চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, আজকের তরুণরা বিজ্ঞানের অগ্রগতির সুযোগ গ্রহণ করে মেধা ও মননশীলতার বিকাশ ঘঠিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্ধুদ্ব হয়ে আগামী দিনে শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাহসী সৈনিক হিসাবে নিজেদেরকে গড়ে তুলবে।
তিনি শুক্রবার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ন্যাশনাল চিল্ড্রেন’স ট্রাস্ক ফোর্স ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার আয়োজনে ‘‘ম্যাথ ফেস্টিভ্যাল’’ শিক্ষার্থী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
জেলা শিশু বান্ধব (এনসিটিএফ) প্লাটফরম সভাপতি মোঃ সায়মা মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলাপরিষদ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. মাহমুদুর রহমান, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক সাকিল মাহমুদ, শেখ মোঃ মহসিন ও শিশু সংগঠক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু প্রমুখ।
গণিত উৎসবের সমাবেশে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় একহাজার তরুণ শিক্ষার্থী অংশ গ্রহণ করে।
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে বিভিন্ন প্রতিযোগীতার বিজয়ীদের মধ্যে মেডেল ও সনদ পত্র বিতরণ করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলাপরিষদ চেয়ারম্যান যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেড ক্রিসেন্ট ইউনিট এখন একটি গতিশীল নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে। এ জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী যুব রেড ক্রিসেন্ট কর্মীরা আর্ত মানবতার সেবায় প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেদেরকে মানবতার কর্মী হিসাবে প্রস্তুত করছে।
তিনি আজ ৮মে বিশ্ব রেড ক্রস ও রেড ক্রিসেন্ট দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
সকাল সাড়ে ১০টায় রেড ক্রিসেন্ট ভবনে আনুষ্ঠিকভাবে পতাকা উত্তোলনের পর বিশাল র্যালী শেষে জেলাপরিষদ মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদুল হকের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারী আলহাজ¦ শাহ আলমের সঞ্চালনায়, নজরুল ইসলাম শাহাজাদা, মাসুকুল কবীর, আশিকুর রহমান পাঠান, সালাউদ্দিন সরকার, ইউনিট কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার সরকার, সুমা দাস ও ফাহিম মুনতাছির প্রমুখ বক্তব্য প্রদান করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় পারিবারিক কলহের জেরে পারভেজ মিয়া (২৭) নামের এক যুবক স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
আজ ১২ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুর ১টার দিকে জেলা শহরের ভাদুঘর গ্রামের বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে।
পারভেজ আশুগঞ্জ উপজেলার চরচারতলা গ্রামের বোরহান মিয়ার ছেলে৷
হাসপাতাল সূত্রে ও প্রত্যক্ষদর্শী জানান, পারভেজ প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীর মামা বাচ্চু মিয়ার বাড়ি ভাদুঘরে ভাড়া থাকতেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক তেমন ভাল ছিল না। পারভেজ হতাশাগ্রস্ত ছিল। প্রায় সময় দুজনের মধ্যে ঝগড়া হতো। ঝগড়ার জেরেই সোমবার দুপুরে স্ত্রীর ওড়না গলায় পেছিয়ে সিলিংয়ের সাথে ফাঁস লাগিয়ে পারভেজ আত্মহত্যা করে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এক যবুক আত্মহত্যা করেছে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে রাখা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩ জানুয়ারি শুক্রবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির (বিআরসি) আয়োজনে চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌঁড় হয়। এর মধ্যে ছিলো ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আজ সকাল ৬টা ২০ মিনিটে ২১ কিলোমিটারে অংশগ্রহণকারী দলটি স্থানীয় নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেয়। পর্যায়ক্রমে রওনা দেয় ৫ এবং ১০ কিলোমিটারের দলটি এবং সর্বশেষ শিশুদের ২ কিলোমিটারের দলটি সোয়া সাতটায় রওনা দেয়। ২১ কিলোমিটারে অংশ নিয়েছেন ১২০ জন। ১০ কিলোমিটারে ২০০ জন, ৫ কিলোমিটারে ৬০ জন ও ২ কিলোমিটারে ২০শিশু। এর মধ্যে ৩৫০ জন পুরুষ, ৩০জন নারী, ২০ জন শিশু এবং পাঞ্চাশোর্ধ ৩৬জন।
নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠ থেকে দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে তিতাস নদীর উপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক শেখ হাসিনা সড়ক (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে ছড়িয়ে পড়েন দৌড় প্রতিযোগীরা। নির্দেশিত পথে যাঁর যাঁর দূরত্ব অনুযায়ী তাঁরা ছুটে চলেন।
দৌড় শেষে শেখ হাসিনা সড়কের (সীমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) শিমরাইলকান্দি সেতুর দক্ষিণপাশের একটি জমিতে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটির উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা এডমিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয প্রধান অধ্যাপক দিলারা আক্তার খান।
অংশগ্রহণকারী সবার জন্য একটি করে শুভেচ্ছা স্মারক, সনদ, টি-শার্ট, সকালের নাশতার পাশাপাশি প্রতিযোগিতায় প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকারকারীদের চ্যাম্পিয়ান ও রানার্সআপ ট্রফি দেওয়া হয়।
মোট ৯ টি পর্যায়ে ২৭ জনের মাঝে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কারের পাশাপাশি নগদ টাকা দেয়া হয়। সোনালী সোনালী লাইফ ইন্সুরেন্সসহ মোট ১০টি প্রতিষ্ঠান এই আয়োজনে সহায়তা করেন। মেডিকেল সহায়তায় ছিল নোভেল জেনারেল হাসপাতাল। ৭০জন স্বেচ্ছাসেবক এই আয়োজন সফলে কাজ করেছেন।
এর আগে কনকনে হিম বাতাস আর কুয়াশাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন জেলার দৌড় পাগল চার শ নারী-পুরুষ জড়ো হন নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে। কেউ বয়সে তরুণ-তরুণী, কেউ শিশু। অনেকেই আবার বয়স্ক। তবে উচ্ছাসে সবাই সমানে সমান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পথে দৌড়ানোর জন্য এসেছেন তাঁরা। ভোরের আগেই নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছিলো উৎসাহী মানুষের ভিড়ে জম। পরে বিজয়ীদের ট্রফি এবং সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে রেইনবো প্রি-স্কুল কাজ করছে। তিনি বলেন, আজকের এই জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে একটি বার্তা দিচ্ছে রেইনবো প্রি স্কুল এর পরিচালক শারমিন বেগম। এ প্রতিষ্ঠানটির ভবিষ্যৎ আরো আলোকিত হউক এ কামনা করি। বুধবার সন্ধ্যায় রেইনবো প্রি-স্কুল এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা শিক্ষা অফিসার জুলফিকার হোসেন এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন রেইনবো প্রি-স্কুল এর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক শারমিন বেগম। এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাখেন আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, ডাঃ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন এন্ড গালর্স হাই স্কুলের অধ্যক্ষ সালমা বারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, সূর্যমুখী কিন্ডার গার্টেন এন্ড গালর্স হাই স্কুলের সহকারী প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা, মধ্য পাইকপাড়া জামে মসজিদের পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ কবির আখন্দ, ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবকদের পক্ষে বক্তব্যে রাখেন মোহাম্মদ আশরাফ ও আশা মনি। মোঃ শিপনের পরিচালনায় মোহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুহিলপুর জিল্লুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজসহ প্রায় ১০টি স্কুলের সহকারী শিক্ষকগণকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানমালার মধ্যে ছিলো জাতীয় সংগীত, মা-বাবাকে সম্মাননা প্রদান, কবিতা আবৃত্তি, নিত্য, অতিথিদের সম্মাননা, সাবেক ছাত্রছাত্রীদের সম্মাননা, একক নাচ, হাতের লিখা, জাদু শিল্পী, সেরা ১০ জন ছাত্রছাত্রীদের মাঝে সম্মাননা প্রদান, কেইক কাটা, কোমলমতি শিশুদের মাঝে সম্মানা প্রদান এবং রেফেল-ড্র অনুষ্ঠিত হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে অন্তত ৩০টি ঘর-বাড়ি ভেঙে গেছে। আজ ৩১ মার্চ রবিবার সকালে সদর উপজেলায় আঘাত হানে ঝড়ো বাতাস। এতে উপড়ে পড়েছে গাছ-বৈদ্যুতিক খুঁটি, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বৈদ্যুতিক সঞ্চালন লাইন ও ফসল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুলতানপুর ইউনিয়নে কাল বৈশাখী ঝড়ের প্রভাব বেশি পড়ে। ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গাল গ্রামের ৩০-৩৫টি বাড়ি-ঘর বিধ্বস্ত হয়।
সুলতানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ ওমর ফারুক বলেন, বাড়ি-ঘরসহ কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে উড়শিউড়া এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের উপকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছ ভেঙে পড়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের তার ও খঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। বর্তমানে ঝড়ের পর থেকে বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক (জিএম) মো. মকবুল হোসেন বলেন, সুলতানপুর এলাকার ৩৫ কেভি লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার, উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেকনিক্যাল) ও প্রকৌশলীদেরকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। তারা দ্রুত মেরামতের ব্যবস্থা করবেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, খবর পেয়েছি সুলতানপুর এলাকায় কালবৈশাখী ঝড়ে ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে।