চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় ইসলামী ব্যাংকের গ্রাহক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার বিকালে উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের তন্তর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট আউটলেটের ৫ম বর্ষে পদার্পন উপলক্ষে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আখাউড়া ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ জয়নাল আবেদীন, এফএবিপি।
এজেন্ট ব্যাংকের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাছানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ধরখার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সাফিকুল ইসলাম।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন তন্তর বাজার ব্যবসায়ী পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ লোকমান খন্দকার, আখাউড়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক কাজী হান্নান খাদেম, ব্যাংকের গ্রাহক মোঃ ইকবাল হোসেন, জাকির হোসেন ভূইয়া প্রমুখ।
প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় গ্রাহকদেরকে নিয়ম মেনে লেনদেন করার অনুরোধ করেন। কোন প্রকার অপপ্রচারে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য গ্রাহকদের প্রতি অনুরোধ করেন।
এজেন্ট আউটলেটের স্বত্বাধিকারী মোঃ মাহমুদুল হাছান ৪ বছর ব্যাংক পরিচালনা করে ৫ম বর্ষে পদার্পণ করায় গ্রাহকদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এবং গ্রাহকদের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি গ্রাহকদেরকে আশ^স্ত করেন বলেন, আপনাদের কষ্টার্জিত আমানত এ ব্যাংকে সুরক্ষিত থাকবে।
বক্তারা বলেন, ইসলামী ব্যাংক সেবার মাধ্যমে গ্রাহকের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করেছে। তন্তর বাজারে ইসলামী ব্যাংকের এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা চালু হওয়ায় মানুষ সুফল পাচ্ছে। বক্তারা বলেন, ব্যাংকে এসে গ্রাহক যেন হয়রানির শিকার না হয়।
গ্রাহকদেরকে ভালো সেবা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং ব্যাংকের সফলতা কামনা করে বলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার মোঃ ওবায়দুল হক।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ১০ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে। আজ ১২ জুন সোমবার বিকেলে পেঁয়াজবোঝাই একটি ভারতীয় ট্রাক বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ১৩ জুন মঙ্গলবার সকালে পেঁয়াজগুলো বন্দর থেকে খালাস করবে বলে জানা গেছে।
আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. আতিকুল ইসলাম জানান, বিডিএস কর্পোরেশন নামে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠান আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ২০০ টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খুলেছে। প্রথম চালানে একটি ট্রাকে করে ১০ টন পেঁয়াজ এসেছে। প্রতি টন পেঁয়াজের আমদানি মূল্য ২৫০ মার্কিন ডলার। ধাপে ধাপে এলসির বাকি পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছাবে বলে জানান তিনি।
এদিকে, পেঁয়াজ আমদানির মাধ্যমে প্রায় তিন মাস পর আবারও সচল হলো আখাউড়া স্থলবন্দরের পণ্য আমদানি বাণিজ্য। সর্বশেষ গত মার্চের প্রথম সপ্তাহে ভারত থেকে ৩৮ টন ভাঙা পাথর আমদানি হয়েছিল।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়ায় বাজার করতে এসে স্ট্রোক করে বোরহান ভূঁইয়া (৫২) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৯ মার্চ শনিবার বেলা ১১টার দিকে আখাউড়া রেলওয়ে জিআরপি থানা সংলগ্ন স্থানে এ ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। মৃত বোরহান ভূঁইয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বাসুদেব পূর্বপাড়া গ্রামের মৃত গফুর ভূঁইয়ার ছেলে।
জানা গেছে, বোরহান ভূঁইয়া সকালে বাজার করতে আখাউড়ায় আসেন। বাজার করা শেষে তিনি ব্যাগ হাতে নিয়ে রেললাইন দিয়ে হেঁটে বাড়ির দিকে রওনা হন। একপর্যায়ে রেলওয়ে জিআরপি থানার কাছে পৌঁছালে তিনি ব্যাগ ফেলে হঠাৎ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা পরে দেখতে পান তিনি আর বেঁচে নেই।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি মো. জসিম উদ্দিন খন্দকার বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে- তিনি স্ট্রোক করেছেন। মৃতের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল একে এম নাজমুল হাসান বলেন, মাদক চোরাচালান সহ সীমান্ত হত্যা কমিয়ে নিয়ে আসার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। মাদক ও চোরাচালানের বিরুদ্ধে আমাদের জিরু টলারেন্স।
তিনি আরো বলেন, আমাদের পক্ষে থেকে চেষ্টা করছি মাদক যেন সীমান্ত দিয়ে কোনভাবে আমাদের দেশে প্রবেশ করতে না পারে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহন করেছে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম যেন মাদকের মাধ্যমে ধ্বংস না হয়ে যায় সেইটি আমাদের মূল লক্ষ্য থাকবে। সীমন্ত দিয়ে মাছের বিনিময়ে মাদক আসে এই বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা চাই কোন অবস্থাতে যেন কোন মাদক না আসে।
আজ ০১ মার্চ বুধবার দুপুরে আখাউড়া আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় সীমান্ত হত্যা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, সীমান্ত হত্যা কারোর ই কম্য না, কখন কোন পরিস্থিতি কোন ঘটনা ঘটছে, কারোর কাঙ্খিত না একটা জীবন মেরে ফেলুক, তারাও চাই না আমরাও চাই না। তারাও চাই আমরাও চাই সীমান্ত হত্যা যতটুকু নিচে নামিয়ে আনা যায়।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনি (বিএসএফ) এর বাধার মুখে কসবা রেলস্টেশন ও সালদা নদীর ব্রিজের কাজ বন্ধ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে বিজিবি মহাপরিচালক আরো বলেন, ২০১৬ সালে কাজটি শুরু হেেয় ২০২০ সালে কাজটা বন্ধ হয়ে পরেছিল। এখন আমরা চেষ্টা করছি দ্রুত যেন সমাধান হয়ে যায়। আমাদের সর্বোচ্চ পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পরে আমার পক্ষে থেকে বিএসএফ সহ সংশ্লিষ্ট সবার সাথে অফিসিয়ালি যোগাযোগ হয়েছে। আমরা আশা করছি খুব দ্রুত একটি পজিটিভ ফলাফল আসবে এবং কসবা ও সালদা নদীর রেলওয়ে যে প্রজেক্ট আছে সেগুলোতে খুব দ্রুত এর কর্যক্রম শুরু হবে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল কে এম আজাদ ব্যুরো চিফ বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মোহম্মদ আমির মজিদ পরিচালক বিএসবি, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল তসলিম এহসান, লেফটেন্যান্ট কর্ণেল, মহিউদ্দিন পিএস টু ডিজি, মেজর, ফা – মিম আদনান এডিসি, সুলতানপুর ৬০ বিজিবি ব্যাটালিয়ানের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল মোহাম্মদ আশিক হাসান উল্লাহ, ২৫ বিজিবি সরাইলের রিজিওন কমান্টার ব্রিঃ জেঃ শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ভোটের লড়াইয়ে আপন দুই ভাই একে অপরের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। পৌর শহরের খড়মপুরস্থ প্রখ্যাত আওলিয়া কল্লা শহীদ (র.) মাজার শরীফ পরিচালনা কমিটির নির্বাচনে উত্তর পাড়া থেকে সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন দুই সহোদর।
তারা হলেন বড় ভাই মোঃ মলিন খাদেম (আনারস) ও ছোট ভাই মোঃ খোকন খাদেম (মোরগ)। খোকন খাদেম বর্তমানে কমিটির সদস্য।
একই পদে দুই ভাই প্রার্থী হওয়ায় এলাকায় ভোটারদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে। আগামী ২৪ নভেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মাজার কমিটি সূত্রে জানা গেছে, কল্লা শহীদ (র.) মাজারটি বাংলাদেশ ওয়াকফ্ এস্টেট এর তালিকাভুক্ত একটি দরগাহ শরীফ। ই. সি. নং ৪৫৬৬। ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মাজার পরিচালনা করে। পদাধিকার বলে জেলা প্রশাসক ওই কমিটির সভাপতি এবং আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিনিয়র-সহ সভাপতি। গ্রামের ৭টি পাড়া থেকে ৪২ জন প্রার্থী হয়েছেন। প্রত্যেক পাড়া থেকে ৩ জন করে ২১ জন সদস্য নির্বাচন করবেন ভোটাররা। পরবর্তীতে সদস্যের ভোটে একজন সাধারণ সম্পাদক ও একজন সহ-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়। ওয়াকফ প্রশাসকের সুপারিশক্রমে ২ জন সদস্য মনোনয়ন দেওয়া হয়। কমিটির মেয়াদ ৩ বছর।
এদিকে মাজার কমিটির নির্বাচনে আপন দুই ভাই প্রার্থী হওয়ার আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের ভাষ্য, একই পরিবার থেকে দু’জন প্রার্থী হওয়ায় বিষয়টি অশোভন দেখাচ্ছে। এতে তাদের নিজেদের ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাবে। ভোটাররাও বিভ্রান্ত হবে। দুই ভাইয়ের দ্বন্দ্বের সুযোগ নিবে অন্যান্য প্রার্থীরা। ফলে নির্বাচনে জয়লাভ করা উভয়ের জন্য কঠিন হবে। কিন্তু এক ভাই প্রার্থী হলে দুই ভাইয়ের সম্বলিত শক্তিতে জয়লাভ করা সহজ হতো।
উত্তর পাড়া থেকে অপর প্রার্থীরা হলেন মোঃ কামরুল হাসান (দেয়াল ঘড়ি), মোঃ বাহাদুর খাদেম (চশমা), রোজবেল খাদেম (আম), সাকির খাদেম (হারিকেন) ও জাকির খাদেম (কলস)।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই সরগরম খড়মপুরের পাড়া মহল্লা। প্রার্থীদের ছবি ও প্রতীক সম্বলিত মিনি পোষ্টারে ছেয়ে গেছে গ্রামের পাড়া মহল্লা। বাসা বাড়ির দেয়াল, বিদ্যুতের খুঁটি ও দোকান-পাটে প্রার্থীদের পোস্টার লাগানো হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও চলছে প্রচার প্রচারণা। ভোটারদের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। নিজ নিজ প্রতীকে ভোট চাচ্ছেন ভোটারদের কাছে।
জানতে চাইলে, মলিন খাদেম বলেন, দুই ভাই নির্বাচন করলেও সমস্যা নাই। ভোটাররা যাকে যোগ্য মনে করবেন তাকে ভোট দিবেন।
অপর দিকে ছোট ভাই মোঃ খোকন খাদেম বলেন, কেউ ষড়যন্ত্র করে বড় ভাইকে প্রার্থী করেছে। তবে আমি সব সময় পাড়ার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে ছিলাম। আশা করি ভোটাররা আমাকে মূল্যায়ন করবেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় সংক্ষিপ্ত পদযাত্রা করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা। কেন্দ্রীয় বিএনপির ঘোষিত শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে দেশব্যাপী পদযাত্রার অংশ হিসেবে আজ ১৮ জুলাই মঙ্গলবার দুপুরে পৌরশহরের সড়ক বাজারে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।
এর আগে বিএনপির নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে অংশ নেয়। দুপুরে জেলা শহর থেকে ফিরে আখাউড়া ষ্টেশন থেকে পদযাত্রা করে বিএনপির দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ইঞ্জি. মোঃ মুসলিম উদ্দিন, উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম. এ. রউফ চৌধুরী, মোঃ শাহজাহান চৌধুরী, যুবদল নেতা জাহের চৌধুরী প্রমুখ।