অনলাইন ডেস্ক :
ব্যক্তি পর্যায়ে ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি ভোগ-দখলে রাখা যাবে না। এর বেশি থাকলে সরকারের কাছে ঘোষণা দিতে হবে। সরকার যথাযথ ক্ষতিপুরণ প্রদান করে বাড়তি জমি খাস করবে। কোন কোম্পানি বা শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে জমির পরিমাণের সিলিং থাকবে না। সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের ভূমি সংক্রান্ত প্রতারণা, জালিয়াতির দায়ে সর্বোচ্চ সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রেখে ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন-২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে। আজ ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব প্রদীপ কুমার দাস, যুগ্ম সচিব মো. খলিলুর রহমান প্রমুখ।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় সংসদের বৈঠকে সবার সম্মতিক্রমে ওই আইনটি পাস হয়। বেশকিছুদিন ধরেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের আইনটি নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। ভূমিকে কেন্দ্র করে সারাদেশে স্বার্থান্বেষী, ভূমিদস্যু, জালিয়াতচক্র, কোটারি গ্রুপ পরোক্ষভাবে এই আইনের বিরোধিতা করেছে। সরকারের সম্মতি ও ভূমিমন্ত্রীর শক্ত অবস্থানের কারণে অবশেষে আইনটি প্রণয়ন হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ভূমিমন্ত্রী বলেন, “আইনটি নিয়ে কাজ করার সময় অনেকেই তাকে বলেছেন, ‘এই আইনে হাত দিলে হাত পুড়েও যেতে পারে। অনেক ঘাত-প্রতিঘাত পার হওয়ার পর অবশেষে আইনটি বাস্তবে রূপ নিয়েছে। দেশের মানুষের জন্য, দলিল যার, জমি তার– এটি কার্যকর করার জন্য এই আইনটি খুব প্রয়োজন ছিলো। এটি ভূমি মন্ত্রণালয়ের বিরাট একটি সাফল্য।”
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ‘কিভাবে মানুষকে ভূমির হয়রানি, ভোগান্তি থেকে রেহাই দেওয়া যায়– এই চিন্তা মাথায় রেখেই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছে। ভূমি নিয়ে এখন কেউ জবরদস্তি করলে, কোনো অন্যায় করলে তার বিচার হবে ফৌজদারি আইনে। হোল্ডিং কোম্পানি হোক আর যেই হোক বেআইনিভাবে কেউ কোন জমি দখল, বেহাত করতে পারবে না। আগে ওইসব অন্যায়কারীদের বিচারের মুখোমুখি করতে কোনো আইন ছিল না, এখন হয়েছে।’
মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী আরও বলেন, ‘এই আইনের আওতায় ব্যক্তি পর্যায়ে কোনোভাবেই ৬০ বিঘার বেশি কৃষিজমি নিজ নামে রাখেতে পারবে না। উত্তরাধিকার, দান, হেবা বা অন্য যেকোনো প্রক্রিয়ায় পাওয়া জমি হলেও ৬০ বিঘার বেশি নিজের নামে রাখতে পারবে না। যাদের নামে এর চেয়ে বেশি জমি থাকবে তাদেরকে অবশ্যই সরকারের কাছে বাড়তি জমির ঘোষণা দিতে হবে। সরকার ওইসব এলাকার মৌজা রেট অনুযায়ি ক্ষতিপুরণ দিয়ে ওই জমি খাস করে নেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আইনটিতে ভূমি সংক্রান্ত আট ধরনের অপরাধের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে প্রতারণা, জালিয়াতির ক্ষেত্রে সাত বছরের কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। পুরো আইন ফৌজদারি আইনের আওতায় আনা হয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শান্তিতে রাখতে এ ধরনের একটি যুযোপযোগী আইন করা হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘ডেভেলপাররা কোনো কথা নেই অন্যের জমিতে মাটি ফেলা শুরু করে– এটা এখন ফৌজদারি অপরাধ হবে। এ ক্ষেত্রে আগে তাদেরকে প্রতিরোধ করা কঠিন ছিল।’
সংবাদ সম্মেলনে আরো বলা হয়, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ব্যক্তিপর্যায়ে একশ বিঘা কৃষিজমির মালিকানার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরশাদ সরকারের আমলে একটি আদেশ জারি করে ব্যক্তি পর্যায়ে ৬০ বিঘা জমির মালিকানা কথা বলা হয়। এরশাদ সরকারের ওই আদেশটিই এবার আইনে পরিণত করা হলো।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কুষ্টিয়ায় ঘুমন্ত অবস্থায় বিষাক্ত সাপের কামড়ে আয়েশা খাতুন (২৫) ও তার ৭ মাস বয়সী কন্যা সন্তান নুসরাত জাহানের মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা সদর উপজেলার কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামের ইব্রাহীমের স্ত্রী ও মেয়ে।
কাঞ্চনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুজ্জামান ঝন্টু সাপের কামড়ে মা ও মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বুধবার রাতে প্রতিদিনের মতো নিজ শয়ন কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন আয়েশা ও তার শিশু সন্তান। এ সময় তাদের দুই জনকে বিষাক্ত সাপ কামড় দেয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শিশুটির মৃত্যু হয়। মাকে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে ১০টার দিকে তারও মৃত্যু হয়।
পরে গ্রামবাসী ইব্রাহীমের ঘরের খাটের নিচ থেকে বিষধর কালাচ সাপ উদ্ধার করে। সাপের কামড়ে এক সাথে মা ও মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ভবানীপুর গ্রামজুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
অনলাইন ডেস্ক :
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার পরিস্থিতি নেই। আজ ২৯ জুলাই সোমবার কিছু শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমেছে, এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী এ কথা জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা করতে হবে। এই মুহূর্তে সেই পরিস্থিতি (শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা) তো নেই। আর আপনারা যেমনটি বলছেন কয়েকজন নেমেছে, কয়জন নেমেছে বা কী হয়েছে সে ব্যাপারে এই মুহূর্তে আমাদের কাছে তথ্য নেই। তথ্য পেলে আমরা জানাতে পারব।’
সোমবার (২৯ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে পেনশন ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। সোমবার মন্ত্রিসভায় প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলার বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এটা নিয়ে আমি এখন কোনো মন্তব্য করব না। সেখানে কী আলোচনা হয়েছে সেটি নিয়ে বাইরে আলোচনা করা যায় না।’
বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক এবং কর্মচারীদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি চূড়ান্ত করা হয়েছে। রোববার অনুষ্ঠেয় মজুরি বোর্ডের সপ্তম এবং সমাপ্ত বৈঠক শেষে শ্রমিকদের মাসিক ন্যূনতম মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা চূড়ান্ত বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
আজ ২৬ নভেম্বর রবিবার বিকেলে মজুরি বোর্ড চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী মোল্লা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ দিন বোর্ডের সপ্তম এবং সমাপ্ত বৈঠকে তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিক এবং কর্মচারীদের গ্রেড-৫টা থেকে গ্রেড-৪ এ নামিয়ে আনা হয়। এখন থেকে শ্রমিকরা এই চারটি গ্রেডে বেতন-বোনাস পাবেন। এ বিষয়ে শ্রমিক পক্ষের প্রতিনিধি সিরাজুল ইসলাম রনি বলেন, গ্রেডের সংখ্যা কমিয়ে আনার কারণে শ্রমিকরা লাভবান হবেন বলে আশা করছি।
এর আগে ঘোষিত মজুরি পুন:মূল্যায়নের জন্য বিভিন্ন পক্ষ থেকে ১৯৪টি চিঠি আসে নিম্নতম মজুরি বোর্ডে। এসব চিঠির মধ্যে ১৬৮টি আসে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে। এসব সংগঠন ২৩ থেকে ২৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মজুরির সুপারিশ করা হয়। অন্যদিকে ২৩টি কারখানার মালিকদের পক্ষ থেকে দেওয়া চিঠিতে ন্যূনতম মজুরি কমিয়ে ১০ হাজার টাকা নির্ধারণের সুপারশি করা হয়। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান মালিক পক্ষের দেওয়া প্রথম প্রস্তাব ১০ হাজার ৪০০ টাকায় ফিরে যাওয়ার সুপারিশ করে। তবে সবকিছু বিবেচনা করে এ খাতের মজুরি নির্ধারণে সরকার গঠিত নিম্নতম মজুরি বোর্ডের শেষ সভায় চুড়ান্ত মজুরি ১২ হাজার ৫০০ টাকা ঘোষণা দেওয়া হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিশ্ব শিক্ষক দিবস আজ। শিক্ষকদের বলা হয় জাতি গঠনের গারিগর। একজন মানুষের জীবনে মা-বাবার পরেই জীবন গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে তার শিক্ষক। শিক্ষকদেরকে স্মরণ করা এবং তাঁদেরকে সম্মান জানানোর জন্য ইউনেস্কো কর্তৃক ১৯৯৪ সাল থেকে প্রতি বছর অক্টোবরের ৫ তারিখে বিশ্বব্যাপী উদযাপন করা হয় বিশ্ব শিক্ষক দিবস।
বাংলাদেশেও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন উদ্যোগে পালিত হয় দিবসটি। এ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়। এছাড়াও থাকে শিক্ষকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদানের আয়োজন।
এবছরের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য, ‘কাঙ্ক্ষিত শিক্ষার জন্য শিক্ষক: শিক্ষক স্বল্পতা পূরণ বৈশ্বিক অপরিহার্যতা’। এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এদিন দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রেখে শিক্ষার মানোন্নয়নে শিক্ষকদের ভূমিকা এবং শিক্ষকদের প্রতি শিক্ষার্থীসহ সবার শ্রদ্ধাবোধ ও সম্মান বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে সচেতনতা তৈরিতে প্রাক্তন ও বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ সবার আংশগ্রহনে র্যালি, আলোচনা সভা ও সেমিনারের আয়োজন করার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতে আয়ারল্যান্ডকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে বাংলাদেশ। টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৮ ওভার ১ বল খেলে সব উইকেট হারিয়ে ১০১ রান করে আইরিশরা। জবাব দিতে নেমে ২২১ বল হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয় বাংলাদেশ। একইসঙ্গে প্রথমবারের মতো ১০ উইকেটে জয়ের কীর্তি গড়ে স্বাগতিকরা।
প্রথম ম্যাচ বাংলাদেশ জিতেছিল, দ্বিতীয়টি বৃষ্টিতে হয় পরিত্যক্ত; সিরিজের ট্রফি তাই থাকছে স্বাগতিকদের কাছে। ১০২ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নামা বাংলাদেশ খেলেছে নিজেদের মতো করেই। একটি রেকর্ড অবশ্য ছোঁয়া হয়নি। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়েকে ৪৪ রানে অলআউট করেছিল বাংলাদেশ, সেদিন জয় এসেছিল ২২৯ বল হাতে রেখে। ওই রেকর্ড ভেঙে ফেলা সম্ভব হয়নি এদিন। কেননা জেতার সময় ২২১ বল হাতে ছিল বাংলাদেশের।
ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়া অধিনায়ক তামিম ইকবাল ৫ চার ও ২ ছক্কার ইনিংসে ৪১ বলে ৪১ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৩৮ বলে হাফ সেঞ্চুরি ছুঁয়ে অপরাজিত থাকেন লিটন দাস। এতে আয়ারল্যান্ডকে একটি তেঁতো হারের স্বাদ দেয় বাংলাদেশ। প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারে আইরিশরা।
টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরুর দিকে দেখেশুনেই খেলে আয়ারল্যান্ড। বৃষ্টিতে ঢেকে থাকা পিচে সুইং ছিল স্বাভাবিকভাবেই। বাংলাদেশ প্রথম সাফল্য পায় পঞ্চম ওভারে এসে। ২১ বলে কেবল ৮ রান করা স্টেফেন দোহানি উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন হাসান মাহমুদের বলে। পরের দুটি উইকেটও হাসানের।
নবম ওভারের প্রথম বলে এই পেসার ফেরান পল স্টার্লিংকে। এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে আইরিশ উদ্বোধনী ব্যাটার ১২ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফেরত যান। ওই ওভারেই হাসান ফেরান হ্যারি টেক্টরকে। ৩ বল খেলে কোনো রান না করা এই ব্যাটারও হন এলবিডব্লিউ।
পরের ওভারেই আইরিশ অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নিকে আউট করেন তাসকিন আহমেদ। ১ চারে ১৮ বলে ৬ রান করে তিনি ক্যাচ দেন প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাজমুল হোসেন শান্তর হাতে। ২৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে ফেলা আয়ারল্যান্ডকে কক্ষপথে ফেরানো ছিল কঠিন এক কাজ।
ওই চেষ্টা করেন কার্টিস ক্যামফার ও লরকান টাকার। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ৪২ রানের জুটি। কিন্তু এবারও আইরিশদের জন্য ধাক্কা হয়ে আসেন এক পেসারই। এবাদত হোসেন এলবিডব্লিউ করে ফেরান টাকারকে। সাজঘরে ফেরার আগে ৪ চারে ৩১ বলে ২৮ রান করেন তিনি।
এরপর অনেকটা সময় একাই লড়াই করেন কার্টিস ক্যামফার। নবম ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। হাসান মাহমুদের চতুর্থ শিকার হওয়ার আগে ৪ চারে ৪৮ বলে ৩৬ রান করেন ক্যামফার। ইনিংসের ২৭তম ওভারে এসে যখন আইরিশরা দলীয় সংগ্রহে তিন অঙ্ক স্পর্শ করে, ততক্ষণে ৯ উইকেট নেই তাদের।
শতরান ছাড়িয়ে যাওয়ার একটু পরই সফরকারীদের কফিনে শেষ পেরেক ঠুকিয়ে দেন হাসান। ১৯ বলে ৩ রান করা গ্রাহামকে ফেরান এলবিডব্লিউ করে। এতে একটি রেকর্ডেও নাম লেখায় ম্যাচটি। টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি তিন সংস্করণ মিলিয়ে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের পেসাররা নিলেন প্রতিপক্ষের ১০ উইকেট।
৮ ওভার ১ বল হাত ঘুরিয়ে ১ মেডেনসহ হাসান মাহমুদ ৩২ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট পান। এর বাইরে তাসকিন ১০ ওভারে ২৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট ও এবাদত হোসেন ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন দুই উইকেট। স্পিনারদের মধ্যে মেহেদী হাসান মিরাজ ১ ওভারে ৩ ও নাসুম ৩ ওভারে ১১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। বোলিং করেননি সাকিব আল হাসান।