চলারপথে রিপোর্ট :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশ ত্যাগের খবরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাজুড়ে বিজয় মিছিল ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানো হয়েছে। আজ ৫ আগস্ট সোমবার দুপুরের পর বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটা আন্দোলনকারীসহ সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উল্লাস শুরু করে।
এ সময় শহরের টেংকের পাড়, বিরাসার, কান্দি পাড়া,শিমরাইলকান্দি, হাসপাতাল রোড, কুমারশীল মোড়, মেড্ডাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে নারী, পুরুষ, শিশুসহ সাধারণ জনতা রিকশায় চড়ে, পিকআপ ভ্যানে করে ও মোটরসাইকেলে জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে শোডাউন করে আনন্দ মিছিল বের করে। এ সময় একদল উত্তেজিত জনতা সদর থানায় হামলা চালিয়ে আগুন লাগিয়ে দেয়। এছাড়া থানার সামনে থাকা ৩টি পিকআপ ভ্যানে ও একটি ট্রাকে আগুন দেয়। এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের উপর গুলি ছুড়ে। এতে কমপক্ষে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে সেনাবাহিনীর একটি দল থানা পুলিশদের উদ্ধার করে নিয়ে যায়। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন, ব্যাংক এশিয়াসহ বিভিন্ন স্থানে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করা হয়।
পরে তারা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহদাৎ হোসেন শোভন, সাবেক ভিপি হাসান সারোয়ার, রিমো আনসারী, জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিনসহ আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এ সময় কয়েকটি স্থানে অগ্নিসংযোগ করা হয়। এ সময় সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্বৃত্তদের হামলায় আরটিভির জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান পায়েল গুরুতর আহত হয়।
এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানা ও আইনমন্ত্রী এডভোকেট আনিসুল হকের বাসভবনে ভাংচুর চালায় হামলাকারীরা। সে সাথে দলীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি ঘরেও হামলা চালানো হয়।
এদিকে আখাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ অফিস, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজলের বাসভবন, আখাউড়া উত্তর ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন বেগ শাপলু, আখাউড়া রেলস্টেশনসহ বিভিন্ন স্থানে হামলা চালানো হয়। এছাড়াও বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন ভবনে ভাঙচুর চালায় হামলাকারীরা।
এছাড়ও বিজয়নগর থানায়ও হামলা করে আগুন দেয়া হয়। এছাড়াও নবীনগর উপজেলা সদরে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। সে সাথে সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ, দুটি পুলিশ ফাঁড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেললাইনে বসে মোবাইলে ব্যস্ত ৩ বন্ধু। ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত একজন। নিহত তরুণের নাম রিমঝিম (২০)। এ সময় অন্য আরো দুই তরুণ গুরুতর আহত হয়েছে। ২১ জানুয়ারি শনিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে জেলা শহরের পুনিয়াউট এলাকার রেললাইনে এই ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
রিমঝিম শহরের সরকার পাড়া এলাকার মনজু মিয়ার ছেলে। আহতরা হলেন : সরকারপাড়া এলাকার সোনা মিয়ার ছেলে আরাফাত (২২) ও বাদশা মিয়ার ছেলে দিপু মিয়া (২৫)।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে সহকারী উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম জানান, রাতে পুনিয়াউট এলাকায় তিন তরুণ ঢাকাগামী রেললাইনে বসে মোবাইল চাপছিলেন। তারা গভীর মনোযোগে মোবাইল ব্যবহার করায় দ্রুতগামী ট্রেন আসার বিষয়টি খেয়াল করতে পারেননি। এসময় তিন তরুণই ট্রেনে কাটা পড়ে। এতে ঘটনাস্থলে রিমঝিম মারা যায়। বাকী দুই তরুণের পা ও মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েছেন। হতাহতদের উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়েছে। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে, তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন দিনব্যাপী জেলা ফল মেলা শুরু হয়েছে। আজ ১৯ জুন বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে প্রধান অতিথি হিসেবে তিন দিনব্যাপী ফল মেলার উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদা আক্তার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক ড. মোস্তফা ইমরান হোসেন, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সিফাত মোঃ ইশতিয়াক ভূইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক (প্রশিক্ষণ) মুনসী তোফায়েল হোসেন, উপ-পরিচালক (শস্য) মইনুল হক সরকার, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ জিল্লুর রহমান রাশেদ, সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মোঃ নুরুল মাহমুদ ভূইয়া, অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সালমা সুলতানা প্রমুখ।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মাহমুদা আক্তার বলেন, দেশী ফল বেশি করে খেতে হবে, তাই বেশি করে দেশী ফলের গাছ লাগাতে হবে। বেশি করে গাছ লাগালে যেমন ফল পাওয়া যায়, তেমনি করে পরিবেশের ভারসাম্যও ঠিক থাকবে। বর্তমান প্রজন্ম অনেক দেশী ফলের নাম জানে না, তাই বেশি করে ফলের গাছ লাগাতে হবে, যাতে করে তাদের বিভিন্ন ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে পারা যায়। তিনি আরো বলেন, ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য। ভাতের পাশাপাশি বেশি করে ফলও খেতে হবে। তাই বেশি করে ফলের গাছ লাগাতে তিনি কৃষকদের কাছে অনুরোধ করেন। আগামী ২১ জুন শনিবার পর্যন্ত ফল মেলা চলবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নামে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে বিস্ফোরক আইনে মামলার আবেদন করা হয়েছে। জেলা শহরের কাজীপাড়া এলাকার বাসিন্দা শিহাব উদ্দিন চৌধুরী আজ ২৫ সেপ্টেম্বর বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। পরে বিচারক আবেদনটি আমলে নিয়ে সদর মডেল থানা পুলিশকে মামলাটি নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। মামলায় ২৪০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দেড়শ জনকে আসামি করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাজী দিদারুল আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট আসামিরা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়, নন্দিতা কালার ল্যাবসহ বিভিন্ন স্থাপনায় পেট্রোল বোমা ও ককটেল মেরে আনুমানিক পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি করেন। এ ঘটনায় মামলার বাদী ও সাক্ষীসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ভর্তুকি মূল্যে কার্ডধারী নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে টিসিবির নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয় শুরু হয়েছে।
আজ ১৫ মে বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলা পরিষদ চত্ব¡রে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন কার্ডধারী মানুষের মাঝে বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
প্রত্যেক কার্ডধারী ৬০ টাকা কেজি দরে ২ কেজি মশুর ডাল, ১০০ টাকা লিটার দরে ২ লিটার সয়াবিন তেল ও ৩০ টাকা কেজি দরে ৫ কেজি চাল পায়।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন জানান, সদর উপজেলার নিম্ন আয় ও সুবিধাবঞ্চিত কার্ডধারী মানুষের মাঝে টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
পৌরসভায় ৪৯ ৫২ জনসহ সদর উপজেলায় ১৬৬১৮ জন নিম্ন আয়ের কার্ডধারী মানুষের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির এই পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। বুধবার সদর উপজেলা পরিষদ চত্ত্বর, কালভৈরব, কারখানাঘাট, আনন্দবাজার ও শেরপুর ঈদগাহ মাঠে এই টিসিবির পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে এই কার্যক্রমটি খুবই জনবান্ধব। নিম্ন আয়ের মানুষেরা যেনো সঠিকভাবে এই পণ্য পায়, তার জন্য জোরদার ভাবে তদারকি করা হচ্ছে। কোন ডিলার দুর্নীতি করলে তার বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।