চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯৮ বোতল ফেনসিডিলসহ তিন মাদক কারবারিকে আটক করেছেন মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার এ ঘটনায় মামলা দিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এর আগে শুক্রবার মধ্যরাতে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে একটি দোকানে অভিযান চালিয়ে তাদের ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের পূর্ব কুট্টাপাড়ার ঈমান আলীর ছেলে মো. আরব আলী (৩৬), সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের চান্দিয়ারার মনির মিয়ার ছেলে দুলাল মিয়া (২৯) ও সরাইলের উচালিয়াপাড়ার মৃত হারুন মিয়ার ছেলে জুয়েল মিয়া (৩৩)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কেলের সহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান বলেন, আটককৃত মাদক কারবারিদের মধ্যে আরব আলী একজন চিহ্নিত অপরাধী। সে প্রথমে খাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড়ে পলিথিন বিক্রি করতো। পরবর্তীতে সেখান থেকে টেম্পু চালাতো। এরই মাঝে সে ডাকাত চক্রের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলাও রয়েছে। পাশাপাশি হয়ে যায় সিএনজি শ্রমিক নেতা।
তিনি বলেন, সে বিশ্বরোড মোড়ে সিএনজিচালিত অটোরিক্সার মালামালের দোকান দিয়ে ব্যবসা শুরু করে। এই ব্যবসার আড়ালে মাদক কারবারের সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। গোপন তথ্যের ভিত্তিতে শুক্রবার রাতে অভিযান চালিয়ে তার দোকান থেকে ৯৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এসময় আরব আলীসহ তার দুই সহযোগীকে আটক করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা আরো বলেন, এর আগেও তার বিরুদ্ধে ডাকাতি, চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলা রয়েছে। মাদক উদ্ধারের ঘটনায় শনিবার সদর মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্পের আওতায় দুইদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণ আজ বুধবার সমাপ্ত হয়েছে।
আজ ৭ জুন বুধবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ কার্যালয় সংলগ্ন জেলা বীজ প্রত্যয়ন অফিসের হল রুমে সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুদিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষনের উদ্বোধন করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, কুমিল্লা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক মোহিত কুমার দে।
উপস্থিত ছিলেন ঢাকা খামার বাড়ির ক্রপস উইং অতিরিক্ত পরিচালক মোঃ রবিউল হক মজুমদার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার মুন্সী তোফায়েল হোসেন, সদর উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম ভূঞা, সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা সালমা সুলতানা, সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ছায়েদুর রহমান প্রমুখ। দু’দিনব্যাপী কৃষক প্রশিক্ষণে সদর উপজেলার ৩০ জন কৃষক অংশ নেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের অবসরপ্রাপ্ত মহা-পরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-এর ট্রেজারার প্রফেসর ফাহিমা খাতুন বলেন, একটি উন্নত জাতি গঠন করতে গেলে জাতিকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে হবে।
তিনি আজ ৪ জুন রবিবার জেলার নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পৃষ্টপোষকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস কর্তৃক আয়োজিত দিনব্যাপী “পারফরমেন্স বেজড গ্রান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশনস (পিবিজিএসআই) স্কিম” শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে যদি আমরা পরিচর্যা না করি, যদি আমরা শিক্ষায় গুরুত্ব না দেই তাহলে আর কিছুতেই আমাদের উন্নতি হবেনা। সেজন্যই জাতির পিতার পর আমরা দেখেছি তারই সুযোগ্য কণ্যা প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার উপর সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়েছেন এবং তারই নির্দেশনায় শিক্ষা মন্ত্রনালয় এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহন করেছে যাতে আমরা শিক্ষায় এগিয়ে যেতে পারি। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই অবকাঠামোগত উন্নয়ন এখন চোখে পড়ার মত।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য। এত প্রশিক্ষণ প্রদান করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপার পাপিয়া আক্তার, জেলা শিক্ষা অফিসের সহকারী প্রোগ্রামার জিসান আহমেদ।
কর্মশালায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক ও সভাপতিগন অংশগ্রহন করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের আয়োজনে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ-২০২৩ উপলক্ষে মাতৃদুগ্ধের গুরুত্ব, উপকারিতা এবং মাতৃদুগ্ধ বিকল্প আইন ২০১৩ ও বিধি ২০১৭ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালা আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বেলা ১১টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট হেলেনা পারভীন।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহর সভাপতিত্বে অবহিতকরণ কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের উপ-পরিচালক মাহমুদুল বাশার, জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানের সহকারি পরিচালক জয়াশীষ রায়।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহের স্লাইড প্রদর্শন করেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা প্রমুখ।
কর্মশালায় বলা হয়, ২০১০ সাল থেকে বাংলাদেশে মাতৃদুগ্ধ দিবস জাতীয়ভাবে পালন করা হচ্ছে। মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই। মায়ের দুধই হচ্ছে শিশুদের সর্বোত্তম খাদ্য। বাংলাদেশে শতকরা ৬৫ ভাগ শিশু মায়ের দুধ পান করে। যা বিশ্বে সর্বোচ্চ।
সভায় বলা হয়, মায়ের দুধের কোন বিকল্প হতে পারেনা। এর পরেও যদি পরিস্থিতির কারণে কোন শিশুকে বিকল্প খাবার দিতে হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির মাসিক সভা আজ ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা জজ আদালতের সম্মেলন কক্ষে জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ বেগম শারমিন নিগার এর সভাপতিত্বে বিচারকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আয়েশা আক্তার সুমি এবং অতিরিক্ত চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন।
অন্যদের মধ্যে সভায় উপস্থিত ছিলেন জেল সুপার মোঃ শহিদুল ইসলাম, জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর (পি.পি) মাহাবুবুল আলম চৌধুরী, জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি এ.কে.এম কামরুজ্জামান মামুন এবং জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
মাসিক সভার সঞ্চালনা করেন জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) রহিমা আলাউদ্দিন মুন্নি।
সভায় জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির বিভিন্ন সরকারি আইন সহায়তা কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
সেপ্টেম্বর মাসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লিগ্যাল এইডের প্রাতিষ্ঠানিক প্রচারের লক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষামূলক সেশন ও কুইজ প্রতিযোগিতা ও গণশুনানী অনুষ্ঠান আয়োজন করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ।
শোক বার্তায় প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক এইচ.এম. সিরাজ, সংস্কৃতি ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মোজাম্মেল চৌধুরী, কার্যকরী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ ও মীর শাহীন বলেন, বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী আল-মামুন সরকার ছিলেন একজন নির্লোভ রাজনীতিবিদ ও সাদা মনের মানুষ। তিনি আমৃত্যু মানুষের জন্য, দেশের জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি ছিলেন সাধারণ মানুষের আপনজন। সমাজের সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিশেষ করে তিনি প্রতিবন্ধীদের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। এজন্য তিনি সমাজসেবায় রাষ্ট্রীয়ভাবে মানবকল্যান পদক লাভ করেছিলেন।
শোক বার্তায় প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দ বলেন, আল-মামুন সরকারের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের ছিলো চমৎকার ও নিবিড় সম্পর্ক। তিনি ছিলেন একজন সাংবাদিক বান্ধব নেতা। তিনি সব সময় প্রেসক্লাবের পাশে ছিলেন। মৃত্যুর আগের দিন (রোববার) দুপুরেও তিনি জেলা পরিষদ মিলনায়তনে ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধস্থল, গণহত্যা, বধ্যভূমি, শহীদ সমাধি এবং মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ও খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতি ফলক নির্মাণ ও বিভিন্ন সড়ক দ্বীপে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচত্বর স্থাপন বিষয়ে জেলা পরিষদের গ্রহণ করা বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন। শোক বার্তায় নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বলেন, তাঁর মৃত্যুতে জেলাবাসী একজন সৎ, নীতিবান ও পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদকে হারিয়েছে।