চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগরে একটি খালে প্রাইভেটকার ভেসে উঠেছে। এনিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে বেশ কৌতূহল তৈরি হয়েছে। সকাল থেকেই প্রাইভেটকারটি দেখতে ভিড় করছেন এলাকাবাসী।
আজ ২৭ সেপ্টেম্বর বুধবার দুপুরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রাইভেটকারটি উদ্ধার করেছে। নবীনগর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) সোহেল আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সকালে উপজেলার কুড়িঘরে মহেশ সড়কের পাশের নান্দুরা খালে একটি প্রাইভেটকার ভেসে উঠেছে। পরে পুলিশ ও দমকল বাহিনীর সদস্যরা প্রাইভেটকারটি খাল থেকে পাড়ে তুলে আনে। একই সঙ্গে দমকল বাহিনীর সদস্যরা খালে তল্লাশি চালায়। এসময় একটি মোবাইল ফোন ও শার্ট পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রাইভেটকারটি দুর্ঘটনায় পতিত হয়েছিল। আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি। প্রাইভেটকারটি থানায় নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
গেলো বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র জনতার আন্দোলনে ঢাকার আশুলিয়ায় নিহত পরিবারের একমাত্র ছেলের স্মৃতিকে পুরো জাতির সামনে তুলে ধরতে নবীনগর উপজেলার বিটঘর গ্রামে নির্মাণ করা হয় শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ।
আজ ৫ এপ্রিল শনিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার বিটঘর সিএনজি স্টেশনে শহীদ সুজয় স্মৃতি স্তম্ভ উদ্বোধন করেন ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু।
বিটঘর উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে শহীদ স্মৃতি বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভায় নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিব চৌধুরীর সভাপতিত্বে শহীদ সুজয়ের অধ্যয়নরত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গাজীপুর ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সানোয়ারা সুলতানা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন স্মৃতি স্তম্ভ নির্মানের পৃষ্ঠপোষক ব্যবসায়ী নজরুল ইসলাম নজু, ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান, প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন শান্তি, গণ অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য এডভোকেট মেহেদী হাসান, জাতীয় নাগরিক পার্টির মূখ্য সংগঠন আতাউল্লাহ, অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম তপু, সাধারণ সম্পাদক কাজী রেজাউর রহমান তানভীর, উপজেলা হেফাজতে ইসলামের সভাপতি আমিরুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলনের সেক্রেটারি মমিনুল হক ভূঁইয়া,আন্দোলনে আহত মোঃ জামাল মিয়া, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান সুজন, শাহজাহান মাষ্টার প্রমুখ।
বক্তারা, জুলাই আগস্টের স্পিড হৃদয়ে ধারণ করে সামনের বাংলাদেশ বিনির্মাণে দলমত নির্বিশেষে সবাই এক হয়ে কাজ করতে হবে। পরে মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগর উপজেলার মানুষের যাতায়াতের একমাত্র মাধ্যম ছিল নদীপথ। তখন তিতাস ও বুড়ি নদী পানিতে ছিলো টইটম্বুর। বর্ষা মৌসুমে দু’কূল উপচে পানি খালবিল, মাঠঘাট, হাওড় বিলে গিয়ে পড়ত। বারো মাসই এলাকার মানুষের যোগাযোগের একমাত্র ভরসা ছিল নৌযান। কিন্তু এখন ভরা বর্ষা মৌসুমেও সেই নদীতে পানি থাকে না বললেই চলে। পলি জমে কোথাও কোথাও ভরাট হয়ে গেছে। কোথাও আবার ধান চাষ হচ্ছে। হাট-বাজার ও বাসা-বাড়ির ময়লা-আবর্জনা নদীতে ফেলা হচ্ছে। ফলে এক সময়ের প্রমত্তা তিতাস ও বুড়ি নদী এখন মরা খাল আর ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। একসময় দিনরাত তিতাস ও বুড়ি নদীতে উত্তাল ঢেউ আর জাহাজের সাইরেন শোনা গেলেও এখন এর অস্তিত্বই হারিয়ে যেতে বসেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সহ নবীনগর উপজেলায় উন্নয়নের নামে ফসলি জমি ও খাল-বিল দখল করে সড়ক, স্থাপনা, বসতবাড়ি, হোটেল ও ফল ব্যবসায়ীরা বর্জ্য ফেলার কারনে তিতাস ও বুড়ি নদী এখন প্রায় বিলুপ্তির পথে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজীব চৌধুরী নবীনগর উপজেলায় যোগদান করার পর নবীনগর উপজেলা সহ নবীনগর পৌর প্রশাসকের দ্বায়িত্ব নেয়ার পর তিতাস ও বুড়ি নদী রক্ষায় নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। যোগদানের মাত্র কয়েক মাসেই সামাজিক নানা ইস্যুতে কাজ করছেন তিনি। নবীনগর সদরের তিতাস ও বুড়ি নদীকে আগের রূপে ফিরিয়ে আনতে তিনি এলাকার স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে, আবার কখনো একাই তিতাস ও বুড়ি নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে দাঁড়িয়ে যান। নবীনগর সদর বাজারের ঘুরে ঘুরে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা মূলক লিফলেট বিতরন করে বেহাল দশার চিত্র তুলে ধরছেন জাতীয় গণমাধ্যমসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে।
সম্প্রতি ইউএনও রাজীব চৌধুরী কে দেখা যায়, নবীনগর পৌর সভার উদ্যোগে তিতাস ও বুড়ি নদীর পৌর সদরের শহর রক্ষা বাধে ফেলা ময়লা পরিস্কার করছেন। এবং নদীর পাড়ে জনসচেতনতামূলক ব্যনার টানিয়ে পৌর ডাস্টবিনে নির্দিষ্ট স্থানে ময়লা ফেলার জন্য বিনীতভাবে আহ্বান জানাচ্ছেন।
স্থানীয় সূধি সমাজের নেতৃবৃন্দরা জানান, তিতাস ও বুড়ি নদীর নাব্যতা সংকটে যখন হারিয়ে যেতে বসেছে তখন ইউএনও রাজীব চৌধুরী সদরের শহর রক্ষা বাধের ময়লা আবর্জনা স্তূপ পরিস্কার করে বিভিন্ন পয়েন্টে ভ্রাম্যমাণ ডাস্টবিন স্থাপন করে সচেতনা মূলক লিফলেট বিতরণ করছেন। তিনি একাই দায়িত্ব নিয়ে নদী রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের উচিত ইউএনও রাজীব চৌধুরীর পাশে দাঁড়ানো।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক রাজীব চৌধুরী বলেন,‘নদী বাঁচলে নবীনগর বাঁচবে’ প্রতিপাদ্যকে উপজীব্য করে নবীনগর পৌরসভার উদ্যোগে তিতাস নদীকে দূষণমুক্ত করতে আমরা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। তিতাস পাড়ের ময়লা প্রতিদিন পৌরসভার ডাম্পিং স্পটে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। নদী পাড়ে সরবরাহ করা হয়েছে পর্যাপ্ত ডাস্টবিন। সচেতনতামূলক কার্যক্রম হিসেবে ব্যবসায়ীদের মাঝে লিফলেট বিতরণ করেছি। বিভিন্ন জায়গায় তিতাসকে দূষণমুক্ত রাখতে সচেতনতামূলক ব্যানার টাঙানো হয়েছে। তিতাস ও বুড়ি নদী রক্ষার কার্যক্রমকে টেকসই করতে নদীর পাড়ে স্থাপন করা হচ্ছে ১৬ টি সিসি ক্যামেরা। তিতাস ও বুড়ি নদী রক্ষায় নবীনগর উপজেলা ও পৌরবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামীতে দায়িত্ব পেলে উন্নয়নের পাশপাশি উপজেলায় ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করবো। আমার পাঁচ বছর আমলে সারা উপজেলায় মেঘা মেঘা প্রকল্প বাস্তবায়ন করে উপজেলাকে উন্নয়নের রোল মডেল তৈয়ার করেছি।এখনো আমার অনেক প্রকল্পের কাজ অসমাপ্ত রয়েছে।আমি আবার এম.পি’র দায়িত্ব পেলে আমার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করে উপজেলাকে এগিয়ে নিয়ে যাবো। আমি ১৩ শত কোটি টাকার কাজ করেছি।আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আপনাদেরকে আমার পাশে চাই।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার লাউর ফতেহপুর ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী আহাম্মদপুর এ এইচ এস উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক এমপি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল এসব কথা বলেন ।এর আগে তিনি ফতেহপুর বাজার ও বাশারুক মোড়ে পৃথক দু’টি পথসভা করেন।
এ সময় এ এইচ এস উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার বশির উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও জাকির হোসেন মাষ্টারের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন চৌধুরী শাহান, ডাক্তার মিজানুর রহমান, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম, উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, জহির উদ্দিন চৌধুরী সিদ্দিক টিটু, আব্দুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল আলম কন্টেকক্টার, নাজমুল আলম মঞ্জু মাষ্টার, বীর মুক্তিযোদ্ধ সুবেদার জাহের মিয়া, নুরুল আমীন সরকার, সাবেক মেম্বার মাহাবুব আলম, মুতিউর রহমান কানন, বর্তমান মেম্বার মামুন চানমনি সরকার, গিয়াস উদ্দিন, লাউর ফতেহপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ইয়ার হোসেন মাষ্টার, ইঞ্জিনিয়ার নাছির উদ্দিন প্রমুখ।
চলারপথে রিপোর্ট :
নবীনগরে একটি বিপণীবিতানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১২টি দোকান পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে গেছে।
আজ ২২ নভেম্বর শুক্রবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলা সদরের নবীনগর পৌর মার্কেটে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজীব চৌধুরী জানান, বিকেলে নবীনগর উপজেলা সহকারী কমিশনারের কার্যালয়ের সামনে অবস্থিত পৌর মার্কেটের একটি দোকানে আগুন লাগে। পরে তা আশপাশের দোকানগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তিনি আরো জানান, কীভাবে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। আগুনে তেল, লেপ-তোষক ও ফার্মেসিসহ ১২টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
নবীনগরে বিদ্যুৎপৃষ্টে ফয়সাল নামে এক ইলেকট্রিশিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল উপজেলার সলিমগঞ্জ ইউনিয়নের বাড়াইল গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত ফয়সাল বাড়াইল গ্রামের মিজান মিয়ার ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ফয়সাল পেশায় ইলেকট্রিশিয়ান।
বিকেলে ফয়সাল, হুমায়ূন মিয়ার একটি ভবনে ড্রিল মেশিন দিয়ে ওয়ারিংয়ের কাজ করার সময় হঠাৎ বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে অসংখ্যজনক অবস্থায় উদ্ধার করে সলিমগঞ্জ অলিউর রহমান জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।