স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মুক্তিযোদ্ধা আবুল হাশেমকে (৭৩) রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন করা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত ৯টার দিকে উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামে নিজ বাসভবনে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। পারিবারিক সূত্র জানায়, আবুল হাশেম দীর্ঘদিন ধরে বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন। গত শনিবার রাতে নিজ বাসভবনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের মাঠে তাকে নির্বাহী কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মুহাম্মদ সরওয়ার উদ্দীনের নেতৃত্বে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. ইসমত আলী, সরাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আসলাম হোসেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৫ ছেলেসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুরে মুক্তিপন না দেয়ায় ফাতেহা আক্তার (৭) নামের এক শিশুকে হত্যার পর লাশ ডোবার ফেলে রাখে অপহরণকারিরা।
গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার দরিয়াদৌলত ইউনিয়নের শুটকিকান্দি গ্রামের একটি ডোবা থেকে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শিশু ফাতেহা আক্তার ওই গ্রামের প্রবাস ফেরত বাছেদ মিয়ার মেয়ে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত নাজিম (১৯) ও আলাউদ্দিন (২১) কে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃত নাজিম শিশু ফাতেহা আক্তারের ফুফাতো ভাই এবং দরিয়াদৌলত গ্রামের রাজ্জাক মিয়ার ছেলে ও গ্রেফতারকৃত আলাউদ্দিন শুটকি কান্দি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ নূরে আলম জানান, শিশু ফাতেহা আক্তার গত ৩০ আগস্ট বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সকল জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধ্যান পায়নি। এরই মধ্যে শিশুর পরিবারে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ৪ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারিরা। তবে কোন প্রকার মুক্তিপণ দেয়নি তার পরিবার। পরে বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
তিনি জানান, সোমবার সন্ধ্যায় প্রযুক্তির সহায়তায় পুলিশ দুই যুবককে আটক করে। পরে তাদের মোবাইল ফোনে শিশুটিকে অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবি সংক্রান্ত চ্যাটিং পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তারা জানায়, শিশুটিকে হত্যার পর ডোবার পানিতে লুকিয়ে রাখা হয়। পরে রাত সাড়ে ৯টার দিকে ডোবা থেকে শিশু ফাতেহার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি বলেন, এ ঘটনায় শিশুর পরিবার থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলায় প্রতীক বরাদ্দের আগেই আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণা চালানোর অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আল জাবেরের (জাবেদ) বিরুদ্ধে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন। তিনিসহ বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
কারণ দর্শানোর নোটিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল ৪টায় জনসভায় আয়োজন করেন আল জাবের। তিনি এলাকায় মিছিল ও শোডাউন করেছেন। এর সুনির্দিষ্ট প্রমাণ রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে রয়েছে। বিজয়নগরের ইউএনও ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা একাধিকবার ফোন করলেও এবং বিজয়নগর থানা পুলিশ প্রচার কাজ বন্ধ করতে নির্দেশ দিলেও তাৎক্ষণিকভাবে প্রচারণ কাজ বন্ধ করেননি আল জাবের। এটি উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধির পরিপন্থি।
আল জাবেরের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ৩৩ অনুযায়ী প্রার্থীতা বাতিলের বিষয়ে কেন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা আগামী রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে লিখিতভাবে কারণ দর্শানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, আচরণবিধি লঙ্ঘন করে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অভিযোগে তাকে দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়ায় ছয়গড়িয়া শাহআলম উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতা, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।
আজ ১০ জুন সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ছয়গড়িয়া গ্রামে স্কুল সংলগ্ন সড়কে এ মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধনে কমিটির সদস্য, জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।
এলাকাবাসী বলেন, দীর্ঘদিন যাবত বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ চারটি পদ শূন্য রয়েছে। এতে বিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ও শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধান শিক্ষক পদে দুইবার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সেলিনা বেগম নিজের পদ ধরে রাখার জন্য নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করছেন না। অন্যান্য পদেও নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশলে নিয়োগ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করছেন।
এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সিদ্ধান্ত ছাড়া কমিটির সাবেক সভাপতি ও ভূমিদাতা আবুল বাশার মোবারকসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। তাছাড়া তিনি বর্তমান কমিটির সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরীসহ কমিটির তিনজন সদস্যের নামে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দিয়েছেন বলেও দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির বর্তমান সদস্য মো. তাজুল ইসলাম, কমিটির সদস্য আবুল বাশার, সাবেক সদস্য সহিদ মিয়া (মেম্বার), আবু তাহের প্রমুখ।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মোছা. সেলিনা বেগম বলেন, আমি যাদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছি, তারা উদ্দেশ্যমূলকভাবে আমার বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে অভিযোগ করছে। আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ মিথ্যা।
অনলাইন ডেস্ক :
আসন্ন শারদীয় দুর্গাপূজা নিরাপদ পরিবেশে উদযাপনের জন্য ২২টি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর মধ্যে রয়েছে পূজামণ্ডপ বা মন্দিরে পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা করা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং তাদের আলাদা পোশাক, পরিচয়পত্র ও আর্ম ব্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া। এ ছাড়া স্থানীয় কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যক্তি ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শান্তিশৃঙ্খলা কমিটি গঠন করতে হবে। আনন্দ উৎসবে মাদকের ব্যবহার, জুয়া খেলা ও আতশবাজি বন্ধেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির পক্ষ থেকে এসব নির্দেশনার কথা জানানো হয়। ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বার্তায় এসব নির্দেশনা মেনে চলতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয়েছে।
নির্দেশনায় আরো যেসব বিষয় রয়েছে সেগুলো হলো- পূজামণ্ডপে দর্শনার্থীদের ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ না করা, পুলিশ ও আনসার সদস্যদের জন্য ওয়াশরুমসহ স্বাস্থ্যকর আবাসনের ব্যবস্থা রাখা, প্রতিমা বিসর্জনের সময় নৌকায় ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা। ২৪ অক্টোবর বিভিন্ন পূজামণ্ডপ থেকে প্রতিমা বিকেল ৩টার আগেই ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা এবং সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে প্রতিমা ওয়াইজঘাটে পৌঁছানো। ওয়াইজঘাটে সব প্রতিমা রাত ৮টার মধ্যে বিসর্জন সম্পন্ন করা।
ডিএমপি আরো জানায়, পূজার দিনগুলোতে প্রত্যেক মণ্ডপে স্থায়ীভাবে পুলিশ ও আনসার মোতায়েনের পাশাপাশি টহল বাড়ানো হবে। এ ছাড়া শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে তল্লাশি চৌকি স্থাপন ও গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই রোধে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, সর্বস্তরে সচেতনতা তৈরি করা গেলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’ এই বাণী আরও সমুন্নত করা সম্ভব হবে।