অনলাইন ডেস্ক :
বিনাপরোয়ানা গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শস্তি কোটি টাকা জরিমানা ও ১৪ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রেখে জাতীয় সংসদে সাইবার নিরাপত্তা বিল–২০২৩ পাস হয়েছে।
আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার রাতে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বিলটি পাসের জন্য প্রস্তাব করলে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়। এর আগে জনমত যাচাইয়ের জন্য দেওয়া প্রস্তাবে আলোচনায় বিরোধী দলের সদস্যরা বিলটি বিভিন্ন ধারা নিয়ে আপত্তি তোলেন ও বিরোধিতা করেন। বিশেষ করে পরোয়ানা ছাড়া সাংবাদিকদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিয়ে তারা বিরোধিতা ও আপত্তি জানান। তবে বিরোধী দলের সদস্যদের জনমত যাচাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকোচ হয়েছে যায় এবং বিলটি পাস করা হয়। এ সময় ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন রহিত করে এ বিলটি পাস করা হয়।
এই বিলের ২৭ ধারায় সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংঘটনের অপরাধ ও দণ্ড সম্পর্কে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় অখণ্ডতা, নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব বিপন্ন করা এবং জনগণ বা উহার কোনো অংশের মধ্যে ভয়ভীতি সঞ্চার করিবার অভিপ্রায়ে কোনো কম্পিউটার বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেট নেটওয়ার্কে বৈধ প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেন বা বেআইনি প্রবেশ করেন বা করান; কোনো ডিজিটাল ডিভাইসে এইরূপ দূষণ সৃষ্টি করেন বা ম্যালওয়্যার প্রবেশ করান যাহার ফলে কোনো ব্যক্তির মৃত্যু ঘটে বা গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হন বা হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়; বা জনসাধারণের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের সরবরাহ ও সেবা ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংসসাধন করেন বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোর উপর বিরূপ প্রভাব বিস্তার করেন; বা ইচ্ছাকৃতভাবে বা জ্ঞাতসারে কোনো কম্পিউটার, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক, সংরক্ষিত কোনো তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ বা অনুপ্রবেশ করেন বা এইরূপ কোনো সংরক্ষিত তথ্য-উপাত্ত বা কম্পিউটার ডাটাবেইজে প্রবেশ করেন যাহা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্রের সহিত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বা জনশৃঙ্খলা পরিপন্থি কোনো কাজে ব্যবহৃত হইতে পারে অথবা বৈদেশিক কোনো রাষ্ট্র বা কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে ব্যবহার করা হইতে পারে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে সাইবার সন্ত্রাস অপরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এই অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ১৪ বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
বিলের ২৮ ধারায বলা হয়েছে, ওয়েবসাইট বা কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করে এইরুপ কোনো তথ্য প্রকাশ, সম্প্রচার, ইত্যাদি যদি কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী ইচ্ছাকৃতভাবে বা জাতভাবে ধর্মীয় মূল্যবোধ বা অনুভূতিতে আঘাত করিবার বা উস্কানি প্রদানের অভিপ্রায়ে ওয়েবসাইট বা অন্য কোনো ইলেকট্রনিক বিন্যাসে এইরূপ কিছু প্রকাশ বা প্রচার করেন বা করান, যাহা ধর্মীয় অনুভূতি বা বীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত করে, তাহা হইলে উক্ত ব্যক্তির অনুরূপ কার্য হইবে একটি অরাধ। যদি কোনো ব্যক্তি এ ধরণের অপরাধ সংঘটন করেন, তাহা হইলে তিনি অনধিক ২ বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ৫ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে।
বিলের ৩২ ধারায় বলা হয়েছে, হ্যাকিং সংক্রান্ত অপরাধ ও দণ্ড। যদি কোনো ব্যক্তি হ্যাকিং করেন, তাহা হইলে উহা হইবে একটি অপরাধ এবং তজ্জন্য তিনি অনধিক ১৪ (চৌদ্দ) বৎসর কারাদণ্ডে বা অনধিক ১ (এক) কোটি টাকা অর্থদণ্ডে, বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হইবেন।
এ বিলের ৪২ ধারায় পরোয়ানা ব্যতিরেকে তল্লাশি, জব্দ ও গ্রেফতার প্রসঙ্গে বলা আছে, যদি কোনো পুলিশ অফিসারের এইরূপ বিশ্বাস করিবার কারণ থাকে যে, কোনো স্থানে এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ সংঘটিত হইয়াছে বা হইতেছে বা হইবার সম্ভাবনা রহিয়াছে বা সাক্ষ্য প্রমাণাদি হারানো, নষ্ট হওয়া, মুছিয়া ফেলা, পরিবর্তন বা অন্য কোনো উপায়ে দুষ্প্রাপ্য হইবার বা করিবার সম্ভাবনা রহিয়াছে, তাহা হইলে তিনি, অনুরূপ বিশ্বাসের কারণ লিপিবদ্ধ করিয়া, উক্ত স্থানে প্রবেশ করিয়া তল্লাশি এবং প্রবেশে বাধাপ্রাপ্ত হইলে ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ; উক্ত স্থানে তল্লাশিকালে প্রাপ্ত অপরাধ সংঘটনে ব্যবহার্য কম্পিউটার, কম্পিউটার সিস্টেম, কম্পিউটার নেটওয়ার্ক, তথ্য-উপাত্ত বা অন্যান্য সরঞ্জামাদি এবং অপরাধ প্রমাণে সহায়ক কোনো দলিল জব্দকরণ; উক্ত স্থানে উপস্থিত যে কোনো ব্যক্তির দেহ তল্লাশি; উক্ত স্থানে উপস্থিত কোনো ব্যক্তি এই আইনের অধীন কোনো অপরাধ করিয়াছেন বা করিতেছেন বলিয়া সন্দেহ হইলে উক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার। এবং এর অধীন তল্লাশি সম্পন্ন করিবার পর পুলিশ অফিসার তল্লাশি পরিচালনার রিপোর্ট ট্রাইব্যুনালের নিকট দাখিল করিবেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি যেমন মাথাচাড়া দেবে, জঙ্গিবাদও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। আজ ২৭ জুলাই বৃহস্পতিবার দুপুরে কলকাতা প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন ভারত সফররত ড. হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন একসঙ্গে বাংলাদেশে ৬৩ জেলায় বোমা হামলা হয়েছিল। শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাই, আফগানিস্তানের ট্রেনিংপ্রাপ্তরা প্রকাশ্যে মহড়া দিত। এই হচ্ছে বিএনপি সরকারের আমল।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে ২০০১ সালে যে নির্বাচনে আমরা হেরে যাই এবং বিএনপি ক্ষমতায় আসে, তারপর অন্যান্য ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর অন্যায়ভাবে নির্যাতন হয়েছে। নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মা-মেয়েকে এক রাতে ধর্ষণ করা হয়েছে। গৃহহারাদের জন্য তখন ঢাকায় আমাদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় অফিসে লঙ্গরখানা ও আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছিল।
নিজ দলের আদর্শ তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশ হিসেবে সংগ্রাম করেছে এবং অসাম্প্রদায়িক দল হিসেবে যে দলটি প্রতিষ্ঠিত, সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ডাক দিয়েছিলেন। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবার মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে আমাদের স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে।
বিএনপি নির্বাচনে আসবে কিনা- এ প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, বিএনপি গণমানুষের দল বলে তারা দাবি করে। কিন্তু সিটি কর্পোরেশন এমন কি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনেও তাদের দলের সবাইকে অংশ নিতে বারণ করেছে। এ সত্ত্বেও তাদের অনেকেই কাউন্সিলর, মেম্বার এমনকি চেয়ারম্যান পদেও নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার প্রশ্নে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আমাদের সাথে ভারতের এবং অন্যান্য দেশের আন্তরিক সহযোগিতা আছে। আমাদের শুধু বাণিজ্যে সহযোগিতা নয়, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে নানাবিধ সহযোগিতা আছে। আমরা মনে করি আমাদের অঞ্চলকে নিরাপদ রাখা, এখানে শান্তি, স্থিতি বজায় রাখা আমাদের আন্তরিক দায়িত্ব। একইসাথে ভারতেরও দায়িত্ব। অর্থাৎ এসব ক্ষেত্রে প্রয়োজন আমাদের দুই দেশের সহযোগিতা।
অনলাইন ডেস্ক :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট গ্রহণের আগে-পরে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ১৮৬ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিককে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষ থেকে অনুমতি পাওয়া বিদেশিদের মধ্যে ১২৭ জন পর্যবেক্ষক আর ৫৯ জন বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মী।
আজ ৩ জানুয়ারি বুধবার নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সূত্রে এমন তথ্য জানা গেছে। তবে নির্বাচনের আগে এ সংখ্যা কিছুটা কম বেশি হতে পারে বলেও উল্লেখ করেছেন তারা।
ইসি সূত্রে জানা গেছে, বিদেশি পর্যবেক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের ৪ জন, যুক্তরাষ্ট্রের আইআরআই এবং এনডিআই’র ১২ জন, সাউথ এশিয়া ডেমোক্রেটিক ফোরামের (এসএডিএফ) ৬ জন, দক্ষিণ কোরিয়ার এইচএল গ্রæপের একজন, এসএনএএস আফ্রিকার ২ জন, মুসলিম কমিশন নেপালের ২ জন, যুক্তরাষ্ট্রের বিরনি ল পিএলএলসি-এর একজন, আফ্রিকা হাউজ লন্ডনের ২ জন, বি স্ট্রাটেজিক পার্টনার’র (ব্রিটিশ) একজন, ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন অরগানাইজেশ’র (জাপান) একজন, মুতাশ ক্রিয়েট রিসার্চ’র (জাপান) একজন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের (ভারত) একজন, শ্রীলঙ্কার মেম্বার অব পার্লামেন্ট একজন, অস্ট্রেলিয়ান এক রিসার্চার ও ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম এর যুক্তরাষ্ট্রের একজন নাগরিক।
এছাড়াও জাপানের এক নাগরিক, মালদ্বীপের অ্যাসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেকটোরাল লিং-এর ৩ জন, ব্রিটিশ হাইকমিশন-ঢাকার ১০ জন, ইন্টারন্যাশনাল ডিপ্লোমেটিক কো-অপারেটিভ অরগানাইজেশনের (থাইল্যান্ড) একজন, ভিটেম ফাউন্ডেশন পোল্যান্ড’র একজন, রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন, ইন্টারন্যাশনাল পার্লামেন্টারিয়ানস কংগ্রেসে’র দুই জন, আমেনিকান গেøাবাল স্ট্র্যাটিজিস’র একজন, আমেরিকার এক জন ব্যবসায়ী, অ্যাম্বাসি অব জাপানের ১৭ জন, আফ্রিকান ইলেকটোরাল অ্যালাইয়েন্সের ১২ জন, ব্রিটেনের পার্লামেন্টের ২ জন, ভারতের এক নাগরিক, এসএনএএস আফ্রিকা’র একজন, নেপাল সরকার ও বিভিন্ন দলের ৫ জন, নেপালের দীপেন্দ্র কন্ডেল ইনিশিয়েটিভ’র ৩ জন, মালয়েশিয়ার ৩ বিশিষ্ট জন, দি গোল্ড ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি’র ৩ আমেরিকান, ইআরপি ট্রেডি লিমিটেড’র নরওয়ের একজন, অ্যালায়েন্স ফর হিউম্যানিটি’র একজন ইরাকি, একজন কানাডিয়ান নাগরিক ও জিবিপি ইন্টারন্যাশনাল জার্মানির একজনও সংসদ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।
৫৯ সাংবাদিকের মধ্যে রয়েছেন, আমেরিকার একজন, ইইউ রিপোর্টার, একজন বিট্রিশ, জার্মানির জুঙ্গে ফ্রেইহেট’র একজন, দি দিল্লি টেলিভিশন লিমিটেড’র ২ জন, জাপানের দি ইয়োমিরি সিমবান’র একজন, ভারতের আজকাল’র একজন, জাপানের কিওডু নিউজ’র একজন, ভারতের দি অ্যাসোসিয়েট প্রেস’র ৩ জন, ভারতের দি প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া’র ২ জন, জার্মানির এআরডি জার্মান রেডিও’র ২ জন ও ভারতের আনন্দ বাজার পত্রিকা’র একজন।
জাপানের নাইকিই আইএনসি, জিজি প্রেস ও এনএইচকে (জাপান ব্রডকাস্টিং করপোরেশন) এর ৫ জন; নেপালের কেন্দ্রবিন্দু অনলাইন পিটিবি লিমিটেড’র একজন; ভারতের ডিএসটিভি দার্জিলিং-এর একজন, উত্তরবঙ্গ সংবাদ-এর একজন, দি টেলিগ্রাফ’র একজন, এএনআই’র একজন, এবিপি নিউজ’র ২ জন, আজকাল পাবলিশার্স লিমিটেডে’র একজন, এবিপি নেটওয়ার্ক’র ২ জন, এএনএম নিউজ প্রাইভেট লিমিটেড’র একজন ও জি মিডিয়া’র ২ জন; বিবিসি নিউজ (ভারতীয় ও আমেরিকান) ৪ জন; এরাইজ নিউজ’র এক বিট্রিশ; ফ্রান্সের প্যারিস লা মন্ডে’র একজন; সুইডিশ রেডিও-এর একজন; অ্যাজেন্সি ফ্রান্স প্রেস’র (এএফপি) ৭ জন; রয়টার্সের দুই ভারতীয়; আল জাজিরার এক ব্রিটিশ; অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনের একজন; চায়না গ্লোবাল টেলিভিশন নেটওয়ার্কে দুই ভারতীয়; এআরডি জার্মান টিভি’র এক ভারতীয়; কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন’র একজন; দি ওয়াল কলকাতা’র একজন; ব্রিটিশ এক ফ্রিল্যান্সার ও বিলজিয়ান একজন সাংবাদিককে ভোট দেখার অনুমোদন দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
অনলাইন ডেস্ক :
যুব এশিয়া কাপে টানা দ্বিতীয়বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে বাংলাদেশ। আজিজুল হাকিম তামিমের দল ফাইনালে ভারতকে হারিয়েছে। এমন পারফরম্যান্সের জন্য বিসিবির কাছ থেকে পুরস্কার পাচ্ছেন তারা।
আজ ২১ ডিসেম্বর শনিবার বোর্ড সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সবাইকে দেওয়া হবে তিন লাখ টাকা করে।
কেন্দ্রীয় চুক্তির বাইরেও ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা ছেলে ক্রিকেটারদের সঙ্গে চুক্তি থাকে বিসিবির। এতদিন এমন কিছু ছিল না মেয়েদের ক্রিকেটে। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট চালুর সঙ্গে আরও একটি ভালো খবর পাচ্ছে নারীরা। তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্যও চুক্তি রাখবে বিসিবি।
সভাপতি ফারুক আহমেদ এসব নিয়ে বলেন, ‘এশিয়া কাপজয়ী দলের ক্রিকেটার, প্রত্যেক সদস্যকে আমরা ৩ লাখ টাকা করে প্রাইজমানি দেব। আমাদের মেয়েদের কেন্দ্রীয় চুক্তি একটা আছে আপনারা জানেন। এর সঙ্গে আরও ত্রিশজন ক্রিকেটারকে, ছেলেদের যেমন জাতীয় লিগ যারা খেলে তাদের চুক্তি আছে, তেমনই ত্রিশজন মেয়ের জন্য একটা চুক্তি আনব আমরা। ছেলেদের মতো মেয়েদেরও উইনিং বোনাস চালু করেছি আমরা। যেটা নতুন জিনিস। ’
‘র্যাংকিংয়ের ভিত্তিতে ছেলেরা যেমন একেক অনুপাতে বোনাস পায়, একইভাবে মেয়েরাও বোনাস পাবে। টাকার অংক হয়তো একটু হেরফের হবে, তবে বোনাস পাবে। মূলত এগুলো নিয়েই আলোচনা করেছি। আপনারা জানেন, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হাইব্রিড মডেলে হবে। তাই এটা নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। ’
এবারের বিপিএলে নতুন অনেক উদ্যোগ নিয়ে এসেছে বিসিবি। সোমবার ঢাকায় ও পরে আরও দুটি শহরে হবে মিউজিক ফেস্ট। এসব আয়োজনের কথাও বোর্ড সভার পর জানিয়েছেন ফারুক।
তিনি বলেন, ‘থিম সং, গ্রাফিতি লঞ্চ হয়ে গেছে। কোলাহলপূর্ণ জায়গায় আমরা একটা জায়ান্ট বেলুন দেব। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ক্যাম্পেইন আমরা চালু করেছি। মিউজিক ফেস্টে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে ট্রফি ট্যুর হবে একটা। আমি জানি না আগে করা হয়েছে কিনা। আমাদের মিউজিক ফেস্টের টাইটেল স্পন্সর হিসেবে মধুমতি ব্যাংক এসেছে। তারা ৫ কোটি টাকার কাছাকাছি দেবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
১৫ আগষ্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ কৃষক লীগ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আজ ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুরে বৃক্ষরোপন, বিতরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি।তিনি বলেন, সরকারের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিএনপি জ্বালাও পোড়াও করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্র করছে। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট উম্মে কুলসুম স্মৃতি এম.পি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক ছাদেকুর রহমান শরীফের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, কৃষকলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী জসিম উদ্দিন, আসাদুজ্জামান বিপ্লব, ড. হাবিবুর রহমান মোল্লা, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক নাজির মিয়া, উপদেষ্টা গুলশান আরা বেগম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন কৃষক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক রেজাউল করিম রেজা, সদস্য গোলাম মোস্তফা, মাহবুবুর রহমান নসিম, পিপি মাহবুবুল আলম খোকন, জেলা যুবলীগের সভাপতি এডভোকেট শাহানুর ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের সভাপতি এডভোকেট লোকমান হোসেন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি রুমা আক্তার প্রমুখ।
আলোচনা সভাশেষে প্রধান অতিথি সহ অন্যান্য অতিথিরা বৃক্ষ রোপন করেন এবং কৃষকের মাঝে এক হাজর ২০০ বনজ, ফলজ সহ বিভিন্ন জাতের বৃক্ষ বিতরণ করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র প্রকৌশলী আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) আজ ৭ অক্টোবর শনিবার ধানমন্ডিতে অবস্থিত আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময় তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া -২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফুটানোর জন্যই তিনি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করছেন।
তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকাসহ সর্বস্তরের লোকজনের কাছে দোয়া কামনা করেছেন যেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে আসতে পারেন এবং অবহেলিত (সরাইল-আশুগঞ্জ) এলাকার জনগণের সামাজিক, অর্থনৈতিক জীবনমান উন্নয়নের জন্য তিনি কাজ করার সুযোগ লাভ করেন।