চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে স্টেশনে চলন্ত ট্রেন থেকে পড়ে মো: ওয়ালিউল্লাহ নিবিড় (১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের এক নম্বর প্লাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে। নিহত নিবিড় ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মৌড়াইল এলাকার আমান মিয়ার ছেলে। সে শহরের ইউনাইটেড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলো।
রেলওয়ে পুলিশ ও নিহতদের পরিবারের স্বজনেরা জানান, রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেনের দরজায় বসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আসছিলেন নিবিড়। ট্রেনটি স্টেশনের ফ্লাটর্ফমে প্রবেশ করার সময় ফ্ল্যাটফর্মের দেয়ালে ধাক্কা লেগে ট্রেনের দরজা থেকে ছিটকে ট্রেনের নিচে পড়ে যায় সে। পরে স্টেশনের যাত্রীসহ স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সুব্রত বিশ্বাস জানান, জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিবারের অনআপত্তির আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শতাধিক শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠিত সংগঠন (ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশন) এর সমন্বয়ে শতাধিক প্রতিবন্ধী মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। এ সময় তিনি বলেন, প্রতিবন্ধীরাও আমাদের মত মানুষ। তাদের পাশে আমাদের সকলকে থাকতে হবে। তাহলেই একটি সুন্দর দেশ ও সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।
ড্রিম ফর ডিসএ্যাবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ হেদায়েতুল আজিজ মুন্নার সঞ্চালনায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব রুহুল আমিন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন , জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদিকা এডভোকেট তাসলিমা সুলতানা নিশাত,স্বপ্নতরী সমাজ উন্নয়ণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী তাহের উদ্দিন ভূইয়া, প্রতিবন্ধীবান্ধব সমাজকর্মী বশির আল হাসানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা বৃন্দ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
চলারপথে রিপোর্ট :
শ্বশুরবাড়ি বেড়াতে এসে জামাই ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
৩ নভেম্বর শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের ছয়বাড়িয়া এলাকায় মোবারক হোসেন (২৫) নামে এ ঘটনা ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
মোবারক হোসেন জেলা শহরের পীর বাড়ির আব্দুল আলীমের ছেলে।
মোবারক দুবাই প্রবাসী ছিলেন।
হাসপাতাল ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মোবারক গত ৭-৮ মাস আগে শহরের ছয় বাড়িয়ার সফর আলীর মেয়ে তানিয়া (১৮) কে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের সংসারে শান্তি ছিল না। একজন আরেকজনকে বিশ্বাস করতো না। মোবারক সন্ধ্যা দিকে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে যায়। তুচ্ছ একটি বিষয় নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে মোবারক শোবার ঘরের সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। মোবারকের বাবা আব্দুল আলীমের অভিযোগ, মোবারককে তার স্ত্রী তানিয়া ও শালা আশরাফুল সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন পিটিয়ে হত্যা করে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। মোবারকের বাম হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানায় তারা। এ ঘটনায় তারা আইনগত ব্যবস্থা নেবেন।
সদর মডেল থানার ওসি মো. আসলাম হোসাইন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্টাফ রিপোর্টার :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়-৯৯৯ এর ফোন পেয়ে এক দম্পত্তিকে আগুন থেকে উদ্ধার করতে গিয়ে এক মানসিক প্রতিবন্ধীর ছুরিকাঘাতে মোঃ আতিকুল্লাহ (৪৫) নামে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শক (এসআই) গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় পুলিশ ওই প্রতিবন্ধীকে আটক করে।
আজ ১৫ জানুয়ারি রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে সদর উজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বেহাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত আতিকুল্লাহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার উপপরিদর্শক হিসেবে কর্মরত। হামলাকারী প্রতিবন্ধীর নাম সাইদুল ইসলাম (৩১)। তিনি নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বিহাইর গ্রামের বজলু মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রবিবার বিকেলে মানসিক প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলাম তার বাবা-মাকে বন্দি করে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। স্থানীয়দের মধ্যে একজন ৯৯৯ এ ফোন করে এক প্রতিবন্ধী নিজের বাবা-মাকে ঘরে বন্দি করে আগুন লাগিয়ে দিয়েছেন জানিয়ে সাহায্য চান। ফোন পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রনে এনে প্রতিবন্ধী সাইদুল ইসলামের বাবা বজলু মিয়া ও মা আনোয়ারা বেগমকে উদ্ধার করেন।
এক পর্যায়ে পুলিশ সাইদুলকে আটক করার চেষ্টা করলে সাইদুল তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে এসআই আতিকুল্লাহকে পেট ও বুকের ডান পাশে এবং ডান হাতের কনুয়ে আঘাত করেন। এতে আতিকুল্লাহ গুরুতর আহন হন। পরে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা সাইদুলকে আটক করে ও আহত আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যান।
খবর পেয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন) জয়নাল আবেদীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন হাসপাতালে ছুটে আসেন। আহত পুলিশের এস.আই আতিকুল্লাহকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা রানা নুরুস শামস বলেন, আহত আতিকুল্লাহকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তার প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। ব্যান্ডেজ দিয়ে তার রক্ত বন্ধ করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, আহত পুলিশ সদস্য আতিকুল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, ওই মানসিক প্রতিবন্ধী, তার বাবা ও মা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন কর্মকর্তা আবদুস সামাদ বলেন, আগুন লেগেছে সংবাদ পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছি। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, ঘরের ভেতরে আগুন। ওই প্রতিবন্ধী যুবক ঘরের ভেতরের ও বাহিরের কলাপসিবল ফটকে তালা দিয়ে হাতে ছুরি বসা রয়েছে। কেউ এগিয়ে গেলেই ওই যুবক আঘাত করার চেষ্টা করে। প্রথমে আমাদের সাথে যাওয়া দুই পুলিশ সদস্য তাকে আটকের চেষ্টা করে। সে সময় ওই প্রতিবন্ধী যুবক এক পুলিশ সদস্যকে ছুরিকাঘাত করে। অন্য পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রতিবন্ধী যুবককে আটক করলে আমরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ভাদুঘর অল সুপার স্টার ক্লাব আয়োজিত ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা আজ ২৮ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত ফাইনাল খেলায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক সদর-বিজয়নগর আসনের ধানের শীষের কান্ডারী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, যুব সমাজকে ক্রীড়ামুখী করতে ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলাধুলার ব্যবস্থা করতে হবে। আমাদের প্রজন্মরা লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলা, সংস্কৃতি চর্চা, নৈতিক শিক্ষাসহ শিক্ষার্থীদের মেধার বিকাশ ঘটিয়ে স্বৈরাচার বিরোধী দেশপ্রেমিক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, সুস্থ শরীর গঠনে খেলাধূলার বিকল্প নেই। খেলাধুলাই পারে মাদকসহ বিভিন্ন অপকর্ম থেকে যুবসমাজকে ফিরিয়ে আনতে।
কাউছার ভূইয়া সভাপতিত্বে এবং তোফাজ্জল হল ভূইয়ার পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি, জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভিপি জহিরুল হক খোকন, সাবেক সহ-সভাপতি সফিকুর রহমান, গোলাম সারোয়ার খোকন, যুগ্ম সম্পাদক এ বি এম মমিনুল হক, অ্যাডঃ তারিকুল ইসলাম খাঁন রোমা, আলী আজ্জম, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাবেক জি এস মাইনুল হোসেন চপল, জেলা যুবদলের সভাপতি শামীম মোল্লা, সিনিয়র সহ- সভাপতি অ্যাডঃ আব্দুর রহিম গোলাপ, সহ- সভাপতি রাশেদুল হক, জসিম, রাশেদ কবির আকন্দ, যুগ্ম সম্পাদক বুলবুল আহমেদ মুসা, অ্যাডঃ মাসুদ, মামুন, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিকুল হক জালাল, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব ইয়াছিন, দিদার, জিয়াউল, সাঈদ হাসান সানি, স্বেচ্ছাসেবক নেতা মাইনুল ইসলাম, আমিন আরিফ, জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজিদুর রহমান, জিমি হৃদয়, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি আদি, সহ-সভাপতি রাশেদ, কামরুল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সাব্বির বাবু ছাত্রদল নেতা রায়হান মেহেদি, তানিম, সাইফুল রানা প্রমুখ।