চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মজলিশপুর ইউনিয়নের প্রাইমারি ২০২২ বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্তদের ও খেলাধূলায় কৃতিত্ব অর্জনকারীকে এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের নব- নির্বাচিত কমিটিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে৷
আজ ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার উম্মে সালমা।
মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ও মৈন্দ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল গাফারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর মডেল থানার (তদন্ত) অফিসার অফিসার সুমন ভৌতিক, মজলিশপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বাকাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক এনামুল হক, মৈন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক মোস্তাফা মোঃ হায়দার, মজলিশপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, তারিকুল ইসলাম প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন,আজকের শিক্ষার্থীর আগামী দিনের দেশের কর্ণধার, তারাই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে,তারাই এদেশের নেতৃত্ব দিবে,তাই শিক্ষার্থীদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে শুধু মেধাবী শিক্ষার্থী নয় মানবিক ও আলোকিত শিক্ষার্থী হিসাবে গড়ে উঠতে হবে। বক্তারা সন্তানের প্রতি বিশেষভাবে খেয়াল রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।
এ সময় মজলিশপুর ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কার্যকরী পরিষদের নব-নির্বাচিত কমিটির সদস্যদেরকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া ও প্রাথমিক বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী, এসএসসি জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী, খেলাধুলায় কৃতিত্ব অর্জনকারী ২ শিক্ষার্থীসহ ৩০ জন শিক্ষার্থীদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাওনা টাকা নিয়ে প্রতিপক্ষের বল্লমের আঘাতে নিহত প্রবাসী খাইরুল ইসলাম খোকনের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। আজ ১০ জুন শনিবার দুপুরে আখাউড়া-আগরতলা সড়কের সদর উপজেলার বাসুদেব বাসস্ট্যান্ড মোড়ে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাসুদেব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লার সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন ৪ নম্বর ওয়ার্ড কোড়াবাড়ি গ্রামের মেম্বার আলমগীর হোসেন, বাসুদেব ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল আহম্মেদ মোল্লা, আখাউড়া যুবলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল গফুর বাদল, মামলার বাদী নিহতের ভাই আকরাম হোসেন প্রমুখ।
এসময় বক্তারা বলেন, পূর্ব বিরোধের জের ধরে সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিতভাবে খোকনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে। এ হত্যার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জমিতে হাল চাষের ৫০০ টাকা পাওনা নিয়ে কোড্ডা গ্রামের মলাই মিয়া ও শাহ আলমের মধ্যে বিরোধ চলছিল। শুক্রবার রাতে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করার সময় সালিশ চলাকালে মলাই মিয়ার পক্ষের লোকজনের বল্লমের আঘাতে শাহ আলমের পক্ষের খাইরুল ইসলাম খোকন নিহত হয়।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই আকরাম হোসেন বাদী হয়ে ২৩ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১০/১৫ জনকে আসামি করে মামলা করে। পুলিশ এখন পর্যন্ত ৯ জনকে আটক করেছে। আটক ব্যক্তিরা হলেন-মলাই মিয়া, খসরু মিয়া, মামুন, ইয়াছিন, ফাতেমা, জামাল, মাইনুদ্দিন, বাহার ও একরাম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, প্রবাসী খাইরুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর আয়োজনে মানববন্ধন ও জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
আজ ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার সকাল ১০টায় শহরের আধুনিক পৌর সুপার মার্কেটের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন চলাকালে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা সংসদের সভাপতি জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও সমাজকর্মী অ্যাডভোকেট নাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের সংবিধানে স্পষ্ট বলা আছে জাতীয় সঙ্গীত পরিবর্তন করা যাবে না। এই গানের মধ্যে আবেগ আছে, ভালোবাসা আছে, দরদ আছে, দেশপ্রেম আছে। এই গানের জন্ম হয়েছে পূর্ব বাংলার শিলাইদহে। এই জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি সুরে-সুরে আকাশ, বাতাস, প্রকৃতিকে নিয়ে কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ দেশ প্রেমের এই সঙ্গীত রচনা করেছেন। ১৯৭১ সালের আগেও এই গান গেয়েছি আমরা। এই গানের মধ্য দিয়ে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে। আজকে একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন পর্যন্ত আমাদের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে আমাদের শ্রদ্ধা আছে, ভালোবাসা আছে। মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দঘন পরিবেশে জাতীয় দৈনিক আমার সংবাদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে আজ ০২ মার্চ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলানায়তনে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি খ. আ. ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাতের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো: সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো: জসিম উদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি আল আমিন শাহীন, সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাবেক সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রিয়াজ আহমেদ অপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিহাব উদ্দিন বিপু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কোষাধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন বেলাল, সাবেক আইটি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের আইটি সম্পাদক জালাল উদ্দিন রুমি, দৈনিক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সম্পাদক ফয়জুন নাহার প্রম্খু। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আজিজুর রহমান পায়েল, মেহেদী নূর পরশ, প্রকাশ দাস, ইফতেহার রিফাত, মোঃ সাইফুল, মোঃ রাসেলসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
এ সময় বক্তারা, দৈনিক আমার সংবাদের উত্তরোত্তর সফলতা ও সমৃদ্ধি কামনা করেন। পরে কেক কেটে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন প্রেসক্লাবের সাবেক সহ- সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমানে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ১২ এপ্রিল বুধবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগ,ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, শিক্ষক, গণমাধ্যম ও এনজিও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে অংশ গ্রহণকারীদের ১১টি দলে বিভক্ত করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর। দলগুলো হল স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট, স্মার্ট পাবলিক সার্ভিস, স্মার্ট ল এন্ড অর্ডার, স্মার্ট এডুকেশন, স্মার্ট সোশাল সার্ভিস, স্মার্ট সিটি এন্ড ভিলেজ, স্মার্ট এগ্রিকালচার, স্মার্ট হেলথ, স্মার্ট ট্রান্সপোর্টেশন, স্মার্ট ইউটিলিটি ও স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট। পরে অংশ গ্রহণকারী দলগুলো স্মার্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিনির্মাণে নিজ নিজ দলের স্বপক্ষে প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
কর্মশালার শুরুতেই স্মার্ট ল্যান্ড ম্যানেজমেন্টের উপর একটি স্লাইড শো প্রদর্শন করেন সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো মোশারফ হোসেন।
তিনি বলেন, সাব রেজিস্ট্রার কার্যালয় ১৯৪৭ সাল থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত আনুমানিক ২০-২৫ লাখ দলিল রয়েছে। এসব দলিল স্ক্যান করে ডাটাবেইস তৈরির প্রস্তাবনা তুলে ধরেন তিনি।
পাশাপাশি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে নকশাকে সংরক্ষণ করে ই-নকশায় রূপান্তর করে ডাটাবেইস তৈরি করা হলে দলিল নিয়ে ভোগান্তি আর পোহাতে হবে না। কারণ, ভূমি কার্যালয়ের সকল কিছু এখন অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেছে। সকল নথি এখন গ্রাহকদের অনলাইনে সরবরাহ করা হয়। ভ‚মি কার্যালয়ের সকল কাজ ঘরে বসে করা যায়। শুধু সাবরেজিস্ট্রার কার্যালয়ের দলিলের কাজটি অনলাইন ভিত্তিক হয়ে গেলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কমবে। মানুষকে আর প্রতারিত হতে হবে না।
ভূমি নিয়ে মামলা সংক্রান্ত কারনে বছরের পর বছর বিচারের আশায় আদালতে সময় ব্যয় করতে হবে না। কর্মশালা সঞ্চালনা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ জিয়াউল হক মীর।