চলারপথে রিপোর্ট :
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কমর্কতার কার্যালয়ে জাতীয় কন্যা দিবস পালিত হয়েছে। আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার সকালে এ উপলক্ষে একটি র্যালি উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে শুরু হয়ে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক ও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
পরে উপজেলা পরিষদ হলরুমে দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবদুস সাত্তার, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সানজিদা মজুমদার প্রমুখ। এ সময় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৮টা। নওগাঁর মান্দা উপজেলার বড়পই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তখন পর্যন্ত কেউ আসেননি। শ্রেণি কক্ষ খোলা না থাকায় রোকেয়া ভবনের বারান্দার গ্রিল ধরে একাই দাঁড়িয়ে ছিল দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী মুনমুন (৭)। অপেক্ষা করছিল শিক্ষক ও সহপাঠীদের জন্য। এর কিছু পরে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করেন প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন।
এ সময় বিদ্যালয় মাঠে দাঁড়িয়ে থাকা প্রতিবেশী জাহানারা বেগম নামে এক নারী এগিয়ে আসেন। কুশল বিনিময় করেন প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে। পরে তারা দুজনেই শিক্ষক রুমের তালা খুলে ভেতরে যান। ওই নারীর সহায়তায় ঘর ঝাড়ু দিয়ে শিক্ষকদের কক্ষে থাকা বিদ্যুতের মেইন সুইস অন করেন প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন। সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার দিয়ে রোকেয়া ভবনের বারান্দার গ্রিল থেকে অন্তত ৬-৭ ফিট দূরে ছিটকে যায় শিক্ষার্থী মুনমুন।
শিশুটির চিৎকার শুনে প্রধান শিক্ষক ও প্রতিবেশী ওই নারী ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তারা দেখেন জ্ঞান হারিয়ে শিশুটি মাটিতে পড়ে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে শিক্ষকদের রুমে নিয়ে শিশুটির জ্ঞান ফেরানোর চেষ্টা করা হয়। জ্ঞান ফিরলে শিশু মুনমুনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আমিনা পারভীন বলেন, বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবন থেকে খোলা তার দিয়ে রোকেয়া ভবনে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া আছে। সেই তার কেটে ওই ভবনের দরজার গ্রিলে সেটি জড়িয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। বিদ্যুতের মেইন সুইস অন করার সঙ্গে সঙ্গে ওই ভবনের পুরো বারান্দা বিদ্যুতায়িত হয়ে যায়। এতে শিক্ষার্থী মুনমুন বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জান্নাতুন ফেরদৌস বলেন, বিদ্যুতের মেইন সুইস বন্ধ ও শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম থাকায় বড় ধরনের ক্ষতি থেকে রক্ষা পাওয়া গেছে। এটি পরিকল্পিত বলেও দাবি করে তিনি।
অভিভাবক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে স্থানীয় অভিভাবকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ ঘটনার সঙ্গে যারাই জড়িত থাকুক, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার জোর দাবি করছি।
জানতে চাইলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আবুল বাশার শাসমুজ্জামান বলেন, বিষয়টি জানার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে বিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য ও স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে তিনি সভা করবেন। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
অনলাইন ডেস্ক :
প্রখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফারই ডেভিড সাকাহাসের নেতৃত্বে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্কের (এসডিএসএন) একটি স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করা হয়েছে।
সম্প্রতি করা এই স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বের কারণেই প্রধানমন্ত্রী জনগণের রায় নিয়ে সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে উন্নয়ন এজেন্ডাকে যথাযথ এসডিজির সঙ্গে সম্পৃক্ত করেছেন।
বাংলাদেশের এসডিজি অর্জনের তথ্য তুলে ধরে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ধারাবাহিক অগ্রগতি অর্জন করেছে। ২০১৭ সালে ১৫৭টি দেশের মধ্যে অবস্থান ছিল ১২০তম। ২০২০ সালে বৈশ্বিক র্যাংকিং ছিল ১৬৬টি দেশের মধ্যে ১০৯তম।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, দুটি অভিষ্ট (গুণগত শিক্ষা এবং পরিমিত ভোগ ও টেকসই উৎপাদন) সঠিক পথে আছে দেশ। এ ছাড়া ছয়টিতে (দারিদ্র্য বিলোপ, ক্ষুধা মুক্তি, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন, সাশ্রয়ী ও দূষণমুক্ত জ্বালানি এবং শিল্প উদ্ভাবন ও অবকাঠামো) পরিমিত রূপে উন্নতি করেছে। পাঁচটি অভিষ্ট অর্জনে (জেন্ডার সমতা, শোভন কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই নগর ও জনপদ, জলবায়ু কার্যক্রম এবং অভীষ্ট অর্জনে অংশীদারিত্ব) অপরিবর্তিত অবস্থায় আছে। অর্থাৎ এগুলোতে উন্নয়ন ঘটানোর সুযোগ রয়েছে। তবে তিনটি অভিষ্ট অর্জনে (জলজ জীবন, স্থলজ জীবন এবং শান্তি-ন্যায়বিচার ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান) ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ। এ ছাড়া অভীষ্ট-১০ (অসমতার হ্রাস) অর্জনের মূল্যায়নে প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি আছে। ফলে মূল্যায়ন করা যায়নি।
এসডিএনএস’র স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়, কোভিড-১৯ এর অভিঘাতের মধ্যেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ ক্রমান্বয়ে ভালো করছে। দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করা এবং সঠিক দিকনির্দেশনা ও সব অংশীজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এমডিজির মতো এসডিজিতেও সাফল্য আসবে বলে আশা করা যায়।
চলারপথে ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের সংস্কৃতি ছিল। যারা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে এসেছে আজকে তারাই গণতন্ত্রের ছবক দেয়!
তিনি বলেন, শুধু দেশের ভেতরে নয়, দেশের বাইরে গিয়েও নালিশ করা বিএনপির চরিত্র। তারা মনে করে দেশের বাহিরে থেকে এসে কেউ তাদের ক্ষমতায় বসিয়ে দেবে। বাংলাদেশের মানুষ এখন সচেতন। বিদেশিদের কাছে নালিশ করে লাভ হবে না।
২৭ মার্চ সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের একটাই লক্ষ্য ছিল- এদেশের মানুষ যেন অন্ন পায়, বস্ত্র পায়, বাসস্থান পায়, চিকিৎসা পায়, উন্নত জীবন পায়। সেই লক্ষ্য সামনে নিয়েই তিনি আমাদের এই স্বাধীনতা এনে দেন।
তিনি বলেন, আমাদের স্বাধীনতার ৫৩ বছর। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেই ১৯৪৮ সালে আমাদের মাতৃভাষায় কথা বলার অধিকার আদায়ের যে আন্দোলন শুরু করেছিলেন সেই আন্দোলনের পথ বেয়েই তিনি ধীরে ধীরে এদেশের মানুষকে স্বাধীনতার চেতনায় উদ্বুদ্ধ করেন। তারই ডাকে সাড়া দিয়ে বাংলার মানুষ অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে এদেশ স্বাধীন করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদেরকে একটি রাষ্ট্র দিয়েছেন, একটি জাতি হিসেবে মর্যাদা দিয়েছেন, বিশ্ব দরবারে আত্মপরিচয়ের সুযোগ করে দিয়েছেন। তিনি তার নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন বাংলাদেশের শোষিত ও বঞ্চিত মানুষের জন্য। তিনি চেয়েছিলেন তাদের ভাগ্য তিনি পরিবর্তন করবেন, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটাবেন। আর এসব কারণেই তিনি এদেশের মানুষকে স্বাধীনতা এনে দেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যার যা কিছু আছে তা নিয়ে এদেশের মানুষ লড়াই করতে নেমে গিয়েছিল। বাংলাদেশের যুদ্ধটা একটি জনযুদ্ধ ছিল। যারা ট্রেনিং নিয়ে দেশে এসেছে, দেশের মানুষকে তৈরি করেছে, প্রতিটি ক্ষেত্রে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দিয়েছে। ট্রেনিংপ্রাপ্ত শুধু তা নয়, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষও মাঠে নেমে গিয়েছিল। যে যেভাবে পেরেছে, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল। যেহেতু এটা গেরিলা যুদ্ধ, গেরিলা যোদ্ধারা যখন দেশে ঢুকেছে, এদেশের মা-বোনেরা রান্না করে খাওয়ার দেওয়া, পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর অবস্থানের তথ্য দেওয়া; সেই কাজগুলো করেছে। একটা জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা এদেশে স্বাধীনতার বিজয় অর্জন করতে পেরেছি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি নালিশ করে তাদের ওপরে নাকি খুব অত্যাচার। অত্যাচার তো আমরা করি নাই। অত্যাচার করেছে বিএনপি-জামায়াত জোট। জিয়াউর রহমান এসে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে। সেনা বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা অফিসার, সৈনিক থেকে শুরু করে প্রায় ৫ হাজার মানুষকে নির্বিচারে ফাঁসি দিয়েছে, গুলি করেছে, হত্যা করেছে। পরিবারগুলো তাদের লাশও পায়নি। সব লাশ গুম হয়ে গেছে।’
সরকারপ্রধান বলেন, ‘অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখল করা এবং প্রথমে লেবাস পড়ে ক্ষমতায় যাওয়া, রাজনীতিকে গালি দিয়ে ক্ষমতা দখল করে, আবার সেই লেবাস খুলে নিজেরাই রাজনীতিবিদ হয়ে যাওয়া আর ক্ষমতা উচ্ছিষ্ট বিলিয়ে দখল গঠন করার কালচারটাই শুরু হয়েছিল বাংলাদেশে। অবৈধ দখলকারীদের হাতে তৈরি করা যে সংগঠন তারা নাকি গণতন্ত্র চায়। যাদের জন্মই গণতন্ত্রের মধ্য দিয়ে হয়নি। যাদের জন্ম মিলিটারি ডিক্টেটেডের মধ্য দিয়ে, তারা আবার গণতন্ত্র চায়। আওয়ামী লীগ গণতন্ত্র দেয়নি, তারা গণতন্ত্র দেবে। গণতন্ত্রের জন্য নাকি তারা লড়াই করে। ওদের জিজ্ঞেস করতে হয়, তাদের জন্মটা কোথায়? অবৈধ দখলদারি এটা তো আমাদের কথা না। আমাদের উচ্চ আদালত বলে দিয়েছে যে, জিয়া-এরশাদ সম্পূর্ণ অবৈধ। তারপর তারাও নাকি গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামও করে।’
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাম্বাসেডর মোহাম্মদ জমির, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পারভীন জামান কল্পনা, সানজিদা খানম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি। পরিচালনা করেন দলের প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আওয়াল শামীম।
চলারপথে রিপোর্ট :
চট্টগ্রামে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ নকল হারপিক ও ভিম লিকুইড জব্দ হয়েছে। আজ ৯ এপ্রিল রবিবার নগরের বহদ্দারহাট এলাকার শামসু কলোনিতে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
এ সময় নকল পণ্য তৈরির অপরাধে আবদুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শামসু কলোনিতে গিয়ে পিলে চমকানোর মতো অনিয়ম-কারসাজির প্রমাণ পাই। সেখানে গিয়ে দেখি, এক ব্যক্তি নানা নকলসামগ্রী ব্যবহার করে হারপিক ও ভিম লিকুইড তৈরি করছিলেন। নোংরা পরিবেশের মধ্যেই বিপুল পরিমাণ নকল হারপিক ও ভিম লিকুইড তিনি তৈরি করে রেখেছিলেন বিক্রির উদ্দেশ্যে।
এ অবস্থায় আবদুর রহমানকে হাতেনাতে আটক করা হয় বলে জানান তিনি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করায় তাঁকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
প্রতীক দত্ত জানান, আবদুর রহমান ম্যাজিস্ট্রেটকে জানিয়েছেন, ৬ মাস ধরে সেখানে তিনি নকল নানা সামগ্রী তৈরি করছিলেন। এরপর তা চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতেন। এরই মধ্যে নকল বেশকিছু পণ্য বিক্রি করেছেন অনেক এলাকায়।
এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৪০০ বোতল নকল হারপিক ও ২০০ বোতল নকল ভিম লিকুইড জব্দ করা হয়েছে। জব্দ করা পণ্য আগুনে পুড়িয়ে ফেলা হয়।
চলারপথে রিপোর্ট :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ নেই। প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে যারা গুজব রটাবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ ২৯ এপ্রিল শনিবার ভোলার চরফ্যাশনের দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে এক সমাবেশে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নতুন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জাতীয়করণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে দীপু মনি বলেন, এ ব্যাপারে আলোচনা চলছে। পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন ও বিএনপির কড়া সমালোচনা করেন।
কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজনের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। অতিথি হিসেবে ছিলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মশিউর রহমান, ভোলা জেলা প্রশাসক তৌফিক-ই- লাহী চৌধুরী, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আসাদুজজ্জামন, উপজেলা চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদিন আখন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম প্রমুখ।
সমাবেশের আগে শিক্ষামন্ত্রী চরফ্যাশনের জ্যাকব টাওয়ার, শেখ রাসেল শিশু বিনোদন পার্ক, আধুনিক বাস টার্মিনাল ও বেগম রহিমা ইসলাম কলেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো পরিদর্শন করেন।