চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবায় ছুটিতে বাড়িতে বেড়াতে এসে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় জসিম উদ্দিন (২৭) নামের এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর সোমবার সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে কসবা-আখাউড়া সড়কের কসবা পৌর এলাকার ফুলতলী হাবিবুল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত জসিম উদ্দিন উপজেলার আদ্রা এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা জজ মিয়ার ছেলে। তিনি সিলেট সেনানিবাসে সিপাহী পদে কর্মরত ছিলেন। এ ঘটনায় উপজেলার শাহপুরের সুমন মিয়া নামের এক যুবক আহত হয়েছেন।
কসবা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, সম্প্রতি ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসেন জসিম উদ্দিন। সোমবার বিকেলে তিনি মোটরসাইকেল নিয়ে ঘুরতে বের হন। কসবা-আখাউড়া সড়কে হাবিবুল্লাহ মেমোরিয়াল হাই স্কুলের সামনে পোঁছালে পেছন থেকে একটি মোটরসাইকেল তার মোটর সাইকেলটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে জসিম উদ্দিন মোটর সাইকেল নিয়ে সড়কের পাশে গর্তে পড়ে গুরুতর আঘাত পান।
এসময় সুমন মিয়া নামের আরেকজন গুরুতর আহত হন। তাদের উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জসিম উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত সুমনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লায় পাঠানো হয়েছে।
সহকারী পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। মোটর সাইকেল দুটি পুলিশ হেফাজতে আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকালে কসবা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবস ও জাতীয় পরিসংখ্যান দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি পালনে শোভা যাত্রা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহামমদ শাহরিয়ার মুক্তার এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কসবা পৌর মেয়র মোঃ গোলাম হাক্কানী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন কসবা প্রেস ক্লাব সভাপতি মোঃ সোলেমান খান, উপজেলা প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও বীর মুক্তিযোদ্ধা সুবেদার অবসরপ্রাপ্ত শামসুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
আইনমন্ত্রী অ্যাড. আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ হচ্ছে জনগণের সেবা করা, জনগণের পাশে থাকা, জনগণের দুঃখ-কষ্ট বুঝা। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকবে। কোনো ষড়যন্ত্র বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে জনগণের কাছ থেকে আলাদা করতে পারবে না। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা ষড়যন্ত্র করে তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আজ ২৪ জুন সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত কেক কাটা, আলোচনা সভা ও দোয়ার অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। আওয়ামী লীগের অনেক কর্মী মুক্তিযুদ্ধে প্রাণ দিয়েছেন। তারা সেদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। আমরা তাদের রক্তদানকে বৃথা যেতে দেব না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে কেউ ধূলিসাৎ করতে চাইলে শক্ত হাতে প্রতিরোধ করা হবে। আমাদের প্রতিরোধের ভাষা হবে জনগণের উপকার করা, জনগণের পাশে থাকা। প্রতিরোধের ভাষা হবে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তাদের কথা বলা। এটাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, এটাই আজকের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আদর্শ। আমি সেই আদর্শে উদ্বুদ্ধ হওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
আনিসুল হক বলেন, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশদের কাছ থেকে ইন্ডিয়া ও পাকিস্তান নামের দুটি রাষ্ট্রের জন্ম হয়। আশা করা হয়েছিল পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তান সমান মর্যাদা পাবে। দুঃখজনক হলেও সত্য পাকিস্তান স্বাধীন হওয়ার পর আমরা দেখেছি যেই স্বপ্ন নিয়ে পাকিস্তান স্বাধীন হয়েছিল সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে পশ্চিম পাকিস্তানের নেতারা মোটেও ইচ্ছুক ছিলেন না।
অনুষ্ঠানে দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের কর্মীরা বঙ্গবন্ধুর রক্ত বুকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এগিয়ে গেছে। ১৯৮১ সালে দেশে আসার পর জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধভাবে আওয়ামী লীগের কর্মীরা গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকার গঠন করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় থাকাকালীন যখন বাংলাদেশের ভাগ্য উন্নয়নের কোনো চেষ্টা করা হয় নাই এবং বরঞ্চ একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে পরিচিত করার সকল চেষ্টা চলছে, তখনো শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই আওয়ামী লীগ কর্মীরাই তাদের সব শক্তি দিয়ে আওয়ামী লীগকে ২০০৮ সালে নির্বাচনে জয়ী করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে। আজকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এটা আমাদের জন্য বিরাট আনন্দের দিন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কসবা পৌরসভার মেয়র মো. গোলাম হাক্কানী।
এ সময় কসবা পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও নবনির্বাচিত উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম ও পৌর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক রুস্তম খাঁর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ছাইদুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদুল কাওসার ভূঁইয়া, সহ-সভাপতি কাজী মো. আজহারুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ভূঁইয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সোহাগ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাঈদা সুলতানা সুপ্রিয়া, কসবা পৌরসভার সাবেক মেয়র এমরান উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. মনির হোসেন, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ছিদ্দিকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ সদস্য রুমানুল ফেরদৌস, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শহীদুল্লাহ, উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক আফজাল হোসেন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের দেলি পাত্তাইসার বাজারে সরকারি কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারে ভাঙচুর চালিয়ে দখল করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে শামসুল আলম নামে এক আওয়ামী লীগ সমর্থিত ব্যক্তির বিরুদ্ধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শামসুল আলম কৃষি বীজ সংরক্ষণাগারের সরকারি ভবনের একটি অংশ ভেঙে সেখানে দোকান স্থাপন করতে উদ্যোগ নেন। এতে এলাকাবাসীসহ খাড়েরা ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃবৃন্দ বাধা প্রদান করেন। শামসুল আলম এ সময় দাবি করেন, তিনি সরকারি অনুমতি নিয়েই এ কাজ করছেন।
ঘটনার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম, কসবা উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
প্রশাসনের উপস্থিতি টের পেয়ে শামসুল আলম ও তার অনুসারীরা স্থান ত্যাগ করেন।
স্থানীয়রা জানান, বীজ সংরক্ষণাগারের ওই জমি ও স্থাপনা কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এবং বাজারের পশ্চিম-দক্ষিণ কোণে অবস্থিত। শামসুল আলম সেই সরকারি সম্পত্তিতে ব্যক্তিগত দোকান নির্মাণ করতে গেলে পুরো স্থাপনা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাজেরা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি জমি ও স্থাপনায় ব্যক্তিগতভাবে স্থাপনা নির্মাণ সম্পূর্ণ অবৈধ। এ ধরনের দখল বা ভাঙচুর মেনে নেওয়া হবে না। আমরা নির্দেশ দিয়েছি, অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে হবে। ভবিষ্যতে কেউ পুনরায় সরকারি স্থাপনায় হস্তক্ষেপ করলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরো বলেন, সরকারি সম্পত্তির ১ ইঞ্চিও অবৈধভাবে দখলের সুযোগ নেই।
এ ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকাবাসী দ্রুত প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মো. তুলিপ হোসাইন (২৮) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। ২২ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-বিজয়নগর সড়কের শিমরাইলকান্দি এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত যুবকের নাম মো. তুলিপ হোসাইন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার কুটি ইউনিয়নের জাজিয়ারা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। জেলা শহরের মুন্সেফপাড়া এলাকায় তিনি বসবাস করতেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোজাফফর হোসেন জানান, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কে তুলিপ বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার ফাঁকে তুলিপ বন্ধু জহিরের মোটর সাইকেল চালানোর জন্য নেয়। এ সময় সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া সড়কের ২য় ব্রিজ কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে যায়। পরে জহিরসহ স্থানীয়রা তুলিপকে উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. কামরুজ্জামান রতনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আজ ৯ আগস্ট শনিবার ভোরে তার নিজ গ্রাম থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। আজ দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
সূত্র জানায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি সদস্য রতন মেম্বার মামলার পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ছিলেন। এছাড়াও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হওয়ায় ডেভিল হান্টের আওতায় ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ খাড়েরা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল কাদের বলেন, কামরুজ্জামান রতন নামে এক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতার এড়াতে তিনি রাতে বিভিন্ন জায়গায় রাত্রিযাপন করতেন। গোপন সূত্রের তথ্যের ভিত্তিতে তার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। আজ দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।