চলারপথে রিপোর্ট :
ময়মনসিংহের ভালুকায় দুটি কোচিং সেন্টারে অভিযান চালিয়ে অর্থদণ্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকালে পৌরসভার প্রতিশ্রুতি কোচিং সেন্টার ও প্রতিফলন কোচিং সেন্টার নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে দশ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার ওই অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সোমাইয়া আক্তার বলেন, এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কোচিং সেন্টারে পাঠদান করায় দণ্ডবিধি ১৮৬০ এ দুইটি কোচিং সেন্টার -কে দশ হাজার টাকা করে মোট বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়। পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোচিং সেন্টারগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান চলমান থাকবে।
চলারপথে ডেস্ক ;
কক্সবাজারের উখিয়ার ইরানী পাহাড় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সদস্যদের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর ২ টার দিকে উখিয়ার ১৮ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় আরসা সদস্যদের গুলিতে নূর হাবা (৫০) নামে এক পথচারী ও পুলিশের গুলিতে আরসার সদস্য মো. হাসিম (৩২) নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই পুলিশ সদস্য। এ ঘটনায় অস্ত্রসহ একজনকে আটক করা হয়েছে।
৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত আরসা সদস্য হাসিম চাঁদাবাজি ও মাদক পাচারসহ একাধিক মামলার আসামি। তিনি ১৮ নং ক্যাম্পের বশির আহমেদের ছেলে। পথচারী নূর হাবা স্থানীয় নুরুল ইসলামের স্ত্রী। আটক আরসা সদস্য মোহাম্মদ সাদেক (৩১) ১৮ নং ক্যাম্পের নুরুল হাকিমের ছেলে।
সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফারুক আহমেদ বলেন, দুপুরের দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অবস্থানের খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল ক্যাম্প ১৮ এর এল/১৭ ব্লকে মসজিদের পাশে পাহাড়ের পাদদেশে কয়েকটি ঘর ঘিরে ফেলে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আশপাশের গলি ও পাহাড় থেকে আরসার অস্ত্রধারী ২০-৩০ জন সন্ত্রাসী গুলি ছুড়লে পুলিশও আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি ছোড়ে। এ সময় আরসার গুলিতে এক পথচারী নিহত হন। ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির পর সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে আরসার শীর্ষ নেতা হাসিমের মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর আশপাশের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে এক আরসা সন্ত্রাসীকে আটক করা হয়।
৮ এপিবিএনের অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. আমির জাফর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জানান, এ ঘটনায় জড়িত অন্যদের ধরতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ক্যাম্পের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে স্কুল-কলেজের ছাত্রীসহ নারীদের অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ ও পরে তা নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগে মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ১৩ জানুয়ারি শনিবার সাতক্ষীরায় শহরের মুনজিতপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে দুটি স্মার্ট ফোন ও একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা জব্দ করা হয়।
আটক মারুফ হোসেন বাপ্পী (২৬) মুনজিতপুর গ্রামের আনোয়ারুল ইসলামের ছেলে।
সাতক্ষীরা সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম জানান, শহরের নারকেলতলা এলাকার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া একছাত্রীকে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তারের পর তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন তল্লাশি করে দেখা যায়, তার কাছে একাধিক নারীর অশ্লীল ছবি ও ভিডিও রয়েছে।
পুলিশ পরিদর্শক আরো বলেন, অল্প বয়সী মেয়েদের টার্গেট করতেন মারুফ। ঢাকার একটি বেসরকারি কলেজে বিবিএ অধ্যয়নরত হলেও নিজেকে ডাক্তার বলে পরিচয় দিয়ে কৌশলে মেয়েদের প্রেমের ফাঁদে ফেলতেন মারুফ। এক পর্যায়ে অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং সেই ভিডিও নিয়ে প্রতারণা করতেন।
তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে সদর থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেছেন। গ্রেফতার মারুফকে আদালতে পাঠানো হবে।
চলারপথে ডেস্ক :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, সাদা মনের আলোকিত গুণী ব্যক্তিত্ব ছিলেন কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত। জাতীয় জীবনে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।
আজ ১৯ মে শুক্রবার রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ বিচিত্রার সম্পাদক আলাউদ্দিন আল আজাদের সম্পাদনায় ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত’ স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় স্মারকগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন তিনি।
শিরীন শারমিন বলেন, অল্প সময়ে স্মারকগ্রন্থটি সম্পাদনা করা হয়েছে, যা প্রশংসনীয়। তরুণ প্রজন্মকে তাঁর সম্পর্কে জানতে ও অনুপ্রাণিত করতে সহায়তা করবে এই গ্রন্থ। ‘কিংবদন্তি আবুল মাল আবদুল মুহিত ট্রাস্ট’ও গঠন করা হয়েছে, যা উন্নত জাতি গঠনে ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, অর্থনীতিবিদ, রাজনীতিবিদ, আমলা, কূটনীতিবিদ, ভাই হিসেবে আবুল মাল আবদুল মুহিতের ব্যক্তিত্বের উপস্থাপনা গ্রন্থটির অনন্য বৈশিষ্ট্য। বয়স ছাপিয়ে উঠেছিল তাঁর কর্মোদ্দীপনা। বর্ণাঢ্য কর্মময় জীবনের অধিকারী এই কিংবদন্তি ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশের অর্থনীতিকে গতিশীল করার ক্ষেত্রে অনবদ্য ভূমিকা রেখে গেছেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে এবং এ কে এম নুরুল ফজল বুলবুলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, ইনাম আহমেদ চৌধুরী ও শাইখ সিরাজ। অনুষ্ঠানে প্রয়াত আবুল মাল আবদুল মুহিতের বোন জাতীয় অধ্যাপক ডা. শাহলা খাতুন এবং তাঁর বন্ধু, সুহৃদ, পেশাগত ও রাজনৈতিক সহকর্মীরা তাঁকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আগামীতে কেউ যেন পুলিশের ওপর আক্রমণ করতে না পারে সে ব্যাপারে অবিচল থাকতে হবে। কেউ যেন রাজনীতির নামে, সন্ত্রাসের নামে আইন নিজের হাতে তুলে নিতে না পারে, আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে না পারে। জাতীয় সম্পদের ক্ষতি করতে না পারে। পুলিশকে যখনই যেটার দরকার সেই ভূমিকা পালন করতে হবে।
আজ ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার আসার পর জনগণের ক্ষমতা জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়েছি। আমাদের শান্তি শৃঙ্খলা, জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়ন করা আমাদের লক্ষ্য। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাই। সেই লক্ষ্য নিয়ে আমরা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছি। প্রতিবার ইশতেহার বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করি। ২০০৯ সালের সরকার গঠনের পর থেকে আমরা সরকারে আছি, একটা স্থিতিশীল পরিবেশ, গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের বাংলাদেশ, বদলে যাওয়া বাংলাদেশ।
তিনি আরো বলেন, আমরা এখন স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেতে সক্ষম হয়েছি। ফিলিস্তিনে যে গণহত্যা চলছে, বাংলাদেশ তার তীব্র প্রতিবাদ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতা যত বাড়ছে আবার অপরাধও কিন্তু ভিন্ন ভিন্নভাবে হচ্ছে। নতুন নতুন মাত্রায় অপরাধ দেখা দিচ্ছে। সেগুলো যথাযথভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পুলিশ বাহিনী যেন প্রস্তুত থাকে। এ বিষয়ে আমরা যথেষ্ট যত্নবান এবং নজর দিচ্ছি। কারণ, অপরাধের সঙ্গে সঙ্গে সেটাকে মোকাবিলা করার পদ্ধতিটা যদি না চলে তাহলে কিন্তু যথাযথভাবে সেটা (মোকাবিলা) করা যায় না।
তিনি বলেন, যেকোনো কর্মস্থলে নারী, পুরুষ, শিশু যারাই থাকুক তাদের আপনজন বিবেচনা করে দায়িত্ব পালন করবেন, তাদের সেবা করবেন এটাই সবাই চায়।
পুলিশ জনগণের বন্ধু মন্তব্য করে সরকারপ্রধান বলেন, আমাদের পুলিশ বাহিনী এখন মানুষের বন্ধু হিসেবে কাজ করছে। আজকাল মানুষ আর আগের মতো ভয় না, এখন তারা আস্থা ফিরে পেয়েছে, পুলিশকে নিজের বন্ধু এবং আস্থার জায়গা হিসেবে সাধারণ মানুষ বিবেচনা করে। মানুষের এই বিশ্বাস এবং আস্থাটা অর্জন করতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই যে আগুন দেওয়া, পুলিশকে মারা, পুলিশকে আগুনের মধ্যে ফেলে দেওয়া, এই যে ঘটনাগুলো ঘটেছে, এ মামলাগুলো কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা, মামলাগুলো যথাযথভাবে চলে না। আমি মনে করি, যারা এ ধরনের অপরাধ করে তাদের মামলা এবং সাজাটা যদি দ্রুত হয়ে যায় তাহলে ভবিষ্যতে আর সাহস পাবে না।
দেশের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একটানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে আজকে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশকে কেউ আর ওই তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের চোখে দেখে না। বাংলাদেশ এখন বিশ্বে নিজের একটা স্থান করে নিতে পেরেছে। এখন সবাই বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে দেখে।
তিনি বলেন, এটাকে ধরে রেখে আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে। সেজন্য আমাদের যেকোনো কাজ বা প্রকল্প বাস্তবায়ন থেকে শুরু করে, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা থেকে শুরু করে যেকোনো অপরাধ মোকাবিলা এবং সাজা নিশ্চিতে যথাযথ দায?িত্ব পালন করা সবার কর্তব্য। কাজেই সেভাবে আপনারা সবাই কাজ করে যাবেন।
ফিলিস্তিনের ওপর ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ফিলিস্তিনের ওপর যে হামলা এবং গণহত্যা চলছে বাংলাদেশের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমি প্রতিটি জায়গায় এর প্রতিবাদ করেছি। এভাবে ফিলিস্তিনি শিশু নারীদের ওপর অকথ্য অত্যাচার এবং গণহত্যা, শুধু তাই না তাদের খাদ্য, চিকিৎসা, হাসপাতাল সবকিছুর ওপর আক্রমণ করে। এমনকি যেখানে ত্রাণ বিতরণ করা হয় সেখানেও আক্রমণ করা হচ্ছে। এর থেকে জঘন্য ও মানবতাবিরোধী কাজ আর হতে পারে না। এর প্রভাবটা সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে পড়ছে। আমাদের ওপরেও সেই ধাক্কাটা আসছে। যদিও আমাদের চেষ্টা হচ্ছে কীভাবে আমরা এটা মোকাবিলা করব।