চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দর্শক-নন্দিত লাল সবুজের টিভি চ্যানেল ‘চ্যানেল আই’ এর ২৪ তম জন্মদিন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও কেক কাটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরামের আয়োজনে আজ ১ অক্টোবর শনিবার সকালে স্থানীয় সরকারি শিশু পরিবারের কন্যা শিশুদের নিয়ে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রা শেষে সরকারি শিশু পরিবারের সবুজ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও জন্মদিনের কেককাটা অনুষ্ঠান।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, বাংলাদেশ এর সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের প্রিয় পতাকার রং লাল-সবুজ, ২৪ বছরের অদম্য অগ্রযাত্রায় চ্যানেল আই এ দু’টি রংকেই বেছে নিয়েছে। চ্যানেল আই শুধু কৃষি বিষয়ক, প্রকৃতি ও জীবন, রিয়েলিটি শো, রাজনীতি, টকশো, শিল্প সংস্কৃতি ইত্যাদি নিয়েই কাজ করছে না, সর্বোপরি চ্যানেল আই বহন করছে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, ঊর্ধ্বে তুলে ধরছে চিরায়ত বাঙালি সংস্কৃতিকে। আমি চ্যানেল আই এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ রুহুল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন, বিশিষ্ট কবি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এসআরএম ওসমান গনি সজীব, আমার চ্যানেল আই দর্শক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আছরারুন্নবী মোবারক, কমরেড নজরুল ইসলাম, সাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি ও অন্যরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন চ্যানেল আই এর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি মনজুরুল আলম।
চলারপথে রিপোর্ট :
পৃথক অভিযানে ৪৭০ বোতল ফেনসিডিলসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল ৩০ নভেম্বর শনিবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা ও বিজয়নগর উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
র্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে একটি অভিযানিক দল উপজেলায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ১৪৮ বোতল ফেনসিডিলসহ ১ জনকে গ্রেফতার করতে করে। গ্রেফতারকৃত জাকির হোসেন (২৬) বিজয়নগরের সিংগারবিল মাইজহাটি গ্রামের কামাল মিয়ার ছেলে।
অপর একটি অভিযানে ৩২২ বোতল ফেনসিডিলসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মো. জিলায়োর হোসেন তরফদার প্রকাশ দেলোয়ার (৪০), মো. হাবিবুর রহমান (২০), মো. শামিম আহম্মদ (৩১), পলাশ দাস (৩৫)।
র্যাব আরো জানায়, গ্রেফতারকৃতদের ও জব্দকৃত আলামত সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
নাছিমা আক্তার ও ফজিলা বেগম নামে দুই মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
২১ ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার রাধিকা বাজার এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা। এ সময় তাদের কাছ থেকে তিন কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত নাছিমা আক্তার ঢাকা জেলার কামরাঙ্গীচর এলাকার মোঃ বশির আহমেদের স্ত্রী ও ফজিলা বেগম ময়মনসিংহ জেলার দুবাউড়া উপজেলার কড়িগড়া গ্রামের আলাল মিয়ার স্ত্রী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান বলেন, বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাধিকা বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই দুই মহিলা মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করা হয়।
পরে বোরকা পরিহিত দুই মহিলার দেশ তল্লাশী করে ৩ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অবৈধভাবে রেলওয়ের জলাশয় বালু ফেলে ভরাটের দায়ে জব্দ করা ১৫ হাজার ঘনফুট বালু উম্মুক্ত নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। নিলামে ৮১ হাজার টাকায় এই বালু বিক্রি করা হয়।
গতকাল বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেনের উপস্থিতিতে এই উম্মুক্ত নিলাম অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে রেলওয়ের জলাশয় অবৈধভাবে বালু ফেলে ভরাটের প্রতিবাদে গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সদর উপজেলার বড় হরণ লেবেল ক্রসিং এলাকায় মানববন্ধন করে এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।
সদর উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় লোকজন ও নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, বড়হরণ এলাকায় রেলের জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করে ফেলে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী চক্র। বিষয়টি জানতে পেরে গত সোমবার দুপুরে সেখানে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন।
এ সময় বালু ভরাটের কাছে ব্যবহৃত একটি ভেকু ও জলাশয়ে ফেলা সকল বালু জব্দ করা হয় এবং চার কার্যদিবসের মধ্যে জব্দ করা বালু নিলাম ডেকে বিক্রি করে জলাশয়কে পূর্বের অবস্থায় ফিরে আনতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলমকে নির্দেশ দেন তিনি।
এসিল্যান্ডের নির্দেশে বুধবার বিকেলে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গনে উম্মুক্ত নিলাম আহবান করেন ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম। সেসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন। নিলামে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের পয়াগ নরসিংসার গ্রামের খলিলুর রহমান নামে এক ব্যক্তি সর্বোচ্চ মূল্য ৮১ হাজার টাকা ডাক তোলেন।
এ ব্যাপারে নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আলম বলেন, ৮১হাজার টাকায় সর্বোচ্চ মূল্য উঠে উম্মুক্ত নিলামে। আগামী শনিবার থেকে ওই ব্যক্তির কাছে বালু বুঝিয়ে দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোশারফ হোসেন বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ এর আলোকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড়হরণ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।
রেলওয়ের মালিকানাধীন একটি জলাশয় বালু ফেলে ভরাট করার অপরাধে একটি ভেকু ও ভরাট করা বালু জব্দ করা হয়। তিনি বলেন, এর আগেও গত ১৯ ফেব্রিয়ারি বালু ফেলে জলাশয় ভরাটের দায়ে বড় হরণে অভিযান চালিয়ে খননযন্ত্র জব্দসহ এক লাখ টাকা করিমানা করা হয়। তিনি বলেন, পরিবেশ আইনে জলাশয় কোনোভাবেই ভরাট করার সুযোগ নেই।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বিভিন্ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম। তিনি গতকাল মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে আসেন। এ সময় তাঁকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির। জেলা প্রশাসক মো. শাহগীর আলম ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। এ সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ট্যাক্স আদায় জোরদার করার পরামর্শ দেন। তিনি সরকারী বিধিমালা অনুসরণ করে পৌরসভার প্রশাসনিক কর্মকান্ড পরিচালনা করার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তিনি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বিক সহযোগিতার করার আশ্বাস প্রদান করেন।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আঃ কুদ্দূস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ইয়ামিন হোসেন, পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বেগম, শাহানা বেগম, মিনারা বেগম, নিলুফা ইয়াছমিন, কাউন্সিলর মোঃ জামাল হোসেন, শেখ মোঃ মাহফুজ মিয়া, আক্তার হোসেন চৌধুরী, মিজানুর রহমান, মোঃ আবদুল মালেক, ওমর ফারুক জীবন, ফারুক আহমেদ, মীর মোঃ শাহীন মিয়া, মোঃ ফারুক মিয়া, মোঃ কাওসার মিয়া, মোঃ সাকিল, মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী কাউছার আহমেদ, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন, হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ গোলাম কাউছার, সহকারী প্রকৌশলী সবুজ কাজীসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।