চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাইক্রোবাসের ধাক্কায় সৈয়দ শফিকুল ইসলাম (৭৫) নামে এক বীর মুক্তিযোদ্ধা নিহত হয়েছেন। আজ ২৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার সকাল ৯টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় খাজা গরীবে নেওয়াজ পাম্পের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
সৈয়দ শফিকুল ইসলাম জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডা (শরিফপুর) এলাকার সৈয়দ মুরতাজ মোল্লার ছেলে।
জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা শফিকুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় জেলা শহর থেকে বিশ্বরোড মোড়ে তার ছেলের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে বিশ্বরোড মোড় খাজা গরীবে নেওয়াজ পাম্পের সামনে রাস্তার পাশ দিয়ে হেটে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস তাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তার পাশে ছিটকে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাটিখাতা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ঘাতক মাইক্রোবাসটিকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইল থেকে প্রকাশিত সরকার নিবন্ধিত সাপ্তাহিক পরগণা পত্রিকার বন্ধু ফোরামের উদ্যোগে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ ৮ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বাদ জুম্মা উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরী মিলনায়তনে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রতি শুক্রবার ক্ষুধার্তদের মাঝে এক বেলা খাবার বিতরণের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে উক্ত দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
পরগণা পত্রিকার সম্পাদক ও সরাইল প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় দোয়া মাহফিল শেষে উপস্থিত অতিথিবৃন্দের মাঝে দুপুরের খাবার বিতরণ করা হয়।
এর আগে সাংবাদিক সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি পরগণা বন্ধু ফোরামের এই মানবিক কার্যক্রমে যারা অর্থনৈতিকভাবে মানবিক এ কাজে সাহায্য সহযোগিতা করেছেন সকলের নাম ঘোষনা করেন এবং এ কার্যক্রম যেন অব্যাহত থাকে এইজন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উপস্থিত অতিথিবৃন্দের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাবেক এমপি এডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা পরগণা পত্রিকার সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ ইউসুফ এর এ ধরনের মানবিক কাজের ভূঁয়শী প্রশংসা করেন এবং এ কাজে তিনি সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস প্রদান করেন।
সরাইল বিকাল বাজার শাহী জামে মসজিদের খতিবসহ সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খান, সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আব্দুর রাশেদ, সরাইল বিকাল বাজার কমিটির সভাপতি মাওলানা কুতুব উদ্দিন, সরাইল প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ, সরাইল পরগণা বন্ধু ফোরামের সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন স্তরের বিশেষ ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে আজ ১৮ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ৫০ জন আহত হয়েছে। ধান শুকানোর ‘খলা’ দখল নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ১৪ রাউন্ড গুলি ও তিন রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। ঘটনাস্থল থেকে ২০ জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানায়, পরমানন্দপুর গ্রামের সরকারি একটি জায়গায় অনেক দিন যাবৎ সাব্বির ও তার লোকজন দান শুকায়। বৃহস্পতিবার কাঞ্চন গ্রুপের লোকজন ওই জায়গার মাটি কেটে দখলে নিতে চায়। এরই জের ধরে দুই পক্ষের দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
এ সময় ঝগড়ার নেতৃত্ব দেন সানাউল্লাহ গোষ্ঠীর কাঞ্চন মিয়া এবং বুইল্লার দলের পক্ষে জিয়াউল আমিন। পরে সোনাউল্লাহর পক্ষে যোগ দেয় খাঁ বাড়ি, কৈবর্তবাড়ির লোকজন। আর বুইল্লার বাড়ির সাথে যোগ দেয় বুদ্ধির গোষ্ঠী, বড়বাড়ি ও উজিবাড়ির লোকজন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৫০ জন আহত হয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বিকেল সোয়া ৪টার দিকে জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ লাঠিপেটার পাশাপাশি গুলি ও টিয়ার শেল ছোড়ে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে সিএনজি চালিত অটোরিক্সা থেকে টাকা উঠনোকে কেন্দ্র দু’গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০জন আহত হয়েছে। এসময় পুলিশ সংঘর্ষ স্থল থেকে ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, সম্প্রতি মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরকান্দা গ্রামের একটি কাঁচা সড়ক ভেঙ্গে যাওয়ায় মাটি ফেলে সংস্কার করে মেম্বার গোষ্ঠীর নয়ন ও তার সহযোগীরা। ১ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে একই গ্রামের সরদার গোষ্ঠীর জুয়েল সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ে যাচ্ছিল।
এ সময় জুয়েলের কাছে সড়ক মেরামতের কথা বলে ১০টাকা চায় নয়ন। এতে জুয়েল টাকা দিতে অনিহা প্রকাশ করলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। হাতাহাতির বিষয়টি মিমাংসা করতে সন্ধ্যায় সালিশে বসে দু;পক্ষের লোকজন। এসময় সালিশের মধ্যেই উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে রাতে ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এরই জের ধরে আজ ২ অক্টোবর বুুধবার সকালে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফের সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। দেড় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসা নেয়।
সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সকালে তেরকান্দা গ্রামের জুয়েল এবং নয়নের গোষ্ঠীর মধ্যে পুনরায় গন্ডগোল শুরু হওয়ার খবর পায়। ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হয়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ৬ দাঙ্গাবাজকে আটক করি এবং সংঘর্ষ স্থল থেকে কিছু টেট্টা বলমসহ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করি। পরবর্তী সংঘর্ষ এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে ইমরানা বেগম (২৫) নামে এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছেন তার স্বামী-শাশুড়ি। বুধবার রাত ১১টার দিকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই গৃহবধূ মারা যায়। পরে মৃত্যুর কথা শুনে স্বামী-শ্বাশড়িসহ ননদ-ননদী পালিয়ে যায়।
ইমরানা বেগম উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়ন রানীদিয়া গ্রামের হাজী আব্দুল কাহারের মেয়ে ও একই গ্রামের খলিলুর রহমানের স্ত্রী। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে ইমরানাকে একই গ্রামের খলিলুর রহমানের কাছে পারিবারিক ভাবে বিয়ে দেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে তাকে মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেন স্বামীসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন। এভাবেই দীর্ঘ ১০ বছর সংসার চলে। গত বুধবার বিকালে তুচ্ছ কথাকাটাকাটি নিয়ে শ্বাশুড়ি, ননদ ইমরানাকে মারধর করে। পরে তাদের সাথে অভিমান করে কেঁরি পোকা মারার ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা চেষ্টা করে। তারপর তাকে আশংকাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যায় শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতে ইমরানা মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের ট্রলির ওপর রেখে শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পালিয়ে যায়।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম জানান, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রকৃত ঘটনা জানা যায়।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে শারদীয় দুর্গাপূজা সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে পূজা উদযাপন কমিটির সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সরাইল উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ইউএনওর কার্যালয়ে আজ ৫ অক্টোবর বিকেলে আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে সনাতন ধর্মালম্বী নেতৃবৃন্দের সাথে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের সভাপতিত্বে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, সরাইল থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম, সরাইল বিদ্যুৎ বিভাগের সহকারী প্রকৌশলী মো. তারেক রহমান, উপজেলা আনসার ভিডিপি কর্মকর্তা মোছা. বিউটি আক্তার, শাহবাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান খাইরুল হুদা চৌধুরী বাদল, নোয়াগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মনসুর হোসেন, সরাইল উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়,সাধারণ সম্পাদক ঠাকুর ধন বিশ্বাস, সরাইল উপজেলা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাধারণ সম্পাদক মো. তাসলিম উদ্দিন, সরাইল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, পানিশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান মো. মুস্তাফিজুর রহমান, সরাইল কালিবাড়ি পূজা মন্ডপের সভাপতি দিলীপ বণিক প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুর্গাপূজা উদযাপনে বিভিন্ন মতামত ও পরামর্শ তুলে ধরা হয়। এবার সরাইল উপজেলায় ৪৭টি পূজা মণ্ডপে দূর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে বলে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়।