চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় মেয়ের সঙ্গে অভিমান করে জালাল মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তি বিষপান করে আত্মহত্যা করেছেন।
আজ ১৬ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকাল ৫টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় জালাল মিয়ার মৃত্যু হয়। এর আগে গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের মনিয়ন্দ গ্রামে বিষপানের এ ঘটনা ঘটে। নিহত জালাল মিয়া একই গ্রামের তুফানী বাড়ির মৃত সারু মিয়ার ছেলে।
নিহত জালাল মিয়ার ছেলে তানভীর জানান, শনিবার সন্ধ্যার দিকে তারা বাবা জালাল মিয়া তার মেয়ে জিন্নাতকে কলা ও রুটি কিনে খাওয়ার জন্য ২০ টাকা দিয়েছিল। পরে জিন্নাতের ছোটবোনকে দিয়ে ২টি কলা ও ২টি রুটি কিনেন। কলাটি পঁচা হওয়ায় জিন্নাত তার বাবা জালাল মিয়ার সামনে ঢিল দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। এতে জালাল মিয়া খুব কষ্ট পায়। পরে ঘরে রাখা গাছের পোকামাকড় মারার বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে জালাল মিয়াকে মুমূর্ষু অবস্থায় প্রথমে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পরবর্তীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে বিকাল ৫টার দিকে সে মারা যায়।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, হাসপাতাল থেকে জেনেছি এক লোক বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। আখাউড়া থানাকে জানানো হয়েছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সুলতানপুর ৬০ বিজিবি অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল এ এম জাবের বিন জব্বার বলেছেন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুধীজনের সহযোগীতা পেলে সীমান্ত অপরাধ সম্পূর্ণভাবে প্রতিহত করা সম্ভব।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ছয়গড়িয়া স্কুল মাঠে আজ ১৪ জানুয়ারি মঙ্গলবার বিকালে আয়োজিত সীমান্তে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা, চোরাচালান, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধ এবং অবৈধ অনুপ্রবেশ বন্ধে বিশেষ জনসচেতনতামূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, মানব পাচার একটি ঘৃন্য অপরাধ যা জাতি ও সমাজকে কলুসিত করে। তাই তিনি সীমান্ত এলাকাসহ সকল এলাকায় মানব পাচারের সাথে জড়িত অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করে বিজিবিকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, আখাউড়া সীমান্ত ব্যবহার করে যাতে চোরাকারবারীরা ভারতীয় মাদক ও মালামাল চোরাচালান করতে না পারে সে জন্য সীমান্ত এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
৬০ বিজিবি অধিনায়ক বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বলেন, সীমান্ত শূন্য রেখা অতিক্রম করে বাংলাদেশী নাগরিক যাতে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ না করে সে বিষয়ে বিজিবি কঠোর নজরদারী করছে। বিজিবি সদস্যদের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনসাধারণকে তথ্য দিয়ে বিজিবিকে সহায়তা করার আহবানও জানান তিনি। সন্ধ্যার পর সীমান্ত এলাকায় গমনাগমন না করার জন্য স্থানীয় পর্যায়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করার জন্য সকল প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।
এই জনসচেতনতামূলক সভায় উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা গাজালা পারভীন রুহি, আখাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ ছমি উদ্দিন, মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক এ এইচ মামুন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রাকিবুল ইসলাম, আখাউড়া বিওপি কমান্ডার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং জনসাধারণ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় প্রায় ১৫ বছর ধরে নির্যাতনের কথা উপজেলা নির্বাহী অফিসার গাজালা পারভীন রুহীর কাছে তুলে ধরেছেন উপজেলা বিএনপির নেতারা।
গতকাল ৭ আগস্ট বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় তারা তাদের ক্ষোভের কথা তুলে ধরেন। এসময় বিএনপি নেতারা আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট মেয়রের রাধানগরের সাততলা বাড়িতে হামলা করে বিক্ষুব্ধরা। দীর্ঘদিন ধরে মানুষের উপর মেয়র যে অত্যাচার চালিয়ে গেছেন এরই প্রতিফলন এটা। বলা যায় এটা এক ধরণের পঞ্জিভূত ক্ষোভ। তবে হামলার পর যে লুটতরাজ হয়েছে সেটি আরেকটি পক্ষের কাজ। তাদের উদ্দেশ্যই ছিলো লুটপাট করা। মেয়রের সাথে থাকতেন, আওয়ামীলীগের কর্মসূচিতে যেতেন এমন লোকজনও এই লুটপাটে অংশ নেয়।
বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, আখাউড়ায় আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি ছিলো না। কেউ করতোও না। একদিন একটা মিছিল হয়। ৪ আগস্ট আরেকটি মিছিলে বাঁধা দেয় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ও ভাইস চেয়ারম্যান শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু। এরপরই শিক্ষার্থীরা বিক্ষুব্ধ হয়। পরদিন আন্দোলনের সাথে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠন যোগ দিলে সেটি আরো জোরালো হয়। এ সময় মেয়রকে অনুরোধ করা হয় কিছুক্ষণ মিছিল করে সবাই চলে যাবেন। কিন্তু মেয়র এতে বাঁধ সাধেন। এরই মধ্যে বড় একটি মিছিল এসে পৌর এলাকায় ঢুকে। এরপরই মেয়র, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ বেশ কয়েকজনের বাড়িতে হামলা হয়।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) গাজালা পারভীন রুহীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, সদস্য সচিব মোঃ খোরশেদ আলম, পৌর বিএনপির আহবায়ক সেলিম ভূঁইয়া, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ আক্তার হোসেন প্রমুখ। সভায় মুক্তিযোদ্ধাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
দীর্ঘ একমাস পর ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় গেলেন সেখানে নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদ।
আজ ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে তিনি ভারত যান। এর আগে ২ ডিসেম্বর ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনারের কার্যালয়ে হামলা চালায় উগ্রবাদী গোষ্ঠী। এরপরই সহকারী হাই কমিশনার আরিফ মোহাম্মদকে বাংলাদেশে ফেরত আনা হয়।
৮ ডিসেম্বর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার ফেরার বিষয়টি নিশ্চিত করে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ মো. শফিকুল ইসলাম জানান, সহকারী হাই কমিশনার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা নাগাদ সময়ের মধ্যে আগরতলায় যান। এসময় তিনি একাই ছিলেন।
আরিফ মোহাম্মদও তার যাওয়ার বিষয়টি স্থলবন্দর এলাকায় স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন। তবে কবে নাগাদ সেখানকার কার্যক্রম চালু হতে পারে এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারেননি। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তার ভারতীয় অফিসিয়াল নম্বরে ফোন করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় কক্সবাজারগামী আন্তঃনগর পর্যটক এক্সপ্রেসট্রেনের ধাক্কায় মধু শীল (৫৩) নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে।
আজ ১২ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের নয়াদিল এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মধু শীল নয়াদিল উত্তর পাড়ার হরিধন শীলের ছেলে।
জানা যায়, সকালে মধুশীল ধানের চারা নিয়ে জমিতে যাচ্ছিলেন। নয়াদিল এলাকায় রেললাইন পার হওয়ার সময় ট্রেনের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। আত্মীয়-স্বজন তাকে আখাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা সদর হাসপাতাল প্রেরণ করেন। সদর হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পথিমধ্যে বেলা ১২ টার দিকে মৃত্যুবরণ করেন। মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মতিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কক্সবাজারগামী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। আমাদের অফিসার আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।