চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০০ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি নৌকাও জব্দ করা হয়।
গতকাল রবিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ময়দাগঞ্জ বাজারের তিতাস নদীর ঘাট থেকে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলার আখাউড়া উপজেলার আহমোদাবাদ গ্রামের জহর লাল চন্দ্র দাস (৫৬), বিজয়নগর উপজেলার কাশীনগর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৫৫), একই গ্রামের মোঃ শহীদ মিয়া (৫০) ও একই উপজেলার উথারিয়াপাড়ার তুষার (১৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১ টার দিকে উপজেলার ময়দাগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে তিতাস নদীর ঘাটে অভিযান পরিচালনা করে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়।
পরে ওই নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবা উপজেলায় প্রাইভেটকারে গাঁজা বোঝাইয়ের সময় দুই ভাইকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় ৩২ কেজি গাঁজাসহ প্রাইভেটকারটি জব্দ করা হয়।
১৮ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে পৌর এলাকার শাহাপুর রাজাপুর গ্রামে গাঁজাসহ আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন- শাহপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর দুই ছেলে মো. সাত্তার (২৮) ও মো. সেলিম (৩২)।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে প্রাইভেটকারে মাদক বোঝাইয়ের সময় দুই কারবারিকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার প্রস্তুতি চলছে৷
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় দ্বীপা রানী কর (২২) নামে এক গৃহবধুকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীসহ পরিবারের বিরুদ্ধে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলা কুটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় দ্বীপা রানী করের স্বামী টুটন কুমার সাহা (৩৫) কে গ্রেফতার করেছে কসবা থানা পুলিশ। নিহত দীপা রানী কর কুমিল্লা জেলার বাঙরা থানার খোশঘর গ্রামের কালিপদ চন্দ্র করের মেয়ে।
সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পিতা বাদী হয়ে কসবা থানায় তিন জনকে আসামী করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আগামী শুক্রবারে বাবার বাড়ী যাওয়ার কথা ছিলো দ্বীপার। তাদের একটি এক বছরের কন্যা সন্তান রয়েছে।
নিহত দ্বীপা রানী করের মা সুমা রানী কর জানান, তিন বছর আগে পারিবারিকভাবে কসবা উপজেলার কুটি গ্রামের বাসিন্দা সমীর সাহার ছেলে টুটন কুমার সাহার সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই তার মেয়েকে মানসিক ও শারিরীক ভাবে নির্যাতন করতো। মেয়েকে নিতে আসলে বিভিন্ন বাহানা দেখিয়ে বাবার বাড়িতে যেতে দিতোনা শশুরবাড়ী লোকজন। তাদের নির্যাতন সইতে না পেরে এক বছর আগে পালিয়ে আমাদের বাড়িতে চলে যায়। এনিয়ে সালিশ বৈঠক করলে তাদের মেয়েকে নিয়ে সংসার করবেনা বলে হুমকি দেয় তারা। হিন্দু হওয়ায় মেয়েকে স্বামী সংসার করানোর চেষ্টায় তাদের হুমকির ভয়ে কোনো সালিশ ছাড়াই আবারো স্বামীর বাড়িতে পাঠানো হয়। এরপর আরও বেড়ে যায় অত্যাচারের মাত্রা। তাদের ভয়ে এক বছর ধরে মেয়েকে দেখতে আসিনা আমরা। এই সপ্তাহে দীপার বড় চাচা প্রবাস থেকে আসার কথা। মেয়ে বলেছিলো জেঠা আসলে আগামী শুক্রবার আমাদের বাড়িতে জেঠাকে দেখতে যাবে। তা আর হলোনা। পাষন্ড শ্বশুর বাড়ীর লোকজন মেয়েটাকে মেরে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে অঝোঁরে কাঁদতে থাকে মা সুমা রানী কর। অদুরে দাড়িয়ে নীরবে চোখ মুছছিলেন বাবা কালিপদ চন্দ্র কর। তাদের মেয়ে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবী করেন তারা।
কসবা থানা ওসি (তদন্ত) রিপন দাস জানান, এ বিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় উঠানে ধান শুকানো নিয়ে ছুরিকাঘাতে চাচাতো ভাইকে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত শাওন ফকিরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার (২ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার উত্তরা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।
গ্রেফতার শাওন ফকির (২৫) কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের জাজিয়া গ্রামে লিটন ফকিরের ছেলে।
কসবা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন দাস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গোপন সংবাদ ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকার উত্তরা থেকে শাওন ফকিরকে গ্রেফতার করা হয়। ঢাকা থেকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে দেড় কোটি টাকা মূল্যের ভারতীয় পণ্যসামগ্রী জব্দ করেছে। ৭ মার্চ শুক্রবার ব্যাটালিয়ান (৬০ বিজিবি) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার মজলিশপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, প্রসাধনী ও পটকাসহ বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী জব্দ করে।
ব্যাটালিয়ান (৬০ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্ণেল মো. জিয়াউর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। চোরাচালান বিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে সীমান্তবর্তী মজলিশপুর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় এক কোটি ৫৩ লাখ ৫২ হাজার টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ি, থ্রি-পিস, প্রসাধনী ও পটকা জব্দ করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে যাতে ভারত হতে যে কোন ধরণের চোরাচালানী মালামাল বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সে ব্যাপারে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।