চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় শিশু অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন স টাস্ক ফোর্স এর উদ্যোগে আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু বান্ধব প্লাটফর্ম এর সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযুদ্ধ আল মামুন সরকার এর সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন সূর্যমুখী কিন্ডারগার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ডিস্ট্রিক্ট পলিসি ফোরামের সভাপতি মোহাম্মদ আরজু মিযা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন এনসিটিএফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মোহাম্মদ সায়মন মাহমুদ।
সভার সভাপতি আল মামুন সরকার আগামী শীতে জেলায় শিশু সমাবেশ করার ঘোষণা দেন।
শিশুদের অধিকার বাস্তবায়নে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়তে হলে আগামী দিনে শিশুদেরকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রায় দেড়শ সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
আজ ৬ এপ্রিল শনিবার বেলা ১১টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ‘সহায়’ নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের উদ্যোগে এসব ঈদসামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল কুদদূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহজাদা ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন।
সহায় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. জুয়েল রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন ইমন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, করোনা মহামারিকালে অসহায় মানুষদের সাহায্যের উদ্দেশ্যে একদল তরুণ সহায় সংগঠন গড়ে তুলেছিল। সংগঠনে জড়িতরা নিজেরা চাঁদা দিয়ে সাধ্যমতো অসহায়দের পাশে দাঁড়ায়। এছাড়া প্রতিবছর ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিতদের মাঝে ঈদসামগ্রী বিতরণ করে থাকে। এই তরুণদের দেখে বিত্তবানদের অনুপ্রাণিত হয়ে অসহায়দের সাহায্যে এগিয়ে আসা উচিত।
পরে আলোচনা শেষে দেড়শ অসহায় ও সুবিধাবঞ্চিত পরিবারের মাঝে ঈদসামগ্রী তুলে দেন অতিথিরা। ঈদ সামগ্রীর মধ্যে ছিল সিদ্ধ চাল, পোলাও চাল, ডাল, তেল, চিনি, পেঁয়াজ, আলু, সেমাই ও কনডেন্সড মিল্ক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে রেলওয়ের জলাশয় বালু ফেলে ভরাটের দায়ে জব্দ করা ১৫ হাজার ঘনফুট বালু উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামে ৮১ হাজার টাকায় এই বালু বিক্রি করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেনের উপস্থিতিতে এই উম্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রেলওয়ের জলাশয় অবৈধভাবে বালু ফেলে ভরাটের প্রতিবাদে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বড় হরণ লেবেল ক্রসিং এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
সদর উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় লোকজন ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বড়হরণ এলাকায় রেলের জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করে ফেলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে গত সোমবার দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন।
এ সময় বালু ভরাটের কাছে ব্যবহৃত একটি ভেকু ও জলাশয়ে ফেলা সকল বালু জব্দ করা হয় এবং চার কার্যদিবসের মধ্যে জব্দ করা বালু নিলাম ডেকে বিক্রি করে জলাশয়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আনতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসিল্যান্ডের নির্দেশে বুধবার বিকেলে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে উম্মুক্ত নিলাম আহবান করেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। নিলামে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ নরসিংসার গ্রামের খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ মূল্য ৮১ হাজার টাকা ডাক তোলেন।
এ ব্যাপারে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ৮১হাজার টাকায় সর্বোচ্চ মূল্য উঠে উম্মুক্ত নিলামে। আগামী শনিবার থেকে ওই ব্যক্তির কাছে বালু বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর আলোকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করার অপরাধে একটি ভেকু ও ভরাট করা বালু জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, এর আগেও গত ১৯ ফেব্রিয়ারি বালু ফেলে জলাশয় ভরাটের দায়ে বড় হরণে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দসহ এক লাখ টাকা করিমানা করা হয়। তিনি বলেন, পরিবেশ আইনে জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই।
চলারপথে রিপোর্ট :
আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ পক্ষ উপলক্ষে আজ ৪ ডিসেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এডাবের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
দুপুরে শহর বাইপাস সড়কের সার্কিট হাউজের সামনে আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এডাব, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি এস.এম শাহীনের সভাপতিত্বে নারী ও কন্যা শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে বিনিয়োগ করি প্রতিপাদ্য বিষয়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু।
এ সময় বক্তারা, নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহবান জানান। মানববন্ধনে বিভিন্ন এনজিও নারী সংগঠনের প্রতিনিধি অংশ গ্রহণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে থানায় এই মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ৫৩জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সুজন দত্ত (৩৩), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাসুম বিল্লাহ (৪০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল (৩৫), সহ-সভাপতি মহসিন মোল্লা (৩০), সহ-সভাপতি ওবাইদুর রহমান বাবু (৩০), সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আফরিন ফাতেমা জুই (৩০), জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিকাইল হোসেন (২৭), সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন আফ্রিদি (২৬), সদর উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জসীম উদ্দিন রানা (৩৫), সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, শহর ছাত্রলীগের সভাপতি সামী আহমেদ নাবিল, সাধারণ সম্পাদক শেখ মঞ্জুরে মওলা ফারানী-(৩০), ব্রাহ্মণবাড়িয়া কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সভাপতি জুবায়ের আহমেদ খান (৩২), জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি সুমন মিয়া (৪০), শহর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন লিটন (৩৫), শহর যুবলীগের সাবেক সভাপতি আমজাদ হোসেন রনি (৩৫), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি রিদওয়ান আনসারী রিমো (৩৫ ) ও জুম্মান সরকার (৪০), জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোমিন মিয়া (৩০) ও যুব মহিলা লীগের নেত্রী উম্মে হানি ওরফে সেতু (৩৭)। এছাড়াও মামলায় অজ্ঞাতনামা ১৫০-২০০ জনকে আসামী করা হয়।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১ টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে শহরতলীর বিরাসার মোড় থেকে জেলা শহরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। মিছিলটি বিরাসার চৌরাস্তায় পৌঁছালে ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র, ইট-পাটকেল, ককটেল ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে জড়ো হয়। সে সময় তারা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর অতর্কিতভাবে ককটেল ও পটকা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করে।
এক পর্যায়ে তারা ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হত্যার উদ্দেশে আঘাত করলে বেশ কয়েকজন সাধারণ জনতা ও ছাত্র আহত হয়। পরে ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা অনেক মোটরসাইকেল আগুনে পুড়িয়ে সম্পদের ক্ষতি সাধন করে।
এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মোজাফফর বলেন, পুলিশের কাজে বাঁধা প্রদানসহ সম্পদের ক্ষতি সাধণ করায় বিস্ফোরক আইনে গত বৃহস্পতিবার রাতে পুলিশের এক এসআই ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের ৫৩জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১৫০ থেকে ২০০জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর আওতায় ৬৬২টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে জায়গার দলির ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১০৫ টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ১২৬ টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১০০ টি পরিবার, আখাউড়া উপজেলায় ০৮ টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৪৯ টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার ও নাসিরনগর উপজেলায় ২৫৪টি পরিবারের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
আজ ২২ মার্চ বুধবার সকালে গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উদ্বোধন করেন। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৬টি উপজেলাকে “ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন।
“ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত উপজেলাগুলো হচ্ছে বিজয়নগর উপজেলা, নাসিরনগর উপজেলা, সরাইল উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও আখাউড়া উপজেলা।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা, নবীনগর উপজেলা, আখাউড়া উপজেলা, সরাইল উপজেলা, আশুগঞ্জ উপজেলা ও নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপকারভোগীদের মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০৫জন উপকারভোগীর মধ্যে জমির দলিল ও ঘরের চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোঃ আমিনুর রহমান।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান,যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা।
অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে সঙ্গীতা বেগম বলেন, আগে আমরা নৌকায় থাকতাম। যাযাবর জীবন ছিলো আমাদের। এখন থেকে নিজের ঘরে থাকব, এর চেয়ে আনন্দের আর কি হতে পারে। তিনি তাকে ঘর দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
একই আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া বেদে শিল্পী বেগম বলেন, জীবনে অনেক কষ্ট করেছি। প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপন ঠিকানা দিয়েছেন। যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করব। তিনি বলেন, আমি জীবনেও নিজের জায়গায় পাকা ঘরে থাকতে পারব ভাবিনি, প্রধানমন্ত্রী আমার সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন।
সদর উপজেলার সুলতানপুর আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঘর পাওয়া প্রতিবন্ধী হিরন মিয়া বলেন, আগে ভাইয়ের বাড়িতে থাকতাম। এখন নিজের ঘরে থাকব। শেখ হাসিনা আমাকে জায়গাসহ ঘর দিয়েছে, আমি অনেক খুশি।
ঘর পাওয়া আনোয়ার, রবিউল ও শফিক মিয়া জানান, আজ প্রধানমন্ত্রীর ঘর পেয়ে ঈদের আগেই ঈদ মনে হচ্ছে। আজ থেকে আমরা আমাদের স্বপ্নের নিজের ঘরে থাকব। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের স্বপ্ন পূরণ করে দিয়েছেন। যত দিন বেঁচে থাকব তত দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য প্রাণভরে দোয়া করব।
উল্লেখ্য, বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হস্তান্তর করা ১০৫টি ঘরের মধ্যে সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫টি ঘর বেদে পরিবারকে দেয়া হয়।