চলারপথে রিপোর্ট :
জাতীয় সংসদে উত্থাপিত সাইবার নিরাপত্তা আইনে মিথ্যা মামলা দায়ের করলে তা অপরাধ হিসেবে গণ্য করে সাজার বিধান যুক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে মিথ্যা মামলার শিকার হওয়া ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দিলে আদালত তা আমলে নেবেন।
এই বিধান যুক্ত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই আইনটির রিপোর্ট সংসদে উত্থাপন করেছে।
আজ ১০ সেপ্টেম্বর রবিবার সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ প্রতিবেদন উপস্থাপন করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণায় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক।
এর আগে ৭ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার কয়েকটি সাংবাদিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এসব সুপারিশ চূড়ান্ত করে কমিটি। এছাড়া বিলের ৩২ নম্বর ধারা বাদ দেওয়াসহ কয়েকটি ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
বিলে নতুন একটি ধারা যুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই ধারায় বলা হয়, যদি কোনো ব্যক্তি অন্য কোনো ব্যক্তির ক্ষতিসাধনের অভিপ্রায়ে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই আইনের অন্য কোনো ধারার অধীন মামলা বা অভিযোগ দায়ের করার জন্য ন্যায্য বা আইনানুগ কারণ না জেনেও মামলা বা অভিযোগ দায়ের করেন বা করান, তাহলে তা হবে একটি অপরাধ। এই অপরাধে মামলা বা অভিযোগ দায়েরকারী ব্যক্তি এবং যিনি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি মূল অপরাধটির জন্য যে দণ্ড নির্ধারিত রয়েছে সে দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। যদি এই আইনের একাধিক ধারায় কোনো মামলা বা অভিযোগ করেন, তাহলে ওই ধারায় বর্ণিত অপরাধগুলোর মধ্যে মূল অপরাধের জন্য যার দণ্ডের পরিমাণ বেশি হয় সেটাই দণ্ডের পরিমাণ হিসাবে নির্ধারণ করা যাবে।
এ বিলে উল্লেখ করা হয়েছে, কোনো ব্যক্তির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে ট্রাইব্যুনাল এই অপরাধের অভিযোগ গ্রহণ ও মামলার বিচার করতে পারবেন।
বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এই সাইবার নিরাপত্তা আইন করা হচ্ছে। ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সাইবার নিরাপত্তা বিল সংসদে উপস্থাপন করা হয়। এরপর বিলটি পরীক্ষা করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। এছাড়া বিলের ২১ ধারায় শব্দগত পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় সংগীত বা জাতীয় পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা ও প্রচারণা সংক্রান্ত অপরাধের কথা বলা আছে। এখানে ‘পতাকার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের প্রপাগান্ডা বা’ এর স্থলে ‘পতাকা সম্পর্কে বিদ্বেষ, বিভ্রান্তি ও কুৎসামূলক’ শব্দ প্রতিস্থাপন করা হবে। বিলের ৩২ ধারা বাতিল করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ধারায় অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্ট যুক্ত করা হয়েছিল। ডিজিটাল মাধ্যমে কেউ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যক্টভুক্ত অপরাধ করলে তার সাজার বিধান করতে এটি যুক্ত করা হয়েছিল। বিলের ৪২ ধারায় বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতারের ক্ষমতা দেওয়া আছে পুলিশকে। এখানে সংশোধনী এনে বলা হচ্ছে, এই ধারায় সাবইন্সপেক্টর পর্যায়ের কর্মকর্তার জায়গায় পুলিশ পরিদর্শক পর্যায়ের কর্মকর্তা বিনা পরোয়ানায় তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবেন।
উপস্থাপিত বিলের ৮ ধারায়ও সংশোধনী আনা হচ্ছে। ডিজিটাল মাধ্যম থেকে তথ্য–উপাত্ত অপসারণ ও ব্লক করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এই ধারায়। এখানে আগে বলা ছিল যদি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ‘প্রতীয়মান’ হয় ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যমে প্রকাশিত বা প্রচারিত কোনো তথ্য-উপাত্ত দেশের বা উহার কোনো অংশের সংহতি, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধ বা জনশৃঙ্খলা ক্ষুণ্ন করে বা জাতিগত বিদ্বেষ ও ঘৃণার সঞ্চার করে, তা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ওই তথ্য-উপাত্ত অপসারণ বা ব্লক করার জন্য, মহাপরিচালকের মাধ্যমে, বিটিআরসিকে অনুরোধ করতে পারবে। এখানে প্রতীয়মান শব্দের জায়গায় ‘তথ্য–উপাত্ত বিশ্লেষণ সাপেক্ষে, বিশ্বাস করার কারণ থাকে যে’ প্রতিস্থাপন করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
মেহেরপুরের গাংনীর কাজিপুর গ্রামের কৃষক কাজিমুদ্দীন ওরফে কাজু হত্যা মামলায় শরিফুল ইসলাম নামে একজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ ১৩ জুন মঙ্গলবার দুপুর ৩টার দিকে মেহেরপুর জেলা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোঃ শহিদুল্লাহ আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। শরিফুল ইসলাম (৪২) গাংনীর কাজিপুর গ্রামের রোমজিতের ছেলে। তাকে জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ মে রাত আটটার দিকে গ্রামের একটি চায়ের দোকানে চায়ের বিল দেয়াকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষ শরিফুল ও তার লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে কৃষক কাজিমুদ্দীনকে। ওই রাত্রেই কাজিমুদ্দীনের ছেলে আবু সাঈদ দফাদার বাদী হয়ে তিন নারীসহ ১০ জনকে আসামি করে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় শরিফুল ইসলামকে প্রধান আসামি করা হয়। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে চার্জশিট প্রদান করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনোয়ার হোসেন।
মামলায় ৭ জন স্বাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ ও বাদী বিবাদী পক্ষের আইজীবীদের যুক্তি তর্ক শেষে আসামি শরিফুলের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছর কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাদেরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়। মামলায় বাদী সরকারি পক্ষের কৌশুলী ছিলেন পলব ভট্টাচার্ষ ও আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন কেএম শফিকুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে তিনটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালক। আজ ২২ আগস্ট মঙ্গলবার ভ্রাম্যমাণ আদালত ছাগলনাইয়ার ভাই ভাই মার্কেট জনতা ব্যাংকের নিচ গলিতে অবস্থিত মেসার্স খন্ডল মিষ্টি মেলা একই মার্কেটের মেসার্স মুসলিম খন্ডল মিষ্টি ও ছ্গালনাইয়ার হাজী পাড়া জনতা ব্যাংকের নিচ গলির মেসার্স মায়ের দোওয়া খন্ডল মিষ্টি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা করে।
প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিএসটিআই আইন-২০১৮ অনুযায়ী, বিএসটিআই কর্তৃক পণ্যের মান পরীক্ষণ ও সিএম লাইসেন্স গ্রহণ না করে পণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও বিতরণের জন্য দশ হাজার টাকা করে মোট ত্রিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
মোবাইল কোর্টটি পরিচালনা করেন ছাগলনাইয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌমিতা দাশ। এসময় প্রসিকিউটর হিসেবে বিএসটিআই কুমিল্লা অফিসের কর্মকর্তা ইকবাল আহাম্মদ, ফিল্ড অফিসার (সিএম) দায়িত্ব পালন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
আপিল বিভাগে নিয়োগ পাওয়া চার বিচারপতি শপথ নিয়েছেন। আজ ১৩ আগস্ট মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় জাজেস লাউঞ্জে এ চার বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা।
চার বিচারপতি হলেন- বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী, বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম, বিচারপতি মো. রেজাউল হক ও বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক।
গতকাল ১২ আগস্ট সোমবার হাইকোর্ট বিভাগের এই চার বিচারপতিকে আপিল বিভাগে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি।
নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, সংবিধানের ৯৫ (১) অনুচ্ছেদে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে হাইকোর্ট বিভাগের চারজন বিচারককে শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে আপিল বিভাগের বিচারক নিয়োগ করেছেন। এ নিয়োগ শপথের দিন থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগ করেন আপিল বিভাগের আরো পাঁচ বিচারপতি।
এদিন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। পরদিন দুপুরে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি।
বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী
প্রয়াত বিচারপতি এ এফ এম আব্দুর রহমান চৌধুরীর ছেলে জুবায়ের রহমান চৌধুরী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলম ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরে যুক্তরাজ্য থেকেও আন্তর্জাতিক আইনে এলএলএম ডিগ্রি নেন। ১৯৮৫ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৮৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৩ সালের ২৭ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পরে স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল করিম রসায়নে স্নাতক, আইনে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি এবং পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬ সালে তিনি জেলা আদালতে, ১৯৮৮ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৯৬ সালে আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।
২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি মো. রেজাউল হক
মো. রেজাউল হক এম এ ও এলএলবি ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৮৮ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯০ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
বিচারপতি এস এম এমদাদুল হক
এস এম এমদাদুল হক রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি ও এলএলএম ডিগ্রি অর্জন করেন। পরে ১৯৯০ সালে তিনি জেলা আদালতে ও ১৯৯২ সালে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০০৪ সালের ২৩ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি এবং দুই বছর পর স্থায়ী বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকার গুলশানে পুলিশ সদস্য ও চলাচলরত যানবাহনকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছুঁড়ছেন আন্দোলনরত ব্যবসায়ীরা।
আজ ১৩ জুলাই বৃহস্পতিবার বিকেলে গুলশান-১ নম্বর গোল চত্বর থেকে পুলিশ আন্দোলনরত ব্যবসায়ীদের সরিয়ে সড়ক খুলে দিলে তারা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।
ব্যবসায়ীদের ইটপাটকেল নিক্ষেপে কয়েকটি যানবাহনের গাড়ির কাচ ভেঙে যায়। সড়কে চলাচলরত পথচারীদেরও দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, দুপুরে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করে ঢাকা গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা করেন উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এরপরই ব্যবসায়ীরা সড়কে অবস্থান নেন সিলগালার প্রতিবাদে গুলশান শপিং সেন্টারের সামনের সড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। সড়ক অবরোধের কারণে গুলশান, বনানীসহ এর আশপাশের এলাকায় ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. শহিদুল্লাহ বলেন, গুলশান-১ নম্বরে সিটি করপোরেশন একটি মার্কেট সিলগালা করার কারণে ব্যবসায়ীরা এখানে অবস্থান নিয়ে সড়ক দখল করে রাখেন। আমরা তাদের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে নিজেদের দাবিদাওয়া জানানো এবং বিষয়টি মীমাংসা করার জন্য বলেছি।
মো. শহিদুল্লাহ বলেন, আমরা তাদের সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই সময়ের মধ্যে কথা বলেও বিষয়টি সমাধান করতে পারেননি। তারা দীর্ঘক্ষণ ধরে রাস্তায় অবস্থান করছিলেন। যেহেতু এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, তাই আমরা তাদের বেশিক্ষণ রাস্তা বন্ধ করে রাখতে না দিয়ে কিছুটা প্রেশার দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি।
এ সময় আন্দোলনকারীদের ইট-পাটকেল নিক্ষেপের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে। তবে বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় বরিশালে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে ১০২ টি অভিযান এবং ৩৪টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে ২৫১ কেজি ইলিশ জব্দ ও ৬২ হাজার ৭ ৮শ’ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা জালের মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
এই সময়ে মোট ১৩ জেলে আটক করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর ৫ জনের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দ হওয়া সামগ্রী নিলামে ১ হাজার ৬ শ’ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে দুই দিনে বরিশাল বিভাগের ১৭ টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১১৪ টি মাছঘাট, ৩২৫ টি আড়ৎ ও ১৯৬ টি বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন জানান, ১১ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজনন স্থলসহ সারা দেশে ইলিশ আহরন, পরিবহন ও বিপনন নিষিদ্ধ। এই সময়ে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।