চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগরে ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে পাঁচ ভাইবোন অসুস্থ হয়ে পড়েছে। গতকাল ১৪ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের মেরাসানী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ ৫ ভাইবোন হলো- মেরাসানী গ্রামের আউশ মিয়ার মেয়ে জান্নাত (২) ও বর্ষা (৭), জজ মিয়ার মেয়ে তিশা (১) ও ছেলে আলামিন (৩), এবং শাহীন শাহের ছেলে শুভ (৪)। এদের মধ্যে বর্ষা, শুভ ও আলামিনকে রাত ৮টায় জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। তারা সম্পর্কে একে অপরের চাচাতো ভাইবোন।
অসুস্থ শিশুদের দাদা মো. মিয়াব আলী জানান, মেরাসানী এলাকায় নিজ বাড়ির পাশে ৫ শিশু খেলা করছিল। খেলার ফাঁকে বাড়ির পাশে ইঁদুরের গর্তে থাকা ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ফেলে তারা। পরিবারের লোকজনই ইঁদুর মারার জন্য গর্তে বিষ রেখেছিলেন। পরে তারা ৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়লে জান্নাত ও তিশাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়। বাকী তিনজনকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে তাদেরকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ বলেন, ইঁদুর মারার বিষ খেয়ে ৫ শিশু অসুস্থের বিষয়টি জেনেছি। খোঁজ নেওয়ার জন্য তাদের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর এলাকা থেকে দুইশ বোতল ফেনসিডিল ৯০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
র্যাব-৯ এর এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-৯ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে বিজয়নগর উপজেলা থেকে ২০০ বোতল ফেনসিডিল ৯০ কেজি গাঁজাসহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছেন।
গোপন সংবাদের তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-৯, সিপিসি-১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর একটি আভিযানিক দল আজ ১০ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোর ৪টার সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর থানাধীন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ২০০ বোতল ফেনসিডিল এবং ৯০ কেজি গাঁজা উদ্ধার পূর্বক ২ জন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছেন।
গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিরা হলেন, মো. আল-আমিন (৩০) বিজয়নগর ও শামীম (২৬) সরাইল উপজেলার । পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে গ্রেফতারকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়েরপূর্বক আসামি ও জব্দকৃত মালামাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে সরকার ঘোষিত জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে র্যাব-৯ এর গোয়েন্দা তৎপরতা এবং চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সিঁধ কেটে চুরির চব্বিশ ঘন্টা পর বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই চোরকে গ্রেপ্তার করেছে সরাইল থানা পুলিশ। গত রোববার দিবাগত রাত ২টায় উপজেলার নোয়াগাঁও থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। আটক ব্যাক্তিরা হলেন উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা মো.রকিব মিয়া (১৯) ও মো. ছোয়াব মিয়া (২২)।
পুলিশ সূত্রে জানায়, গত শনিবার দিবাগত রাত ৩টায় উপজেলার নোয়াগাঁও (মধ্যপাড়া) গ্রামের বাসিন্দা শিখা আক্তারের ঘরে সিঁধ কেটে ঘরে প্রবেশ করে ড্রয়ার থেকে নগদ টাকা, স্বর্ণের দোল, স্যামসাং এ্যানড্রয়েট মোবাইলসহ সর্বসাকুল্যে ৭২ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়। সরাইল থানা পুলিশ চুরির এই সংবাদে রবিবার রাতে বিশেষ অভিযান চালিয়ে দুই সিঁধেল চোরকে গ্রেপ্তার করে তাদের কাছ থেকে ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসলাম হোসেন জানান, গ্রেপ্তার হওয়া মো. রকিব মিয়া ও মো. ছোয়াব মিয়ার কাছে থেকে নগদ ১৮ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে সিঁধেল চুরির মামলা রুজু হয়েছে। গতকাল সোমবার তাদেরকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পূর্বাঞ্চল সীমান্তে অভিযান চালিয়ে ভারতীয় বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, মাদক, ওষুধ, চশমা, চকলেট, থান কাপড়সহ একাধিক চোরাচালান পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২৫ বিজিবি। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। গতকাল ৩ নভেম্বর রোববার দুপুরে ২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতেয়াজ এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে সরাইল ২৫ ব্যাটালিয়নের অধীনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পূর্বাঞ্চলের আখাউড়া ও বিজয়নগর উপজেলা সীমান্তে বিজিবি গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখে। তারই ধারাবাহিকতায় ৩১ অক্টোবর রাত থেকে ২ নভেম্বর শনিবার সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
বিজিবি কর্তৃপক্ষ জানায়, অভিযানে ভারতীয় উন্নতমানের ব্লেজারের থান কাপড় ১২২৪ মিটার, ভারতীয় বিভিন্ন প্রকার উন্নতমানের চশমা ৭৮৭০ পিস, ভারতীয় চকলেট ৩১৮০ পিস, বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড মোবাইল ২৬টি, কুকুর ও বিড়ালের ওষুধ সামগ্রী ৩৬২ পিস, বিভিন্ন প্রকার প্রসাধনী সামগ্রী ৪৩ পিস, ইস্কফ ৪৩০ বোতল, মদ ৫৭ বোতল এবং ভারতীয় গাঁজা ১০ কেজি আটক করতে সক্ষম হয়।
আটককৃত মাদকদ্রব্য এবং চোরাচালানি মালামালের সর্বমোট বাজার মূল্য ১ কোটি ৩৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা।
ভারত থেকে আনা চোরাচালানি মালামাল জব্দ করা হলেও কোনো চোরাকারবারিকে আটক করতে পারেননি বিজিবি জওয়ানরা।
২৫ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল ফারাহ মোহাম্মদ ইমতেয়াজ জানান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্তপথে যাতে চোরাচালানি মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সে ব্যাপারে সরাইল ব্যাটালিয়ন (২৫ বিজিবি) বদ্ধ পরিকর ও অবৈধ চোরাচালানি মালামাল আটকে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজয়নগর উপজেলায় পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক কারবারি শাহপরান ওরফে পরানকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ৩ এপ্রিল সোমবার রাতে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
পরানের বিরুদ্ধে ১০টি মাদক মামলা চলমান রয়েছে। তিনি একটি মামলায় পলাতক ছিলেন। পরান উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের উথারিয়াপাড়া এলাকার প্রয়াত নান্নু মিয়ার ছেলে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) ইকবাল হোছাইন জানান, পরান তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার একটি মাদক মামলায় পলাতক ছিলেন। সোমবার ভোরে তাকে বিজয়নগরের সিঙ্গারবিল এলাকা থেকে জেলা গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা গ্রেফতার করে।
এসময় তার কাছ থেকে মাদক বিক্রির নগদ ১ লাখ ৭৮ হাজার টাকা এবং দুটি স্মার্ট ফোন জব্দ করা হয়। পরে বিকেলে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।