জলবায়ু তহবিলের ১০০ কোটি ডলার পাচ্ছি: একনেকে প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 12 September 2023, 627 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে বাংলাদেশ ১০০ কোটি ডলার পাচ্ছে। এ অর্থ শুধু জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ব্যয় করা যাবে। অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে সুন্দরবন রক্ষা প্রকল্প। এ-সংক্রান্ত প্রকল্প নেওয়ার ক্ষেত্রে পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক ব্যাপকভিত্তিক পরিকল্পনা ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে সমন্বয় করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে আজ ১২ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার এসব নির্দেশনা ও পরামর্শ দেন তিনি। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন নির্দেশনা এবং একনেক বৈঠকের অন্যান্য বিষয় তুলে ধরেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেন, ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর ঢাকা সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে জলবায়ু তহবিল নিয়ে আলোচনা হয়। ১০০ কোটি ডলার পাওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন ফরাসি প্রেসিডেন্ট।

এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু সম্পর্কিত ‘উচিত প্রকল্প’ করে তাদের বুঝিয়ে অর্থ আনতে হবে। এ অর্থ পেতে কোনো নির্ধারিত সময়সীমা নেই। তবে দুই-তিন বছরের মধ্যে যখন যা লাগে, তারা দেবে। ডেলটা প্ল্যানের সঙ্গে মিল রেখে প্রকল্প নিতে হবে, যাতে একই ধরনের একাধিক প্রকল্প না থাকে।

প্রধানমন্ত্রীর অন্যান্য নির্দেশনা সম্পর্কে এম এ মান্নান জানান, বন্যার ক্ষতি এড়াতে প্রয়োজনীয় পয়েন্টে আরও বেশি কালভার্ট নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যেখানে পানির চাপ বেশি, সেখানে নতুন করে কালভার্ট নির্মাণ করা হলে আর সড়ক ভাঙবে না। সেতু নির্মাণে উচ্চতার বিষয়ে আবারও সতর্ক করেছেন তিনি। সেতুর নকশার বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন, যাতে প্রকল্পের মাঝপথে সেতু ভাঙতে না হয়। এ ছাড়া বাণিজ্য-সংক্রান্ত মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য আইনমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

আগস্টে রেকর্ড মূল্যস্ফীতি ডিম-মুরগির কারণে

আগস্টে খাদ্যপণ্যে রেকর্ড মূল্যবৃদ্ধি-সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, আগস্টে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতির কারণ ছিল ডিম ও মুরগি। এ দুটি পণ্যের দর বৃদ্ধির প্রভাবে এত বেশি মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতির বিষয়টি সরকারের নজরে রয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি থেকে স্বাভাবিক মূল্যস্ফীতিতে ফিরে আসা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী তিনি।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেছেন, ‘মূল্যস্ফীতির চক্রে পড়েছি আমরা।’ প্রতি বছরই আগস্ট ও সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি বাড়ে। নভেম্বর থেকে আবার কমে আসে। তিনি আরও বলেন, ‘বর্ষার কারণেও মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আমদানি শুল্ক কমানো, কৃষিতে ভর্তুকি, সুদের হার বাড়ানোসহ সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এসব কারণে মূল্যস্ফীতি দুই অঙ্কের ঘরে যায়নি।’

১৯ প্রকল্প অনুমোদন

একনেকে বিভিন্ন খাতের ১৯টি উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। এসব প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ১৮ হাজার ৬৬ কোটি টাকা। এ ব্যয়ের মধ্যে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি টাকা বিদেশি ঋণ, বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর ৪৫০ কোটি এবং বাকি ১২ হাজার ৬০ কোটি টাকা সরকারের নিজস্ব জোগান।

অনুমোদিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে ১২টি নতুন এবং সাতটি সংশোধিত। এ ছাড়া নতুন করে ব্যয় না বাড়িয়ে সময় বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে একটি প্রকল্পের। সবচেয়ে বেশি ৪ হাজার ২৮৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে মোংলা বন্দরের সুবিধাদি সম্প্রসারণ ও উন্নয়ন প্রকল্পে। এ অর্থের ৩ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা ঋণ দিচ্ছে চীন সরকার। নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী ডিসেম্বরে কাজ শুরু এবং ২০২৭ সালের ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা।

Leave a Reply

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বচ্ছতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে ৮৩…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সম্পূর্ণ স্বচ্ছতা ও সঠিক প্রক্রিয়ায় ৮৩জন Read more

জননিরাপত্তার নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত…

চলারপথে রিপোর্ট : জননিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য রাজনৈতিক ঐক্যমত একান্ত Read more

বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ গ্রেফতার ১

চলারপথে রিপোর্ট : বিজয়নগর উপজেলা থেকে বিপুল পরিমাণ গাঁজাসহ ১ Read more

সম্মেলনকে কেন্দ্র করে বাঞ্ছারামপুরে ১৪৪ ধারা…

চলারপথে রিপোর্ট : বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় সম্মেলনকে কেন্দ্র করে উপজেলা ও Read more

বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও…

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “বৈষম্যহীন নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে অংশীজন ও Read more
ফাইল ছবি

আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ট্রেনের ধাক্কায় মাথায় আঘাত পেয়ে অজ্ঞাতনামা Read more

আখাউড়ায় বিনামূল্যে ধান বীজ বিতরণ চলারপথে রিপোর্ট : আখাউড়া উপজেলায় Read more

কুয়েতে সড়ক দুর্ঘটনায় আবু বাক্কার নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : কুয়েতে প্রাইভেটকার দুর্ঘটনায় শেখ আবু বাক্কার (৩৪) Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাস উল্টে যাত্রী নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : সরাইল উপজেলায় বাস উল্টে গোপী কান্ত ঘোষ Read more

ট্রাক-অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ একজন নিহত

চলারপথে রিপোর্ট : ট্রাক ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে অটোরিকশার Read more

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের বিতর্ক প্রতিযোগিতা

চলারপথে রিপোর্ট : ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশু নাট্যমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে Read more

ইয়াবা ট্যাবলেটসহ দুই পাচারকারী গ্রেফতার

চলারপথে রিপোর্ট : আশুগঞ্জে ১হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গোপাল রায় Read more

সেতুর অভাবে চলাচলে ভোগান্তি

জাতীয়, 17 July 2023, 708 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ আকারের প্রবাহমান একটি খাল যেটি সরাসরিভাবে যুক্ত হয়েছে সুবিশাল যমুনা নদীর সাথে। শুষ্ক মৌসুমে খালের পানি কম থাকলেও বর্ষা মৌসুমে পানি বেড়ে যায় কয়েক গুণ। আর এই খালের উপর চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট কোনো সেতু না থাকায় ২০১৮ সালে এলাকাবাসীর শ্রম ও নিজস্ব অর্থায়নে তৈরি করা হয়েছিলো একটি কাঠের সাঁকো। সাঁকো দিয়ে প্রায় ৪ বছর ধরে চলাচল করে আসছিলো সিরাজগঞ্জের সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের সড়াতৈল, খোলাবাড়ি, পোড়াবাড়ি, মদনাবাড়ি, ভেন্নাবাড়ি, রুপেড়বেড় গ্রামের সর্বস্তরের জনসাধারণ। বর্তমানে সেতুটির বেহাল অবস্থা হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ৬ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার মানুষের।

স্থানীয়রা জানান, চলাচলের জন্য নির্দিষ্ট কোন রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়ে ঝুঁকি নিয়ে শিশুদের স্কুলে যাওয়া-আসা করতে হয় এই সাঁকো দিয়ে, এছাড়াও কৃষকদেরকে জমি থেকে ফসল নিয়ে আসতে বেগ পেতে হয়। প্রায়ই সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে আহত হচ্ছে অনেকে। ঝুঁকিপূর্ণ এই সেতু পার হতে গিয়ে যেকোন সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রিপন মিয়া জানান, সাঁকোটির অবস্থা বর্তমান খুবই ভয়াবহ। স্থানীয়রা বিষয়টি আমাকে অবগত করলে ৬ মাস আগে উপজেলা চেয়ারম্যানের কাছে সেতু নির্মাণের জন্য একটি আবেদন করা হয়। পরে আশ্বস্ত করা হয়েছিল এই খালের উপর দিয়ে সেতু নির্মাণ করে দেওয়া হবে।

যেকোনো কারখানায় ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করা যাবে : আইনমন্ত্রী

জাতীয়, 22 April 2024, 310 Views,
ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :
এখন থেকে যেকোনো কারখানায় শ্রমকল্যাণ সমিতি গঠন করতে করা যাবে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।

আজ ২২ এপ্রিল সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে যুক্তরাষ্ট্রের একটি বাণিজ্যিক প্রতিনিধি দল। তাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

আইনমন্ত্রী বলেন, তারা (প্রতিনিধি দল) মূলত বাংলাদেশের শ্রম আইন, শ্রমিকদের অধিকার এবং তা নিয়ে আমরা কী কাজ করছি, তা নিয়ে আমার সাথে আলোচনা করেছেন। তাদের গুরুত্বপূর্ণ যে প্রশ্ন ছিল, সেটি হচ্ছে- বাংলাদেশে শ্রমিক আইনের যে সংশোধন হচ্ছে, সেটির বর্তমান পরিস্থিতি কী, কী করা হচ্ছে? ১১টা ব্যাপারে তাদের জানার ইচ্ছা ছিল এবং এ ব্যাপারে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, তা তাদের জিজ্ঞাসায় ছিল।

তিনি বলেন, তাদের প্রথম জিজ্ঞাসা ছিল, থ্রেশহোল্ড (ট্রেড ইউনিয়ন গঠনে শ্রমিকদের সম্মতির হার) নিয়ে। অর্থাৎ ট্রেড ইউনিয়ন গঠন করার জন্য যে কত শতাংশ শ্রমিক প্রয়োজন, সেটি নিয়ে। প্রথমে ২০১৬ সালের দিকে ৩০ শতাংশ ছিল। ২০১৭ সালে যখন আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) সম্মেলনে যাই, তখন এই থ্রেশহোল্ড ২০ শতাংশে নিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।

তিনি আরো বলেন, তখন আমি বলেছিলাম, এটা আমরা আরও কমাব, তবে সেটি ধীরে ধীরে। এবার যখন সংশোধনী হয়, তখন প্রথম প্রস্তাব ছিল-এটাকে ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নিয়ে আসব। কিন্তু সেখানে একটা ক্যাভিয়েট (শর্ত) ছিল, এটা শুধু যেসব কারখানায় তিন হাজার বা তার চেয়ে বেশি শ্রমিক কর্মরত, তাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। কিন্তু সেই সীমাও উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

আনিসুল হক বলেন, শ্রম আইন নিয়ে সমস্যা যখন হয়েছিল, রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে ফেরত আনা হয়েছিল, তার পরের আলোচনায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি… আমরা এটা সবার জন্য করব, কোনো ক্যাপ (সীমা) থাকবে না। সেটিও আমরা মার্কিন প্রতিনিধিদের জানিয়েছি।

মন্ত্রী বলেন, তারপরে বাংলাদেশ শ্রমিক আইন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ যেটা হচ্ছে, সেখানে প্রযোজ্য হবে। আগে বাংলাদেশ এক্সপোর্ট প্রসেসিং জোন লেবার অ্যাক্টে প্রযোজ্য হওয়ার কথা ছিল। সেই সংশোধনী আমরা করেছি। যে ১১টি বিষয় তারা জানতে চেয়েছিলেন, তাতে এগুলো ছিল।

তিনি বলেন, আমরা যেটা এরইমধ্যে শেষ করেছি, সেটি সম্পর্কে তাদের বলেছি। যেটা নিয়ে কাজ করেছি, সেটিও বলেছি… যেমন, শ্রমিক অধিকার নিয়ে। এটা চলমান কাজ। শ্রমিকদের অধিকার দিন দিন বাড়বে, কমবে না।

তবে শ্রমিকদের অধিকার দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন দেশ থেকে কী পাওয়া হচ্ছে, সেটি বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে না বলে জানান আনিসুল হক। বলেন, কোনো দেশ কী আমাদের দেবে, কী আমাদের দেবে না-সেটির ওপর নির্ভর করে আমরা শ্রমিকদের অধিকারের ব্যাপারে চিন্তা-ভাবনা করব না।

তিনি বলেন, সবসময় শ্রমিকদের অধিকার যা আছে, তার থেকে বেশি যাতে তারা পায় এবং অধিকার বাস্তবায়ন করা, তারা যাতে সেটি ভোগ করতে পারে, সেটি নিশ্চিত এই সরকার করবে।

বাংলাদেশের শ্রম আইন ও অধিকারের বিষয়ে শোনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এই আলোচনার পর মার্কিন প্রতিনিধিরা আমাকে বলেছে, তারা সন্তুষ্ট হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ

জাতীয়, 20 February 2024, 409 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
আজ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ১৯৫২ সালের এই দিনে মাতৃভাষা বাংলার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমাদের তরুণ ছাত্র যুবকের রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল ঢাকার রাজপথ। তাদের সেই সংগ্রাম এবং আত্মত্যাগ জাতি হিসেবে আমাদেরকে পৃথিবীর ইতিহাসে অবিস্মরণীয় করেছে।

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও গত কয়েক বছর ধরে দিবসটি পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশের সীমানা ছাড়িয়ে ২০০০ সাল থেকে প্রতি বছর একুশে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হয়ে আসছে সারা বিশ্বে। আমাদের দেশে এটি শহীদ দিবস হিসেবে পরিচিত।
বাঙালি জাতির জন্য এ দিবসটি হচ্ছে চরম শোক ও বেদনার। অন্যদিকে মায়ের ভাষা বাংলার অধিকার আদায়ের জন্য সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত। যে কোন জাতির জন্য সবচেয়ে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার হচ্ছে মৃত্যুর উত্তরাধিকার-মরতে জানা ও মরতে পারার উত্তরাধিকার। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদরা জাতিকে সে মহৎ ও দুর্লভ উত্তরাধিকার দিয়ে গেছেন।

১৯৫২ সালের এদিনে ‘বাংলাকে’ রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বাংলার (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) ছাত্র ও যুব-সমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ সে সময়ের শাসকগোষ্ঠীর চোখ-রাঙ্গানি ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।

মায়ের ভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তোলায় সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে পুলিশ গুলি চালালে সালাম, জব্বার, শফিক, বরকত ও রফিক গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন।
্রওই দিন দেশের প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, প্রতিটি শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানানো হয়। প্রতিটি শহীদ মিনার ভরে উঠে ফুলে ফুলে। মানুষের ঢল নামে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ঢাকার সব অলিগলি রাজপথ থেকে খালি পায়ে ফুল হাতে মানুষের মিছিল ছুটে আসে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজসংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের দিকে। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় ভাষা শহীদদের স্মরণে লেখা গান ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/ আমি কি ভুলিতে পারি’।

এই দিবসটি পালন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ পৃথক বাণী দেন।

স্বল্প আয়ের তরুণ উদ্যোক্তা নির্বাচনের লক্ষ্যে সভা

জাতীয়, 24 September 2023, 594 Views,

চলারপথে রিপোর্ট :
জয়পুরহাটে রেইজ প্রকল্পের আওতায় বেকার তরুণ-তরুণীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে স্বল্প আয়ে উদ্যোক্তা নির্বাচনের লক্ষ্যে কমিউনিটি আউটরিচ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পল্লীকর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের অর্থিক সহযোগিতায় জাকস ফাউন্ডেশন এ সভার আয়োজন করে।

আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে জাকস ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে এই কমিউনিটি আউটরিচ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জাকস ফাউন্ডেশনের উপ নির্বাহী পরিচালক আবুল বাসার।

আরো বক্তব্য রাখেন পরিচালক রফিকুল ইসলাম, উপ পরিচালক খোরশেদ আলম, ওবায়দুল ইসলাম, রেইজ প্রকল্পের কো-অর্ডিনেটর জাহাঙ্গীর আলম, কেস ম্যানেজমেন্ট অফিসার আবু তাহের আনসারী প্রমুখ। এই প্রকল্পের আওতায় ১৫০ জন তরুণ-তরুণী মোবাইল ফোন, মোটরসাইকেল সার্ভিসিংসহ ১৭টি বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ নিবেন।

সভায় স্থানীয় জনগোষ্ঠির বিভিন্ন পেশার মানুষ অংশ নেয়।

দয়া করে কর পরিশোধ করুন: প্রধানমন্ত্রী

জাতীয়, 5 February 2023, 1175 Views,

চলারপথে ডেস্ক :
করদাতার সংখ্যা বাড়ানোর পাশাপাশি আরো কর সংগ্রহের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশবাসীকে কর প্রদানের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শুধু রাজধানী বা শহরে নয়, সারা দেশে কর দিতে সক্ষম যারা, দয়া করে আপনার কর পরিশোধ করুন। সরকার আপনার পরিষেবা ও কল্যাণে আপনার অর্থ ব্যবহার করবে।

আজ ৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) দুই দিনব্যাপী রাজস্ব সম্মেলন উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানে এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমগ্র বিশ্ব এখন অর্থনৈতিক মন্দা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যার প্রভাব বাংলাদেশের ওপরও পড়েছে। কাজেই আমাদের সেগুলোর (অর্থনৈতিক মন্দা এবং উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির হার) মোকাবিলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। আমরা যত বেশি ট্যাক্স সংগ্রহ করব, ততই এটি অতিক্রম করা সহজ এবং সম্ভব হবে।

প্রধানমন্ত্রী করের পরিমাণ বাড়ানোর পরিবর্তে করদাতার সংখ্যা সম্প্রসারণে আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করতে এবং জনগণকে কর দিতে উদ্বুদ্ধ করতে সারাদেশে ব্যাপক সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার যাতে রাষ্ট্র চালাতে পারে বা মানুষের জন্য কাজ করতে পারে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি দিতে হবে। কারণ, ভর্তুকি আমরা আর কত দিতে পারব? তাছাড়া আমাদের উন্নয়নকাজগুলো যাতে ব্যহত না হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে।

তিনি আরো বলেন, আপনারা উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে যদি যান, যে পরিবর্তন হয়েছে গত ১৪ বছরের সেই পরিবর্তনটা আপনারা দেখতে পাবেন। এখন আর কেউ কুঁড়ে ঘরে বাস করে না, ভূমিহীন-গৃহহীন প্রত্যেককে তাঁর সরকার বিনা পয়সায় ঘর তৈরি করে দিচ্ছে। আর্থিক সহায়তা দিয়ে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দিচ্ছে। পাশাপাশি ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের সুযোগও করে দেয়া হচ্ছে।

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছে যেখানে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং আওয়ামী লীগ সরকারের তৃণমূল পর্যায়েরও উন্নয়ন নীতির কারণে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়েও অর্থনীতির গতিশীলতা তৈরি হয়েছে।

তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে পারি যে, গত ১৪ বছরে আমূল পরিবর্তন এসেছে। করদানের সক্ষমতা কিন্তু আমাদের উপজেলা এমনকি ইউনিয়ন পর্যায়েও রয়েছে। সেখানে আমরা যদি একটু প্রচার-প্রচারণা ভালোভাবে চালাই তাহলে মানুষ কিন্তু স্বতঃস্ফূর্ত ভাবে আসবে। কারণ তারাতো সেবা পাচ্ছে। এই সেবাটা পাওয়ার জন্যই তারা করবে।

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম এবং সদস্য ড. আব্দুল মান্নান শিকদার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য প্রদ্যুৎ কুমার সরকার।

অনুষ্ঠানে এনবিআরের কার্যক্রমের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।

প্রধানমন্ত্রী এর আগে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ৪১২ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) নবনির্মিত ১২তলা রাজস্ব ভবন উদ্বোধন করেন। ভবন উদ্বোধনের পর প্রধানমন্ত্রী এর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনও করেন। সূত্র : বাসস