চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে সর্বজনীন পেনশন স্কীম সংক্রান্ত অবহিতকরন সভা আজ ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকালে অনুষ্ঠিত হয়। সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখের সভাপতিত্বে অবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন, সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলামিনুল হক পাভেল।
অবহিতকরণ সভায় ¯স্লাইড (তথ্য চিত্র) প্রদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সেলিম শেখ।
অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম বলেন, বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে দেশে অনেক উত্তম কর্মকান্ড করেছেন। পেনশন স্কীম চালু বর্তমান সরকারের একটি সর্বোত্তম কর্মকান্ড। সর্বজনীন পেনশন স্কীমে মানুষের সুরক্ষার বিষয়টি রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম আরো বলেন, সঞ্চয় মানুষের শেষ জীবনের জন্য খুবই জরুরী। এই পেনশনের ফলে শেষ বয়সে কাউকে বৃদ্ধাশ্রমে যেতে হবে না, এটা তাদের শেষ অবলম্বন। এটা সরকারের একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে একটা মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে। এটা একটা গুজব। সরকার কখনো কারো টাকা মারে না। তিনি সবাইকে সর্বজনীন পেনশন স্কীমে অর্ন্তভুক্ত হওয়ার আহবান জানান। অনুষ্ঠানে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগন, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আদালত চত্বর থেকে অপহরণ হওয়া তিন যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক অপহরণকারীকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় যুবকদের কাছ থেকে নেয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯-এ কল পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে পৌর এলাকার ভাদুঘর রেললাইনের পাশ থেকে অপহৃত তিন যুবক সোহাগ মিয়া (৩০), হিমেল মিয়া (১৯) ও মুন্না মিয়া (৩৫) কে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পুলিশ অপহরণকারী লাল মিয়া (২৯) কে গ্রেফতার করতে পারলেও অন্যান্য অপহরণকারীরা পালিয়ে যায়।
উদ্ধার হওয়া সোহাগ মিয়া জেলার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের জাহের মিয়ার ছেলে, হিমেল একই গ্রামের নেসার উদ্দিনের ছেলে ও মুন্না মিয়া আখাউড়া উপজেলার মনিয়ন্দ ইউনিয়নের নোয়ামোড়া গ্রামের ইয়াজ উদ্দিনের ছেলে। গ্রেফতারকৃত লাল মিয়া কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে।
উদ্ধার হওয়া হিমেল, সোহাগ ও মুন্না এবং পুলিশ জানায়, কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের আনোয়ার মিয়ার ছেলে লাল মিয়ার সাথে তাদের বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেরে লাল মিয়ার সাথে কয়েকদিন আগে তাদের ঝগড়া হয়। এ ঘটনায় লাল মিয়া তাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে তারা আদালতে আত্মসমর্পন করতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। পরে আদালত তাদেরকে জামিন দিলে দুপুর দেড়টার দিকে তারা আদালত চত্বর থেকে বের হওয়ার সময় আদালতের সামনের রাস্তা থেকে মামলার বাদি লাল মিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রামের তার ভগ্নিপতি ও খালাতো ভাই সাহস মিয়াসহ ৬/৭ জন যুবক তাদেরকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে তাদের মোটর সাইকেলে তুলে নেয়। পরে তাদেরকে প্রথমে শহরের ওয়াপদার ভেতরে ও পরে ভাদুঘর রেললাইনের পাশে বাঁশ ঝাড়ের নিচে নিয়ে বেধরক মারধোর করে। পরে লাল মিয়া ও সাহস মিয়া তাদের কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। টাকা না দিলে তাদেরকে ট্রেনের নীচে ফেলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
পরে তিন যুবক তাদের স্বজনদের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা লাল মিয়ার বিকাশ নম্বরে এনে দেয়। পরে সুযোগ বুঝে অপহৃত যুবকদের একজন জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ কল করে পুলিশের সহায়তা চাইলে বিকেল সাড়ে ৪ টার সময় পুলিশ ভাদুঘর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে তিন যুবককে উদ্ধার ও অপরহনকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। পরে লাল মিয়ার কাছ থেকে বিকাশের মাধমে নেয়া ৫০ হাজার টাকার মধ্যে ১৫ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, জরুরি সেবা সার্ভিস ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে আমরা তিন যুবককে উদ্ধার করি ও অপহরণকারী লাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করি। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী সোহাগ মিয়া বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আমরা বাকীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। আজ ১৯ মে শুক্রবার গ্রেফতারকৃত লাল মিয়াকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ১ জুন শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন। এদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরসহ নয় উপজেলায় পাঁচ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ জন শিশুকে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এর মধ্যে ছয় থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা ৫৮ হাজার ৩০০ এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সি শিশুর সংখ্যা চার লাখ ৮৩ হাজার ২২০।
আজ ৩০ মে বৃহস্পতিবার সকালে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এই কর্মসূচি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন বলেন, স্বাস্থ্যখাতে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। চিকিৎসা ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়ে গেছে। কোভিডের টিকাদানে বাংলাদেশ সফলতা অর্জন করেছে।
সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন আরো বলেন, ভিটামিন “এ”প্লাস ক্যাপসুল শিশুদের রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে। শিশুদের দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। সকল ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ হ্রাস করে। তিনি একটি সুস্থ শিশু ও সুস্থ জাতি গঠনে ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার লক্ষ্যে গণমাধ্যম কর্মীসহ সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন ডাঃ মাহমুদুল হাসান।
বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন ও সাধারন সম্পাদক মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মুস্তাব আলীর (৫৮) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আজ ১০ মে বুধবার সকাল ১০টার দিকে ২নং গ্যাস ফিল্ডস কোয়ার্টারের বাথরুম থেকে তার মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
মুস্তাব আলী নাটোর জেলার পাইকপাড়া সর্দারবাড়ির মৃত মজির উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে গ্যাস ফিল্ডের কোয়ার্টারে থাকতেন। ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে তিনি এই প্রতিষ্ঠানে অধ্যক্ষ হিসেবে যোগদান করেন।
নিহতের গাড়িচালক ও তার পরিবার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৮টার দিকে অধ্যক্ষ মুস্তাব তার গাড়ির চালককে বাসায় আসতে বলেন। এরপর তিনি বাথরুমে গেলে আর বেরিয়ে আসেননি। পরে পরিবারের লোকজনের সন্দেহ হলে তারা বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
ঘটনাস্থলে থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. সাফায়েত উল্লাহ জানান, অধ্যক্ষ মুস্তাব ঋণগ্রস্ত ছিলেন। তিনি তার চাচাতো ভাইয়ের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা এবং ব্র্যাক ও ডাচ-বাংলা ব্যাংক থেকে লোন নিয়েছিলেন। এছাড়া তার ৪টি ট্রাক ছিল। কিন্তু তিনি সেগুলোর কিস্তি পরিশোধ করতে পারছিলেন না। ফলে যেখান থেকে তিনি ট্রাকগুলো ডাউন পেমেন্টে কিনেছিলেন সেখান থেকে দুটি ট্রাক নিয়ে যায়। অবশিষ্ট ট্রাকগুলো টিকিয়ে রাখতে গিয়ে তিনি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়েন। অধ্যক্ষ মুস্তাব গত মার্চ মাসেও একবার কেরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।
তিনি আরো বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের মরদেহ সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে শীতবস্ত্র কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মুক্তিযোদ্ধা কার্যালয়ে এই শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু।
ডেপুটি কমান্ডার গাজী রতন মিয়ার সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, সদর উপজেলার সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ্, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোবারুল হক ফরিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহনেওয়াজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ তাজুল ইসলাম প্রমুখ।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নির্দেশনায় মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সভাপতি মোঃ আহসানউল্লাহ হাসান।
চলারপথে রিপোর্ট :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতা ও পুলিশের উপর হামলাসহ থানা ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পুলিশের গাড়ি ভাংচুর ও অস্ত্র লুটপাট সংক্রান্ত মামলায় মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ ৫ অক্টোবর শনিবার অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশ মিডিয়া উইংস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস রিলিজ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী মোহাম্মদ হরমুজ আলী (৬০) ৯নং ওয়ার্ড সেন্দ, রামরাইল ইউপি’র মৃত রহিজ মিয়ার ছেলে। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের লক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় বিস্ফোরক আইনের ৩/৬ মামলা রুজু করা হয়।
উল্লেখ্য, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের সেন্দ ৯ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ সভাপতি ছিলেন।