চলারপথে রিপোর্ট :
খাগড়াছড়ির গুইমারায় পানিতে ডুবে একই পরিবারের দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আজ ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার বিকেল চারটার দিকে সময় গুইমারা উপজেলার ৯নং ওয়ার্ডের চৌধুরী পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- উপজেলার নজমহন ত্রিপুরার মেয়ে অপুবিশ্বা ত্রিপুরা (০৭) এবং ছেলে চনেরন্ত্র ত্রিপুরা (০৫)।
স্থানীয় ইউপি সদস্য অংক্যজাই মারমা জানান, ঝিরির পানিতে গোসল করতে এসে দুই ভাই বোন খেলা করছিলো। খেলা করতে করতে একটু বেশি পানিতে গেলে আর নিজেকে রক্ষা করতে পারেনি তারা।তাদের পিতা-মাতা জুমে কাজ শেষে বাড়িতে এসে ছেলে, মেয়েকে দেখতে না পেয়ে অনেক খোঁজাখুজি করে। পরে ঝিরির পানিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে সন্ধ্যা ৭টার সময় মাটিরাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ বিষয়ে গুইমারা থানার ওসি রাজিব কর বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে গুইমারা থানার পুলিশ মাটিরাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়। পরবর্তী আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সমাজ সেবায় সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পদক ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি’’ পরিবর্তিত নাম ‘‘জাতীয় মানব কল্যাণ পদক-২০২০’’ গ্রহণ করছেন, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। গতকাল গণভবনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এই স্বর্ণ পদক পরিয়েদেন এবং রেপ্লিকা ও সম্মাননা সনদ হস্তান্তর করেন। এসময় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জনাব র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মিয়ানমারে নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সে কারণে বিশ্বদরবারে ‘‘মাদার অফ হিউম্যানিটি’’ বা ‘‘মানবতার মা’’ হিসাবে খ্যাতি লাভ করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ২০১৯ সালে গেজেট বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ‘‘মাদার অব হিউম্যানিটি সমাজকল্যাণ পদক নীতিমালা-২০১৮’’ কার্যকর করে।
সমাজসেবায় সর্বোচ্চ অবদানের জন্য আল-মামুন সরকার ২০২০ সালে প্রথমবারের মত এই পদকের জন্য জাতীয় ভাবে মনোনিত হন। পরবর্তীতে নামকরণ জটিলতায় ২০২২ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে মন্ত্রী পরিষদ সভায় নামকরণ পরিবর্তন করে, ‘‘জাতীয় মানবকল্যাণ পদক’’ নির্ধারণ করা হয়। এই সম্মাননায় পঁচিশগ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, একটি রেপ্লিকা ও সম্মাননা পত্র এবং নগদ দুই লক্ষ টাকার চেক অন্তর্ভূক্ত।
চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের নগরকান্দায় মোবাইল ফোন চুরি করে আইএমই নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রয় চক্রের সক্রিয় ছয় সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ ২৭ মে শনিবার দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ ইমদাদ হুসাইন তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেলা পুলিশ থেকে গণমাধ্যমকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নগরকান্দা থানা এলাকার গজারিয়া বাজারে কৃষ্ণপুর রোডে সুরমান শেখের মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকানে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় হাতেনাতে চুরি করা মোবাইল বিক্রয় চক্রের ছয় সক্রিয় সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে ২৮ টি মোবাইল ফোন, ৩ টি ল্যাপটপ ও ৪ টি মোবাইল সফটওয়্যার ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, জেলার নগরকান্দা উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের উত্তর গুপিনাথপুর গ্রামের পিরু শেখের ছেলে সুরমান শেখ (৩৪), হারুন শেখের ছেলে রুহুল আমিন (২২), এনায়েত বিশ্বাসের ছেলে সুজন বিশ্বাস (২৪), সামু শেখের ছেলে শাহিন শেখ(১৮), আকতার শেখের ছেলে আল আমিন শেখ(২০) ও কৃষ্ণারডাঙ্গী গ্রামের মোকসেদ প্রামাণিকের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯)।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মিরাজ হোসেন জানান, গ্রেফতারকৃতরা তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ পুলিশের কাছে স্বীকার করেছেন। এদের বিরুদ্ধে শুক্রবার রাতে নগরকান্দা থানায় ৪১৩ ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদের ফরিদপুরের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
অনলাইন ডেস্ক :
ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন মাগুরায় নির্যাতনের শিকার সেই শিশুটি মারা গেছে। আজ ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে সে (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে জানানো যাচ্ছে যে, মাগুরায় নির্যাতিত শিশুটি ১৩ মার্চ বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল, ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল (সিএমএইচ)-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা প্রয়োগ এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। শিশুটির বৃহস্পতিবার সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়েছে, দুইবার স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার আর হৃদস্পন্দন ফিরে আসেনি।
উল্লেখ্য, গত ৮ মার্চ শিশুটিকে সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা সিএমএইচ-এ ভর্তি করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং যেকোনও প্রয়োজনে তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী শিশুটির বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ের অংশ হিসেবে আজ ২ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে হাতিয়া উপজেলার তমরদ্দি বাজার পরিদর্শন করেন হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আকতার লাকী।
এ সময় মেসার্স ভাই ভাই ট্রেডার্সের জাফর আলীকে মূল্য তালিকা না থাকায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ২০০৯ এর ৩৮ ধারায় ১০ হাজার টাকা এবং নোংরা আর্বজনা ও ময়লাযুক্ত মালামাল রাখার দায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের ২০০৯ এর ৫৩ ধারায় ব্যবসায়ী দিলীপ সাহাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. গোলাম সরওয়ার। হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আকতার লাকী জানান, হাতিয়ায় নিয়মিত বাজার মনিটরিং করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
চাটখিলে মুঠোফোনে কথা বলার সময় বিষাক্ত সাপের কামড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মৃত নূপুর কর্মকার (৩৩) উপজেলার বদলকোট ইউনিয়নের হরিকৃষ্ণপুর এলাকার কর্মকার বাড়ির কুন্তল কর্মকারের ছেলে। সে সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসন কার্যালয়ে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে কর্মরত ছিলেন। এদিকে চাটখিল, হাতিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলা সাপে কামড়ের অ্যান্টিভেনম না থাকায় জরুরি মুহূর্তে চিকিৎসার অভাবে রোগীর মৃত্যু হচ্ছে। এ নিয়ে চরাঞ্চলসহ ভুক্তভোগীরা স্বাস্থ্য বিভাগের বেহাল দশার ক্ষোভ প্রকাশ করছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে নিজের বাড়ির উঠানে মুঠোফোনে এক বন্ধুর সাথে কথা বলছিল নূপুর। ওই সময় তাকে একটি বিষাক্ত সাপে পায়ে কামড় দেয়। পরে বিষয়টি তার বড় ভাই তাকে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যায়। সেখানে সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম না থাকায় জেলা সদর হাসপাতালে যোগাযোগ করে। কিন্তু সেখানেও সাপের কামড়ের অ্যান্টিভেনম প্রয়োগের ব্যবস্থা না থাকায় রোগীকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. খন্দকার মোস্তাক আহমেদ অ্যান্টিভেনম না থাকার কথা স্বীকার করে বলেন, রোগীর অবস্থা দেখে দ্রুততম সময়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে আমরা তাকে রেফার্ড করা হয়। নোয়াখালী জেলাতে বিষধর সাপের ভ্যাকসিন দেওয়ার যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় তাকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার জানান, চাটখিলে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম ছিল না। তবে রোগীকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়নি। এখানে কোন সংকট ছিল না। আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চাটখিলসহ বিভিন্ন উপজেলায় অ্যান্টিভেনম পাঠানো হবে।