চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৫ সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আজ ২৪ সেপ্টেম্বর ভোররাতে ঢাকা সিলেট মহাসড়কে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় দেশীয় অস্ত্রসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম।
আটককৃতরা হলো জেলার বাহুবল উপজেলার হিমেরগাঁও গ্রামের মৃত খোরশেদ মিয়ার পুত্র রুপন মিয়া (৩৮), আজমিরীগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা গ্রামের দানু মিয়ার পুত্র ছালেহ আহমেদ (৩৩), একই এলাকার মৃত আমরু মিয়ার পুত্র আল আমিন (২৯), মো: লায়েক মিয়ার পুত্র মাহবুব মিয়া (৩২) ও মতি মিয়ার পুত্র তাবিদুল ইসলাম (২৮)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের ডাকাত দলের বেশ কয়েকজন সদস্য পালিয়ে যায়।
এ বিষয়ে মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: রকিবুল ইসলাম খান জানান, আটককৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে মাধবপুর থানায় মামলা রুজু করে বিজ্ঞ আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, পুলিশের এমন অভিযান চলমান থাকবে।
অনলাইন ডেস্ক :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দিনাজপুরে দিনব্যাপী অবৈধ মজুদ বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছেন।
আজ ৯ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে দুপুর পর্যন্ত দিনাজপুর সদর ও চিরিরবন্দর উপজেলায় একাধিক অটোরাইস মিলে অভিযান পরিচালনা করেন।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সবাই মিলে চালের বাজার নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে হবে। চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চাল রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। প্রয়োজনে বাজার নিয়ন্ত্রণে চাল আমদানীর নির্দেশনা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ানো কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। মিলগেটে চালের দাম কমেছে, যদি খুচরা বাজারেও দাম বাড়ানো হয় তাহলে অভিযান আরো জোরদার করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ট্রেনের ভেতরে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন এক অন্তঃসত্ত্বা নারী। শুরু হয় রক্তক্ষরণ। এতে দিশাহারা হয়ে পড়েন তার স্বামী। এক পর্যায়ে ট্রেনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শককে বিষয়টি জানান তিনি। পরিস্থিতি গুরুতর হওয়ায় ট্রেনের মাইকে ঘোষণা দেওয়ার পরামর্শ দেন টিকিট পরিদর্শক। দ্রুতই ট্রেনের মাইকে ঘোষণা করা হয় কোনো চিকিৎসক, নার্স আছেন কি না?
ঘোষণা শোনার পর অন্যান্য কামরা থেকে ছুটে আসেন দুইজন চিকিৎসক ও দুইজন নার্স। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন অন্য যাত্রীরাও। মুহূর্তেইে ট্রেনের কামরাটি পরিণত হয় অপারেশন থিয়েটারে। চার মাসের মৃত সন্তান প্রসব করলেও প্রাণে রক্ষা পান ওই নারী।
গত রবিবার রাতে ঢাকা থেকে চিলাহাটীগামী আন্তঃনগর চিলহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনে এ ঘটনা ঘটে। পরে ট্রেনটি পাবনার ঈশ্বরদীতে ফিরলে গল্পটি ছড়িয়ে পরে রেলকর্মীদের মাঝে। ঘটনার রাতে ট্রেনটিতে দায়িত্বরত ছিলেন রেলওয়ের পার্বতীপুর হেডকোয়ার্টারের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) আমিরুল হক জাহেদী।
তিনি জানান, রাত ৮টা বাজে তখন। ঢাকা থেকে চিলহাটি যাচ্ছিল আন্তঃনগর চিলহাটি এক্সপ্রেস। টিকিট পরিদর্শন করছিলেন টিটিই আমিরুল হক জাহেদী। হঠাৎ তিনি জানতে পারেন ট্রেনের ‘ঘ’ বগিতে অন্তঃসত্ত্বা এক নারী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। খবরটি জানার পর ট্রেনের মাইকে একটি ঘোষণা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে দ্রুতই মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, ট্রেনের মধ্যে যদি কোনো ডাক্তার থাকেন তাহলে জরুরি ভিত্তিতে ‘ঘ’ কোচে তাকে বিশেষ প্রয়োজন, একজন গর্ভবতী মা ভীষণ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
টিটিই আমিরুল হক জাহেদী জানান, ঘোষণার পর দ্রুতই সব ঘটতে থাকে। ট্রেনের ‘জ’ বগি থেকে ছুটে আসেন ঢাকার ল্যাবএইড ক্যান্সার হাসপাতালের চিকিৎসক মো. সানাউল্লাহ। ‘চ’ বগি থেকে আসেন রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পঞ্চম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা ইসলাম রোজা। একই সঙ্গে দুজন নার্স সেখানে উপস্থিত হন। চিকিৎসক সানাউল্লাহ ওই নারীর অবস্থা দেখে জরুরি হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। সিদ্ধান্ত হয় টাঙ্গাইল স্টেশনে ট্রেন থামানো হবে। ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করলেন এক যাত্রী। এর মধ্যেই ক্রসিংয়ে আটকা পড়ে যায় ট্রেনটি।
এদিকে, অন্তঃসত্ত্বা ওই নারীর রক্তপাত থামছিলই না। তখন দ্রুতই ওই নারীকে ঘিরে ফেলার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। ট্রেনে থাকা নারী যাত্রীরা কাপড় দিয়ে ওই নারীকে ঘিরে ফেলেন। ট্রেনের নারী যাত্রীরা তাদের ব্যাগ থেকে কাপড়, স্যালাইন ও হেক্সিসল যার কাছে যা ছিল বেড় করে দেন। মুহূর্তেই ট্রেনটি পরিণত হয়ে যায় অপারেশন থিয়াটারে। চিকিৎসক সানাউল্লাহর পরামর্শে সঙ্গে থাকা শিক্ষানবীশ নারী চিকিৎসক ও দুইজন নার্স কাজ করতে থাকেন। এরপর দীর্ঘ চেষ্টায় ওই নারী মৃত বাচ্চা প্রসব করলেও প্রাণে রক্ষা পান তিনি।
চিকিৎসক সানাউল্লাহ সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, রোগী এখন অনেকটা শঙ্কামুক্ত। চিকিৎসকের এ ঘোষণায় পুরো ট্রেনে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেন যাত্রীরা।
টিটিই আমিরুল হক জাহেদী আরো জানান, সবকিছু ভালোভাবে হলেও জরুরি কিছু ওষুধের প্রয়োজন দেখা দেয়। তাৎক্ষণিক ওষুধ কেনার জন্য যাত্রীরা টাকা তুলতে শুরু করেন। ট্রেনটি তখনও ঈশ্বরদীর কাছাকাছি। তখন বাইরে ঝুম বৃষ্টি। ওষুধ কিভাবে জোগার করা যায়, এ নিয়ে আবার দুশ্চিন্তা। পরে তিনি ঈশ্বরদী স্টেশনের ভ্রাম্যমাণ টিকিট পরিদর্শক আব্দুল আলীমকে ফোন করে বিষয়টি জানান। আব্দুল আলীম ওষুধ কিনে ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে পাঠান। এরপর সেখানে ট্রেন থামলে ওই নারীকে ওষুধ সেবন করানো হয়। ধীরে ধীরে অনেকটাই সুস্থ হয়ে ওঠেন ওই নারী। রাত সাড়ে ৩টা নাগাদ ট্রেনটি দিনাজপুরের ফুলবাড়ি স্টেশনে পৌঁছায়। স্বামীর সঙ্গে এই স্টেশনেই নেমে যান ওই নারী।
টিটিই আমিরুল হক জাহেদী বলেন, চাকরি জীবনে ট্রেনের মধ্যে বেশকিছু মানবিক ঘটনা দেখেছি। এ ঘটনাটি আশ্চর্যের। তবে এমন মানবিক লোক আর দেখেনি। ট্রেনের মাইকে ঘোষণা শুনে ডাক্তার, নার্সসহ অন্যরা যেভাবে এগিয়ে এলেন। সারাটি রাত ওই নারী পাশে বসে থাকলেন, এটা সত্যিই প্রশংসনীয়।
ঘটনার পরে টিটিই আমিরুল হক জাহেদী চিকিৎসক মো. সানাউল্লাহসহ তার সঙ্গে সহযোগিতা করা নার্সদের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুইজন চিকিসক ছাড়াও বেশ কয়েকজন নার্স সেখানে ছিলেন। তারা হলেন-ফারজানা আক্তার, মুন্নি খাতুন, নার্সিং ইন্সট্রাক্টর রেবেকা সুলতানা, খাদিজা খাতুন ও রুমি ইসলাম। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কারও বিস্তারিত পরিচয় নেওয়া সম্ভব হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেছেন, তথ্যের সঙ্গে অনেক সময় অপতথ্যের মিশ্রণ ঘটে। তাই সেখানে সুরক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা আমরা করব। গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে নতুন করে কাজ চলছে। সরকার গণমাধ্যমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতে কাজ করছে।
আজ ৪ মে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সম্পাদক পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রতিটি সংগঠন থেকে দুইজন প্রতিনিধির সঙ্গে বসে দ্রুততম সময়ে আইনটি সংসদে উত্থাপন করে পাস করার চেষ্টা করব।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরিবেশ রক্ষায় যারা কাজ করবে, তারা আমাদের বন্ধু। পরিবেশ সাংবাদিকতায় প্রণোদনার ব্যবস্থা করা হবে। কেন্দ্রীয়ভাবে আমাদের মূল উদ্দেশ্য হলো পরিবেশ রক্ষা করা।
তিনি বলেন, শুধু পরিবেশ সুরক্ষা নয়, মুক্ত গণমাধ্যেমের পূর্ণাঙ্গ স্বাধীনতা নিশ্চিতেও সরকার কাজ করছে। পরিবেশ-প্রতিবেশকে সুরক্ষা দিয়ে উন্নয়ন করতে হবে ব্যালেন্স করে। যেমন পদ্মা সেতু শুধু পারাপার হতে নয়, দারিদ্র্য বিমোচনেও কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে গণমাধ্যমের মধ্যে শৃঙ্খলা আনা দরকার। আপনারাও (সাংবাদিক) বলেন- সাংবাদিকদের ন্যূনতম যোগ্যতার প্রয়োজন রয়েছে। সাংবাদিকসহ সব স্তরে সবার দাবি যেহেতু একই রকম, আমরা সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবিগুলোর সঙ্গে একমত পোষণ করে সে জায়গায় কাজ করব।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে গণমাধ্যম মুক্ত নয়, উন্মুক্ত হয়ে আছে। তাই বর্ডার লাইন টানা দরকার। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে কথা হয়েছে। গণমাধ্যমকর্মীরা আমাদের বন্ধু। তারা অ্যাড্রেস করে দেন। আমরা কাজ করতে পারি। সব সমালোচনাকে স্বাগত জানাই। উদ্দেশ্যমূলকভাবে ক্যাম্পেইনের বিরুদ্ধে নিন্দা জানাই। আমরা মনে করি না সরকার যারা পরিচালনা করছে, তারা সবাই ফেরেশতা। গণমাধ্যম ধরিয়ে দিলে আমরা শুধরে নিতে পারি। তবে অনেক ক্ষেত্রেই মোটিভেটেড সাংবাদিকতা হয়। ক্ষতি হয় পেশাদার সাংবাদিকতার।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে (ডিএসএ) মামলা করলেই জেলে নেওয়া হতো। এখন সেটি নেই। সিএসএতে অপসাংবাদিকতায় কেউ যদি ভুক্তভোগী হয়, তারও সহায়তা চাওয়ার অধিকার আছে। পেশাদার সাংবাদিকতার সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আইন করা হয়েছে। অপব্যবহার হলে তার বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান থাকবে।
এ সময় নোয়াবের সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, বিভিন্ন মহলের চাপের কারণে দেশে সাংবাদিকতা বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। সব নিউজ আমরা ছাপাতে পারি না।
নোয়াব সভাপতি এ. কে. আজাদ বলেন, দেশে দুর্নীতি বাড়ছে। সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয় দুর্নীতি বাড়ছে। এক মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আরেক মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় থাকছে না। তাই জবাবদিহিও মিলছে না। এসব নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিকেরা হয়রানির শিকার হন। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকে বিনা অনুমতিতে সাংবাদিকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। নোয়াব ও সম্পাদক পরিষদ থেকে এর বিরুদ্ধে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক খাতের বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের পদক্ষেপ ব্যাংক লোপাটকারীদেরই উৎসাহিত করবে।
রহিত হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলার প্রসঙ্গে টেনে এ. কে. আজাদ বলেন ‘আমাদের প্রশ্ন হলো সাংবাদিকতা কি অপরাধ?’ তিনি বলেন, সাংবাদিকেরা সেলফ সেন্সরশিপে চলে গিয়ে আত্মরক্ষা করতে চান। জনস্বার্থে তথ্য অনুসন্ধান এবং তা প্রকাশ করতে গিয়ে কেন তারা ‘অপরাধী’ হিসেবে চিহ্নিত হবেন?
বক্তারা বলেন, দেশে যে সংকটগুলো চলছে, তার মধ্য বড় সংকট পরিবেশ বিপর্যয়। যারা জমি দখল করছে, তাদের অনেকের মিডিয়া আছে। সেখানে বড় চ্যালেঞ্জ সাংবাদিকতা। তবে পরিবেশকে গুরুত্ব দিয়ে সাংবাদিকতার ওপর তাগিদ দেন তারা।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও দ্য ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম। সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ভোরের কাগজের সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, ঢাকা ট্রিবিউনের সম্পাদক জাফর সোবহান ও দেশ রূপান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোস্তাফা মামুন।
আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান, ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীনসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সাংবাদিকেরা।
চলারপথে রিপোট
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের শেখপাড়া বাতাসি গ্রামে গোসল করতে গিয়ে পুকুরের পানিতে ডুবে নানি ও নাতির মৃত্যু হয়েছে। আজ ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দুপুরে শেখপাড়া বাতাসী গ্রামের প্রতিবেশী রুবায়েত খানের পুকুরে শেখপড়া বাতাশী গ্রামের মৃত সরোয়ার খাঁনর স্ত্রী মোছাম্মাৎ হিঙ্গুল বেগম (৭০) ও তার নাতি মোহাম্মদ জিহাদ (৬) গোসল করতে যয়। এ সময় পুকুরের পানিতে ডুবে দু’জনই মারা যায়। প্রতিবেশীরা পুকুরে দুইজনের লাশ ভাসতে দেখে স্বজনদের খবর দেয়। পরে পুকুর থেকে দুইজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শালনগর ইউপি সদস্য মো: সাজ্জাদুল হোসেন জানান, পুকুরের পানিতে ডুবে নানি ও নাতির মৃত্যুর ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে।
দেওয়ানি কার্যবিধিতে জেলা এইড অফিসারের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তির সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, লিগ্যাল এইড অফিসসমূহে অসহায় সাধারণ বিচারপ্রার্থীকে আইনি পরামর্শ, বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি এবং মামলায় আর্থিক সহায়তা সেবা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ সালে ৩২ হাজার ৫৫৪ জনকে মামলা দায়েরের জন্য আইনগত সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
আজ ১৮ জানুয়ারি বুধবার সংসদের বৈঠকের প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদে বৈঠক শুরু হলে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গাঁর প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালের জুলাই মাস থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে লিগ্যাল এইড অফিসে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) কার্যক্রম শুরু হয়। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কেবল ২০২২ সালে ৩৭ হাজার ৮৬০ জন মামলা দায়ের করার এডিআর সহায়তার জন্য লিগ্যাল এইড অফিসে এসেছেন। পরিসংখ্যান থেকে দেখা যাচ্ছে যে, সাধারণ মানুষ এখন মামলা দায়ের করার আগে এডিআরের মাধ্যমে তাদের বিরোধ মিটাতে উৎসাহ বোধ করছেন। সারাদেশের লিগ্যাল এইড অফিসসমূহ শতভাগ দায়িত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করছে। তিনি বলেন, বিদ্যমান আইন ও বিধিমালার মাধ্যমেই বিকল্প পদ্ধতিতে বিরোধ নিষ্পত্তি করা সম্ভব হচ্ছে, তাই এ পর্যায়ে প্রচলিত আইন সংশোধনের পরিকল্পনা সরকারের নেই।
গণফোরামের সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ কমিয়ে আনার জন্য আইনানুগ কর্তৃপক্ষের মাধ্যেমে ছাড়পত্র প্রদানের বিধান করার কোনো পরিকল্পনা আপাতত সরকারের নেই। তবে জমির মালিকানাসংক্রান্ত বিরোধ হ্রাস করার জন্য সরকার কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
আনিসুল হক বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে দেশের ভূমি নিবন্ধনে জনবান্ধব ‘ই-রেজিস্ট্রেশন’ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসকে প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে রেখে ইতোমধ্যে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সারাদেশের দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাকে ডিজিটাইজড করার লক্ষ্যে ‘দলিল নিবন্ধন ব্যবস্থাপনা অটোমেশন’ শীর্ষক একটি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের সঙ্গে সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিসের আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমকে অধিক ফলপ্রসূ করার লক্ষ্যে আইন ও বিচার বিভাগ এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের মধ্যে নিয়মিত সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। উভয় মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একটি কমিটি আন্তঃসংযোগ কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়মিত পর্যালোচনা করছে।
সরকারের কার্যক্রমের ফলে দেশের ভূমিব্যবস্থা স্বচ্ছ ও সমৃদ্ধ হয়েছে বলে সংসদে দাবি করেন আইনমন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের ভোগান্তি লাঘব হয়েছে। আশাকরি, সুষ্ঠু ভূমিব্যবস্থাপনার মাধ্যমে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাবে।