চলারপথে রিপোর্ট :
ফরিদপুরের সদরপুরে শ্বশুরবাড়ি থেকে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে গত ৭ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন হাসি বেগম নামে এক গৃহবধূ। এরপর বুধবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গা উপজেলায় পাওয়া যায় এক নারীর অর্ধগলিত লাশ। লাশটি হাসি বেগমের বলে শনাক্ত করেন তার মা। পরে ওই লাশ দাফন করে হাসি বেগমের পরিবার। এদিকে দাফনের পাঁচ দিন পর হাসি বেগমকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।
সোমবার সদরপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে হাসি বেগমকে আটক করে সদরপুর নিয়ে আসেন। হাসি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের শৌলডুবী গ্রামের হাবিবুর রহমানের মেয়ে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ৮ বছর আগে উপজেলার চরবিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বড় বাড়ির মৃত শাহ আলম শেখের ছেলে মোতালেব শেখের সঙ্গে বিয়ে হয় হাসি বেগমের। তাদের সাত বছর বয়সি একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। গত ৭ সেপ্টেম্বর হাসি বেগম বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার জন্য শ্বশুরবাড়ি থেকে বের হন। এরপর থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
এ ঘটনায় হাসি বেগমের বাবা শেখ হাবিবুর রহমান গত ১১ সেপ্টেম্বর সদরপুর থানায় একটি অভিযোগ দেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, তার মেয়ে হাসি বেগমকে হত্যা করে লাশ গুম করেছেন জামাতা মোতালেব শেখ। এর দুই দিন পর গত ১৪ সেপ্টেম্বর মোতালেব সদরপুর থানায় পালটা একটি অভিযোগ দেন। ওই অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, হাসি বেগম নগদ টাকাসহ প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে বাবার বাড়ি পালিয়ে গেছেন।
এরপর বুধবার সন্ধ্যায় ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদহ ইউনিয়নের আদমপুর এলাকার কচুরিপানার ভেতর থেকে এক নারীর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে হাসি বেগমের মা সালমা বেগম ওই লাশটি হাসির বলে শনাক্ত করেন। এরপর ময়নাতদন্ত ও আইনগত প্রক্রিয়ার পর শৌলডুবী কবরস্থানে ওই লাশ দাফন করা হয়।
এদিকে পালটাপালটি অভিযোগের তদন্ত চলা অবস্থায় শনিবার হাসি বেগম ফোন করে তার বাবা-মাকে জানান তিনি জীবিত আছেন। এরপর সোমবার সদরপুর থানার পুলিশ হাসি বেগমকে ময়মনসিংহের নান্দাইল থেকে উদ্ধার করেন।
এ বিষয়ে কৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. খবির মোল্যা বলেন, এ রকম খবর শুনেছি। তবে বিস্তারিত তেমন কিছু জানি না।
এ বিষয়ে সদরপুর থানার ওসি মো. মামুন আল রশিদ বলেন, হাসিকে নান্দাইল এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। এখনই এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো সম্ভব নয়। ঘটনাটি ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার। ফলে সব তথ্য পাওয়ার পর বিস্তারিত বলা যাবে।
অনলাইন ডেস্ক :
সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর দিকে ইঙ্গিত দিয়ে রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের শিকার হচ্ছে রেলওয়ে।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রেলভবনে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রেলমন্ত্রী বলেন, নাশকতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে নিরাপদ রেলযাত্রাকে অস্থিতিশীল করা হচ্ছে। গত ২৮ অক্টোবরের পর বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো যে রাজনৈতিক কর্মসূচি দিচ্ছে, এ সময়ে রেলে সহিংসতা বাড়ছে। রেলকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মধ্যে ফেলে হুমকি তৈরি করা হচ্ছে। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।
সম্প্রতি ট্রেন দুর্ঘটনার বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, যাত্রী হয়ে ট্রেনে উঠলে তো রেলের পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয় না। বিএনপি-জামায়াত ২০১৩-১৪ সালেও একই ঘটনা ঘটিয়েছে। এবার বাসের বদলে ট্রেনকে প্রধান হাতিয়ার করা হচ্ছে। পরিকল্পিত দুর্ঘটনা ঘটাতে ফিশপ্লেট খুলে ফেলা হচ্ছে।
সকালে তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, পুরো ঘটনা তদন্ত না করে নির্দিষ্ট করে বলা যাবে না।
রেলে দুর্ঘটনা কমাতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, রেলের নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলেছি। রেলপথের বিষয়ে যেন সহযোগিতা করা হয় এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি।
রেলপথের বড় দুর্ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, রেলপথে সরাসরি আক্রমণের প্রথম ঘটনা ঘটে ১৬ নভেম্বর। টাঙ্গাইল কমিউটার ট্রেনের দুইটি কোচে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এরপর ১৯ নভেম্বর জামালপুরের সরিষাবাড়িতে যমুনা এক্সপ্রেসে পরিকল্পিত নাশকতা করা হয়েছে। এ দুই ঘটনায় কোনো প্রাণহানি না হলেও বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পরের তিনটি দুর্ঘটনা সম্পর্কে তিনি বলেন, ২২ নভেম্বর সিলেটে উপবন এক্সপ্রেসে আগুন ধরানো হয়। ১৩ ডিসেম্বর গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ২০ ফুট রেলওয়ে ট্রাক কেটে ফেলা হয়। এ ঘটনায় একজন যাত্রী মারা যান আর ৫০ জন আহত হন। ঘন কুয়াশার জন্য ট্রেন ধীরে চলছিল, তা না হলে আরও অনেক বেশি হতাহত হতো।
এরপর আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিমানবন্দর স্টেশন ছেড়ে ট্রেনটি তেজগাঁও এলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে তিনটি কোচ পুড়ে যায়, আর এখন পর্যন্ত ৪ জন মারা গেছেন।
মন্ত্রী বলেন, কর্ণফুলী সেতু থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের অনেক যন্ত্রাংশ চুরি করার নামে খুলে নেওয়া হয়েছে, যেন ট্রেন চলাচল করতে না পারে। তারা মনে করছে, এ ধরনের নাশকতা ঘটিয়ে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা করা সম্ভব। যদিও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন। কিন্তু তারা কর্মসূচি না দিলে এমনটা হতো না।
চলারপথে রিপোর্ট :
জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ হয়ে যাওয়ায় অসহায় বাবার পিতৃ স্নেহের প্রতি সম্মান জানিয়ে ও অন্তত একটি শিশুকে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন হয়েছে।
“বিবেকের আদালত থেকে মানবতার দিক থেকে বাবার আশা এবং বেঁচে থাকুক অন্তত একটি মেয়েকে নিয়ে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সামনে আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সচেতন নাগরিকদের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বক্তব্য দেন- বিশিষ্ট সমাজসেবক মো. হেলিম আহম্মেদ, কবি ফয়েজ আহমেদ, হৃদয় দেবনাথ, মোবাশ্বের ইসলাম, মাহমুদুল হাসান রিফাত, নাহিদ মো. সাদিক প্রমুখ।
এ সময় বক্তারা বলেন, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর অভিভাবকত্ব চেয়ে বাবা ইমরান শরীফের মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত। আদালত বাবার করা মামলা খারিজ করে দেওয়ায় দুই শিশু এখন থেকে মা নাকানো এরিকোর কাছে থাকবে। এতে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে অসহায় বাবার প্রতি ভালোবাসার নিদর্শন হিসেবে অন্তত এক সন্তানকে তার কাছে সমর্পণের দাবি জানানো হয়।
উল্লেখ্য, জাপান থেকে নিয়ে আসা দুই শিশুর হেফাজত ও অভিভাবকত্ব চেয়ে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকার পারিবারিক আদালতে মামলা করেন ইমরান শরীফ।
অনলাইন ডেস্ক :
বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে দেশ নতুনভাবে স্বাধীনতা পেয়েছে। এ অবস্থায় দেশে নির্বাচন হওয়ার আগে তিনটি শর্ত পূরণ হতে হবে। মৌলিক সংস্কার, সহাবস্থানসহ নির্বাচনের শর্ত পূরণ করতে হবে। তা নাহলে নির্বাচনের কমিটমেন্ট ঠিক থাকবে কি না তা আল্লাহই জানেন।
আজ ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল ওয়েস্টিনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি ।
জামায়াত আমির বলেন, অনেক কষ্টে যা এসেছে এতে তিনটি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। এর প্রধান হচ্ছে দৃশ্যমান গ্রহণযোগ্য মৌলিক সংস্কার। আমরা তা সংস্কার কমিশনের কাছে দিয়েছি। এসব পরিবর্তন ছাড়া কোনো নির্বাচন হলে তা গণতন্ত্রের কোনো ভিত্তি গঠন হবে না। এ নির্বাচনও তাহলে পূর্বের মতো খারাপ হবে। হাজার হাজার মানুষের রক্তের বিনিময়ে যে বিজয় এসেছে সেখানে এই পরিবর্তন খুবই জরুরি।
তিনি বলেন, প্রথমত সংস্কারের প্রধান অংশীজন হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলো। এতে যদি তারা সহযোগিতা করে তাহলে দ্রুত নির্বাচনে পরিবেশ হবে। তারা যদি সহযোগিতা না করে যদি গতানুগতিক নির্বাচন হয় তাহলে আগের মতো নির্বাচন হবে। যার দায় রাজনৈতিক দলগুলোকে নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত গণহত্যাকারীদের দৃশ্যমান বিচার করতে হবে। যাতে মানুষের আস্থা ফিরে আসে। শহীদের আত্মা যাতে প্রশান্তি পায়।
তৃতীয়ত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সম্মানবোধ থাকতে হবে। যাতে এমন না হয়, আমি জিতে গেলেই নির্বাচন সুষ্ঠু, না জিতলে দুষ্ট- এমন মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এর জন্য সবার এনগেজমেন্ট প্রয়োজন।
এটি সরকারের তরফ থেকেই হতে পারে, রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্যোগে হতে পারে, সিভিল সোসাইটির উদ্যোগেও হতে পারে।
জামায়াত আমির বলেন, নির্বাচনের আগে শর্ত পূরণ করতে হবে। শর্ত পূরণ ছাড়া মার্চ-ফেব্রুয়ারি কোনো কিছু ঠিক থাকবে কি না নির্বাচনের কমিটমেন্ট ঠিক থাকবে কি না তা আল্লাহই জানে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে প্রবাস ফেরত চাচার সাথে মেঘনা নদীর তীরে ঘুরতে গিয়ে নদীতে ডুবে দুই চাচাতো ভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।
মর্মান্তিক এ ঘটনাটি ঘটেছে আজ ১৭ অক্টোবর মঙ্গলবার সকালে উপজেলার বিশনন্দী ইউনিয়নের বিশনন্দী পূর্বপাড়া এলাকায়। এ ঘটনায় ওই এলাকার দুটো পরিবারের মধ্যে শোকের মাতম চলছে। বাড়ী ঘরে ভীড় করছেন শোকার্ত এলাকাবাসি।
স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই গ্রামের কবিরের ছেলে আদনান (৪) ও হকসাবের ছেলে আব্দুল্লাহ (৪) তাদের আপন চাচা প্রবাস ফেরত আজিজুলের সাথে মেঘনার তীরে ঘুরতে যায়। চাচা তাদের দুই ভাইকে নদীর তীরে বসিয়ে রেখে নদীতে গোসল করতে নামেন। এ সময় চাচার অজান্তে দুটি শিশুই নদীর পানিতে পড়ে তলিয়ে যায়। গোসল শেষে চাচা শিশু দুটিকে তীরে দেখতে না পেয়ে ডাক চিৎকার শুরু করেন। এ সময় আশে পাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে জেলেদের জাল দিয়ে নদীতে খুঁজতে থাকেন। ঘটনার বেশ কিছু সময় পর তাদেরকে নদী থেকে উদ্ধার করে আড়াইহাজার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার দুটি শিশুকেই মৃত ঘোষণা করেন। পরে এ বিষয়ে কোন অভিযোগ না থাকায় পরিবারের লোকজন শিশু দুটির লাশ সামাজিক কবরস্থানে দাফন করেন।
অনলাইন ডেস্ক :
‘নির্বাচন জনগণের কাছ গ্রহণযোগ্য হতে হবে। গ্রহণযোগ্য হওয়ার অর্থ নির্বাচনটা অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আমার অনুরোধ থাকবে আমার কমিশনে যারা কর্মকর্তা রয়েছেন ও আপনেরা যারা আছেন সকলকে এই চেষ্টাটা করতে হবে। অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে জনগণের কাছে নির্বাচনটা সুষ্ঠু করতে হবে।
আজ ১৪ অক্টোবর শনিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটটে ৩৩ জেলার ডিসি-এসপিদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আওয়াল।
এ সময় তিনি বলেন, ‘জনগণকেও দেখতে হবে যে নির্বাচনে ফেয়ারনেস ছিল। জনগণকে দেখতে হবে ভোটাররা নির্বিগ্নে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারে। ভোটাররা প্রবেশ করে তারা ভোটারধিকার প্রয়োগ করতে পেরেছে।
এটুকুই যদি আমরা সকলে মিলে দেখাতে পারি তাহলেই নির্বাচনে একটা বড় সফলতা আমি যদি আপেক্ষিক অর্থে বলি অর্জিত হয়ে যাবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘নির্বাচনের সময় খুব ঘনিয়ে এসেছে। এতে কোন সংশয় নেই। নির্বাচন আয়োজনটা একটা কঠিন কর্মযজ্ঞ।
খুব সহজ নয়। চাহিলাম আর হয়ে গেলো বিষয়টি এমন নয়। এখানে কিন্তু আপনাদের রাতদিন উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে হবে। সিডিউল ঘোষণার পর পর অনেকটা ঘুমনি ধারা হয়ে যাবে। যেহেতু এ দায়িত্ব আপনাদের ও আমাদের উপর অর্পিত হয়েছে সেহেতু আমাদেরকে নিষ্ঠার সঙ্গে সেই দায়িত্বটা পালন করতে হবে।
কাজী হাবিবুল আওয়াল বলেন, ‘আমরা আমাদের সময়কালে প্রায় ১ হাজার ২শ নির্বাচন করেছি। সেখানে আমরা প্রশাসন এবং আপনাদের আইনশৃংখলা বাহিনীর যে সহযোগিতা পেয়েছি তা প্রশংসনীয়। আমরা এ জন্য আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমাদের দৃঢ় প্রত্যাশা থাকবে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনারা রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসেবে দলীয় চিন্তাভাবনার উর্দ্ধে থেকে পক্ষপাতহিন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের আস্থা অর্জন করতে সমর্থ হবেন। আপনাদের সহায়তায় ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষিত হবে। কোন অঘটন ঘটবে না। সহিংসতা হবে না। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হবে।’