চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদর উপজেলার মাছিহাতা ফাউন্ডেশনের আয়োজনে হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল শনিবারসকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাছিহাতার দরবার শরিফের মাঠ প্রাঙ্গণে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ৩ শতাধিক মাদরাসাছাত্র কোরআন প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।
মাছিহাতা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা শাহ সৈয়দ নাজেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মাছিহাতা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান পীরজাদা সৈয়দ জুবায়ের আহমেদ।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাছিহাতা ফাউন্ডেশনের সদস্য অ্যাডভোকেট শাহ সৈয়দ মো. ইকবাল ও আবু কাওসার খান, মাছিহাতা ফাউন্ডেশনের সদস্য অ্যাড. শাহ সৈয়দ মো. ইকবাল,মাছিহাতা ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা মাওলানা শাহ সৈয়দ মো. আহসান, উপদেষ্টা শাহ সৈয়দ কাউছার, মাছিহাতা দরবার শরিফের পীরজাদা মুর্তজা বিন হাসান ,মাছিহাতা সুন্নিয়া দাখিল মাদরাসা পরিচালক শাহ সৈয়দ ফাইসাল। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিটির সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট ফরহাদ।
কোরআন প্রতিযোগিতায় ৫ পাড়া গ্রুপে প্রথম স্থান হয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেন মুয়াজ বিন বোরহান। ১০ পারা গ্রুপে প্রথম স্থান হয়ে স্বর্ণপদক অর্জন করেন ওমর ফারুক বিন ইকবাল। এছাড়াও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারীদের রৌপ্যপদক দেওয়া হয়। পরে অতিথিরা বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বেশি দামে আলু বিক্রি ও রশিদ দেখাতে না পারায় তিন আলু ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শহরের আনন্দ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জাতীয় ভোক্তা অধিকার ও সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।
অভিযান শেষে সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান বলেন, সারাদেশে চড়া দামে আলু বিক্রি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় আলুর বাজারকে স্থিতিশীল করার জন্য বিভিন্ন বাজারে আলুর দোকানগুলোতে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসময় তিন আলু ব্যবসায়ীকে ১১হাজার টাকা জরিমানা করে তাদের সর্তক করে দেওয়া হয়েছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের চলমান পরিস্থিতিতে জেলার শান্তি-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য জেলাবাসীর প্রতি আহবান জানিয়েছেন জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
আজ ৬ আগস্ট মঙ্গলবার দুপুরে পৃথক সময়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেসক্লাব পরিদর্শনে এসে জেলা বিএনপির দুইপক্ষের নেতারা এ আহবান জানান।
দুপুর ১টার দিকে প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান কচি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক জহিরের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির একটি অংশ।
এসময় তারা সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে বলেন, সাংবাদিকরা জাতির বিবেক। তারা পেশাদারিত্বের সাথে সাংবাদিকতা করেন।
এ সময় তারা বলেন, প্রেসক্লাব সকলের। প্রেসক্লাবে হামলা কারো কাম্য নয়। নেতৃবৃন্দ প্রেসক্লাবে হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা মঙ্গলবারের জেলা বিএনপির বিজয় মিছিল বাতিল করেছি। এ সময় নেতৃবৃন্দ বলেন, আজকে ছাত্র সমাজ জাতিকে স্বৈরাচারের হাত থেকে মুক্ত করেছে। সাংবাদিকদের স্বধীনভাবে তাদের কাজ করার সুযোগ করে দিয়েছে। বক্তারা সরকারি স্থাপনা, প্রতিপক্ষের নেতা-কর্মীদের বাড়ি এবং সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা চালিয়ে কেউ যাতে অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য জেলা বিএনপির সকল নেতা-কর্মীকে সজাগ থাকার আহবান জানান।
দুপুর দেড়টার দিকে প্রেসক্লাবে আসেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজের নেতৃত্বে বিএনপির অপর অংশ।
এ সময় তিনি বলেন, জনগণের কাঙ্ক্ষিত বিজয় যাতে কেউ নস্যাৎ করতে না পারে সেজন্য জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদেরকে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেউ যাতে সরকারি স্থাপনা ও আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের বাড়ি-ঘরে হামলা করতে না পারে সেজন্য শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে দলের সকল নেতাকর্মী সজাগ থাকার আহবান জানান। জনসচেতনা বৃদ্ধির জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে শহরে মাইকিং করা হচ্ছে। তিনি বিশেষ করে কেউ যাতে সংখ্যালঘুদের বাড়ি-ঘর, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা করতে না পারে সেজন্য দলীয় নেতা-কর্মীদের খেয়াল রাখার আহবান জানান। নেতৃবৃন্দ পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে জেলায় কর্মরত বিভিন্ন সাংবাদিকের উপর হামলা ও প্রেসক্লাবে হামলার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
২০ টি আলোকশিখা প্রজ্বলনের মাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি উৎসবের শুভসূচনা পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল রবিবার রাতে শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে আলোকশিখা প্রজ্বলন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।
সূচনাপর্বেও শিরোনাম ছিলো ভারতীয় শিল্পীদের আবৃত্তি পরিবেশনা। হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে এসময় আবৃত্তি পরিবেশন করেন ভারতের মেদিনীপুর থেকে সৌরেন চট্টোপাধ্যায়, সমন্বয় চট্টোপাধ্যায়, কলকাতা থেকে বিপ্লব চক্রবর্তী,মলি দেবনাথ,অন্তরা দাস ও ত্রিপুরা থেকে বৈশম্পায়ন চক্রবর্তী, দীপক সাহা।
অনুষ্ঠানের সূচনা আবৃত্তি করেন বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক কাজি মাহতাব সুমন।
আবৃত্তিশিল্পীদের নানা ধরণের কবিতার উচ্চারণে মুগ্ধতা প্রকাশ করেছে উপস্থিত দর্শক-শ্রোতা।
তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের পরিচালক মো.মনির হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহকারি পরিচালক বাছির দুলালের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এন্ড অবস) মো.সোনাহর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, জেলা ১৪ দল সমন্বয়ক হাজি হেলাল উদ্দিন, সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ বিভূতিভূষণ দেবনাথ, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ সভাপতি মন্ডলীর সদস্য মোকাদ্দেস বাবুল, সাহিত্য একাডেমী সভাপতি কবি জয়দুল হোসেন, রবীন্দ্র সঙ্গীত সম্মিলন পরিষদ সভাপতি অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল।
শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফসিউর রহমান হাসান ও সাংস্কৃতিক সংগঠক অ্যাড. তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, তিতাস আবৃত্তি সংগঠনের ২০ বছর পূর্তি আমার জন্য শ্লাঘার। আমি খুবই আনন্দিত। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে ও সংস্কৃতির পথে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে এ সংগঠনের ভূমিকা আমাদের প্রাণিত করেছে। যারাই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে-সুন্দর সংস্কৃতির পক্ষে লড়াই করছে আমি তাদের পাশে আছি,থাকবো। আমার প্রতিটি সংকটে তিতাস আবৃত্তি সংগঠন আমার পাশে ছিলো। সংগঠনটির দুই দশক পূর্তিতে আমি সকলকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
কলকাতা থেকে আবৃত্তিশিল্পী বিপ্লব চক্রবর্তী ও মেদিনীপুরের আবৃত্তিশিল্পী সৌরেন চট্টোপাধ্যায় বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবৃত্তি অনুষ্ঠানে শতশত মানুষের উপস্থিতি দেখে আমরা খুবই উচ্ছসিত। আবৃত্তি এখানে গণমানুষের শিল্পে পরিনত হয়েছে। সুরের এই মাটি আবৃত্তিশিল্পের লালনেও আমাদের পথ দেখাবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিজ নিজ অঙ্গনে অবদান রাখায় দেশের নয়জন গুণীকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতিপদক দেয়া হয়েছে। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার রাতে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বরে “গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদ” আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে এই পদক তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ঢাকার ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ইউনিভার্সেল মেডিকেল সার্ভিসেস লিমিটেড সার্বিক সহযোগিতা করে।
নয়টি ক্যাটাগরিতে পদক পাওয়া গুনীজনেরা হলেন প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ইমেরিটাস অধ্যাপক এ.বি.এম আবদুল্লাহ (চিকিৎসা), নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আতিকুল ইসলাম (শিক্ষা), কথা সাহিত্যিক ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক আনিসুল হক (সাহিত্য), স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস (প্রশাসন), পুলিশের অ্যান্টিটেররিজম ইউনিটের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ মনিরুজ্জামান (আইন-শৃঙ্খলা) এখন টিভির সম্পাদকীয় প্রধান তুষার আবদুল্লাহ (সাংবাদিকতা), শিল্পী ও সংগীত পরিচালক শুভ্র দেব (সংগীত), জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ (সংস্কৃতি, পুরুষ) ও অভিনেত্রী তারিন জাহান (সংস্কৃতি, নারী)।
পদকপ্রাপ্তদের হাতে পদকের পাশাপাশি নানা উপহার তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
গেস্ট অব অনার ছিলেন, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস এর ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম, জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সিভিল সার্জন মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডাঃ আবু সাঈদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদের উপদেষ্টা ডাঃ আশীষ কুমার চক্রবর্তী।
বক্তব্য রাখেন গুনীজন সংবর্ধনা পরিষদের সভাপতি এম. আবদুল বাছেদ, সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব ভট্টাচার্য্য, ফ্যাক্টর থ্রি সল্যুশনের সিইও সাহেদ হোসেন।
অনুষ্ঠানে ৮জন গুনী উপস্থিত থাকলেও ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হকে পারেননি কথা সাহিত্যিক আনিসুল হক। তার পক্ষে পদক গ্রহণ করেন দৈনিক প্রথম আলোর স্টাফ রিপোর্টার শাহাদৎ হোসেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে অতিথিদের উত্তরীয় পরিয়ে দেয়া হয়। পরে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের উপর একটি প্রামান্যচিত্র প্রদর্শন ও পদকপ্রাপ্ত নয়জনের জীবন ও কর্মের উপর নয়টি পৃথক প্রামান্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানের শেষে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা কিশোর সংগীত পরিবেশন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও গণমাধ্যমের ভূমিকা বিষয়ে আজ ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আঞ্চলিক তথ্য অফিস চট্টগ্রামের উদ্যোগে বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দিদারুল আলম। চট্টগ্রাম আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মীর হোসেন আহসানুল কবীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোহাম্মদ রুহুল আমিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসাইন, সিভিল সার্জন মোঃ নোমান মিয়া। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জেসমিন সুলতানা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিনিয়র তথ্য অফিসার বাপ্পী চক্রবর্তী। পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন জেলা তথ্য অফিসার দীপক চন্দ্র দাস।
বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোঃ খান বিটু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সভাপতি আল-আমীন শাহীন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান লিমন, প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, সাংবাদিক উজ্জ্বল চক্রবর্তী, মোঃ শাহাদৎ হোসেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক বায়জেদুর রহমান সিয়াম প্রমুখ। সভায় বক্তারা বলেন, জুলাই-আগষ্টের আন্দোলন অস্বীকার করার সুযোগ নেই। বৈষম্যের কারণে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। একটা বৈষম্যহীন বাংলাদেশ আমাদের দরকার, যাতে আমরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে পারি।
সভায় বক্তারা বলেন, গণমাধ্যম কর্মীরা ইতিবাচক পরিবর্তনের নিয়ামক শক্তি। একজন নির্ভীক সংবাদ কর্মী হলেন সমাজের নির্মাতা। নিজের স্বার্থ না দেখে গণমানুষের জন্য কাজ করা একজন নির্ভিক সংবাদকর্মীর নৈতিক দায়িত্ব। গণমাধ্যম সরকার ও জনগনের মধ্যে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে থাকে। স্বাধীন গণমাধ্যম ছাড়া কোনোভাবেই সরকার ও জনগণের মধ্যে জনগণ কি ভাবছে, সরকার কি করছে তা প্রকাশ পাওয়া সম্ভব নয়।