স্পোর্টস ডেস্ক :
লোকশান এড়াতে সুপার ফোরে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে রিজার্ভ ডে রাখা হয়েছিল। কাজেও লেগেছিল দিনটি। কিন্তু এশিয়া কাপের ফাইনালে সম্প্রচার স্বত্ত্বের ব্যবসায় লালবাত্তি জ্বললো। লঙ্কানদের ব্যাটিং বিপর্যয়ে ফেলে ১০০ ওভারের ম্যাচ ২২ ওভারের মধ্যে শেষ করল ভারত। ১০ উইকেটের বিশাল জয়ে রোহিত শর্মার দল ঘরে তুলল এশিয়া কাপের রেকর্ড অষ্টম শিরোপা।
ফাইনালে পা রাখা পর্যন্ত দারুণ ক্রিকেট খেলেছে শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ-পাকিস্তানকে হারানোর পর ভারতের বিপক্ষে সুপার ফোরের ম্যাচে দুর্দান্ত লড়াই করেছে। সেটাই এশিয়া কাপের ফাইনালের লড়াই জমার আভাস দিয়েছিল। কিন্তু শুরুর আগে শেষ হয়ে কলম্বোর গ্যালারিতে বসা ও টিভি পর্দার দর্শকদের হতাশ করলো তারা।
রোববার কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নামে শ্রীলঙ্কা। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় এশিয়া কাপের ষষ্ঠ শিরোপা জয়ী শ্রীলঙ্কা। জাসপ্রিত বুমরাহ তুলে নেন কুশল পেরেরাকে।
এরপর স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা শিবিরে বড় ধাক্কা দেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ সিরাজ। তিনি নিজের দ্বিতীয় ও দলের চতুর্থ ওভারে বল হাতে নিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। একে একে সাজঘরে ফেরান পাথুন নিশাঙ্কা (২), সাদিরা সামারাবিক্রমা (০), চারিথা আশালঙ্কা (০) ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভাকে (৪)।
পরে আরও দুই উইকেট দখলে নেন ২৯ ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং করা সিরাজ। ডানহাতি এই পেসার দাশুন শানাকা (০) ও কুশল মেন্ডিসকে (১৭) বোল্ড করে দেন। ২১ রানে ক্যারিয়ারে সেরা ৬ উইকেট তুলে নেন। বাকি তিন উইকেট হার্ডিক পান্ডিয়া দখল করে লঙ্কানদের ১৫.২ ওভারে ৫০ রানে অলআউট করে দেন।
জবাব দিতে নেমে ভারতের দুই তরুণ ওপেনার শুভমন গিল ও ইশান কিষাণ ৬.১ ওভারে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। কিশান ১৮ বলে তিন চারে ২৩ ও শুভমন ১৯ বলে ছয় চারে ২৭ রান করেন। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ফাইনালে সর্বোচ্চ ২৬৩ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জয়ের রেকর্ড গড়েন।
অন্যদিকে এশিয়া কাপের ফাইনালে ওয়ানডে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রানে অলআউট হয়েছে শ্রীলঙ্কা। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পার্লে ২১তম ওভারে ৪৩ রানে ধসে গিয়েছিল তারা। শ্রীলঙ্কা অল্পের জন্য ওই লজ্জাসহ ওয়ানডের সর্বনিম্ন ৩৫ রানে অলআউটরে লজ্জা থেকে রেহায় পেয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম বুবলী। তার স্বামী শাকিব খান মঙ্গলবার তার সম্পর্কে বেশ কিছু কথা বলেন। বুধবার বেলা ১১টার দিকে বুবলী তার ফেসবুক পেইজে শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, কিছু দিন পর পর হঠাৎ-হঠাৎ করে আমাকে নিয়ে আপনার এ রকম নিউজ দেখে খুব অবাক হয়ে ভাবি, হচ্ছেটা কি!! শেহজাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আপনাকে নিয়ে অনেক কিছুই বলতে চাই না। এড়িয়ে যাই; কিন্তু আমার ছেলের সম্মানের জন্য যদি মা হয়ে আমাকে কথা বলতে হয়, সময় হলে আমি অবশ্যই বলব…।
বুবলী আরো লেখেন, আমরা জাস্ট একটা সুন্দর ঈদ কাটালাম। শেহজাদকে সহও একসঙ্গে ঈদ কাটিয়েছি, গাড়িতে ঘুরেছি, গান শুনেছি, আপনার আপকামিং মুভির ঈদ নিয়ে গানও শোনালেন, আপনার জোকস শুনে হেসেছি, একসঙ্গে খাবার খেয়েছি, আপনাকে খাইয়েও দিয়েছি, গল্প করেছি…। শেহজাদ ছাড়াও কয়েক দিন আগেও আমরা এই ঈদ এবং ঈদের পরও একসঙ্গে থেকেছি, টাইম স্পেন্ড করেছি…।
ঢালিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী বলেন, কিন্তু কিছু দিন পর পর কী উদ্দেশ্যে আপনি আপনার স্ত্রী (এখনো আপনার সঙ্গে আমার ডিভোর্স হয়নি) এবং আপনার সন্তানের মাকে নিয়ে আপত্তিকর ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলে সংবাদ করে ক্ষীণও চিন্তা প্রকাশ করেন?
তিনি পোস্টে লেখেন— মিস্টার শাকিব খান, আপনার বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকার খুব অপরিচিত লাগে, কেমন যেন! বাস্তবে দেখা আপনার সঙ্গে মেলে না।
তিনি বলেন, আপনি কি সবসময় সজ্ঞানে কথা বলেন নাকি অজ্ঞানেও মাঝেমাঝে কথা বলেন? নাকি আপনার হয়ে আপনার একান্ত মুখপাত্ররাও কথা বলেন?
তিনি বলেন, এগুলো কিন্তু আর্কাইভে থেকে যাবে এবং শেহজাদ কিছু দিন পর বড় হয়ে এসব দেখবে এবং ভাববে কী নোংরাভাবে আপনি তাকে ক্যাশ করে তার মাকে প্রতিনিয়ত হেয় করেছেন।
বুবলী বলেন, আপনাকে তো কোথাও কখনো অসম্মান করিনি বা অসম্মান করে কথা বলিনি; বরং যে কোনো অবস্থায় আপনাকে সম্মান দিয়ে পাশে থেকে নানাভাবে সাপোর্ট দিয়েছি। আপনার সমসাময়িক এত বিষয় থাকতে আপনি বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকারে শুধু কিছু দিন পর পর আমাকে নিয়ে নিউজে খোঁচান কেন? উদ্দেশ্য কী? আগে তো কখনো এ রকম করতেন না? নাকি আপনার বিশেষ সাক্ষাৎকারে আর অন্য কোনো বিষয় তখন একান্ত মুখপাত্ররা পাশে থেকে কেউ ডাবিং করে দেয় না।
তিনি আরও বলেন, সব কিছুর ঊর্ধ্বে একজন মানুষ হিসেবে কিছু কথা বলতে চাই আপনাকে— ভালো ভালো সিনেমা করুন, তবে মনে রাখবেন সুপারস্টারডোম জীবনের একটা অংশ; কিন্তু এটাই পুরো জীবন নয়।
শাকিব খানের উদ্দেশে বুবলী আরও লেখেন, অনেকটা সময় পার হয়ে গেছে নিজের জীবনটাকে গোছান, সেটি যেভাবেই আপনার ভালো লাগে, আমি কখনই আপনাকে কোনো ব্যাপারে ফোর্স করিনি, সব সিদ্ধান্ত দিনশেষে আপনারই ছিল।
সবশেষে তিনি শাকিবের উদ্দেশ্যে বলেন, এখনো আপনার কোনো কিছু মনে হলে সেই সিদ্ধান্তও একান্তই আপনার, সেটা যেই সিদ্ধান্তই হোক আমি অবশ্যই শুভকামনা জানাব; কিন্তু বিনীত অনুরোধ করব— আবারও কোনো লুকোচাপা করে আর কোনো বাজে কনফিউশন তৈরি করবেন না। শেহজাদের বাবা হিসেবে আমি যেমন আপনাকে সম্মান দিই, আপনিও সেটি করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২১ জানুয়ারি রবিবার কুমিল্লা জেলা স্টেডিয়াম (ভাষা সৈনিক শহীদ নীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়াম) ইয়ং টাইগার্স অনুর্ধ্ব-১৬ বিভাগীয় ক্রিকেট টুর্ণামেন্ট এর সি গ্রুপের খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ১১৭ রানে বড় ব্যবধানে কক্সবাজারকে পরাজিত করে সেমিফাইনালে খেলার গৌরব অর্জন করে। এর আগে ১৫ জানুয়ারি ১ম খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২০৮ রানের ব্যবধানে বান্দরবানকে পরাজিত করে।
১৭ জানুয়ারি ২য় খেলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪৬ রানে চাঁদপুর এর কাছে হেরে যায়। সি গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নীট রান রেটে ৪র্থ দল হিসেবে সেমিফাইনালে উন্নীত হয়।
আগামী ২৪ জানুয়ারি ২য় সেমিফাইনাল অংশ গ্রহণ করবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বনাম চাঁদপুর।
২৩ জানুয়ারি ১ম সেমিফাইনালে অংশ গ্রহণ করবে নোয়াখালী বনাম লক্ষীপুর, ২৬ জানুয়ারি ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। সবগুলো খেলা চট্টগ্রামের মহিলা ক্রীড়া কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড গেইম ডেভলপমেন্ট এর আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা ৩টি গ্রুপে ভাগ হয়ে লীগ ভিত্তিক খেলায় অংশগ্রহণ করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা অনুর্ধ্ব-১৬ ক্রিকেট দলের সদস্যগণ হলেন : তপু দত্ত (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান শ্রাবণ (সহ: অধিনায়ক), ইশান বনিক (উইকেট কিপার), সাকিব আল জামান, নুর আলম রাফি, আনাছ, আলিফ, সাদমান, শিমুল, ইয়াছিন আরাফাত, সজিবুর, মাহিন, সাবাব, নওশাদ, সিফাত ও নুর হোসেন কোচ মোহাম্মদ রুহুল কুদ্দুছ শামীম, ম্যানেজার নাজমুল হক ভূঁইয়া সেলিম।
অনলাইন ডেস্ক :
২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য খালি ছিল মাত্র একটি জায়গা। সেই জায়গাটি পূরণ করল উগান্ডা।
নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কোনো বৈশ্বিক আসরে খেলতে যাচ্ছে তারা।
আফ্রিকান অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব পেরোতে উগান্ডার জন্য আজ ৩০ নভেম্বর বৃহস্পতিবার জয়ের দরকার ছিল। রুয়ান্ডাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে কাজটা সহজভাবেই করে দলটি। নামিবিয়ার ওয়ান্ডারার্স ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৬৫ রানেই গুটিয়ে যায় রুয়ান্ডা।
জবাব দিতে নেমে ৮.১ ওভারেই সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায় উগান্ডা। তাদের এই জয়ে কপাল পুড়ল জিম্বাবুয়ের। আরো একবার বিশ্বমঞ্চের স্বাদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হলো তারা। যদিও খেলেছিল গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এবারের বিশ্বকাপের বাছাইয়ের বাধাই পার করতে পারল না।
বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে কেনিয়ার বিপক্ষে খেলছে জিম্বাবুয়ে। কিন্তু সেই ম্যাচে জিতলেও কোনো লাভ নেই। আফ্রিকান অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকিট আগেই কেটে রেখেছে নামিবিয়া। পাঁচ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে তারা। এক ম্যাচ বেশি খেলে সমান পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে উগান্ডা। শেষ ম্যাচ খেলার আগে পয়েন্ট টেবিলের তিনে থাকা জিম্বাবুয়ের সংগ্রহ ছিল পাঁচ ম্যাচে ৩ জয়ে ৬ পয়েন্ট। তাই ১০ পয়েন্ট হওয়ার সম্ভাবনা নেই তাদের।
এদিকে আগামী বছরের ৪ জুন থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের আসরে বেড়েছে দল সংখ্যা। ১৬ দলের পরিবর্তনে অংশগ্রহণ করবে ২০টি দল।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলবে যারা: ওয়েস্ট ইন্ডিজ, যুক্তরাষ্ট্র, ইংল্যান্ড, পাকিস্তান, ভারত, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নেদারল্যান্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকা, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান, আয়ারল্যান্ড, স্কটল্যান্ড, পাপুয়া নিউ গিনি, কানাডা, নেপাল, ওমান, নামিবিয়া, উগান্ডা।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন খালেদ মাহমুদ সুজন।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বুধবার বোর্ডে পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। বিসিবির একজন পরিচালক সুজনের দায়িত্ব ছাড়ার খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
লম্বা সময় ধরে বিসিবিতে একাধিক কমিটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন সুজন। সর্বশেষ তিনি গেম ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। একই সঙ্গে ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির সহ-সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
বিসিবি পরিচালকের পদে থাকার সময়ে জাতীয় দলের সাথেও কাজ করেছেন সুজন। বিভিন্ন সময় টিম ডিরেক্টর, অন্তর্বর্তীকালিন কোচ, টিম ম্যানেজারের দায়িত্বও পালন করেছেন তিনি।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের জের ধরে দেশের নানা অঙ্গনে চলছে পরিবর্তনের হাওয়া। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদেও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এসেছে। সুজনের আগে বিসিবি পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন জালাল ইউনুস, আহমেদ সাজ্জাদুল আলম ববি, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল ও নাইমুর রহমান দুর্জয়ের মতো প্রভাবশালী পরিচালকরা।
এদিকে, বিসিবি সভাপতির দায়িত্ব ছাড়লেও পরিচালক পদে এখনও বহাল আছেন নাজমুল হাসান পাপন। রাজনৈতিকভাবে ব্যাকফুটে চলে যাওয়ায় তিনি এমন সিদ্ধান্ত নেন। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান পাপন। তার পদত্যাগের পর বিসিবির নতুন সভাপতি হয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ফারুক আহমেদ।
স্পোর্টস ডেস্ক
আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুই ম্যাচের সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতল টাইগাররা।
এর আগে ২০১৮ সালে দেরাদুনে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-০ ব্যবধানে হারে বাংলাদেশ। গত বছর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-১ এ ড্র করে দুই দল।
আজ ১৬ জুলাই রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। জয়ের জন্য বৃষ্টি আইনে বাংলাদেশের টার্গেট দাঁড়ায় ১৭ ওভারে ১১৯ রান।
সিরিজ জয়ের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন দুই ওপেনার লিটন কুমার দাস ও আফিফ হোসেন। উদ্বোধনী জুটিতে তারা গড়েন ৬৭ রানের জুটি। এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে ফেরেন লিটন, আফিফ ও শান্ত।
লিটন আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬টি বাউন্ডারির সাহায্যে করেন ৩৫ রান। ২০ বলে দুই ছক্কায় ২৪ রানে ফেরেন আফিফ হোসেন।
দুই ওপেনার আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে সুবিধা করতে পারেননি নাজমুল হোসেন শান্ত। তিনি বোল্ড হওয়ার আগে ৬ বলে ৪ রানে ফেরেন।
বিনা উইকেটে ৬৭ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৯ রানের ব্যবধানে হারায় ৩ উইকেট। এরপর সাকিবের সঙ্গে ২১ বলে ৩১ রানের জুটি গড়ে ফেরেন তাওহিদ হৃদয়। তার আগে ১৭ বলে করেন ১৯ রান।
হৃদয় আউট হওয়ার পর শামিম পাটোয়ারিকে সঙ্গে নিয়ে ৫ বল আগেই ৬ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন সাকিব। ১১ বলে ১৮ রানে অপরাজিত থাকেন সাকিব। ৭ বলে ৭ রান করেন শামিম।
রবিবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান করে আফগানিস্তান ক্রিকেট দল।
এদিন ব্যাটিংয়ে নেমেই তাসকিন আহমেদের গতির মুখে পড়ে ১৬ রানেই দুই ওপেনারের উইকেট হারায় সফরকারীরা। ২.৪ ওভারে ১৬ রানেই রহমানউল্লাহ গুরবাজের পর সাজঘরে ফেরেন হজরতউল্লাহ জাজাই।
এরপর দলের হাল ধরেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। ৭.২ ওভারে আফগানদের সংগ্রহ ছিল ৩৯/২ রান। ২০ বলে ১১ এবং ১৪ বলে ১১ রানে অপরাজিত ছিলেন ইব্রাহিম জাদরান ও মোহাম্মদ নবি। সন্ধ্যা ৬টা ৩৬ মিনিটে শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে প্রায় দুই ঘণ্টা।
রাত সোয়া ৮টায় বৃষ্টি থেমে গেলে ফের খেলা শুরু হয়। দীর্ঘ সময় খেলা বন্ধ থাকায় ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৩ ওভার। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে সুবিধা করতে পারেননি আফগান ব্যাটসম্যানরা। বৃষ্টির পর খেলতে নেমে ২৮ রান তুলতেই হারায় ৩ উইকেট।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। তার বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফেরেন আফগান সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি।
নবি দুই দফা নাসুম আহমেদের বলে ক্যাচ তুলে বেঁচে যান। প্রথমবার নবির ক্যাচ ফেলে দেন সাকিব। দ্বিতীয়বার ফেলেন উইকেটকিপার লিটন দাস। সাজঘরে ফেরার আগে নবি ২২ বলে করেন ১৬ রান।
নবি আউট হওয়ার পর ইব্রাহিম জাদরান দ্রুত কিছু রান স্কোর বোর্ডে জমা করতে চেয়েছিলেন। ১০ম ওভারে মোস্তাফিজ উইকেট নিলেও তাকে এক চার আর সমান ছক্কায় ১৫ রান আদায় করে নেন ইব্রাহিম।
১১তম ওভারে সাকিব বোলিংয়ে এসেই তুলে নেন ইব্রাহিম জাদরান ও নজিবুল্লাহ জাদরানের উইকেট। ইব্রাহিম জাদরান আউট হওয়ার আগে ২৭ বলে ২২ রান করেন। ৫ রানে ফেরেন নজিবুল্লাহ। তার বিদায়ে ১১ ওভারে ৬৭ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় আফগানরা।
ষষ্ঠ উইকেটে করিম জানাত ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ২৯ বলে ৪২ রানের জুটি গড়েন। ২১ বলে ২৫ রান করা আজমতউল্লাহকে ফেরান মোস্তাফিজ। আর ১৫ বলে ২০ রান করা করিম জানাতকে আউট করেন তাসকিন। আফগানিস্তান ১৭ ওভারে ৭ উইকেটে হারিয়ে ১১৬ রান করতে সক্ষম হয়। বাংলাদেশ দলের হয়ে ৩ উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। দুটি করে উইকেট নেন সাকিব-মোস্তাফিজ।