চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে টাকা নিয়ে চাকরি না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। এখন ঘুষের টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে টালবাহানা শুরু করেছেন ওই কর্মকর্তা। টাকা ফেরত পেতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকী স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান’র সহায়তায় দাউদপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ে ২০১৮ সাল থেকে ২০২১ পর্যন্ত পিয়ন পদে খণ্ডকালীন কর্মরত অবস্থায় মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে পরিচয় হয়। পরে তিনি স্থায়ীভাবে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাবার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকতার নিকট শরণাপন্ন হন। তাকে উপজেলার বুল্লা আর্দশ উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা প্রহরী পদে চাকরি পাইয়ে দেয়ার চুক্তিতে দুই ধাপে ৮০ হাজার টাকা ঘুষ গ্রহণ করেন শিক্ষা কর্মকতা। একজন নিরাপত্তা প্রহরী আবশ্যক বিজ্ঞপ্তি পত্রিকায় প্রকাশিত হলে শিক্ষা কর্মকর্তার পরামর্শে ভুক্তভোগী আরিফ সিদ্দিকীসহ ৪ জন আবেদন করেন। আবেদনের সাথে সকল কাগজপত্রও জমা নেওয়া হয়। পরে আইডি কার্ডের সাথে সকল কাগজের তথ্য ভুল থাকায় জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন না করলে চাকরি দেওয়া যাবে না বলে শিক্ষা কর্মকর্তা। পরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন অফিসারের মাধ্যমে দ্রুত সংশোধনের কথা বলে আরো ৪০ হাজার টাকা নেন। উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে আবেদনের ভিত্তিতে জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন করা হচ্ছে বলে জানান। এরই মধ্যে বুল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যায়। ভুক্তভোগী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নিকট টাকা ফেরত চাইলে তিনি আড়িয়ল উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক লিটন দেব ও সাতবর্গ উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মাসুক ভুইয়ার মাধ্যমে দুই ধাপে ৪৫ হাজার টাকা ফেরত দেন। অবশিষ্ট ৭৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়া নিয়ে এখন টালবাহানা শুরু করেছেন অভিযোগ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ৩ সেপ্টেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও নির্বাচন অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুল জলিল জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি অভিযোগ আছে বলে শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি তিনি।
এদিকে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, আমি কোন লোকের কাছ থেকে টাকা নেয়নি। আমার কথা বলে যদি কেউ টাকা নিয়ে থাকে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এইচ. ইরফান উদ্দিন আহমেদ বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্ত শেষে দোষী প্রমাণিত হলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈরী আবহাওয়া। দিনব্যাপী অঝর বৃষ্টি এরই মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে মাদক বিরোধী সমাবেশ। উক্ত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন। হঠাৎ মঞ্চের মধ্যস্থান থেকে দাঁড়িয়ে হুশিয়ারী দিয়ে সমাবেশস্থল থেকে বেড় হয়ে যেতে বললেন সমাবেশে অবস্থান নেয়া মিনার মিয়া নামে চিহ্নিত একজন মাদক কারবারিকে। এসময় উপস্থিত লোকজনের জোড়ালো উচ্চস্বরে সমর্থন জানিয়ে সাবেক সচিবকে অভিবাদন জানান অনুষ্ঠানের উপস্থিত লোকজন। ৬ অক্টোবর শুক্রবার বিকালে ইসলামপুর বাজারে ইসলামপুর গ্রামবাসীর ব্যানারে ইমরানুল ইসলাম নিপুর উপর নৃশংস হামলার প্রতিবাদ ও তার সুষ্ঠু বিচারের দাবি ও মাদক বিরোধী সমাবেশ বুধন্তি ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব কাজী সায়্যিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও এড. আজিজুর রহমান হেলালের পরিচালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিসিএস প্রশাসন একাডেমির রেক্টর সাবেক সচিব মো. মোশাররফ হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক আলহাজ্ব কাজী মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব মো. নাজির মিয়া, নিউ লাইন গ্রুপের এমডি লায়ন আকরাম খান, এলাইন্স প্রোপার্টিজ লিমিটেডের পরিচালক মো. ইয়ামিনুল হক, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী হারিছুর রহমান, প্রভাষক মনছুরুল হক আকিক, এড. আকতার উন নবী আপন, প্রেসক্লাবের সভাপতি মৃনাল চৌধুরী লিটন, সাধারণ সম্পাদক মো. জিয়াদুল হক বাবু প্রমুখ।
সভায় বক্তারা এমরানুর রহমান নিপুর উপর হামলাকারী মাদক ব্যবসায়ী কাজী মাহমুদুল হাসান শারেকের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন। এবং শিক্ষানগরী ইসলামপুরকে মাদকমুক্ত রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
র্যাব-১৪ কিশোরগঞ্জ ক্যাম্পের একটি দল ৮৩ কেজি গাঁজা ও একটি পিকআপসহ রকিব (২৮) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে।
৩০ আগস্ট শুক্রবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া এলাকার ইটাখোলা মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর উপজেলার মৈন্দ গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে।
র্যাব সূত্র জানায়, একজন মাদক ব্যবসায়ী পিকআপে করে গাঁজা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল থেকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় যাচ্ছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিষয়টি জানতে পেরে র্যাবের দলটি কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার চৌদ্দশত ইউনিয়নের জালুয়াপাড়া ইটাখোলা মোড়ের কাছে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব মহাসড়কের ওপর তল্লাশি চৌকি স্থাপন করে। ভোর সাড়ে ৬টার দিকে একটি পিকআপ বেপরোয়া গতিতে যাচ্ছিল। র্যাবের দলটি সংকেত দিয়ে পিকআপটি থামায়। এ সময় অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি পিকআপ থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করলে র্যাব তাকে আটক করে। পরে পিকআপ তল্লাশি করে গাড়ির পিছনের বডির উপরে একটি বক্সের ভিতর থেকে ৮৩ কেজি গাঁজা এবং আটক ব্যক্তির দেহ তল্লাশি করে দুটি মোবাইল ফোনসেট উদ্ধার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার নাম রকিব বলে জানান।
র্যাবের কোম্পানি কমান্ডার মো. আশরাফুল কবির জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার রকিব পিকআপে করে গাঁজা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে পাইকারি বিক্রির জন্য ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় নিয়ে যাচ্ছিল বলে স্বীকার করেছেন।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানায় মামলা দিয়ে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে ভুটানের রাষ্ট্রদূত মিস্টার রিনচেন কুয়েনসিলকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। বিজয়নগরের কৃতি সন্তান ও ভুটানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম. অলি আহমেদের উদ্যোগে আজ ১৮ ফেব্রুয়ারি শনিবার বেলা ১১টায় তার বিজয়নগর উপজেলার কচুয়ামুড়ার বাড়ি প্রাঙ্গনে এই সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা উপলক্ষে আয়োজিত এক সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সূধী সমাবেশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ভুটানের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এম অলি আহমেদ। সূধী সমাবেশে সংবর্ধিত অতিথি ও ভুটানের রাষ্ট্রদূত ভুটানের রাষ্ট্রদূত মিস্টার রিনচেন কুয়েনসিল বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করেছেন। ভুটান সরকার ও জনগন বাংলাদেশের সৃষ্টিলগ্ন থেকে বাংলাদেশের পাশে ছিলো, বর্তমানেও আছে ভবিষ্যতেও থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের নাগরিক এম অলি আহমেদ ভুটানে ব্যাপক জনপ্রিয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভুটানে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছেন। তার মতো যে কেউ চাইলে সততা ও নিষ্ঠার সাথে ভুটানে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারবেন।
সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে চুড়ান্ত বিজয়ের আগেই ভুটার বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিলো। তিনি বলেন, ভুটান আমাদের অকৃত্রিম বন্ধু। ভুটানের আত্মীয়তা ও আন্তরিকতা আমরা সব সময় শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করি। আমরা চাই ভুটানের সাথে আমাদের দেশের সম্পর্ক সব সময়ই মজবুত থাকুক।
সূধী সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত জিষ্ণু রায় চৌধুরী, রয়েল ভুটান এ্যামবেসির কনস্যুলার কেনছু থিনলে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মোজাম্মেল হোসেন রেজা, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রাজু আহমেদ প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর আরাফাত খাঁন (৯) ও মোঃ সামির (৮) নামে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ১ মে সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের সাটিরপাড়ার একটি পুকুর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
মৃত আরাফাত সাটিরপাড়া গ্রামের এনাম খাঁনের ছেলে ও সামির উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা গ্রামের শিপন মিয়ার ছেলে। সামির তার নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলো।
চম্পকনগর ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) মোঃ রেজুয়ান আহমেদ বলেন, রবিবার বিকেল থেকেই এই দুই শিশু নিখোঁজ হয়। সম্ভাব্য সব জায়গায় তাদেরকে খোঁজাখুজি করে তাদের না পাওয়ায় রাতের বেলা এলাকায় মাইকিং করা হয়। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে থানায় জিডি করা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুকুরে তাদের লাশ ভেসে উঠে।
এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, পুকুরে ডুবে ওই শিশুরা মারা গেছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর সীমান্তে দিয়ে ভারতে পাচারের সময় ৩৪০কেজি ইলিশ জব্দ করে মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্প। এ সময় মাছ পাচারকারীরা পালিয়ে যায়।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে উপজেলার কামালমুড়া সীমান্ত থেকে মাছের চালানটি জব্দ হয়।
সরাইল বিজিবি ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সৈয়দ আরমান আরিফ বলেন, বিজয়নগর উপজেলার মুকুন্দপুর গ্রামের সীমান্ত দিয়ে ইলিশ মাছ ভারতে পাচার হচ্ছিল। এ সময় মুকুন্দপুর বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যদের দেখে মাছ ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায় পাচারকারীরা। জব্দ করা হয় ৩৪০ কেজি ইলিশ।