চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলাদেশের আকাশে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর রবিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) বৃহস্পতিবার পালিত হবে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.)।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে আজ ১৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মু. আ. হামিদ জমাদ্দার।
সভায় সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠান থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে পর্যালোচনা করে দেখা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশের আকাশে ১৪৪৫ হিজরির রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। এজন্য ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার সফর মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হচ্ছে। রবিবার থেকে রবিউল আউয়াল মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর (১২ রবিউল আউয়াল) দেশে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) পালিত হবে।
আরবি ‘ঈদে মিলাদুন্নবী’র শাব্দিক অর্থ- মহানবীর (স.) জন্মদিনের আনন্দোৎসব। মুসলমানরা ১২ রবিউল আউয়াল মহানবী হয়রত মুহম্মদ (স.) এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস হিসেবে পালন করে। কারণ এ দিনেই রাসুলে করীম (স.) ইন্তেকালও করেন। সেই হিসেবে আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর ১২ রবিউল আউয়াল। বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিন সাধারণ ছুটি।
মহানবী হযরত মুহম্মদ (স.) ৫৭০ খ্রিস্টাব্দের হিজরি রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে মক্কার কুরাইশ বংশে জন্ম নেন। আরবের মরুপ্রান্তরে শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রচার শুরু করেন তিনি। তার আবির্ভাব এবং ইসলাম ধর্মের প্রচার সারা বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
দীর্ঘ ২৩ বছর ইসলাম ধর্ম প্রচার করে ৬৩ বছর বয়সে ১২ রবিউল আউয়ালই মহানবী (স.) মৃত্যুবরণ করেন। দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) হিসেবে সারা পৃথিবীর মুসলমানরা পালন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিনে মসজিদ ও বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে মিলাদ মাহফিল ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মহা. বশিরুল আলম, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু. আ. আউয়াল হাওলাদার, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মহা. আসাদুর রহমান, বাংলাদেশ মহাকাশ গবেষণা ও দূর অনুধাবন প্রতিষ্ঠানের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. ফরিদ উদ্দিন, বাংলাদেশ ওয়াকফ প্রশাসনের সহকারী প্রশাসক মো. শাহরিয়ার হক, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, লালবাগ শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি মুহাম্মদ নিয়ামতুল্লাহ, সরকারি মাদরাসা-ই-আলিয়ার আল-কোরআন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ, চকবাজার শাহী জামে মসজিদের খতিব মুফতি শেখ নাঈম রেজওয়ান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন ছাড়াও ৪ নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। এর আগে শপথ নিতে দুপুরের দিকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে আসেন সিইসিসহ চার নির্বাচন কমিশনার। পরে আনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথমে নতুন সিইসিকে শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি। এরপর শপথ নেন চার নির্বাচন কমিশনার।
নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনাররা হলেন- অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমানেল মাসুদ, অবসরপ্রাপ্ত যুগ্ম সচিব বেগম তহমিদা আহ্মদ এবং অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।
২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জারি করা পৃথক প্রজ্ঞাপনে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ওইদিন ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত নামের তালিকা থেকে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দীনকে প্রধান (সিইসি) করে গঠন করা হয় নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
গত ২৯ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারক বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীকে প্রধান করে ইসি গঠনে ছয় সদস্যের সার্চ (অনুসন্ধান) কমিটি গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।
পরে ২০ নভেম্বর সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে ইসি গঠনে সার্চ কমিটির প্রস্তাবিত ১০ নামের তালিকা দেওয়া হয়। পরদিন ২১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার ওই তালিকা থেকে ৫ জনকে নিয়ে পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ শিকার করায় বরিশালে বিভাগের বিভিন্ন নদীতে অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত ৮ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
বরিশাল বিভাগীয় মৎস্য অফিস সূত্র জানায়, গত ১২ অক্টোবর থেকে ১৪ অক্টোবর সকাল ৮টা পর্যন্ত বিভাগে ১০২ টি অভিযান এবং ৩৪টি ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। অভিযানে ২৫১ কেজি ইলিশ জব্দ ও ৬২ হাজার ৭ ৮শ’ মিটার অবৈধ জাল জব্দ করা হয়েছে। উদ্ধার করা জালের মূল্য প্রায় ১১ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।
এই সময়ে মোট ১৩ জেলে আটক করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। অপর ৫ জনের কাছ থেকে ২৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। জব্দ হওয়া সামগ্রী নিলামে ১ হাজার ৬ শ’ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
এদিকে দুই দিনে বরিশাল বিভাগের ১৭ টি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ১১৪ টি মাছঘাট, ৩২৫ টি আড়ৎ ও ১৯৬ টি বাজার পরিদর্শন করেছে মৎস্য অধিদপ্তরের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
মৎস্য বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. নাসিরউদ্দিন জানান, ১১ অক্টোবর দিবাগত মধ্যরাত থেকে ২ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত উপকূলের ৭ হাজার বর্গ কিলোমিটারের মূল প্রজনন স্থলসহ সারা দেশে ইলিশ আহরন, পরিবহন ও বিপনন নিষিদ্ধ। এই সময়ে বরিশাল বিভাগের ৩ লাখ ৭ হাজার ৮৪১ জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল দেয়া হচ্ছে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের ১০ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় দোকান কর্মচারী শাহজাহান আলীকে (২৪) হত্যার অভিযোগে করা মামলায় এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে।
১৪ আগস্ট বুধবার তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদের আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নিউমার্কেট থানা ও আদালত সূত্রে জানা যায়, কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার গোপন তথ্যের ভিত্তিতে নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় রাজধানীর সদরঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত ১৬ জুলাই কোটাবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় পাপোশের দোকানের কর্মচারী শাহজাহান আলীকে হত্যার অভিযোগে তার মা আয়শা বেগম (৪৫) একটি মামলা করেন। মামলায় আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা।
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লায় সাঁতার কাটতে গিয়ে পুকুরে ডুবে মাজহারুল ইসলাম বাঁধন (২২) নামের এক কলেজছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আজ ৩ জুন শনিবার নগরীর টমছমব্রীজ স্টাফ কোয়াটার পুকুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত মাজহারুল ইসলাম বাঁধন কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন এবং নগরীর সামবকশী এলাকার প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
শনিবার দুপুরে বাঁধন ও তার দুই বন্ধু টমছমব্রীজ স্টাফ কোয়াটার পুকুরে গোসল করতে যান। সাঁতার কেটে পুকুরের মাঝখানে গিয়ে হঠাৎ বাঁধন ডুবে যান। পরে তাকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক হাবিবুর রহমান বলেন, তাকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জিওগ্রাফিক্যাল আইডেন্টিফিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি।
গত মঙ্গলবার পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই দিনে এর সঙ্গে আরো দুটি পণ্য জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। অন্য দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টিকে গত ৮ এপ্রিল ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ ও ৩০ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৭৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
এই স্বীকৃতির ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি আন্তর্জাতিকভাবে ভাবমূর্তি বেড়ে যাবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। এতে গুণগত পরিবর্তন ও বিদেশে রপ্তানির ক্ষেত্রও তৈরি হতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ভোলার দুই শ বছরের ঐতিহ্যবাহী মহিষের দুধের কাঁচা দইকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতির জন্য গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর ভোলার জেলা প্রশাসক পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২৯ নম্বর শ্রেণিতে পণ্যটি জিআই-৫৫ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। মহিষের দুধের কাঁচা দই জিআই সনদপ্রাপ্তির মধ্য দিয়ে পণ্যটির স্বীকৃতি মিলেছে।
সাগর আর নদীবেষ্টিত দ্বীপ জেলা ভোলার মানুষের জীবনমানে রয়েছে স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য। খাবারেও রয়েছে নিজস্বতা। এরই অংশ হিসেবে এ জেলা দীর্ঘকাল ধরে পরিচিতি পেয়েছে মহিষের দুধের কাঁচা টক দই, যা স্থানীয়ভাবে ‘মইষা দই’ নামে পরিচিত। ভোলা জেলা সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সভাপতি মোবাশ্বির উল্লাহ চৌধুরী জানান, বিষয়টি ভোলাবাসীর জন্য আনন্দের।
এ স্বীকৃতির মধ্য দিয়ে ভোলায় মহিষ পালনকারী ও দই উৎপাদনকারীদের জন্য সুযোগ তৈরি হয়েছে।
ভোলার জেলা প্রশাসক মো. আজাদ জাহান বলেন, ‘ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দইয়ের যে স্বীকৃতি সেটি অন্য জেলায় নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই ভোলার ঐতিহ্য। এটি অন্য জেলার হতে পারে না। বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয়রা অনেক চেষ্টা করে এটি ফিরে পেয়েছে।
জিআই-৫৫ নম্বরে এটি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ। ভোলাবাসী এটি নিয়ে গর্বিত। এর মাধ্যমে এটির বৈশ্বিক স্বীকৃতি মিলেছে। জিআই হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ায় প্রথমত এই পণ্যটি ভোলার বলে চিহ্নিত হলো। দ্বিতীয়ত, এই স্বীকৃতির মাধ্যমে পণ্যটির বাণিজ্যিকীকরণের সুবিধা বাড়ল। এই দধি এখন দেশের বাইরেও রপ্তানি করা যাবে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে দধি উৎপাদনে মানের উন্নতি হবে। কেননা জিআই স্বীকৃতি পণ্যের মান নির্ধারণে বড় ভূমিকা রাখে।’
পেটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. মুনিম হাসান বলেন, ‘জেলা প্রশাসকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দধিসহ তিনটি পণ্যকে জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অধিদপ্তর থেকে এসংক্রান্ত তিনটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। একটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ছানামুখী মিষ্টি, বাকি দুটি পণ্য হলো মধুপুরের আনারস ও ভোলার মহিষের দুধের কাঁচা দই। আরো বেশ কয়েকটি পণ্যকে স্বীকৃতি দেওয়া হলেও তারা এখনো সার্টিফিকের ফি জমা না দেওয়ায় তাদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়নি। সেগুলো খুব দ্রুত হয়ে যাবে।’