চলারপথে রিপোর্ট :
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় ৫ রাউন্ড তাজা গুলিসহ একটি দেশীয় বন্দুক উদ্ধারসহ ও দুটি ড্যাগার জব্দ করা হয়।
গ্রেফতার ডাকাত সদস্যরা হল, আলমগীর শেখ(৩০), মাসুম শেখ (৩৬), তারা মিয়া (৩৮), আব্দুল মালেক (৩৫), হাসান আলী শেখ (৩৮), রহমত আলী (৫৫)। এদের সকলের বাড়ি জেলার ফুলছড়ি উপজেলায়।
আজ দুপুরে নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য দেন পুলিশ সুপার মো. কামাল হোসেন।
পুলিশ সুপার জানান, ১৬ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডিবির একটি চৌকস দল অস্ত্রসহ ডাকাতির প্রস্তুতির সময় অভিযান পরিচালনা করে। পরে সন্ধ্যার দিকে ফুলছড়ি উপজেলার ৫নং ও ১৫ নং ইউপির খোলাবাড়ী এলাকা থেকে আসামি আলমগীর শেখকে ৫ রাউন্ড তাজা গুলি ও একটি দেশীয় বন্দুকসহ, মাসুম শেখকে একটি ড্যাগার ও হাসান আলী শেখকে একটি ড্যাগারসহ তারা মিয়া, আব্দুল মালেক, রহমত আলীসহ ছয়জনকে আটক করে। এসময় আরও ৩ থেকে ৪ জন পালিয়ে যায়। ডিবি পুলিশ উদ্ধারকৃত আলামতগুলো জব্দ করে।
কামাল হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃত আসামিরা একই সাথে পরস্পর যোগসাজসে জব্দকৃত অস্ত্রগুলি ও ড্যাগারসহ নৌযানে ডাকাতির জন্য উক্তস্থানে অবস্থান করছিল মর্মে স্বীকার করে। আসামিদের দেয়া তথ্য মতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পলাতকদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। অন্য কেউ জড়িত আছে কিনা সে ব্যাপারে আসামিদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আসামিদের বিরুদ্ধে গাইবান্ধা ফুলছড়ি থানায় অস্ত্র ও ডাকাতি প্রস্তুতির পৃথক ২টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান (অর্থ ও প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ‘বি’ সার্কেল আবদুল্লাহ আল মামুন, অফিসার ইনচার্জ, জেলা গোয়েন্দা শাখা মোখলেছুর রহমানসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার সদস্যবৃন্দ।
চলারপথে ডেস্ক :
আজ ২১ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিনের আলো ফুরিয়ে যাবে তাড়াতাড়ি। সন্ধ্যে গড়িয়ে যে রাত নামবে, তা যেন কাটতেই চাইবে না।
আজ হতে চলেছে বছরের দীর্ঘতম রাত। খবর দ্য ওয়ালের।
কেন ২১ ডিসেম্বর বছরের দীর্ঘতম রাত, তা জানতে হলে শৈশবের সেই ভূগোল বইয়ের পাঠে ফিরে যেতে হবে। জানতে হবে সূর্যের উত্তরায়ন ও দক্ষিণায়নের গতিপ্রকৃতি। পাঠ্যবইতে দীর্ঘতম দিন এবং দীর্ঘতম রাতের কথা সবাই পড়েছে। ২১ জুনকে বছরের দীর্ঘতম দিন বলা হয়, আর দীর্ঘতম রাত হলো ২১ ডিসেম্বর। এই দীর্ঘতম রাত হয় সূর্যের দক্ষিণায়নের কারণে।
কেন রাত সবচেয়ে বড় হয়, এর বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে। বছরে ছটি ঋতু। ঋতু বদলের সঙ্গে দিন ও রাতের সময়কালও বদলায়। বছরের ৩৬৫ দিন কখনো সমান থাকে না। কখনো দিন বড় রাত ছোট হয়, আবার কখনো তার উল্টো। ঠিক এভাবেই বছরে এমন একটা দিন আসে, যেখানে দিন সবচেয়ে ছোট হয়, এবং রাত সবচেয়ে বড়। আবার এর উল্টোটাও হয়।
সৌরজগতের নিয়ম অনুযায়ী, পৃথিবী সূর্যের চারদিকে ঘোরার সময় একদিকে একটু হেলে থাকে। ফলে কখনো উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি আছে, আবার কখনো দক্ষিণ গোলার্ধ। ২১ জুন দিনটাতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের কাছাকাছি থাকে। তাই সূর্যের রশ্মি দীর্ঘসময় পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে পড়ে। সূর্য এদিন কর্কটক্রান্তি রেখায় লম্বভাবে বা খাড়াভাবে কিরণ দেয়। তাই মনে হয় দিন শেষই হচ্ছে না। মার্চ থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধে দেশগুলিতে বেশি পরিমাণ সূর্যালোক পৌঁছায়। এর ফলে এই সময়কালে সেইসব দেশে গ্রীষ্মকাল থাকে। বিজ্ঞানের ভাষায় একেই বলে ‘সামার সলসটিস’ বা উত্তরায়ণ। এর পর থেকে দিন ছোট হতে শুরু করে।
ডিসেম্বর মাস থেকে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে হেলতে থাকে, উত্তর গোলার্ধ চলে যায় অনেকটা দূরে। এই সময় উত্তরে সূর্যের আলো ক্ষীণভাবে পড়ে, ফলে সেখানে তখন শীতকাল, আর দক্ষিণে গরমকাল। ২১ ডিসেম্বর দিনটিতে উত্তর গোলার্ধ সূর্যের থেকে অনেকটাই দূরে থাকে। ফলে সেখানে সূর্যের আলো এতটাই কম পড়ে যে, দিন খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যায় বলে মনে হয়। রাত হয় দীর্ঘ। একে বলে উইন্টার সলসটিস বা সূর্যের দক্ষিণায়ন। এই সময় দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয় আর উত্তর গোলার্ধে রাত দীর্ঘতম হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক সেলিম ভূইয়া বলেছেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য ৩১ দফা দিয়েছেন। এই ৩১ দফার মধ্যে সংস্কারের সব কিছু বলা হয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রশাসন সব কিছুই এই রাষ্ট্র কাঠামোর ৩১ দফার মধ্যে আছে। তাহলে আপনারা কেন এই সংস্কারের কথা বলে নির্বাচন বিলম্বিত করে দেশকে অন্য দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য চাচ্ছেন।
আজ ৭ ডিসেম্বর শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চ ময়দানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক মোঃ জহিরুল ইসলাম চৌধুরী লিটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক সেলিম বলেন, পাশের একটি দেশ প্রতিনিয়ত আমাদের দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা প্রতিটি ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিব। কারণ বিএনপি এ দেশের জনগণের যখন বিপদ আসে, জনগণের যখন প্রাকৃতিক দূর্যোগ দেখা দেয়, জনগণের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়, তখনই বিএনপি জনগণের পাশে এসে দাঁড়ায়। ভারতীয় কোন কিছুকে আমরা মেনে নিতে পারি না। আমরা পরিষ্কার করে বলতে চাই, ভারতের সাথে হাসিনা সরকারের গত ১৫ বছরে যত চুক্তি হয়েছে সমস্ত চুক্তি বাতিল করতে হবে। আমরা বাংলাদেশীরা তাদের প্রভুসুলভ আচরণ কখনোই মেনে নিতে পারি না। তিনি বলেন, তারা ভয় পেতো আমাদের নেতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। কারণ জিয়াউর রহমান কখনো ভারতের আধিপত্য মেনে নেয়নি। মেনে নিতে পারেনি বলেই তারা আমাদের নেতাকে হত্যার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। তাই আজকে এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্মেলন থেকে আমরা বলতে চাই, এই দেশে কোন ধরনের ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন করতে দেয়া হবে না। এ দেশ জিয়াউর রহমানের দেশ। এই দেশ বেগম খালেদা জিয়ার দেশ। এই দেশ তারেক রহমানের দেশ। এই দেশের জনগণ কিভাবে ভালো থাকবে তার কাজ বিএনপি আগেও করেছে, ভবিষ্যতেও করবে।
সম্মেলনে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে খালেদ হোসেন মাহবুব শ্যামল বলেন, আগামী দিনের যে নির্বাচন, সেই নির্বাচন হবে আমাদের ফাইনাল পরীক্ষা। এর আগে আমাদের ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করতে হবে। নিজেদেরকে সংযমী রাখতে হবে। যে কষ্ট আপনারা করেছেন, এই কষ্ট যদি আমরা ফাইনাল পরীক্ষার রেজাল্ট না আনতে পারি, তাহলে সকল কষ্ট বৃথা যাবে।
সম্মেলন উদ্বোধন করেন জেলা বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোস্তাক মিয়া, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই সম্মেলন স্থলে মিছিল এবং রং বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে জড়ো হতে থাকেন বিএনপি অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এক পর্যায়ে সম্মেলন জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
অনলাইন ডেস্ক :
অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারলে রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান। আজ ২ জানুয়ারি মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আমাদের উদ্দেশ্য একটিই। সেটি হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা। আমরা যদি অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না করতে পারি, কোনো কারণে যদি আমরা ব্যর্থ হই, তাহলে আমাদের রাষ্ট্র নিজেই ব্যর্থ রাষ্ট্র হয়ে যাবে। কারণ আমরা সমগ্র বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাব।
সরকারের সাবেক এ সচিব বলেন, কোনোভাবেই এ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেওয়া যাবে না। যখন যেখানে যে পদক্ষেপ নেওয়া দরকার, সময়ক্ষেপণ না করে তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে পদক্ষেপ নিতে হবে।
তিনি বলেন, মাঠে আমাদের প্রায় তিন হাজার নির্বাহী ও বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট কাজ করবেন। আমরা তিনটি শব্দের কথা বলে থাকি এগুলো হলো অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন, এর কোনো বিকল্প নেই। এ নির্বাচন শুধু ১৮ কোটি মানুষ দেখছে, তা নয়, আমাদের দেখছে সমগ্র বিশ্ব। আমরা কীভাবে নির্বাচন করব, কতটা গ্রহণযোগ্য হবে, এটি তারা মূল্যায়ন করবে।
এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, এবারের নির্বাচনে সর্বোচ্চ সংখ্যক বিদেশি পর্যবেক্ষক থাকবেন। তারা কে কোথায় যাবেন, এটি তাদের ইচ্ছা, আমরা কাউকেই ইমপোজ করবো না যে, আপনারা এখানে বা ওখানে যান। তারাই ঠিক করবেন কোথায় যাবেন, আমরা তাদের যাতায়াত ও নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অর্থবিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার, মন্ত্রিপরিষদের সমন্বয় ও সংস্কার সচিব মো. মাহমুদুল হোসাইন খানসহ ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আত্মসমর্পণের পর জামিন পেয়েছেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান। আজ ৩ মে বুধবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালত হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রাখেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী প্রশান্ত কুমার কর্মকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলা পরিচালনা করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এহসানুল হক সমাজী।
এদিন আসামি মতিউর রহমান আদালতে উপস্থিত হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০ হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন আবেদন দাখিলের অনুমতি দেন আদালত। একই সঙ্গে আগামী ১৬ আগষ্ট জামিন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। পাশাপাশি ওইদিন পর্যন্ত হাইকোর্টের দেওয়া তার জামিন বহাল রাখেন বিচারক। এর আগে এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছিলেন তিনি।
গত ২৯ মার্চ রাজধানীর রমনা মডেল থানার ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আইনজীবী মশিউর মালেক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় গ্রেপ্তারের পর ৩০ মার্চ শামসুজ্জামান শামসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। এরপর গত ১৩ এপ্রিল তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।