চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাপান শাখার সভাপতি, মানবিক সরাইল জে.বি প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) সরাইল উপজেলা প্রেসক্লাব সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা করেন।
২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার বিকালে উপজেলা প্রেসক্লাবে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আলমগীর মিয়ার সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার (পলাশ) বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসন থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত হলে বেকার সমস্যা সমাধানে বিদেশি সহায়তায় পাঁচটি শিল্প কারখানা স্থাপন করবো। কোনো কারণে আমাকে মনোনয়ন না দেয়া হলে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনে কোনো হাইব্রিড প্রতিবন্ধী, বৃদ্ধ, অসুস্থ, চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাসী, মৌলবাদ আওয়ামী নেতা, নিজ দলে কোন্দল ও বিবাদ সৃষ্টিকারী ব্যক্তিকে যেন নৌকার মনোনয়ন না দেয়া হয়। নেত্রীর কাছে আমার অনুরোধ, সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে মনোনয়ন দিলে আমি আপনার নৌকার পক্ষ হয়ে ওই প্রার্থীর পক্ষে কাজ করব।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীকচ্ছ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ মাহবুবুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সন্তান বিল্লাল মিয়া, মানবিক সরাইল জেবি দপ্তর সম্পাদক নূর নবী, সদস্য তাবারক হোসেন সহ উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে বাবুল মিয়া (৪০) নামে এক প্রবাসীর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ৫ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার দুপুর ১২ টায় সরাইল উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের দুবাজাইল গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবুল মিয়া অরুয়াইল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত হাজী ধন মিয়ার ছেলে।
নিহতের একমাত্র ছেলে মামুন মিয়া ও অরুয়াইল ইউপি ১ নং ওয়ার্ড সদস্য রেজাউল ইসলামের কাছ থেকে জানা যায়, বাবুল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে ইরাক ছিলেন। গত চার-পাঁচ মাস আগে ইরাক থেকে দেশে আসেন। মঙ্গলবার দুপুর বারোটার দিকে নিজের বসত ঘরের চালে জিগার গাছ কাটার জন্য উঠেন। এ সময় তার মাথায় বিদ্যুতের তার লেগে তিনি মারা যান।
অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যুতের লাইন এলোমেলো ভাবে থাকার কারণে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে। আর ওই লাইনে কোন প্লাস্টিক মোড়ানো কোন কাভার ছিলনা যার কারণে এ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে দুবাজাইলে এক ব্যক্তি মারা গেছে। লাশ থানায় আনা হবে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ১৩ মে সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে এক মা তাঁর মাদকাসক্ত ছেলেকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত ওই ছেলেকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠিয়েছেন। ওই নারীর ছেলের নাম আজমল শাহ (৩৭)।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের বুড্ডা গ্রামের সাদেক মিয়ার ছেলে কয়েক বছর আগে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েন। বছরখানেক ধরে তিনি উচ্ছৃঙ্খল জীবন যাপন করে আসছেন। নেশার টাকার জন্য আজমল নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। সম্প্রতি নেশার টাকার জন্য আজমল আরও বেশি বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। তাঁকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে আজমলের মা-বাবা সব চেষ্টাই করেছেন। কয়েক মাস ধরে আজমলের অত্যাচারে মা-বাবা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। তিন বছর আগে স্ত্রীও আজমলকে ফেলে চলে যান।
বাধ্য হয়ে মা এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে কয়েক দিন আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আজমল। এর জের ধরে গতকাল সকালেও আজমল ঘরের আসবাব ভাঙচুর করতে থাকেন। ছেলের অত্যাচার-নির্যাতন সইতে না পেরে প্রতিবেশীদের সহায়তায় অসহায় মা মনেজা বেগম দুপুর ১২টার দিকে আজমলকে আটক করেন। পরে পুলিশে সোপর্দ করেন।
সোমবার বেলা দুইটার দিকে ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেসবা উল আলম ভূঁইয়া ছুটে যান বুড্ডা গ্রামে। সেখানে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে আজমল শাহকে ১২ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন। মনেজা বেগম ইউএনওর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ছেলে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছে। তার অপকর্মে আমরা অতিষ্ঠ হইয়া পড়ছি, আমরার জীবন শেষ কইরা ফালাইছে। তার কাছ থেকে আমারে বাঁচান।’
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে ইউএনও মেসবা উল অলম ভূঁইয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘মাদকাসক্ত ওই যুবকের অত্যাচারে মা-বাবা ও স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে গেছেন। তিনি নিয়মিত মা-বাবাকে মারধরও করতেন। তাঁকে আমরা হাতেনাতে মাদকাসক্ত অবস্থায় পেয়েছি। তিনি দোষ স্বীকার করেছে। তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
কুমিল্লা থেকে মেরামতকারী দল আসতে না পারায় বিতরণ পাইপ লাইনের ত্রুটি মেরামত কার্যক্রম স্থগিত করেছে বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড।
১৯ নভেম্বর রবিবার রাত সোয়া ১০টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ব্রাহ্মণবাড়িয়া আঞ্চলিক কার্যালয়ের ডিজিএম আখতারুজ্জামান। এর আগে গত ৯ নভেম্বর বিতরণ পাইপ লাইনের ত্রুটি মেরামতের কথা জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার কিছু অংশ ও সরাইল উপজেলায় নয় দিন গ্যাস সরাবরাহ বন্ধ থাকার কথা জানায় বাখরাবাদ।
৯ নভেম্বর প্রেরিত বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড এর কুমিল্লার ব্যবস্থাপনা পরিচালক শঙ্কর মজুমদার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানান, আশুগঞ্জ নদীবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত সড়ককে চার লেন মহাসড়কে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ইউটিলিটি সিফটিং এর আওতায় ঘাটুরা টিবিএস থেকে সরাইল বিশ্বরোড পর্যন্ত নির্মিত ছয় ইঞ্চি ব্যাসের চার বার চাপের মূল বিতরণ গ্যাস পাইপলাইনে ত্রুটি দেখা দিয়েছে।
২০ নভেম্বর থেকে ২৮ নভেম্বর পর্যন্ত এ ত্রুটি মেরামতের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। যে কারণে ওই সময়ে ঘাটুরা থেকে উত্তর দিকে সরাইল পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। বিশেষ কারণে নির্ধারিত সময় পরিবর্তন হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।
ডিজিএম আখতারুজ্জামান বলেন, বিশেষ কারণে কুমিল্লা থেকে কারিগরী টিম আসতে না পারায় বিতরণ লাইনে মেরামত কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। ফলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। পরবর্তীতে মেরামত কার্যক্রমের নতুন সময় নির্ধারণ করে জানিয়ে দেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৫ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপ-নির্বাচন। আজ ২০ অক্টোবর শুক্রবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করেন।
প্রার্থীদের মধ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম পেয়েছেন নৌকা প্রতীক, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ আবদুল হামিদ পেয়েছেন লাঙ্গল প্রতীক, স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পেয়েছেন কলার ছড়ি প্রতীক, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাজ্জাক হোসেন পেয়েছেন আম প্রতীক এবং জাকের পার্টি মনোনীত প্রার্থী জহিরুল ইসলাম পেয়েছেন গোলাপ ফুল প্রতীক।
এদিকে প্রতীক বরাদ্দের পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদেরকে নির্বাচনী আচরণ-বিধি মেনে চলার আহবান জানিয়েছেন উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক মোঃ শাহগীর আলম। তিনি বলেন, আপনারা সবাই নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবেন। নতুবা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে আপনাদেরকে জরিমানাসহ আইনি ঝামেলায় পরতে হতে পারে। তাই আমি সকলের কাছে অনুরোধ করবো সবাই যেন আচরণ-বিধি মেনে চলেন। আমরা সকলের সহযোগিতায় একটি অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন উপহার দেব।
এদিকে প্রতীক পেয়ে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শাহজাহান আলম বলেন, তিনি জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর এই আসন থেকে নৌকা প্রতীকের কোন প্রার্থী বিজয়ী হতে পারেননি। আমি আশা করি জনগণের ভালবাসায় উপ-নির্বাচনে নৌকা প্রতীককে বিজয়ী করে এই আসনটি জননেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিতে পারবো।
অপর দিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও এই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা বলেন, আমি এরশাদ ও রওশন এরশাদের অনুসারী জাতীয় পার্টি করি। এর আগেও আমি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে দুইবার এই আসন থেকে বিজয়ী হয়েছিলাম। এবার জাতীয় পার্টি দুইভাগে বিভক্ত হওয়ায় আমি দলীয় প্রতীক চাইনি। আমাদের অনুসারীদের পছন্দে কলার ছড়ি প্রতীক নিয়েছি। আশা করি সুষ্ঠ নির্বাচন হলে কলার ছড়ি বিজয়ী হবে।
উল্লেখ্য এই আসনের সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঞা গত ৩০ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করলে এই সংসদীয় আসনটি শুন্য হয়।