চলারপথে রিপোর্ট :
মাত্র সাড়ে ৭ টাকার ইনজেকশন প্রায় ৫০ গুণ বেশি দাম চাওয়ায় এক ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর আজ ২ জুলাই বুধবার দুপুরে শহরের কুমারশীল মোড় এলাকার জান্নাত ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে এ জরিমানা করেন।
অভিযানের নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী। এ সময় কনজ্যুমার এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সাধারণ সম্পাদক এস. এম. শাহীন অভিযানে সহযোগীতা করেন। সে সাথে ০৫ আনসার ব্যাটলিয়নের একটি দল নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, গত দুই দিন আগে মধ্য রাতে মুফতি কামরুল হাসান নামে একজন ভোক্তা জান্নাত ফার্মেসিতে একটি ইনজেকশন ক্রয় করতে যান। গভীর রাত হওয়ার কারণে এবং পার্শ্ববর্তী অন্যান্য ফার্মেসিগুলো বন্ধ থাকার কারণে ওই ওষুধ বিক্রয় প্রতিষ্ঠানের মালিক সাড়ে ৭ টাকার ইনজেকশন সাড়ে তিনশত টাকা দাম চান। ক্রেতা তখন তাকে ক্রয় রশিদ দিতে বলেন। কিন্তু দোকানদার তা দিতে রাজি হননি। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়। এতে জনসাধারণের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। এরই প্রেক্ষিতে বুধবার দুপুরে প্রতিষ্ঠানটিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় পাশাপাশি অন্যান্য ক্রেতারা ওই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কৃত্রিম সংকটকালে অতিরিক্ত দাম রাখার অভিযোগ করেন।
ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, এ ঘটনায় অভিযান চালিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। ফলে জান্নাত ফার্মেসিকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রজন্মকে উজ্জীবিত করতে ‘১৯৫২ ভাষা আন্দোলন থেকে ১৯৭৫ এ জাতির পিতার নির্মম হত্যাকান্ড পর্যন্ত প্রকৃত ইতিহাস প্রজন্মকে শিক্ষার সুযোগ দিতে হবে। তিনি আজ ১ জুন বৃহস্পতিবার খ্রীষ্ট্রিয়ান মিশন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জেলাপরিষদের অর্থায়নে নির্মিত ভাষা শহীদের স্মরণে শহীদ মিনার উদ্বোধনকালে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ব্যাপটিষ্ট মিশন ইনচার্জ ফাদার টাইটাস দাস গুপ্ত জয়, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নিরুপমা কর্মকার ও টমাস তুহীন দাস প্রমুখ মিশনের গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ ও শিক্ষকমন্ডলী উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাহে রমজানে বাজার স্থিতিশীল রাখতে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনা করেছে জেলা প্রশাসন।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন বিপিএমসহ ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা এ মনিটরিং কার্যক্রম চালান।
এ সময় তারা শহরের আনন্দবাজার, জগৎবাজার, সড়ক বাজার, কোর্ট রোডসহ বিভিন্ন বাজারের ক্রেতা বিক্রেতাদের সাথে পন্যের মূল্য নিয়ে কথা বলেন এবং বিভিন্ন দোকানের ক্রয় মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্য সঠিকতা যাচাই করেন।
বাজার মনিটরিং কার্যক্রমে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম না বাড়ানো, দোকানে পণ্যের অতিরিক্ত মজুত না করা এবং সঠিক মূল্যতালিকা টানানোর বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান জানান, যদি কোনো ব্যবসায়ী পণ্য মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে এবং নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি বিক্রি করেন, তাহলে সে ব্যবসায়ীকে আইনের আওতায় আনা হবে। বাজারদর স্বাভাবিক রাখতে জেলা শহরের পাশাপাশি উপজেলা পর্যায়ের বাজারগুলোতেও নিয়মিত মনিটরিং কার্যক্রম চলবে বলে জানান তিনি।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মুহাম্মদ আলমগীর কবির, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মেহেদী হাসান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আলহাজ্ব আজিজুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভাদুঘর পৌর বাস টার্মিনালে অবস্থিত পৌরসভার কোরবানির পশুর হাটে ছোট আকারের গরুর চাহিদা সবচেয়ে বেশি, এরপরই রয়েছে মাঝারি গরুর চাহিদা। বড় সাইজের গরু নিয়ে এসে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন অনেক ব্যাপারী। তারা যে দাম হাঁকাচ্ছেন তার অর্ধেক দাম বলছেন ক্রেতারা। তাই ব্যাপারীরা বেশ হতাশ। ঈদের বাকি এক দিন, এর মধ্যে বড় সাইজের গরু বিক্রি করতে না পারলে কপালে হাত উঠবে তাদের।
আজ ১৫ জুন শনিবার ক্রেতা- বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছোট ও মাঝারি সাইজের গরুর ক্রেতা সবচেয়ে বেশি। বিক্রেতাদের মধ্যেও যারা এই আকারের গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন তাদের বিক্রি ভালো হচ্ছে। বিভিন্ন আকারের ও রঙের গরু এসেছে হাটে। প্রচুর বড় গরু এনেছেন বিক্রেতারা। তবে মাঝারি গরুর সংখ্যাটা বেশি। সর্বনিম্ন ৭৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা এবং সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ থেকে সাত লাখ টাকা পর্যন্ত দাম হাঁকাতে দেখা গেছে ব্যাপারীদের। অপরদিকে খাসির দাম আকারভেদে সর্বনিম্ন ১০-১৫ হাজার, আর সর্বোচ্চ জাত ও আকারভেদে ৩০-৬০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাঁকা হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, শুক্রবার পর্যন্ত ক্রেতা ছিল কম। শনিবার সকাল থেকেই বিক্রি বাড়তে থাকে। বিকেলের পর থেকে ক্রেতা সমাগম আরও বেড়েছে।
ব্যাপারীরা জানান, এবার হাটের অবস্থা ভালো নয়। ক্রেতাদের হাতে তেমন টাকা নেই বলে তাদের ধারণা। কারণ অধিকাংশ ক্রেতা হাটে ঢুকেই মাঝারি গরু খুঁজছেন। ফলে বড় সাইজের গরুর কি হবে তা নিয়ে তারা এখন দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
এদিকে শহর ও তার আশেপাশের লোকজনের বেশিরভাগই বাসা বাড়িতে পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় ঈদের একদিন আগে গরু কিনেন তারা। সেই হিসেবে আজ রবিবার ভালো বেচাকেনা হবে এমনটাই মনে করছেন অনেকে।