অনলাইন ডেস্ক :
সংবিধানের অধীনেই নির্বাচন হবে- ক্ষমতাসীনদের এই বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এই সংবিধানের অধীনে নির্বাচন হতে পারে না। কারণ এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে সেই নির্বাচন কখনো অবাধ ও সুষ্ঠু হতে পারে না। আর এই সরকার যদি আবার ক্ষমতায় আসে তাহলে এদেশের মহিলা, শিশুসহ কোন মানুষের নিরাপত্তা থাকবে না। দেশের স্বাধীনতা থাকবে না, সার্বভৌমত্ব থাকবে না, গণতন্ত্র চিরতরে চলে যাবে এবং ভোটের অধিকার চলে যাবে।’
আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের উদ্যোগে ‘মহিলা সমাবেশে’ এ কথা বলেন তিনি। সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে ধারাবাহিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার একদফা দাবিতে এই সমাবেশ হয়। বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর চলমান আন্দোলনে দেশের অর্ধেক জনগোষ্ঠি নারীদের সরাসরি সম্পৃক্ত করতেই এককভাবে মহিলা সমাবেশের মতো কর্মসূচি পালন করে দলটি। দুপুরের পর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলের মহিলা দলের নেতাকর্মীরা নয়াপল্টন এলাকায় জড়ো হতে থাকেন। ঢাকার আশেপাশের বিভিন্ন জেলা থেকেও গাড়িতে করে অনেক নেতাকর্মী আসেন। প্রচণ্ড গরমে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আবার বিকেলে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজে একাকার হয়েছেন নারী নেতাকর্মীরা। তবে আকাশ মেঘলা দেখার সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি করে সমাবেশের কার্যক্রম শেষ করে আয়োজক সংগঠক মহিলা দল।
সমাবেশে নারী নেত্রীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নারী-পুরুষের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। সেই ঐক্যের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবেন তারা। তাদেরকে সংসদ বিলুপ্ত করতে হবে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন দিয়ে একটি নতুন ইসি গঠন করে নির্বাচন দিতে হবে। তাহলেই দেশের একমাত্র এই সংকট থেকে মুক্ত হওয়া সম্ভব।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকারের কাছে কেউ নিরাপদ নয়। গণতন্ত্রও নিরাপদ নয়। বিশেষ করে এদেশে এখন মহিলাদের নিরাপত্তা নেই। আর দেশে যদি গণতন্ত্র না থাকে তাহলে মহিলাদের নিরাপত্তাও নিশ্চিত করা যাবে না। আজকে সমস্ত দেশ বিপদগ্রস্ত হয়েছে। এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে চাল, ডাল, তেল ও লবণসহ প্রত্যেকটি জিনিসের দাম যেভাবে বেড়েছে তাতে মা-বোনদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে। সরকার জিনিসপত্রের দাম বেঁধে দিয়েছে। সেই দাম কেউ মানছে না।’
নারীনেত্রীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজ সরকার জোর করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে চায়। আপনারা কি সেটা দেবেন? সরকারকে কি আবার ক্ষসতায় থাকতে দেবেন? এরা কাউকেই ছাড় দেয়নি। মা-বোনদেরকে গ্রেপ্তার করে তারা কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্যায়ভাবে নির্যাতন করেছে। বিএনপির অংসখ্য নারী নেত্রীর ওপর অত্যাচার ও নির্যাতন করেছে। এই সরকার অত্যাচারের সরকারে পরিণত হয়েছে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, ‘নারী সমাজ রাজপথে নেমেছে। কারণ নারীদের অধিকার অপহরণ করা হচ্ছে। তারা খেতে পারছে না এবং সন্তানকে খেতে দিতে পারছে না। দেশে চলছে হাহাকার। এজন্য আজ দেশের নারী সমাজ জাগ্রত হয়েছে। কঠিন আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে এই সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানো হবে।’
মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম, বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, মহিলা দলের নেত্রী আফরোজা খান রিতা, জেবা খান, নার্গিস আলী, নাজমুন নাহার বেবি, নুরজাহান মাহবুব, নেওয়াজ হালিমা আরলী, নিলোফার চৌধুরী মনি, রোজিনা ইসলাম, জাহান পান্না, হেলেন জেরিন খান, শাম্মী আক্তার, নায়েবা ইউসুফ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলা শুরু করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি নেতারা আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে নতুন খেলায় মেতেছে। এক এগারোর দুঃস্বপ্ন দেখছে তারা। বাংলার মাটিতে এই অশুভ খেলা খেলতে দেওয়া হবে না।’
ওবায়দুল কাদের আজ ৩০ আগস্ট বুধবার সচিবালয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারি ঐক্য পরিষদ এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মির্জা ফখরুল ইসলামরা আন্দোলনে হোঁচট খেয়ে ওয়ান ইলেভেনের স্বপ্ন দেখছেন। দুঃস্বপ্ন দেখছেন কিনা সেটাই বিষয়। তারা বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। এই অশুভ খেলা আমরা খেলতে দেব না।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস জাতীয় স্মৃতিসৌধ, শহীদ মিনারে যায় না। বন্যা-জলোচ্ছ্বাসে যার অংশগ্রহণ নেই, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার পক্ষে বিবৃতি দিলেন। যে মানুষ বাংলাদেশের সুখে-দুখে নেই, তার জন্য দরদ কেন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন বলেই, সব অপরাধ থেকে অব্যাহতি পাবেন? তিনি শ্রমিকের টাকা মেরে খেয়েছেন, ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন। আন্তর্জাতিক ব্যক্তিরা ইউনূসের পক্ষে যেখানে বিবৃতি দিয়েছেন, সেই স্পেস কিনতে ২ মিলিয়ন ডলার লেগেছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই টাকা কোথায় পেলো? এ অর্থ কোথা থেকে এলো সেটাও আজকে আমাদের জিজ্ঞাসা।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশকে নিয়ে, এই ভূখন্ডকে নিয়ে বিশে^র অনেক মোড়লের অনেক স্বপ্ন আছে যারা ইউনূস সাহেবের মামলা স্থগিত করতে বলেন। মামলা কিভাবে স্থগিত হবে? আপনারা হাওয়ায় একটা বিবৃতি দিয়ে দিলেন। আবার এর সঙ্গে একটু, দ্বিধা লাগে যখন দেখি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে এ বিবৃতির সঙ্গে আবার আরেক পার্ট আছে। আসল কথা হলো অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের সাধ, এটাকে সামনে রেখে বাংলাদেশে নির্বাচনকে বানচাল করা, নির্বাচনের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে ভন্ডুল করা।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসরকারি বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য প্রমুখ।বাসস
অনলাইন ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, স্বাধীনতা-সংগ্রামে বিশ্ব জনমত সৃষ্টিতে প্রবাসীরা বড় অবদান রাখেন। প্রতিটি আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধে প্রবাসীদের অবদান রয়েছে। এখন প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি।
১৬ জানুয়ারি মঙ্গলবার দুপুরে গণভবনে প্রবাসী আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, প্রবাসীরা আমাদের স্বাধীনতা-সংগ্রামে, যেকোনো আন্দোলনে অবদান রেখেছেন। যখন বাংলাদেশে মার্শাল ল জারি হয়, আমরা যখন কাজ করতে পারি না, তখন প্রবাসীরা প্রতিবাদ জানান। আপনারা আন্দোলন-সংগ্রাম করেন, জনমত সৃষ্টি করেন, এটা আমাদের জন্য বিরাট শক্তি।
তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি নির্বাচন হয়ে গেছে। আমি জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই, কারণ জনগণই স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছে। কারণ বিএনপি যখন নির্বাচনে আসবে না, কেউ যাতে নির্বাচনে না আসে, কেউ যেন ভোট না দেয় এর জন্য লিফলেট বিতরণ শুরু করল। এই লিফলেট বিতরণের পরে ঘটনা উল্টো হয়ে গেল, মানুষজন আরও উৎসাহিত হলো, আমাদের ভোট দিতেই হবে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, সেই ক্ষেত্রে একটা সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু, কোনোরকম দুর্ঘটনা যেন না ঘটে, একটা অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়– সেই প্রচেষ্টাই আমাদের ছিল। যার কারণে একের পর এক নির্বাচনে সংস্কার আমরা নিয়ে আসি। কারণ সেনা শাসকরা যখন একের পর এক ক্ষমতা দখল করে তখন তারা নির্বাচনে ভোট কারচুপি করা শুরু করেছিল। সেই জায়গা থেকে মানুষের অধিকার মানুষকে ফিরিয়ে দেওয়ার সেই আন্দোলন-সংগ্রামটাই আমরা করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর দেশের মানুষ উপলব্ধি করেছে সরকার জনগণের সেবক। সেই ঘোষণা জাতির পিতা দিয়েছিলেন, আমি জাতির পিতার কন্যা হিসেবে তারই পদাঙ্ক অনুসরণ করে সেই ঘোষণাটাই দিয়েছি– আমি প্রধানমন্ত্রী না, জাতির জনকের কন্যা হিসেবে মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করবে, যেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারি।
তিনি বলেন, আমরা উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছি, যেটা ২০২৪ সালে কার্যকর করার কথা ছিল, সেটা আমরা দুই বছর বাড়িয়ে নিয়েছি। করোনাভাইরাসের অতিমারি, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ, এরপর ফিলিস্তিনের ওপর হামলা, শিশু-নারী হাসপাতালে আক্রমণ করা। আমরা সবসময় ফিলিস্তিনের পক্ষে আছি। এভাবে একটা জাতিকে ধ্বংস করা, নারীদের ধ্বংস করা, এটা এক ধরনের গণহত্যা। আমরা সাহায্য পাঠিয়েছি, আগামীতে পাঠাব। এরপর আবার ইয়মেনে আক্রমণ। আমরা যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই। মিয়ানমার যখন অশান্ত হলো, তারা আশ্রয় চাইল, আমরা তাদের আশ্রয় দিয়েছি। মিয়ানমারের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি, আমরা যুদ্ধে যাইনি। কারণ আমরা শান্তি চেয়েছি।
সরকারপ্রধান বলেন, আজ এই যে অস্ত্র প্রতিযোগিতা, আন্তর্জাতিকভাবে আমি যেখানেই গিয়েছি সেখানেই বলেছি, এই অস্ত্র প্রতিযোগিতা বন্ধ করে ওই টাকা শিশুদের খাদ্য, শিশুদের চিকিৎসা, শিশুদের শিক্ষায় ব্যয় হোক। মানবকল্যাণে ব্যয় করা হোক, যে দেশ এই টাকা ব্যয় করছে, সেই টাকা তো ওই দেশের জনগণের ট্যাক্সের টাকা, তাদের টাকা ধ্বংসের জন্য কেন ব্যয় হবে, ধ্বংসাত্মক কাজে কেন ব্যয় হবে, মানবকল্যাণে ব্যয় হোক। আজ শিশুরা কষ্ট পায়, নারীরা কষ্ট পায়, মানবজাতি কষ্ট পায় সে ধরনের কাজ করতে হবে কেন। আমরা এর ঘোর বিরোধিতা করি, আমরা কখনো যুদ্ধ চাই না, শান্তি চাই।
শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি অফিসে তারাই তালা দেয়, তারাই ভাঙে। তারা বলে চাবি হারিয়েছে, চাবি খোয়া গেছে। চাবিটা গেল কোথায়? তারাই তো তালা দিয়েছে। তাদের চাবি হারাবে, তারাও পথ হারাবে। তারা এখন পথ হারানো পথিক হয়ে গেছে। জানি না তাদের সাংগঠনিক কোনো যোগ্যতা আছে কি না, একটাই আছে আগুন দেওয়া।
চলারপথে রিপোর্ট :
আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর) আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেছেন।
আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে জেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তাঁর নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষনা করেন।
নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি পরিকল্পিত নগরায়ন (দৃষ্টি নন্দন ব্রাহ্মণবাড়িয়া) ও আইন-শৃংখলা ও সুশাসনের (নিরাপদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া) উপর জোর দেন। আগামী নির্বাচনে তিনি জয়ী হলে তিনি ৮.৭% থেকে প্রায় শুন্য শতাংশে নামিয়ে আনার আশ্বাস দেন।
র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপির নির্বাচনী ইশতেহারের মধ্যে রয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ একটি বিএসসি নার্সিং কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কৃষি কলেজ স্থাপন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থীদের আবাসনের জন্য পর্যাপ্ত ছাত্রাবাস ও যাতায়তের জন্য বাসের ব্যবস্থা, বিজয়নগরে একটি কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) স্থাপন, একটি ট্যাকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা, একটি সরকারি কলেজ প্রতিষ্ঠা ও একটি আইটি পার্ক স্থাপন, ২৫০ শষ্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালকে ৫০০ শয্যায় উন্নীতকরণ এবং সিটিস্ক্যান, এমআরআইসহ আধুনিক যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধকরণ, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ১০০ শয্যায় উন্নীতকরণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে একটি অর্থোপেডিকস ও ট্রমা হাসপাতাল ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তির একটি কিডনী হাসপাতাল নির্মাণ, হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালে আন্তঃ বিভাগ স্থাপন, বক্ষব্যাধি ও/যক্ষ্মা হাসপাতাল আধুনিকায়ন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভায় অত্যাধুনিক মাতৃসদন স্থাপন, তিতাস নদীর পূর্বপাড়ে পরিকল্পিত উপশহর গড়ে তোলা, সদর উপজেলার নন্দনপুরের বিসিক শিল্পনগরীকে একটি পূর্নাঙ্গ “ শিল্প পার্কে” রূপান্তর, মফস্বল ও প্রান্তিক এলাকায় ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প স্থাপনে উৎসাহ প্রদান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের আধুনিকায়ন, ট্রেন এবং ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, শহরের ভাদুঘর পৌর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালের আধুনিকায়ন, একটি ট্রাক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ইজিবাইক ও রিকসার জন্য আলাদা আধুনিক স্ট্যান্ড নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিনত করা।
তিতাস গ্যাসের প্রাপ্ত আয়ের ২% ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিল্প উন্নয়নে বিনিয়োগ, প্রবাসীদের জন্য একটি হাউজিং এস্টেট তৈরীর পরিকল্পনা, সাংবাদিকদের জন্য একটি আবাসন প্রকল্প, সদর ও বিজয়নগরে আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর-স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্স নির্মান, শিল্পকলা একাডেমীর আধুনিকায়ন, একটি বহুমুখী ক্রীড়া একাডেমী প্রতিষ্ঠা।
ইশতেহারে স্বাস্থ্যকর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ), গতিশীল ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (যোগাযোগ ও অবকাঠামো), খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া( কৃষি ও কৃষকের উন্নয়ন), শিক্ষিত ও দক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়া (শিক্ষা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন), দারিদ্রমুক্ত, কর্মচঞ্চল ব্রাহ্মণবাড়িয়া (দারিদ্য বিমোচন, কর্মসংস্থান ও গ্রামীণ উন্নয়ন), স্বনির্ভর ব্রাহ্মণবাড়িয়া (প্রবাসী কল্যাণ), চৌকস ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়া (খেলাধূলা, সংস্কৃতি, মুক্তিযুদ্ধ ও পর্যটন) ও সম্প্রীতির ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ( ধর্মীয় সহনশীলতা) কথা বলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাবেক সহ-সভাপতি তাজ মোঃ ইয়াছিন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মহিউদ্দিন খান খোকন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেনসহ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
অনলাইন ডেস্ক :
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আছি, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে আছি। এ আন্দোলন চূড়ান্ত আন্দোলন। এবার অধিকার আদায়ে মরণপণ যুদ্ধ করতে হবে। আমাদের ঘরে ফিরে যাওয়ার আর পথ নেই।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার সহধর্মিণী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে আজ ৪ আগস্ট শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান।
বর্তমান সরকারকে ‘স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের শত্রু’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, এরা দেশে ফ্যাসিবাদী রাজত্ব কায়েম করেছে। আর এই ফ্যাসিবাদী সরকার থেকে জনগণকে উদ্ধারে যিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন, যার নেতৃত্বে গোটা জাতি আজ ঐক্যবদ্ধ, সেই তারেক রহমানকে আজকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। শুধু তারেক রহমানকেই নয়, যিনি কোনোদিন রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না, সেই ডা. জুবাইদা রহমানকেও সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনি তারেক রহমানের সহধর্মিণী।
তিনি বলেন, ‘এ সরকার ভীরু ও কাপুরুষ। তারা প্রশাসন ও বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় টিকে রয়েছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘মার্কিন রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকের পর ওবায়দুল কাদেরকে সাংবাদিকেরা প্রশ্ন করেছেন‒ কোনো চাপে আছেন কিনা। তিনি বললেন, কোনো চাপে নেই, তবে বিবেকের চাপে আছি। আসলে সরকার চোখে অন্ধকার দেখছে। তাই তারা একেক সময় একেক কথা বলছেন।’
তিনি বলেন, ‘আজকে দুর্নীতির অভিযোগে তারেক রহমানকে সাজা দেওয়া হয়েছে। একই সময়ে দুর্নীতির অভিযোগে বর্তমান সরকারপ্রধানের বিরুদ্ধেও ১৫টি মামলা হয়েছিল। বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে মামলাগুলো তারা নাই করে ফেলেছেন। শুধু তাই নয়, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে সরকার আজ তাদের পদন্নোতি দিচ্ছে। আজ সমগ্র দেশে দুর্নীতি মাকড়সার জালের মত ছড়িয়ে পড়েছে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে বিনা অপরাধে আমাদের নেতাকর্মীদের জেলে নেওয়া হচ্ছে, ফাঁসির আদেশ দেওয়া হচ্ছে। যারা অবৈধ রায় দিচ্ছেন সেইসব বিচারপতিদের আল্লাহর কাছে একদিন জবাব দিতে হবে। ন্যায়বিচারের জন্যই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ। অতীতের কথা সবসময় স্মরণ রাখবেন। সেই স্লোগানের কথা ভুলে যাবেন না‒ বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা আজ জেগেছে সেই জনতা।’
তিনি বলেন, ‘আজকে চাল-ডাল, বিদ্যুৎ-জ্বালানির দাম বেড়েছে। সেদিকে সরকারের কোনো দৃষ্টি নেই। আজকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ভিসা পান না। ডেঙ্গুতে মারা যাচ্ছে শত শত মানুষ। সেদিকে সরকারে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। তাদের একটাই চিন্তা কীভাবে ক্ষমতা ধরে রাখা যায়।’
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, বরকত উল্লাহ বুলু, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবি রিজভী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক আব্দুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শিমুল বিশ্বাস, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বার বার পালিয়ে যায়।
আজ ৮ মে সোমবার তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর ও আগামী নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববাসীর মনে যে প্রশ্ন সে বিষয়ে আওয়ামী লীগ বা সরকারের অবস্থান কী জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগেরও সভাপতি। তিনি আওয়ামী লীগের মনোভাব যখন ব্যক্ত করেছেন, তখন সরকারের মনোভাবও ব্যক্ত করেছেন। তার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দুটি বিষয়ই পরিষ্কার হয়েছে।
নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণের বিষয়ে আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা অবশ্যই চাই বিএনপিসহ সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করুক। বিএনপি অতীতের মতো পালিয়ে বেড়াক সেটা আমরা চাই না। আমরা বিএনপির সঙ্গে খেলতে চাই। কিন্তু বিএনপি খেলা থেকে বার বার পালিয় যায়। এটিই হচ্ছে দুঃখজনক।
বিএনপির দাবি মেনে নিয়ে তাদের নির্বাচনে আনা সম্ভব কি না এ বিষয়ে জানতে চাইলে হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির আবদারটা হচ্ছে মূলত, তারা নানা ভাষায় বলে, নানা ছুতোয় বলে, নানা কৌশলে বলে। কিন্তু তাদের সব কথার সারমর্ম হচ্ছে- তারা এমন একটি ব্যবস্থা চায়, যে ব্যবস্থার মাধ্যমে বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানো হবে। সে নিশ্চয়তা দরকার। সেটিতো নির্বাচন কমিশন ও জনগণ দিতে পারবে না।
তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনের অধীনে ভোট অনুষ্ঠিত হবে। যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে হয় সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সে নির্বাচনে আশা করব বিএনপি অংশগ্রহণ করবে।
বিএনপি আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে, সে আন্দোলনে অংশ নিতে আসনের বণ্টন চাচ্ছে দলটির শরিক দলগুলো। এ বিষয়টি কীভাবে দেখছেন- এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, শরিকরা আসন চাইবে এটাই স্বাভাবিক। তবে বিএনপিকে আগে সিদ্ধান্ত নিতে হবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ কি না।
তিনি বলেন, শরিকরা আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করছে, তার মানে বিএনপি নির্বাচন না চাইলেও শরিকরা নির্বাচন চায়। বিএনপি নির্বাচন থেকে পালিয়ে গেলে শরিকরাও বিএনপি থেকে পালিয়ে যাবে। সেটিরই বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে এটি।