চলারপথে রিপোর্ট :
‘পরিবর্তনশীল ও শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠনে সাক্ষরতার প্রসার’ এই প্রতিপাদ্য সামনে রেখে নাসিরনগরে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালিত হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর আয়োজনে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
র্যালি শেষে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফখরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান রাফি উদ্দিন আহমদ।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহাগ রানা, উপজেলা প্রকৌশলী রবিউল হুসাইন, শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
১৯৬৫ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা (ইউনেসকো) ৮ সেপ্টেম্বরকে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ১৯৬৬ সালে বিশ্বে প্রথমবারের মতো আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উদযাপন করা হয়। ব্যক্তি, গোষ্ঠী ও সমাজের মধ্যে শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা ও তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে প্রতিবছর এ দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। দিবসটি উদযাপনের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাক্ষরতা ও বয়স্ক শিক্ষার অবস্থা তুলে ধরা হয়।
দেশে বর্তমানে সাক্ষরতার হার ৭৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। গতবছর অর্থাৎ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে এ হার ছিল ৭৪ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সে হিসাবে এক বছরে দেশে সাক্ষরতার হার বেড়েছে ১ দশমিক ৪২ শতাংশ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করে মোটর সাইকেলে শোডাউন করায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী মোঃ ইসলাম উদ্দিন দুলালের (মোমবাতি প্রতীক) সমর্থক আবদুল বাছিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটার দিকে নির্বাহী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোনাববর হোসেন এই জরিমানা করেন।
জরিমানা পাওয়া আবদুল বাছির ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী ইসলাম উদ্দিনর দুলালের (মোমবাতি প্রতীক) সমর্থক।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা সদরে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থী অ্যাডভোকেট কাজী মোঃ ইসলাম উদ্দিন দুলালের পক্ষে কর্মী-সমর্থকেরা মোটর সাইকেল মিছিল বের করেন। বিকেল তিনটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের সামনের সড়ক দিয়ে মোটর সাইকেল মিছিল নিয়ে যান। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘণ করায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাববর হোসেন ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থীর সমর্থক আবদুল বাছিরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন বলেন, সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ৮ (ক) ধারা লঙ্ঘন করে মোটর সাইকেল সহযোগে মিছিল করায় বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের প্রার্থীর সমর্থক আবদুল বাছিরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করা হয়।
অভিযুক্ত ব্যক্তি তার এই আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে করবে না মর্মে লিখিত অঙ্গীকার করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ টহল কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু ভোটের আশ্বাস পেয়েই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ থেকে বহিষ্কার হওয়া আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান।
তিনি আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টায় নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের কাছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তাঁর মনোনয়নপত্র জমা দেন।
মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান বলেন, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতকে প্রাধান্য দিয়েই নির্বাচনে এসেছি। আমার বিষয়ে বিএনপি কী বলল- সেটা আমার মন্তব্য করার বিষয় না। আমি সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস পেয়েছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এর চেয়ে বেশি আশ্বাস আর প্রয়োজন নেই। এছাড়াও আমার উপর নির্বাচনী এলাকার জনগণের চাপ ছিল নির্বাচন করার।
সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান বলেন, সরকার একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক মহল থেকেও সরকারের উপর চাপ আছে সুষ্ঠু নির্বাচনের। তাই আমি জনগণের মতামত নিয়েই নির্বাচনে এসেছি।
বিজয়ী হলে বিএনপি যদি দলে ফেরাতে চায় তাহলে ফিরবেন কিনা- এ প্রশ্নের জবাবে একরামুজ্জামান বলেন, যদি আমি নির্বাচিত হই এবং তখন যদি কেউ আমাকে টানে তখন আমি দেখব কোথায় যাব, কী করব।
বিএনপির বিশ্বাসঘাতক বলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিএনপি তাদের জায়গা থেকে বলতেই পারে, আমি আমার ব্যক্তিগত মতামতে চিন্তা করে নির্বাচনে এসেছি। আমার ব্যাপারে বিএনপি কি বললো না বললো তা আমি মন্তব্য করবো না।
উল্লেখ্য আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামান নাসিরনগর উপজেলার চাপরতলা ইউনিয়নের বাসিন্দা এবং আর.এ.কে সিরামিকসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
সৈয়দ একরামুজ্জামান গত অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে “কুলা” প্রতিক, নবম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বি.এম. ফরহাদ হোসেন নৌকা প্রতীকে পান ১ লাখ ১ হাজার ১১০ হাজার ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পান ৬০ হাজার ৭৩৪ ভোট। এর আগে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী প্রয়াত ছায়েদুল হক পেয়েছিলেন ৯৯ হাজার ৮৮৬। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী একরামুজ্জামান ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছিলেন ৮৫ হাজার ৩৮৮ ভোট। আলহাজ্ব সৈয়দ একে একরামুজ্জামান গত ২৭ নভেম্বর সোমবার দুপুর তিনটার দিকে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
এর আগে ওইদিন দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে আদালত তাঁর জামিন মঞ্জুর করেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করায় পরদিন মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টার পদ সহ দলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আলহাজ্ব সৈয়দ এ.কে. একরামুজ্জামানকে বহিষ্কার করা হয়।
মঙ্গলবার বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানা যায়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুষ্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ.কে একরামুজ্জামানসহ জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহ মোঃ আবু জাফরকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
দলের চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টাসহ অন্যান্য পদ থেকে বহিষ্কারের পর বুধবার বহিষ্কৃত সৈয়দ এ কে একরামুজ্জানকে নাসিরনগরে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে উপজেলা বিএনপি। বুধবার দুপুরে উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম.এ. হান্নান ও সাধারণ সম্পাদক কে এম বশির উদ্দিন স্বাক্ষরিত ফেসবুকে দেয়া এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির দলীয় প্যাডে লেখা অবাঞ্ছিতের ঘোষণাটি নিজের ফেসবুকে পোস্ট দেন এম.এ. হান্নান। নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিবৃতি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি কমিটি দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানকে বহিস্কার করেছে। বিএনপির নাসিরনগর উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে এই বহিস্কৃত নেতাকে নাসিরনগরে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল হান্নান বলেন, একরামুজ্জামানকে উপজেলার সকল জায়গায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১- (নাসিরনগর) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বিএনপির চেয়ারপার্সনের বহিষ্কৃত উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামানের কলার ছড়ি প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুজ্জামানের সর্বশেষ জনসভায় জনতার বাঁধভাঙ্গা স্রোত।
আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিশিষ্ট শিল্পপতি (সিআইপি) সৈয়দ একে আনোয়ারুজ্জামানের সভাপতিত্বে ও জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রার্থী সৈয়দ একে একরামুজ্জামান।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব নাজির মিয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, লন্ডন আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হক, সির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানো জাতীয় পার্টির প্রার্থী শাহানুল করিম (গরীবুল্লাহ সেলিম), উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম, ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহীন, ইউপি চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট নাছির উদ্দিন ভূইয়া, ইউপি চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রদীপ কুমার রায়, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি আদেশ চন্দ্র দেব, উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব আজিজুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সৈয়দ একে একরামুজ্জামান আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে সকল ভোটারদের নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে কলার ছড়ি প্রতীকে ভোট দিয়ে তাকে বিজয়ী করার আহবান জানান। তিনি বলেন, আমি বিজয়ী হলে আজীবন আপনাদের কল্যানে কাজ করব। তিনি বলেন আমি বিজয়ী অনুকরণীয় নাসিরনগর প্রতিষ্ঠা করবো। হয়রানিমূলক মামলা নিরসনসহ নাসিরনগরের বিশ্বমানের হাসপাতাল নিমার্ণ ও শিল্প কারখানা গড়ে ৫০ হাজার যুবক যুবতীকে চাকরির ব্যবস্থা করবো।
তিনি বলেন এবারের নির্বাচন গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করার নির্বাচন। প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকার সারা বিশে^র কাছে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা এই নির্বাচনের মাধ্যমে বিশ^ দরবারে নির্বাচন নিয়ে হারিয়ে যাওয়া আস্থা ফিরিয়ে আনবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কয়েকটি জেলার ১০ কর্মকর্তাকে বিভিন্ন অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্থায়ীভাবে চাকুরি চাকরিচ্যুৎ করা হয়। এরই প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট জেলার বিদ্যুৎ সাময়িক বন্ধ করে রাখা হয়েছে। দাবি আদায় না হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে না বলে নিশ্চিত করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন।
বহিষ্কারাদেশে উল্লেখ করা হয়, পল্লী বিদ্যুৎ খাতকে অস্থিতিশীল করায় নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড এর নির্দেশনার প্রতি অবজ্ঞা প্রদর্শন এবং দাপ্তরিক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত থাকায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চাকরি বিধি ১৯৯২ (সংশোধিত, ২০১২) অনুযায়ী চাকরি হতে অব্যাহতি দেয়া হলো।
চাকরি হতে স্থায়ী বহিস্কৃতরা হলো- ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ২ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. সালাহ উদ্দিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. আসাদুজ্জামান ভূইয়া, নেত্রকোনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী ম্যানেজার মনির হেসেন, মাগুরা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. রাহাত, ঢাকা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর সহকারী জেনারেল ম্যানেজার আব্দুল হাকিম, কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ৪ এর সিনিয়র সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. জাকির হোসেন, নোয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ওয়্যারিং পরিদর্শক সালাম জাবেদ, বরিশাল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজারমো. হুমায়ুন কবীর, মুন্সিগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সহকারী জেনারেল ম্যানেজার রাজন কুমার দাস ও কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ এর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার দিপক কুমার সিংহ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সূত্রে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ৪৫ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী দেশের ৮০ ভাগ অঞ্চলের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করেন। পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের দ্বৈতশাসন ৪৭ বছর ধরে চলমান আছে। তাদের শোষণ, বৈষম্য ও নিপীড়ন থেকে মুক্তির জন্য আরইবি-পবিস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন এবং সব অনিয়মিত ও চুক্তিভিত্তিক কর্মচারীদের নিয়মিতকরণের ২ দফা দাবি তোলা হয়। বিদ্যুৎ সচিবসহ প্রধান উপদেষ্টার দাবি তাদের দাবিকে যৌক্তিক বললেও বাস্তবায়ন না করে উল্টো আমাদের ১০ কর্মকর্তাকে চাকুরি থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয় এবং একজনকে আইসিটি আইনে গ্রেফতার করা হয়। যা আমাদের উদ্বিগ্ন করেছে।
নাসিরনগর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার মো. আমজাদ হোসেন বলেন, আরইবির লোকজনের কেনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জন্য নির্মাণসামগ্রী থেকে শুরু করে সব মালামাল খুবই নিম্নমানের। এসবের কারণে ভূতুড়ে বিল আসে। এর দায় আসে আমাদের ওপর। আমরা এসবের প্রতিবাদ করায় আমাদের ১০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। চাকরি থেকে বহিষ্কার করা ১০ কর্মকর্তার সব মামলা বাতিল করে সসম্মানে চাকরিতে পূনর্বহালসহ আমাদের যৌক্তিক সকল দাবি না মানলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
মুরাদ মৃধা, নাসিরনগর :
নাসিরনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথম নারী চিকিৎসক উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা পদে যোগদান করলেন ডা: শামীমা সুলতানা। আজ ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সকালে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এর আগে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
উল্লেখ্য, তিনি রাজশাহী মেডিকেল কলেজ থেকে পড়ালেখা শেষ করে ৩২ তম বিসিএস পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হয়ে মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাকুরি শুরু করেন। তিনি রাজশাহীর মেয়ে হলেও তার শ্বশুর বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়।
নবাগত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামীমা সুলতানা হিসাবে যোগদানে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা, কর্মচারীরা তাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। নবাগত উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: শামীমা সুলতানা বলেন, কর্তৃপক্ষের আদেশে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেছি। দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নাসিরনগরবাসীর সহযোগিতায় স্বাস্থ্য সেবার মানোন্নয়নে ভূমিকা রাখতে চাই।