চলারপথে রিপোর্ট :
হবিগঞ্জের মাধবপুরে দাওয়াত খেয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে চাচি ও ভাতিজির মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরও এক নারী আহত হয়েছেন। আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার ছাতিয়াইন ইউনিয়নের শিমুলঘর সড়ক বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
মাধবপুর প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শিমুলঘর গ্রামে দাওয়াত খেয়ে ফেরার পথে শিমুলঘর সড়ক বাজারে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই ছাতিয়াইন গ্রামের সোহেল মিয়ার স্ত্রী শান্তা আক্তার (৩২) ও ভাই রুবেল মিয়ার মেয়ে সাদিয়া আক্তারের (১০) মৃত্যু হয়। এ সময় এই পরিবারের শারমিন আক্তার নামে এক নারী আহত হন। তাকে মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
মাধবপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিহতদের মরদেহ মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রয়েছে। সেখানে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনজুর আহসান জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সরকারিভাবে পরিবারটিকে সহায়তা করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রথম নির্বাচনী জনসভায় বক্তব্য দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। আজ ২০ ডিসেম্বর বুধবার বিকেলে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে তিনি বক্তৃতা দেন। সিলেটবাসীকে সালাম ও বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি আগুন নিয়ে খেলে। তারা জানে না আগুনে হাত দিলে আগুনেই হাত পুড়ে যায়। লন্ডনে বসে হুকুম দেয়। আর এদেশে বসে তাবেদার লোক মানুষ পোড়ায়।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন করতে দিতে চায় না। কিন্তু এত সহজ নয় যে, সরকার সহজে পড়ে যাবে। যারা খুনি তারাই নির্বাচন বানচাল করতে চায়। তাদের প্রতিহত করতে হবে।
আগামী নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুতি আদায় করে বলেন, এ নৌকায় ভোট দিয়ে মানুষ স্বাধীনতা পেয়েছে। কেউ ভয় পাবেন না। নির্বাচনে ভোট দিতে যাবেন।
তিনি বলেন, সিলেটের যে কুপ খনন করে খালেদা জিয়ার আমলে গ্যাস পাওয়া যায়নি, সেই কুপে এখন গ্যাস ও তেল পেয়েছি। আল্লাহ জন বুঝে ধন দেন। ২০০১ সালে আমাদের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া হয়নি। কারণ আমেরিকা চেয়েছিল তাদের কাছে গ্যাস বিক্রি করতে। আমি তা করিনি। তখন ভোট কারচুপির মাধ্যমে খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এসেছে।
সিলেটের উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে শুরু করে সিলটবাসী আমার সঙ্গে আছেন। আমি বারবার সিলেটে এসেছি। আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে সিলেটবাসীকে পাশে থাকার আহ্বান জানান তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, সুরমা নদীসহ সব নদী খনন কাজ শুরু করা হয়েছে। নতুন রেলস্টেশন করে দিয়েছি। সিলেট-ঢাকা ও সিলেট-বাদাঘাট এবং সিলেট-তামাবিল মহাসড়ক ছয় ও চার লেন হচ্ছে। ওসমানী বিমানবন্দরের উন্নয়ন কাজ হচ্ছে। আধুনিক সিলেট গড়ার কাজ চলছে। সিলেটে মেট্রোরেল চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। একশ শয্যার বার্ন ইউনিট ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সিলেটের মানুষ সবসময় আমাদের পাশে রয়েছে। আমিও পাশে আছি। স্মার্ট বাংলাদেশ, স্মার্ট অর্থনীতির জন্য আমরা লড়াই করছি।
বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে বক্তৃতা শুরু করে ৪টা ৫৫ মিনিটে শেষ করেন প্রধানমন্ত্রী। ৩৫ মিনিটের বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমরা দেশকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা দিয়েছি। তারা কি দিয়েছে। বারবার সংবিধান লঙ্ঘন ও জাতির পিতাকে হত্যা করে ক্ষমতায় এসেছে। কোনো কাজ করেনি। শুধু ভোগের জন্য তারা ক্ষমতায় এসেছে।
বিকেল ৩টা ১০ মিনিটের দিকে প্রধানমন্ত্রী সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছার পর স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে সরকারি আলিয়া মাদরাসার মাঠ। তার বক্তব্যের আগে শীর্ষ কয়েকজন নেতা বক্তব্য দেন। দীর্ঘ ৩৫ মিনিটের বক্তব্যকালে শেখ হাসিনা বলেন, কেউ আমাদের দাবিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা এগিয়ে যাবো ইনশাল্লাহ।
তিনি বলেন, আমরা ৮ লাখ ৪১ হাজার মানুষকে ঘর দিয়েছি। প্রতিবন্ধী ও বিধবাদের ভাতা দিচ্ছি। ৩৬ লাখ নারীকে এ ভাতা দেওয়া হচ্ছে। আমরা চাই দেশকে এগিয়ে নিতে আর তারা (বিএনপি-জামায়াত) এগিয়ে নিতে দিতে চায় না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের মাঝে যেমন ছিল নেতাকর্মীদের উচ্ছ্বাস তেমনি তার বক্তব্য শোনার জন্য ছিল নীরবতা। মাঠে স্থান সংকুলান না হওয়ায় আশপাশের এলাকায় অবস্থান করেন বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী। নিরাপত্তার কারণে চারপাশের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় ভোগান্তির শিকার হন অনেকে। বিশেষ করে একমাত্র মাঠের পশ্চিম দিকে প্রবেশের স্থান রাখায় মিছিল নিয়ে আসা নেতাকর্মীদের মাঠে প্রবেশে বেগ পেতে হয়।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা বিএনপিকে চাই না। খালেদা জিয়াকে চাই না, তারেক রহমানকে চাই না। এরা মানুষ মারে। এরা মানুষ না, দানব। এদেরকে প্রতিহত করতে হবে। এদের বাংলাদেশে রাখা যাবে না।
খেলা হবে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির ধর্মঘট ভুয়া, রাজনীতি ভুয়া। তারা বলেছিল ডিসেম্বরে খালেদা জিয়া দেশ চালাবে, শেখ হাসিনা পালিয়ে যাবেন। কিন্তু অনেকে পালিয়েছেন। বিএনপি লালকার্ড পেয়ে গেছে।
নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে এবং জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নাসির উদ্দিন খান ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন, প্রেসিডয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছো হক, সিটি মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, ইনাম আহমদ চৌধুরী, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান, প্রবাসী কল্যাণ, বৈদেশিক ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, বন, পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক মন্ত্রী শাহাব উদ্দিন, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, আবু জাহির এমপি, হাবিবুর রহমান এমপি, মুহিবুর রহমান মানিক এমপি প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন- প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ, আব্দুর রাজ্জাক, শেখ হেলাল প্রমুখ।
সিলেটের নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বুধবার সকাল ১১টা ৩৫ মিনিটে বাংলাদেশ বিমানের একটি ফ্লাইটে ওসমানী বিমানবন্দর পৌঁছান। দুপুরে হযরত শাহজালাল ও শাহপরান (রহ.) মাজার জিয়ারত করেন। সিলেট সার্কিট হাউসে অবস্থানের পর বিকেলে সমাবেশের মঞ্চে পৌঁছান। ওই সময় শিল্পীরা ‘বাবা শাহ জালালের দেশ সিলেট ভূমিরে…ও কোন মেস্ত্ররি নাও বানাইছে কেমন দেখা যায়’…গান দুটি পরিবেশন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে কড়া নিরাপত্তা ছিল নগরজুড়ে। সমাবেশস্থলের পার্শ্ববর্তী চৌহাট্টা মোড় থেকে আম্বরখানা, জিন্দাবাজার, রিকাবি বাজার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশের মাজার এলাকার রাস্তাও বন্ধ রাখা হয়। নগরীর প্রত্যেক প্রবেশ মুখ থেকে বিভাগের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে নেতাকর্মীরা এবং সংসদ সদস্য প্রার্থীদের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সমাবেশ স্থলে যোগ দেন। তাদের পরনে রঙিন গেঞ্জি ও মাথায় ক্যাপ ছিল।
চলারপথে রিপোট
প্রেমের টানে এবার জয়পুরহাটে এসেছেন আনা মারিয়া ভেলাস্কো (৪১) নামে ফিলিপাইনের এক নারী। জেলার ক্ষেতলাল উপজেলার আব্দুল্লাহ হেল আমানের (৪২) সঙ্গে ফেসবুকে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। আজ ৩ সেপ্টেম্বর রবিবার তিনি আমানের ভাড়া বাসায় আসেন। এরপর দুপুরে তারা বিয়ে করেন।
আব্দুল্লাহ হেল আমানের গ্রামের বাড়ি ক্ষেতলাল উপজেলার মামুদপুর ইউনিয়নের মিনিগাড়িতে। তিনি ক্ষেতলাল পৌরসভার থানা বাজার এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। সেখানে তাদের বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। আনা মারিয়া ভেলাস্কো ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা শহরের বাসিন্দা। বিদেশি নববধূকে দেখতে এলাকার অনেকে আমানের বাড়িতে ভিড় করছেন।
আমানের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, ফিলিপাইনের নারী আনা মারিয়া ভেলাস্কোর সঙ্গে আমানের দুই বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আনা মারিয়া ভেলাস্কো চাকরির সুবাদে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাস করেন। সেখান থেকে শনিবার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। এরপর আব্দুল্লাহ হেল আমান গাড়ি যোগে রোববার সকালে আনা মারিয়া ভেলাস্কোকে নিয়ে ক্ষেতলাল পৌরসভার ভাড়া বাসায় পৌঁছান। পরে দুপুরে দুজনে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় ওই নারীর নতুন নাম মরিয়ম আমান রাখা হয়।
ফিলিপাইনের নারী আনা মারিয়া ভেলাস্কো বলেন, প্রেমের টানে আব্দুল্লাহ হেল আমানকে বিয়ের জন্য স্বেচ্ছায় এখানে এসেছি। আমরা বিয়ে করেছি। তার পরিবার আমাকে মেনে নিয়েছে।
আব্দুল্লাহ হেল আমান বলেন, আমাদের দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে খ্রিস্টান ধর্মের। কিন্তু তিন বছর পূর্বে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে। সে সৌদি আরবে চাকরি করতো। সেখান থেকে ভালোবাসার টানে আমাকে বিয়েহের উদ্দেশ্যে এখানে চলে আসে। আমরা শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে করেছি।
ক্ষেতলাল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আনা মারিয়া ভেলাস্কো ফিলিপাইনের নাগরিক। তিনি চাকরির সুবাদে সৌদি আরবের জেদ্দায় বসবাস করেন। সেখান থেকে আব্দুল্লাহ হেল আমানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয়। প্রেমের টানে তিনি এখানে স্বেচ্ছায় এসে বিবাহ বন্ধনে আবন্ধ হয়েছেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
আখাউড়া-সিলেট রেলপথের মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে সিলেট থেকে ছেড়ে আসা পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন বিকল হয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আটকা পড়ে। আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে গোপাল নগর এলাকায় চলন্ত অবস্থায় ট্রেনটির ইঞ্জিন বিকল হয়।
আকস্মিক এ সমস্যায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা। ভানুগাছ ও শ্রীমঙ্গল স্টেশনের অনেক যাত্রী ট্রেন থেকে নেমে সড়কপথে নিজ গন্তব্যে রওনা দেন।
পরে আখাউড়া জংশন থেকে বিকল্প ইঞ্জিন এনে বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে পাহাড়িকা ট্রেনটি শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়।
ভানুগাছ রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমেদ বলেন, ভানুগাছ রেল স্টেশনের আউটারে রেলগেট এলাকায় চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর পাহাড়িকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন হঠাৎ বিকল হয়ে পড়ে। পরে আখাউড়া থেকে বিকল্প একটি ইঞ্জিন এসে ট্রেনটি নিয়ে যায়। ফলে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেনটি রেল লাইনে আটকা ছিল।
অনলাইন ডেস্ক :
অশুভ শক্তির হাত থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরির অপেক্ষায় রয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ইতালিতে প্রধানমন্ত্রী তার আবাসস্থলের ফ্যার্নান্দেস হলে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আয়োজিত এক কমিউনিটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) বাংলাদেশকে আবারও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিতে চায়। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’ খবর বাসসের।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগেরও সভাপতি শেখ হাসিনা আগামী সাধারণ নির্বাচনে আবারও তার দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট চেয়ে বলেছেন,‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়তে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আসতে হবে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিএনপি নির্বাচন চায় না বরং দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী হবে। বিএনপি জানে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। তাই বিএনপি দেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। ভোট কারচুপির কারণে যারা বিতাড়িত হয়েছে জনগণ তাদের ভোট দিতে যাবে কেন?’
শেখ হাসিনা প্রশ্ন তোলেন, অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে মানুষ হত্যার পর কীভাবে তারা ভোট চায়?
তিনি বলেন, ‘তারা (বিএনপি) নির্বাচন চায় না। তারা তাদের কিছু বিদেশি প্রভুর পা চাটে এবং তারা চায় দেশের মানুষ তাদের (বিদেশি প্রভুদের) দ্বারা কষ্টভোগ করুক।’
প্রধানমন্ত্রী সকলকে মনে করিয়ে দেন, বিএনপি কখনো দেশবাসীর কল্যাণ চায় না। বরং তারা বাংলাদেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়।
তিনি বলেন, ‘তাদের (বিএনপি) উদ্দেশ্য হলো ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। তাই তাদের লক্ষ্য বাংলাদেশের অগ্রগতি ব্যাহত করা।’
র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা এবং যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে, তাদের দ্বারা আমরা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করেছি। আমরা এর রহস্য বুঝতে পারছি না।’
যারা স্বাধীনতা যুদ্ধে সমর্থন করেনি তারা এখন বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্নভাবে খেলা খেলতে চায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খেলোয়াড়দের খেলতে দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, যে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য নস্যাৎ করতে দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।
বৈধ উপায়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে বিশেষ করে আইসিটি খাত, খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পে বিনিয়োগের জন্য বিদেশি অংশীদারদের সন্ধান করার জন্য তাদের অনুরোধ করেন।
তিনি প্রবাসীদের যে দেশে তারা থাকছে সে দেশের আইন মেনে চলার জন্য এবং বিদেশে চাকরি প্রার্থীদের অবৈধ চ্যানেলের মাধ্যমে অন্য দেশে পাড়ি জমাতে নিরুৎসাহিত করার আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতির মধ্যে খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রবাসীদের তাদের পরিবার এবং আত্মীয়দের এক ইঞ্চি জমিও অনাবাদি না রাখতে উৎসাহিত করতে বলেছেন।
তিনি বলেন, তার সরকার খাদ্য সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতির জন্য পদক্ষেপ নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন খাতে তার সরকারের সাফল্য এবং ২০০৯ সাল থেকে দেশের অর্জিত অগ্রগতির কথাও তুলে ধরেন।
অনলাইন ডেস্ক :
দেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন করার ব্যাপারে শেখ হাসিনার সরকার জনগণের কাছে অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। আজ ৩ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে আসলে ব্রিটিশ হাই কমিশনার সারাহ কুককে জানান তিনি।
সাক্ষাৎ শেষে আইনমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘সারাহ কুক বাংলাদেশে ব্রিটিশ রাষ্ট্রদুত হিসেবে যোগ দেওয়ার পর আমার সঙ্গে এটিই তার প্রথম সাক্ষাৎ। তিনি যখন এখানে ডিএফআইডির প্রধান ছিলেন তখন আমার সঙ্গে তার পরিচয় ছিল। এটি তার রুটিন সাক্ষাৎ। হাই কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রায় সবার সঙ্গেই দেখা করছেন, এরই ধারাবাহিকতায় তিনি আমার সঙ্গে দেখা করেছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশের উন্নয়নের ব্যাপারে তার আগের এরিয়া (ডিএফআইডি) নিয়ে কথাবার্তা বলেছি। তিনি নিজে বাংলাদেশে ফিরে আসতে পেরে অত্যন্ত খুশি। নিজেই সেটা জানিয়েছেন। বলেছেন, তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নের দিকে লক্ষ্য রাখবেন।’
আইনমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইনি অবকাঠামোর অনেক কিছুই ব্রিটিশ আইনের ওপর নির্ভরশীল। এখন আইনের ক্ষেত্রে অনেকরকম উন্নয়ন হয়েছে এবং এটি আরও কীভাবে উন্নতি করা যায় সে ব্যাপারে আমরা পরস্পর আলাপ-আলোচনা করেছি। যুক্তরাজ্যে আমাদের যে জুডিশিয়াল অফিসার ও আইনজীবী আছেন তাদের প্রশিক্ষণের ব্যাপারে আমরা আলাপ করেছি।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, লন্ডনে থাকা তারেক রহমানকে দেশে ফেরাতে চেষ্টা করছে সরকার। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আমি তাদের সঙ্গে এ ব্যাপারে আলাপ করি, তারপর আপনাদের কাছে ফিরে আসব।’
ব্রিটিশ হাই কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাতে আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা, জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা হয়নি। উনি শুধু বলেছেন, আমি খুব ইন্টারেস্টিং সময়ে বাংলাদেশে এসেছি। আমি তাকে বলেছি, এখন কম-বেশি আমাদের মনোযোগ নির্বাচন ঘিরে দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও ভায়োলেন্সফ্রি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে জনগণের কাছে শেখ হাসিনার সরকার অঙ্গীকারবদ্ধ।’
সাক্ষাৎকালে ব্রিটিশ হাইকমিশনের গভর্নেন্স উপদেষ্টা রফিকুজ্জামান, ব্রিটিশ হাই কমিশনের দ্বিতীয় সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) ভেনেসা বিউমন্ট উপস্থিত ছিলেন।