চলারপথে রিপোর্ট :
দেশের ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক উত্তেজক পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধামন্ত্রী জননেত্রী হাসিনা ও আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আস্থা ও আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি অকুন্ঠ সমর্থন জানানোর জন্য, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধা দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ এবং বিভিন্ন উপজেলার সাবেক কমান্ডাদের যৌথ উদ্যোগে আগামী ৫ অক্টোবর সকাল-১০ টায় জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
এতে প্রধান অতিথি থাকবেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিরোধ যুদ্ধ সূচনা কারীদের অন্যতম ৪র্থ ইষ্ট বেঙ্গলের তৎকালীন সিপাহসালার সাবেক সেনা প্রধান বীর মুক্তিযোদ্ধা লে. জেনারেল হারুন অর রশিদ বীর প্রতীক।
সমাবেশে সফল করার লক্ষ্যে আজ ৩০ সেপ্টেম্বর শনিবার জেলা পরিষদ মিলনায়তনে যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার সভাপতিত্বে এক প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূঁইয়া, হাজী রজব আলী, রুহুল আমিন ভূঁইয়া বকুল, আবদুর রাজ্জাক, নজরুল ইসলাম ধনু, মোঃ ফসিউর রহমান হাসান, আবু হানিফ, মোঃ সহিদুল্লাহ, মতিউর রহমান, মোঃ ইসমত আলী, এড. আখতার হোসেন সাঈদ, এম ওয়াছেল সিদ্দিকী, মোঃ আবু হোরায়রাহ, মোঃ আনোয়ারুল হক, মোঃ রইছ মিয়া, জাকির হোসেন, ওমালেক ভূঁইয়া, মোঃ আ: সামাদ প্রমুখ বীর মুক্তিযোদ্ধারা উপস্থিত ছিলেন।
চলারপথে রিপোর্ট :
সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। তবে বিদ্যুতের খুঁটি থাকায় প্রশস্ততা কোনো কাজে লাগছে না। সড়ক নির্মাণ করতে গিয়ে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে পানি নিষ্কাশন। অথচ বিকল্প কোনো ব্যবস্থা না করায় কৃষি সেচ কাজে ব্যাঘাত ঘটছে, সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা।
বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয়হীনতার কারণে এভাবেই উন্নয়নকাজের ব্যাঘাত ঘটছে বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তারা তাদের আলোচনায় তুলে ধরেছেন। পাশাপাশি এসব থেকে উত্তরণে বেশ কিছু পরামর্শও দিয়েছেন তারা।
আজ ২২ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া সার্কিট হাউস সম্মেলনকক্ষে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ‘ফোকাস গ্রুপ ডিসকাশনে’ এসব বিষয় তুলে ধরা হয়। ‘স্ট্রেনথেনিং ইন্টার ডিপার্টমেন্ট ইমপ্লেমেন্টিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট : এ ডিস্ট্রিক্ট লেভেল অ্যানালাইসিস’ শীর্ষক গবেষণার এ আয়োজনটির ব্যবস্থাপনায় ছিলো মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন। সভায় জেলার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথি থেকে সকাল সোয়া ১০টার দিকে এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ড. শামসুন্নাহার।
স্বাগত বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলাম। গ্রুপ পর্যায়ে আলোচনা করে উন্নয়নকাজ বাস্তবায়নে বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় বিষয়ে নিজেদের মতামত তুলে ধরেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মীর নিজাম উদ্দিন, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মান্নান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাহর আলী, পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক বিশল চক্রবর্তী, আশুগঞ্জ-কুমিল্লা ছয় লেন মহাসড়ক প্রকল্পের ডেপুটি ম্যানেজার শামীম আহমেদ।
এ সময় জানানো হয়, একটি উন্নয়ন কাজ করতে গেলে একাধিক দপ্তরের সংশ্লিষ্টতা থাকে। কিন্তু সাধারণত যে দপ্তর কাজটি করে এর বাইরে কাউকে এতে সম্পৃক্ত করতে দেখা যায় না। এক দপ্তরের কর্মকর্তা আরেক দপ্তরের কাছে যেতে কুণ্ঠাবোধ করেন।
সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই গোঁজামিল দেওয়া হয়। সময়ের কাজ সময়ে করা হয় না। ঠিকমতো অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় না। আগের কাজ পরে পরের কাজ আগে করা হয়। এমন সব সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়ন কাজে ব্যাঘাত ঘটে। এমন অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে আরো গুরুত্ব দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পাশাপাশি কোনো একটি কাজের জন্য পরামর্শক নিয়োগ করা যারা সবগুলো দপ্তরের সমন্বয় করে কাজটি এগিয়ে নিয়ে যাবে।
অধ্যাপক ড. শামসুন্নাহার বলেন, ‘দপ্তরগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণে উন্নয়নকাজে ব্যাঘাত ঘটার অনেক উদাহরণ আছে। এ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে কাজ করতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে যে মতামতগুলো উঠে আসবে সেগুলো গবেষণায় কাজে লাগানো হবে।’
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান বলেন, ‘ওয়ান বাই ওয়ান কথা বলেও কাজের সমন্বয় করা যায়। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসন এ কাজে সহযোগিতা করবে। আমরা তো ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেখেও ব্যবস্থা নিই। আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে এমন একটা গবেষণা চাই যেটা সারা দেশে কাজে লাগবে।’
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদে কাজ করার সময় বিদ্যুৎস্পর্শে মুজাহিদুল ইসলাম (১৮) নামের এক শ্রমিক মারা গেছেন। আজ ১১ সেপ্টেম্বর সোমবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে পুরাতন কাচারী এলাকায় নির্মাণাধীন জেলা মডেল মসজিদ প্রাঙ্গনে এই ঘটনা ঘটে।
মৃত মুজাহিদ জেলার সরাইল উপজেলার উচালিয়া পাড়ার মৃত অলি মিয়ার ছেলে। সে বিদেশে যাওয়ার জন্য গত ৬ মাস ধরে পাইপ ফিটারের কাজ শিখছিল।
মুজাহিদের সহকর্মীরা জানান, সোমবার মডেল মসজিদে কাজ করার সময় মুজাহিদ পানির পাইপ নিয়ে দোতলায় যাওয়ার সময় সেখানে থাকা বিদ্যুতের লাইনে পাইপ লেগে বিদ্যুৎস্পর্শে সে আহত হয়। পরে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে যায়।
পরে সেখান থেকে তার স্বজনরা উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জেলা শহরের একটি একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আসলাম হোসাইন জানান, মডেল মসজিদে কাজ করার সময় মুজাহিদ বিদ্যুৎস্পর্শে মারা যায় বলে শুনেছি। খবর পেয়ে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে এ ঘটনার আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
বাংলা সাহিত্যের আধুনিক কবি, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, ভাষা সৈনিক, মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের বীরযোদ্ধা, সাংবাদিক এবং “সোনালী কাবিন” খ্যাত কবি আল মাহমুদের প্রতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা রাষ্ট্রীয় অবহেলা ও বৈষম্য দূর করার লক্ষ্যে আগামীকাল ২১ সেপ্টেম্বর শনিবার, সকাল ১১ টায় এক বিশাল কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ছাত্র জনতার জমায়েতের মাধ্যমে কর্মসূচির সূচনা হবে। কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৌড়াইলস্থ কবি আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা, পুষ্পস্তবক অর্পণ, প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন, গার্ড অফ অনার প্রদান এবং দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের বিএনসিসি সদস্যরা গার্ড অফ অনার প্রদান করবেন।
এই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, কবি আল মাহমুদের অবদানকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মানিত করা এবং তাঁর সাহিত্য, ভাষা আন্দোলন এবং মুক্তিযুদ্ধে তাঁর অবদানকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরা। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল স্কুল ও কলেজের ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক, এবং সাধারণ জনগণ অংশগ্রহণ করবেন। কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতিপরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মসূচি জাতির সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালনের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই উদ্যোগ দেশের জনগণকে কবি আল মাহমুদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে অনুপ্রাণিত করবে এবং তার অনন্য সাহিত্য ও সংগ্রামী জীবনের প্রতিফলন নতুন প্রজন্মের মনে গভীরভাবে প্রোথিত করবে। এটি ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধাবোধ এবং দেশের মহান ব্যক্তিত্বদের প্রতি শ্রদ্ধা জাগ্রত করবে। কর্মসূচী সমূহে উপস্থিত থাকতে সকলকে অনুরোধ জানিয়েছেন কবি আল মাহমুদ গবেষণা কেন্দ্র ও স্মৃতি পরিষদের সভাপতি, দৈনিক কুরুলিয়া পত্রিকার সম্পাদক ইব্রাহিম খান সাদাত। একজন ভাষা সৈনিক, রণাঙ্গণের বীরমুক্তিযোদ্ধা, প্রতিথযশা সাংবাদিক এবং বাংলাদেশের প্রধান কবি হয়েও মূলধারার কবিদের সঙ্গে আল মাহমুদের (১৯৩৬-২০১৯) তফাতটা কোথায়, তা কবিতা দিয়েই বোঝা সম্ভব।‘লোক লোকান্তর’, ‘কালের কলস’, ‘সোনালি কাবিন’-এর আল মাহমুদকে অপ্রধান বলার সুযোগ এখন পর্যন্ত ঘটেনি। তিনি বিভিন্ন কারণে এদেশের রাষ্ট্রের বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। এই বিশ্ববিশ্রুত কবির প্রতি আমাদের অগাধ ঋণ। এই বৈষম্য থেকে জাতিকে কলঙ্কমুক্ত করার প্রয়াসে আগামীকাল শনিবার সকাল ১১টায় বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র জনতার জমায়েত। সেখান থেকে মৌড়াইলে আল মাহমুদের কবরের উদ্দেশ্যে পদযাত্রা। কবরে পু®পস্তবক অর্পণ এবং প্রতীকী জাতীয় পতাকায় কবর আচ্ছাদন। গার্ড অব অনার প্রদান ও দোয়া।
এসবই কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো আল মাহমুদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান নিশ্চিত করা এবং এই নতুন প্রজন্মের কাছে তাঁকে তুলে ধরা।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ফুটবল খেলা নিয়ে একপক্ষের ছুরিকাঘাতে একজন নিহত ও ৫ জন আহত হয়েছে।
আজ ২৬ এপ্রিল শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের নরসিংসার গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম ইয়াকুব মিয়া (৩৫)।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নরসিংসার গ্রামে সামিউন বাসির ফুটবল টুর্ণামেন্টের ফাইনাল খেলা ছিল শুক্রবার। বিকেলের ফাইনাল খেলায় পশ্চিম পাড়া দলকে উত্তর পাড়া দল পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হয়। খেলা শেষে পশ্চিম পাড়া দল উল্লাস শুরু করলে উত্তর পাড়া দলের কয়েকজন বাধা দেন। পরে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এ সময় কয়েকজনের নেতৃত্বে ধারালো ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করলে ৫/৬ জন আহত হন। তাদেরকে জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসকরা ইয়াকুব মিয়াকে মৃত ঘোষণা করেন।
জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসক ডা. শরিফুল হক বলেন, ইয়াকবের পিঠে ছুরিকাঘাত লাগে। তার শরীর থেকে অধিক রক্তক্ষরণ হয়েছে। ধারণা করছি রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসলাম হোসাইন বলেন, হত্যার খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একইদিন ও একই সময়ে পৃথক স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।
আগামীকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে শহরের শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শান্তি সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করে জেলা আওয়ামী লীগ। শান্তি সমাবেশ শেষে উন্নয়ন শোভাযাত্রা করবে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা।
অপরদিকে আর নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার একই সময়ে শহরের দক্ষিণ মৌড়াইল থেকে বিএনপি একটি পদযাত্রা বের করবে। পদযাত্রাটি শহরের জেলা পরিষদ, কালীবাড়ি মোড়, টি.এ. রোড, মঠের গোড়া প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
আজ ১৭ জুলাই সোমবার দিনভর শহরজুড়েই আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শান্তি সমাবেশ ও উন্নয়ন শোভাযাত্রার বিষয়ে মাইকিং হচ্ছে। অপরদিকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির পক্ষ থেকে শহরজুড়ে মাইকিং হয়েছে।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও বর্তমানে আহবায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি সাংবাদিকদের বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার পদযাত্রা করবে বিএনপিসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্বে থাকা যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী বলেন, মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত সমাবেশ হবে। সমাবেশ শেষে শোভা যাত্রা হবে।
এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, একই সময়ে দুই প্রধান দল কর্মসূচি দিয়েছে। তবে ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় কর্মসূচি পালিত হবে। এ বিষয়ে নিয়ে আমরা যথেষ্ট সচেতন অবস্থায় রয়েছি। মঙ্গলবার পর্যাপ্ত পরিমান পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।