসার পরিত্যক্ত একটি বাথরুমের সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে সাইদুরের গলাকাটা উদ্ধার করে পুলিশ।
৩ জানুয়ারি পুলিশ সাইদুরের মায়ের জিডিটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে। পরে পুলিশ ঘটনার অনুসন্ধান করে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে একই গ্রামের রানা মিয়াকে গ্রেফতার করে। রানা মিয়া হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
এই রায়ে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন মামলার বাদী ও নিহতের মা হনুফা বেগম। আদালত প্রাঙ্গণে তিনি বলেন, আমি আমার ছেলে হত্যার রায় পেয়েছি। আমি দ্রুত এই রায় বাস্তবায়ন দেখতে চাই।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দ্বীন ইসলাম জানান, এই রায়ের মধ্য দিয়ে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। হত্যা করে যে কেউ পার পায় না এটাই এর সর্বশেষ প্রমাণ।
অন্যদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী জহিরুল ইসলাম জানান, এই মামলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়নি। আমরা এই হত্যাকান্ডের ঘটনার পেছনে পরিকল্পনাকারী হিসেবে শারমিন বেগম নামে এক নারীকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করার কথা বলেছিলাম। কিন্তু তাকে মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। আসামি রানা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের নতুন মন্ত্রিসভায় আবারও আইন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (আখাউড়া-কসবা) আসনের সংসদ সদস্য আনিসুল হক।
আজ ১১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আনিসুল হক বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা, জাতীয় চারনেতা হত্যা মামলার প্রধান কৌশলী। এ ছাড়া, বিডিআর হত্যা মামলা, দুদকের মামলাসহ রাষ্ট্রীয় অনেক গুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করেছেন। ক্লিন ইমেজের মানুষ হিসেবে পরিচিত আনিসুল হক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
আনিসুল হকের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পানিয়ারুপ গ্রামে। তিনি সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী। আনিসুল হকের প্রয়াত পিতা সিরাজুল হক ওরফে বাচ্চু ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য ও বঙ্গবন্ধুর পরিবারের ঘনিষ্ঠজন। আনিসুল হকের বাবা-মা দু’জনই মুক্তিযোদ্ধা।