চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের শ্রীপুরে চারটি প্রাইভেট হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
আজ ২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে শ্রীপুর পৌর এলাকার মাওনা চৌরাস্তায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন।
এসময় শাপলা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার, এসআর ইবনে সিনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ইসলামিয়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ৫ হাজার করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. আল মামুন বলেন, কোনো হাসপাতালের লাইসেন্স হালনাগাদ নেই, কোনোটি আবেদন করা হয়েছে, আবার কোনোটিতে পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র নেই। এসব কারণে বেসরকারি ক্লিনিক অধ্যাদেশ ১৯৮২ ধারায় চারটি ক্লিনিককে জরিমানা করে সতর্ক করে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কাগজপত্র হালনাগাদ না করলে ক্লিনিক বন্ধ করে দেওয়া হবে।
এসময় শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. সুদেব চক্রবর্তী, উপজেলা সেনিটারি পরিদর্শক ও নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলাম দুলাল, উপজেলা প্রশাসন ও শ্রীপুর থানা পুলিশ ভ্রাম্যমাণ আদালতকে সহযোগিতা করেন।
স্টাফ রিপোর্টার:
১১ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ মুক্ত দিবস। নানা আয়োজন ও আননন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পালিত হল দিবসটি। এই উপলক্ষে গতকাল রবিবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের উদ্যোগে উপজেলার গোলচত্বরে সম্মুখ সমরের ¯ভৃতিস্তম্ভে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। পরে সম্মুখ সমর থেকে একটি র্যালি বের হয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরসহ বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে সম্মুখ সমরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সম্মুখ সমরে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা কমান্ড কাউন্সিলের প্রশাসক অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হানিফ মুন্সি, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) কাজী তাহমিনা শারমিন, বাংলাদেশ আইনসমিতির সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান আনসারি, আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ রহমান, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার আব্দুল হাসিম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শেখ জসিম উদ্দিন আহমেদ, হেবজুল বারী, মোজাম্মেল হক গোলাপসহ বিশেষ ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন ।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এদিনেই পাক হানাদার বাহিনীকে বিতাড়িত করে আশুগঞ্জকে শত্রুমুক্ত করে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্রবাহিনীর সদস্যরা।
দাফন সম্পন্ন
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের লক্ষীমুড়া গ্রামের নিহত হারুন মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। রোববার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় মনিপুর বন্দরবাজার বালুর মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় স্থানীয় হারুন মিয়ার আত্মীয় স্বজনসহ সহস্রাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করে। এর আগে শনিবার (১০ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে হারুন মিয়া নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পরদিন দুপুরে ময়নাতদন্তের পর হারুন মিয়ার মরদেহে এসে পৌঁছায় তার নিজ এলাকায়। মরদেহ পৌঁছার পর থেকেই স্থানীদের ভিড় বাড়ে তার বাড়িতে। এরপর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন, বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু আহমেদ, পত্তন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামীলীগ নেতা হৃদয় আহমেদ জালাল, সাবেক মেম্বার সেলিম মিয়া, হোসেন মিয়া, মাওলানা সিরাজ আকরামসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা। নিহত হারুন মিয়ার ভাতিজা সোহেল বলেন, দুধ মিয়া সরাসরি করিম মিয়ার পক্ষে নিয়েছে। যার কারণে আমার চাচা হারুন মিয়া হত্যার শিকার হয়েছে। আমার চাচার হত্যার সাথে দুধ মিয়া জড়িত। দুধ মিয়াসহ যারা আমার চাচাকে হত্যা করেছে তাদের ফাঁসির দাবি জানাই।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ জানান, শান্তিপূর্ণ ভাবে হারুন মিয়ার জানাযা সম্পন্ন হয়েছে। এলাকায় স্বাভাবিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অভিযুক্ত আসামীদের দ্রুত গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে তিনি জানান।
অনলাইন ডেস্ক :
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, হাইকোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশন সরকারি চাকরিতে কোটা পুনর্বিন্যাস করে রায় দিয়েছেন। সে অনুযায়ী জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলন তথা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আর কোনো যৌক্তিকতা নেই।
আজ শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে পাক্ষিক মত ও পথ-এর আয়োজনে ‘সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলনের সুযোগে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে যে আন্দোলন হয়েছে, তা নিশ্চয় কিছু ভুল-বোঝাবুঝির কারণে হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনির জন্য সংরক্ষিত ৩০ শতাংশ কোটা কখনোই পূরণ হয়নি। বাস্তবে এটি ৭ থেকে ৮ শতাংশের বেশি হয়নি। এই ৭-৮ শতাংশ কোটা পূরণকারী প্রতিযোগীরা প্রিলিমিনারি, লিখিত এবং ভাইভায় নিজস্ব যোগ্যতার বলে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
এরপর এসেছে কোটার প্রশ্ন। তথাকথিত আন্দোলনকারীরা এসব বিষয়ে না বুঝেই আন্দোলনে মাঠে নেমেছে।
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, আন্দোলনকারীরা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে বিকৃত করে নিজেদের রাজাকার আখ্যায়িত করেছে। ৩০ লাখ শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের চেতনাবিরোধী তাদের এই স্লোগান সাধারণ মানুষ ভালোভাবে নেয়নি।
তাদেরকে বুঝতে হবে যে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার চেতনার পরিপন্থী কোনো কার্যকলাপ দেশের মানুষ সহ্য করবে না।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান এবং সুধীসমাজের কতিপয় সদস্যের নেতিবাচক বিবৃতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, যারা জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধানে কাজ করেছে, সেই আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যদের যারা পিটিয়েছে, তাদের হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখেছে, সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তাদের সমালোচনা না করে উনারা বরং নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, অগ্নিসংযোগকারী আন্দোলনকারীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করছেন। এই সহমর্মিতা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ তাদের হীন উদ্দেশ্যকে প্রকাশ করে। তারা যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না, তারা যে স্বাধীনতার আদর্শে অনুপ্রাণিত নয় এতে সেটাই প্রমাণিত হয়।
গণপূর্তমন্ত্রী আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নামে তারা ভারতবিরোধী স্লোগান দিয়েছে, যারা বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করেছে, যারা নিজেদের রাজাকার বলে পরিচয় দিয়েছে; তারা প্রকৃত অর্থে আমাদের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে অপমান করার চেষ্টা করেছে।
তাদের বিচার হওয়া উচিত। যারা মেট্রো রেলের স্টেশন, বিটিভি, ত্রাণ অধিদপ্তর, সেতু ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় আগুন দিয়েছে তারা শুধু রাষ্ট্রের ক্ষতি করেনি, তারা নিজেদেরও ক্ষতি করেছে। কারণ এসব রাষ্ট্রীয় সম্পদে সবারই অংশীদারি রয়েছে।
সরকারি সম্পত্তি বিনষ্ট করে কখনো সরকার উৎখাত করা যায় না, বরং এটা নিজেদেরই ক্ষতি। এই অযৌক্তিক আন্দোলনকে ইস্যু করে সংঘটিত সব হত্যাকাণ্ড, অগ্নিসংযোগ, জ্বালাও-পোড়াও সব কিছুর সুস্থ তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া উচিত এবং বর্তমান সরকার তা সঠিকভাবে করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন ‘আমরা একাত্তর’-এর সভাপতি এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী ডাকসুর প্রথম জিএস মাহবুব জামান প্রধান আলোচক হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট-পরবর্তী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে ছাত্রলীগের বিভিন্ন কর্মসূচির স্মৃতিচারণা করেন।
তিনি তার বক্তব্যে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে হতাহতের ঘটনা ঘটার দুই দিন আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাথিউ মিলার কিভাবে দুজন নিহতের ঘটনা উল্লেখ করলেন সে প্রশ্ন তোলেন। এ ব্যাপারে সুষ্ঠু তদন্ত ও গবেষণা হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া আন্দোলন চলাকালে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে অধিকতর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি।
অনলাইন ডেস্ক :
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, আন্দোলনের নামে গুহা থেকে বের হয়ে অনলাইনে চেহারা দেখিয়ে বিএনপির কর্মসূচির নামে গাড়ি পোড়ানো, আগুনসন্ত্রাস চালানো, মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দয়া করে আপনারা কলম ধরুন, কথা বলুন।
আজ ২৩ নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের নামে ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে টানাহেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে তাকে পেটানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি হচ্ছে বিএনপি বিটের সাংবাদিক। তাদের তারা চেনেন তারপরও মেরেছেন। বাংলাদেশে একদিনে এত সাংবাদিককে আহত করা আগে কখনো ঘটেনি।
হাছান মাহমুদ বলেন, শুধু তাই নয়, তারা যখন ক্ষমতায় ছিলেন তখন খুলনার হুমায়ুন কবীর বালু, মানিক সাহা, যশোরের সাইফুল ইসলাম মুকুল, শামসুর রহমানসহ সাত বছরে ১৪ জন সাংবাদিককে খুলনা, যশোর এলাকাতেই হত্যা করেছে। সাংবাদিকদের ওপর বিএনপি-জামায়াতের কেন জানি ক্ষোভ এবং তারা যখনই ক্ষমতায় ছিল সাংবাদিকদের হত্যা করেছে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলেছিল, জোটের সমর্থন নিয়ে তারা দুর্বার আন্দোলনের চেষ্টা করছে, নির্বাচনকে ঠেকিয়ে দেবে। অথচ যারা তাদের বাতাস দিয়েছিল তাদেরও বাতাস ফুরিয়ে গেছে আর গতকালই তাদের ১২ দলীয় জোট থেকে তিনটি নিবন্ধিত দলসহ ছয়টি দল বের হয়ে গেছে। জোটের শরিকরাও পালিয়ে যাচ্ছেন আর নির্বাচনে অংশ না করার ঘোষণা দিয়েছেন। আমার শঙ্কা, যেভাবে তৃণমূল বিএনপি আগাচ্ছে তাতে বিএনপি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়।
বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, এই তালা প্রশাসন দেয়নি, ওরাই তালা মেরে চলে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষ নেই তাদের। একটা তালা খুলে ওখানে বসার সাহসটাও তারা হারিয়ে ফেলেছেন, তারা কীভাবে রাজনীতি করেন! আর বিএনপি আমাদের অফিসে তালা দিয়েছিল, আমি ছিলাম সেখানে, আমরা তালা ভেঙে ঢুকেছি।
যথাসময়ে উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আসুন সবাই মিলে দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এই অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্যের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করি, আমাদের সরকার এই আগুনসন্ত্রাসী নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী দেশবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাংবাদিকবান্ধব, এই ট্রাস্ট তার অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসার স্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে এককালীন সহায়তা হিসাবে ১০ হাজারের বেশি সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এজন্য ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।
মন্ত্রী ও অতিথিরা এদিন ১৮৬ জন সাংবাদিক ও তাদের পরিবারের হাতে এক কোটি ৫৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার চেক হস্তান্তর করেন।
এর আগে তথ্য ভবন কমপ্লেক্সে পুরাতন ডিএফপি ভবনের দোতলায় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের নতুন অফিস উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. নিজামূল কবীর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স. ম. গোলাম কিবরিয়া, ট্রাস্টের পরিচালক মিয়া মুহম্মদ মনিরুল কবীর প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
গত এক যুগের বেশি সময় ধরে এসএসসি পরীক্ষা ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হলেও নতুন শিক্ষাক্রম সেই পরীক্ষা শুরু হবে ডিসেম্বর মাসে।
নতুন কারিকুলামে শুধু দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর ভিত্তি করে এ এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেখানে লিখিত মূল্যায়নে ওয়েটেজ ৬৫ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নে ৩৫ শতাংশ। পুরো পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টাব্যাপী। এসব নতুন পদ্ধতি ঠিক করে প্রায় চূড়ান্ত করেছে পরীক্ষা পদ্ধতি। আগামী ৩১ মে- এর মধ্যে তা চূড়ান্ত করা হচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে সেই পরীক্ষার নাম এসএসসি থাকবে নাকি অন্য কোনো নাম হবে, তা নিয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নতুন কারিকুলাম নিয়ে গঠিত উচ্চ পর্যায়ে কমিটি নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতি চূড়ান্ত পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। সেখানে স্কুলের বার্ষিক ও অর্ধবার্ষিক (ষান্মাষিক) মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সাতটি ধাপ বা স্কেলে নির্ধারণ করেছে। এসএসসি পরীক্ষায় বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে। সেখানে ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে পরীক্ষা হবে ডিসেম্বরে। সব কিছু চূড়ান্ত করতে চলতি মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে একটি বৈঠক ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলাম বলেন, এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে বেশ কিছু নতুন সিদ্ধান্ত আসতে যাচ্ছে নতুন কারিকুলামে। সেখানে পরীক্ষা সময় বাড়ার পাশাপাশি পরীক্ষা সময় পরিবর্তন হতে পারে। সব কিছু আরেকটি বৈঠকের চূড়ান্ত হওয়ার পর সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
তিনি জানান, মূল্যায়ন নির্দেশনা যেটি ঠিক করতে আগামী ২৭ তারিখ কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। সেখান থেকে চূড়ান্ত হতে পারে নতুন কারিকুলামে মূল্যায়ন পদ্ধতি।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, বছরের শুরুতেই এসএসসি পরীক্ষা না নিয়ে বছরের শেষে নিলে শিক্ষার্থী শিক্ষাবর্ষ পুরোপুরি ব্যবহার করতে পারবে। এসব দিক বিবেচনায় ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে এসএসসি পরীক্ষা ডিসেম্বর নেওয়ার সুপারিশ রয়েছে। তবে তা এখনও চূড়ান্ত না। চলতি মাসে চূড়ান্ত বৈঠকের পর তা বলা যাবে।
৫ ঘণ্টা হবে এসএসসি পরীক্ষা:
এর আগে মূল্যায়ন কমিটির সুপারিশের বলা হয়, নতুন শিক্ষাক্রমে হবে ২০২৬ সালের এসএসসি পরীক্ষা। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো- বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি। এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক আয়োজনের জন্য বিষয়ভিত্তিক ৬০০ শিক্ষকের সমন্বয়ে রিসোর্সপুল (বিশেষজ্ঞ দল) গঠন করা হবে। প্রথমে তাদের বোর্ডের আয়োজনে এনসিটিবির বিশেষজ্ঞদের তত্ত্বাবধানে সাত দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। আর ১১টি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিটির জন্য প্রতি বিষয়ে চারজন করে মোট ৪৪ জন শিক্ষককে চূড়ান্ত করা হবে।