অনলাইন ডেস্ক :
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমাদের ভিসা নীতির ভয় দেখিয়ে লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞার ভয় দেখিয়েও লাভ নেই। নিষেধাজ্ঞা দেয় ওয়াশিংটন, ভয় দেখান মির্জা ফখরুল। বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটামের কী হলো? ফলাফল কী?
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে আজ ২৯ সেপ্টেম্বর শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নিষেধাজ্ঞাকে ভয় করলে বঙ্গবন্ধু এ দেশ স্বাধীন করতে পারতেন না। নিষেধাজ্ঞাকে কেউ ভয় করলে বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা, সোনালি অর্জন– সেগুলো হতো না। তিনি বলেন, আমাদের নির্বাচন সংবিধান নির্ধারণ করবে। আমরা তত্ত্বাবধায়ক মানি না। তত্ত্বাবধায়ক এখন মরা লাশ, ওই লাশ এখন আমাদের দিয়ে লাভ নেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা মতিয়া চৌধুরী আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল-আলম হানিফ, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক সিরাজুল মোস্তফা, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নুরুল আমিন রুহুল প্রমুখ।
‘সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে’
এর আগে বৃহস্পতিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির প্রথম বৈঠকে ওবায়দুল কাদের বলেন, কে নিষেধাজ্ঞা দিল, সেটা আমাদের মাথাব্যথা নয়। আমরা তো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করব। কাজেই নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য নয়।
দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে তিনি বলেন, ইশতেহার পড়ে ক’জন? সেটা খেয়াল রেখে ইশতেহার প্রণয়ন করতে হবে। সেখানে বুলেট পয়েন্ট দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আনতে হবে। সময়ের সঙ্গে বাস্তবতার চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। সামনে কঠিন সময়, জুঁই ফুলের গান গেয়ে লাভ নেই।
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচনকালীন সরকারে মন্ত্রিসভা ছোট কি বড় হবে, সেটা প্রধানমন্ত্রীর এখতিয়ার। তিনি চাইলে গতবারের মতো যেভাবে আছে, সেভাবেও থাকতে পারে। এটাতে আর কারও কিছু করার নেই। সেই নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভার কার্যক্রম হবে, রুটিন ওয়ার্ক। গুরুত্বপূর্ণ কোনো নীতিগত সিদ্ধান্ত তারা নেবে না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির আহ্বায়ক কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ ছাড়াও নির্বাচনী ইশতেহারের মূল ফোকাস থাকবে শিল্প খাত। ছোট শিল্প প্রসারের পাশাপাশি ভারী শিল্পের দিকেও যেতে হবে। কৃষিতে ভর্তুকি থাকবে। সেবা খাতকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে।
ড. আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ও ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির সদস্য সচিব ড. সেলিম মাহমুদের সঞ্চালনায় বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন উপকমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ড. শামসুল আলম, ডা. দীপু মনি, অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম, অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান প্রমুখ।
অনলাইন ডেস্ক :
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় টানা ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আপাতত শুধু লোকাল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। ট্রেন চলাচলকে কেন্দ্র করে গতকাল দেশের বিভিন্ন স্টেশন ধোয়ামোছাসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে দেখা যায়।
জানা গেছে, আজ ১ আগস্ট বৃহস্পতিবার কারফিউ শিথিল থাকা অবস্থায় দিনাজপুরের পার্বতীপুর রেলওয়ে জংশন থেকে ছেড়ে আসা কাঞ্চন কমিউটার সকাল ৯টায় ও বুড়িমারী কমিউটার ট্রেন সকাল সাড়ে ৯টায় দিনাজপুর রেলওয়ে স্টেশন অতিক্রম করে পঞ্চগড় স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে গেছে।
তবে কোনো আন্ত:নগর ট্রেন চালু হয়নি।
প্রায় দুই সপ্তাহ বন্ধের পর স্বল্প দূরত্বে ট্রেনগুলো চালু হলেও যাত্রীদের চাপ দেখা যায়নি। নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে স্টেশনে নেওয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। টিকিট ছাড়া কাউকে প্ল্যাটফরমে ঢুকতে দিচ্ছে না রেলওয়ে পুলিশ ও গার্ড।
দিনাজপুর রেলস্টেশন সুপার এ বি এম জিয়াউর রহমান জানান, ট্রেনগুলো বন্ধ থাকার পর আজ প্রথম দিন পার্বতীপুর থেকে ছেড়ে আসছে। যাত্রীসংখ্যা অপেক্ষাকৃত কম। তবে ট্রেন চালু হওয়ার খর সবাই জেনে যাওয়ার পর যাত্রীর চাপ বাড়বে। ট্রেন দুটি নিরাপদে দিনাজপুর স্টেশনে এসে পৌঁছয় এবং যাত্রী ওঠানামার পর আবার দিনাজপুর স্টেশন ছেড়ে পঞ্চগড় অভিমুখে ছেড়ে গেছে। পর্যাপ্ত নিরাপত্তাব্যবস্থা রয়েছে।
এদিকে পার্বতীপুর জংশন রেলস্টেশন মাস্টার (এসএম) রেজাউল করিম বলেন, কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর আজ থেকে ট্রেন চালুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে দুটি আমাদের হলেও অন্য দুটি ট্রেন লালমনিরহাটের অধীনে চলাচল করবে। তবে দূরপাল্লার আন্ত নগর ট্রেন চালুর কোনো সিদ্ধান্ত এখনো হয়নি।
অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের ক্যামেরা ভাঙচুর করলেই ২ থেকে ৭ বছরের জেল হবে।
তিনি বলেন, নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব ও সহযোগী হিসেবে রাখতে সব সুযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবেন। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবেন তারা। এর চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কী হতে পারে! সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবেন।
আজ ১৯ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টায় কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন কর্মকর্তা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) আহসান হাবিব খান।
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক এহতেশাম রেজার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহসান হাবিব খান বলেন, অংশগ্রহণমূলক, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। একজন ভোটার নির্বিঘ্নে-নির্ভয়ে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবেন। সেই পরিবেশ সৃষ্টি করার দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে, সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে, টহল দেবে। আমরা আমাদের শ্রেষ্ঠটা দিয়ে চেষ্টা করছি, করবো। আমাদের সাফল্য অনিবার্য।
ইসি আহসান হাবিব খান আরও বলেন, সব প্রার্থীই আমাদের কাছে সমান। ভোটাররা পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে। নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনও ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।
তিনি বলেন, সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে মুঠোফোনে ও সরাসরি কথা হয়েছে। রাতের আঁধারে কেউ যদি হামলা-অগ্নিসংযোগ করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়াচক্র মাঠে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ রহিমা ওয়াদুদের নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। আজ ৭ মে রবিবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে তাকে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হয়।
জানাজায় মরহুমার মেয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, পানিসম্পদ বিষয়ক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদসহ পরিবারের সদস্য, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা, তার প্রিয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহকর্মীসহ অন্যান্যরা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজা শেষে বিভিন্ন স্তরের মানুষের পক্ষ থেকে মরহুমার কফিনে ফুলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়।
রহিমা ওয়াদুদের ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু বলেন, আমার মা সব সময় দেশের কথা ভেবেছেন, দেশের জন্য কাজ করেছেন। তিনি অত্যন্ত দেশপ্রেমিক মানুষ ছিলেন। নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক ছিলেন। আমি আপনাদের কাছে তার জন্য দোয়া প্রার্থী।
উল্লেখ্য, ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের সহধর্মিণী ও শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির মা রহিমা ওয়াদুদ। তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান, সৎ ও নিবেদিতপ্রাণ শিক্ষক। শিক্ষকতার জীবনে তিনি বহু শিক্ষার্থীর মানস গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ভাষাবীর এম এ ওয়াদুদের মাতৃভাষা প্রতিষ্ঠার আন্দোলন থেকে শুরু করে সব মুক্তির আন্দোলন-সংগ্রামে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করেছেন রহিমা ওয়াদুদ। তার মৃত্যুতে জাতি একজন নির্লোভ, দেশপ্রেমিক ও একনিষ্ঠ শিক্ষককে হারাল বলে মন্তব্য বিশিষ্টজনদের।
এর আগে ৬ মে শনিবার দুপুর ১১টা ৫৬ মিনিটে রাজধানীর কলাবাগানে নিজ বাসভবনে বার্ধক্যজনিত কারণে ইন্তেকাল করেন রহিমা ওয়াদুদ। তার বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। তিনি ছেলে ডা. জাওয়াদুর রহিম ওয়াদুদ টিপু ও মেয়ে ডা. দীপু মনিসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
অনলাইন ডেস্ক :
মোঃ নজরুল ইসলাম ঝালকাঠিঃ ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহা পরিচালক এইচএম শফিকুজ্জামান বলেন, রমজানের আগেই মজুদদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রমজানে বেশকিছু পণ্যেরই চাহিদা কয়েকগুন বেড়ে যায়। এ সুযোগে মধ্যসত্বভূগীরা সরবরাহ ব্যবস্থায় বিগ্ন সৃষ্টি করে ও মজুদদাররা পন্য মৌজুদ করে মূল্যবৃদ্ধি করে। ভোক্তা অধিকার মজুদদারদের বিরুদ্ধে এবার কঠোর ব্যবস্থা নিবে। ভোক্তাদের কাছে পরামর্শ হচ্ছে, একসাথে পণ্য না কিনে ধাপে ধাপে কিনলে বাজারটা অস্থির হবে না।
আজ ২৯ জানুয়ারি সোমবার বিকালে ঝালকাঠির বিভিন্ন বাজারে খোলা তেল বিক্রিয় বিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। বাজার মনিটরিং শেষে চেম্বার অব কমার্স কার্যালয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিমিয় করেন ভোক্তা অধিকারের মহা পারচালক। পরে তিনি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেন।
এসময় তাঁর সাথে ছিলেন ভোক্তা অধিকারের পরিচালক ফকির মোহাম্মদ মুনাওয়ার, বিভাগীয় উপপরিচালক অপূর্ব অধিকারী, ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম ও ঝালকাঠি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাফিয়া সুলতানা।
চলারপথে রিপোর্ট :
সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এর আগে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার রাত ৩টায় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর।
উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার ছেলে মাইনুল হাসান তুষার বলেন, ‘বাবা দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগে ভুগছিলেন। তার শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে এক সপ্তাহ আগে এভার কেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলছিলেন। শুক্রবার রাত ৩টা ২ মিনিটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।’
এর আগে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার প্রথম জানাযা শনিবার সকাল ১১টায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠিত হয়। পরে সড়কপথে মরদেহ সরাইল উপজেলা সদরে আনা হয়। শনিবার বাদ আসর সরাইল অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে মরদেহ নেওয়া হয় অরুয়াইল আব্দুস সাত্তার ডিগ্রি কলেজ মাঠে। বাদ মাগরিব তৃতীয় জানাজা শেষে মরদেহ নেওয়া হয় পরমানন্দপুর গ্রামে। শনিবার বাদ এশা পরমানন্দপুর ঈদগাহ মাঠে চতুর্থ জানাজা শেষে মা-বাবার কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হয়।
এ দিকে সরাইল সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিজ উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা প্রমুখ। এ সময় সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম ওরফে শিউলী আজাদ উপস্থিত ছিলেন। তবে জানাজায় বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ কোনো নেতা উপস্থিত ছিলেন না।
উকিল আব্দুস সাত্তারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি এবং সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল-মামুন সরকার।
জানা যায়, আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৩৯ সালের ১৬ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে আইনজীবী পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতিও ছিলেন।
আব্দুস সাত্তার ভূঞা ১৯৭৯ সালে তৎকালীন কুমিল্লা-১ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালে বিএনপি থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে তৎকালীন ৪ দলীয় জোট সরকার থেকে টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হিসেবে আবদুস সাত্তার আইন, মৎস্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। তবে ২০০৮ সালের নির্বাচনের পরে রাজনৈতিক কার্যক্রমে নিষ্ক্রিয় ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেন। ২০২৩ সালের ২ জানুয়ারি তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়। পরে ২ ফেব্রুয়ারি উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জয়লাভ করেন এ নেতা। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা তার পক্ষে নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নেন।