চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ১০০ কেজি গাঁজাসহ ৪ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় গাঁজা বহনকারী একটি নৌকাও জব্দ করা হয়।
গতকাল রবিবার রাত ১টার দিকে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের ময়দাগঞ্জ বাজারের তিতাস নদীর ঘাট থেকে বিপুল পরিমান গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন জেলার আখাউড়া উপজেলার আহমোদাবাদ গ্রামের জহর লাল চন্দ্র দাস (৫৬), বিজয়নগর উপজেলার কাশীনগর গ্রামের সিরাজ মিয়া (৫৫), একই গ্রামের মোঃ শহীদ মিয়া (৫০) ও একই উপজেলার উথারিয়াপাড়ার তুষার (১৮)।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রবিবার রাত ১ টার দিকে উপজেলার ময়দাগঞ্জ বাজারের উত্তর পাশে তিতাস নদীর ঘাটে অভিযান পরিচালনা করে একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা আটক করা হয়।
পরে ওই নৌকায় তল্লাশী চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজাসহ তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার সকালে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা পৌরসভার শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ৭ জানুয়ারি রবিবার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ব্যক্তির নাম রুহন মিয়া (৫৩)। তিনি কসবা পৌর শহরের শাহপুর এলাকার আলমাছ মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রুহন মিয়া শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় হঠাৎ তিনি অচেতন হয়ে মাটিতে ঢলে পড়েন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা মো. জামাল চৌধুরী বলেন, অচেতন অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হয়। ইসিজি ও অন্যান্য পরীক্ষা করে দেখা যায়, তিনি মারা গেছেন। তিনি স্ট্রোক করে ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে নিহত শহীদ বীর মুক্তিযুদ্ধের যুদ্ধাকালীন সমাধি এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ থেকে প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। যুগ-যুগান্তরে প্রজম্মের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে, মুক্তিযুদ্ধের তীর্থভূমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার দীর্ঘ ভারত সীমান্ত এলাকায় নয়মাসের দু:সাহসিক যুদ্ধের স্মৃতি ও ঐতিহাসিক স্থান সংরক্ষণের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন।
তিনি আজ ২৫ ফেব্রুয়ারি শনিবার কসবা উপজেলাধীন যুদ্ধকালীন শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সমাধিস্থল ‘কুল্লাপাথর সমাধিস্থল’ এবং ২নং সেক্টরের ঐতিহাসিক সালদানদী যুদ্ধের দু:সাহসিক বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদ নায়েক সুবেদার বেলায়েত হোসেন বীর উত্তম এবং শহীদ সুবেদার মইনুল হোসেন বীর উত্তম এর সমাধিস্থল পরিদর্শন করে, সমাধিস্থল সংস্কার ও সংরক্ষণে জেলা পরিষদ থেকে দ্রুত প্রকল্প গ্রহণের ঘোষণা প্রদান করেন।
এসময় জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য আ: আজিজ, স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং পরিষদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কসবায় ১৫২ বোতল ফেনসিডিলসহ রাজু আহমেদ (২৬) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। ২৩ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার তালতলা বটগাছ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত রাজু আহমেদ নবীনগর উপজেলার কৃষ্ণনগর গ্রামের মোঃ আব্দুল মান্নানের ছেলে। আজ ২৪ নভেম্বর রবিবার দুপুরে র্যাব-৯-এর সিলেট ক্যাম্পের মিডিয়া অফিসার সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ মশিহুর রহমান সোহেল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার তালতলা বটগাছ মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের সাথে থাকা ব্যাগ তল্লাশী করে ১৫২ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
কসবায় সাব্বির আহমেদ (২৪) নামে এক যুবককে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। নিহত সাব্বির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কায়েমপুর ইউনিয়নের পানিয়ারূপ পশ্চিমপাড়া গ্রামের হানিফ ভুঁইয়ার ছেলে।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার সকালে ওই যুবককে হত্যার অভিযোগ নিয়ে কসবা থানায় আসেন নিহতের পরিবারের লোকজন।
স্থানীয়রা জানান, দুবাইয়ে প্রবাস জীবন কাটিয়ে সাব্বির আহমেদ ঢাকায় একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে বেড়াতে আসে।
নিহতের স্বজন এবং স্থানীয়রা জানান, প্রতিদিনের মতো শুক্রবার রাতেও খাওয়া-দাওয়া শেষ করে সে পাশের ঘরে শুয়ে পড়ে। তবে রাতে অজ্ঞাত কয়েকজন এসে তাকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে গভীর রাতে খায়রুল নামের এক যুবক এসে পরিবারকে জানায় সাব্বির গুরুতর অসুস্থ। পরে পরিবারের লোকজন তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে। এ সময় সে জানায় তাকে কয়েকজন ডেকে নিয়ে গিয়েছিল এরপরই সে অবচেতন হয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরিবার লোকজনের দাবি সাব্বিরকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশের একটি টিম। এ ঘটনায় খাইরুল নামে এক যুবককে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সে জানিয়েছে রাতে সাব্বির কসবা-নয়নপুর সড়কের পানিয়ারূপ এলাকাতে মাদকের ট্রাক আটকানোর জন্য অবস্থান করছিলো। ধারণা করা হচ্ছে ট্রাকটি তাকে চাপা দিয়ে চলে যায়। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে। ঘাতক ট্রাকটিকে সনাক্ত করে আটকের চেষ্টা চলছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে সারাদেশে (কোভিড-১৯) টিকার চতুর্থ ডোজ দেওয়া শুরু হবে। প্রাথমিক অবস্থায় শুধুমাত্র ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তি, সম্মুখসারির যোদ্ধা, গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মায়েদের এই টিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) অধিদফতরের সম্প্রসারিত টিকাদান কর্মসূচির (ইপিআই) পরিচালক ও লাইন ডিরেক্টর ডা. মো. শামসুল হক স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সরকার দেশের জনগণকে দ্বিতীয় বুস্টার বা চতুর্থ ডোজ টিকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় উল্লেখিত নির্দেশনা মেনে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে দেশব্যাপী টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
নির্দেশনাগুলো হলো: ১. চতুর্থ ডোজ হিসেবে ফাইজারের টিকা দেওয়া হবে (এমআরএনএ)। ২. তৃতীয় ডোজ প্রাপ্তির পর চার মাস অতিবাহিত হয়েছে এমন ব্যক্তিদের চতুর্থ ডোজ দেওয়া যাবে। ক. ৬০ বছর এবং এর বেশি বয়সী ব্যক্তি টিকা পাবেন। খ. দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ১৮ বছর এবং এর বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী টিকা পাবেন। গ. স্বল্প রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে টিকা দেওয়া হবে। ঘ. গর্ভবতী মহিলা এবং দুগ্ধদানকারী মাকে টিকা দেওয়া হবে। ঙ. সম্মুখসারির যোদ্ধা (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী; অনুমোদিত বেসরকারি ও বেসরকারি স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা-কর্মচারী; প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত সকল সরকারি, বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত কর্মকর্তা-কর্মচারী; বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বীরঙ্গনা; সম্মুখ সারির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী; সামরিক বাহিনী: বেসামরিক বিমান; রাষ্ট্র পরিচালনার নিমিত্ত অপরিহার্য কার্যালয়; সম্মুখসারির গণমাধ্যমকর্মী; নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি: সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার সম্মুখসারির কর্মকর্তা-কর্মচারী; সব ধর্মের ধর্মীয় প্রতিনিধি: মৃতদেহ সৎকার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি; জরুরি বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, পয়োনিষ্কাশন ও ফায়ার সার্ভিসের সম্মুখ সারির সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; রেল স্টেশন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দরের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; জেলা ও উপজেলায় জরুরি জনসেবায় সম্পৃক্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী; ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারী, জাতীয় দলের খেলোয়াড় ও চিকিৎসা শিক্ষা সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে ছাত্র- ছাত্রী)। দেশব্যাপী সিটি করপোরেশন, জেলা, উপজেলা, পৌরসভা পর্যায়ে অবস্থিত সব স্থায়ী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে (সরকারি বিশেষায়িত হাসপাতাল, সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ৫০০, ২৫০, ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ইত্যাদি) চলমান বুথে চতুর্থ ডোজ টিকা প্রদান করতে হবে। ৪. প্রচারণার জন্য কেন্দ্রগুলো চতুর্থ ডোজ দেওয়া বুথের বাইরে দৃশ্যমান স্থানে সংযুক্ত ফরম্যাট অনুযায়ী নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় ব্যানার তৈরি ও প্রদর্শনের ব্যবস্থা করতে হবে।