চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে মীর ফাহাদ (৩২) নামের আহত এক যুবক চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৯ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
তিনি নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়ার মীর মোশারফ হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে গত ২ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে মীর মোশারফ হোসেন ও মীর জালালের মধ্যে বাগিবতণ্ডা হয়। এর পরপরই মীর জালালের লোকজন লাঠি নিয়ে মীর মোশারফ ও তার বড় ছেলে মীর ফাহাদের ওপর হামলা চালায়। এসময় ফাহাদের মাথায় বল্লম দিয়ে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুঠিয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত ফাহাদকে ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত নয়টার দিকে তিনি মারা যান।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোহাগ রানা জানান, নিহত যুবকের মরদেহ এখনো বাড়িতে আসেনি। প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা ও লুটপাট ঠেকাতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সংঘর্ষের সাথে জড়িত তিন আাসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই মারামারির মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হবে বলে জানান ওসি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ঠেকাতে বাজার মনিটরিং করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূঁইয়া।
আজ ১৪ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা সদর বাজারের সার্বিক পরিস্থিতি দেখতে বাজারে যান উপজেলা তিনি।
এসময় তিনি মুদির দোকান, সবজির দোকান, ফলের দোকান, মুরগির দোকানে অভিযান চালান। অভিযানে মূল্য তালিকা না রাখায় চার ব্যবসায়ীকে ১১ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদেরকে সর্তক করা হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইমরানুল হক ভূইয়া অভিযানের কথা স্বীকার করে জানান, রমজান মাস উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নিয়মিত বাজার তদারকির অংশ হিসেবে এই অভিযান চালানো হয়।
নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। কোন অসাধু ব্যবসায়ী যদি বাজার অস্থিতিশীল করতে চায় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের দুই দিনব্যাপী বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৬ ফেব্রুয়ারি রোববার বাদ ফজর আখেরি মোনাজাত ও মিলাদের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মাহফিল। পীরে কামেল মোকাম্মেল হযরত শাহসুফী কুতুবুল আকতাব দাদা হুজুর ক্বিবলা ফান্দাউকী (র.) ও পীরে কামেল মোকাম্মেল হযরত শাহসুফী মোহজাদ্দেদে জামান হুজুর ক্বিবলা ফান্দাউকী (র.) এর ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে ফান্দাউক দরবার শরীফের আয়োজনে এ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত শুক্রবার বাদ জুমা ফান্দাউক খেলার মাঠে মাহফিল শুরু হয়। এতে দেশের নানা প্রান্ত থেকে লাখো ভক্ত-আশেকানরা অংশগ্রহণ করেন। আখেরি মোনাজাতে আল্লাহর দরবারে মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরিয়াদ করেন ফান্দাউক দরবার শরীফের বর্তমান পীর ও বাংলাদেশ আঞ্জুমানে খাদিমুল ইসলামের আমীর মাওলানা মুফতী সৈয়দ ছালেহ আহমাদ মামুন আল-হোসাইনী।
মোনাজাতে তাদের আমিন-আমিন ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠে ফান্দাউক খেলার মাঠ। এর আগে গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার বাদ মাগরিব তালীম পরবর্তী আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ নসিহত পেশ করে আল-হোসাইনী বলেন, আমাদের পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের অস্থিরতা দূর করে স্থায়ীভাবে শান্তি চাইলে আমার নবীর সুন্নতের অনুসরণ ও নবীজীর জিন্দেগীর অনুকরণের কোন বিকল্প নাই। গোটা পৃথিবীতে অশান্তির মূল কারণ আমরা নবীজীর তরিকা ছেড়ে পশ্চিমাদের প্রেসক্রিপশন গ্রহণ করছি। তাই আজকে আমাদের সন্তানগুলো উচ্চ শিক্ষিত হচ্ছে কিন্তু সুশিক্ষা তথা কুরআনের শিক্ষা না থাকায় আমাদের পরিবার চুড়ান্ত ধ্বংসের দিকে নিপতিত হচ্ছে। পরিবারের সুখ শান্তি চাইলে কুরআনের শিক্ষা ও নবীজীর সুন্নতের বাস্তবায়ন করেন তবেই পরিবারে চিরস্থায়ী শান্তি আসবে বলে উল্লেখ করেন পীর। দ্বিতীয় দিনের মাহফিলে প্রধান মেহমান হিসেবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ. এম. বাহাউদ্দিন। এছাড়াও মাহফিলে আলোচনা পেশ করেন- মৌকারা দরবার শরীফের পীর মাওলানা নেছারুদ্দীন ওয়ালী উল্লাহী, ঢাকা নেছারিয়া কামিল মাদরাসার সাবেক অধ্যক্ষ ড. কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, দারুন্নাজাত সিদ্দিকীয়া কামিল মাদরাসার হেড মুহাদ্দিস মুফতি আব্দুল লতিফ শেখ প্রমুখ।
মাহফিলের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন পীরজাদা মাওলানা মুফতী সৈয়দ মঈনুদ্দিন আহমাদ আল-হোসাইনী, মাওলানা মুফতী সৈয়দ আবুবকর সিদ্দিক আল-হোসাইনী ও মাওলানা মুফতী সৈয়দ বাকের মোস্তফা আল-হোসাইনী।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে দাঙ্গা প্রতিরোধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ক্যাম্পেইন ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দাঙ্গামুক্ত থাকবো, সোনার দেশ গড়। দাঙ্গা করছে দেশের ক্ষতি, নিন্দা জানাই তাদের প্রতি। দাঙ্গা-হাঙ্গামা করছে যারা, ভাল মানুষ হয়না তারা। আর করবো না মারামারি, দাঙ্গামুক্ত সমাজ গড়ি, স্কাউটদের এমন শ্লোগানে সকালে উপজেলার সকল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসার পর্যায়ের সহস্রাধিক স্কাউট সদস্যদের অংশগ্রহনে বণার্ঢ্য একটি র্যালি বের হয়।
র্যালিটি নাসিরনগর উপজেলা সদরে প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে “দাঙ্গা প্রতিরোধ বিষয়ক ক্যাম্পেইন” অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও উপজেলা স্কাউট সম্পাদক অরবিন্দু গোপের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাফিউদ্দিন আহমেদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোনাব্বর হোসেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম ভূইয়া, থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সঞ্জয় সরকার, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইকবাল মিয়া, নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুর রহিম, প্রেসক্লাব সভাপতি সুজিত কুমার চক্রবর্তী প্রমুখ।
সভায় উপজেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক ও মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক,সহকারী শিক্ষকসহ স্কাউট শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্য দুর্র্ধর্ষ ডাকাত নূর মোহাম্মদকে (৪০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল ১৮ সেপ্টেম্বর বুধবার দিবাগত রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার গােকর্ণ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রাম থেকে নাসিরনগর থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। সে ওই গ্রামের ফিরোজ আলীর ছেলে। নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল কাদের জানান, নুর মোহাম্মদ দুর্র্ধর্ষ ডাকাত। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা রয়েছে। আটক নুর মোহাম্মদকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে রনি মিয়া (৬) নামে এক শিশুকে খুন করার তিনদিন পর তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুরে সদর উপজেলার কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত রনি মিয়া কুলিকুন্ডা গ্রামের রহিম উদ্দিনের ছেলে। সে কুলিকুন্ডা দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলো। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে পুলিশ রিফাত মিয়া (১৩) ও লিটন মিয়া (১৭) নামে দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত রিফাত মিয়া কুলিকুন্ডা গ্রামের শাহ আলমের ছেলে ও লিটন মিয়া একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রনি মিয়া ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়। রাতে বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের লোকজন ওরসে মাইকিং করে। পরে শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকে নাসিরনগর থানায় একটি ডায়রি করা হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে নিহতের বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাবিবুল্লাহ সরকার বলেন, ধারনা করা হচ্ছে শিশু রনি মিয়ার কাছ থেকে একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়ার জন্য তাকে খুন করে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেয়া হয়।
তিনি বলেন, ২৮ ফেব্রুয়ারি দাঁতমন্ডল গ্রামের ওরসে যাওয়ার কথা বলে রনি মিয়া ঘর থেকে বের হয়। গ্রামের লোকজন রিফাতের সাথে রনি মিয়াকে ওরসে যেতে দেখে।
পরিবারের লোকজন রিফাতের ব্যাপারে সন্দেহ পোষন করায় আমরা প্রথমে রিফাততে আটক করি। রিফাত পুলিশের কাছে হত্যাকান্ডের সাথে তার সম্পৃক্ততার কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করে ও তার সাথে লিটন মিয়া ছিলো বলে জানায়।
পরে লিটনকেও গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে লিটনও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে কুলিকুন্ডা গ্রামের একটি পুকুর থেকে শিশু রনি মিয়ার লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।