চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র, আওয়ামী লীগের অনুগত পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাপান শাখার সভাপতি, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সিনিয়র সহ-সভাপতি, মানবিক সরাইল জেবি এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশকে দেওড়া দক্ষিণপাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ ২ অক্টোবর সোমবার গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় দেওড়া দক্ষিণপাড়ার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। গণসংবর্ধনা জবাবে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি যদি এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পাই তাহলে আমার নির্বাচনী এলাকা (সরাইল-আশুগঞ্জ)-কে একটি মডেল এলাকায় রূপান্তরিত করবো ইনশাল্লাহ।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলের তরুণ শাহ মো. জাহিদুল ইসলাম ওরফে আসিফ (২৩) ছিলেন সৌদি আরবপ্রবাসী। সাড়ে তিন মাস আগে তিনি বাড়িতে আসেন। এর পর থেকে বাবা-মাকে মোটরসাইকেল কিনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন। রাজি হচ্ছিলেন না মা-বাবা। অবশেষে টাকা দিতে বাধ্য হন মা-বাবা। ৪ জুন মঙ্গলবার বিকেলে জেলা শহর থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা দিয়ে জাহিদুল একটি মোটরসাইকেল কেনেন।
আজ ৫ জুন বুধবার দুপুরে মোটরসাইকেল নিয়ে প্রথম ঘুরতে বের হন। সঙ্গে ছিলেন দুই বন্ধু। বেলা পৌনে একটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন জাহিদুল। এ সময় অপর দুই বন্ধু আহত হয়েছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ওটারটেক করতে গিয়ে এক মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন।
নিহত মো. জাহিদ মিয়া আসিফ (৩৭) সরাইল উপজেলার উত্তর কোড্ডা পাড়া এলাকার লিংকন মিয়ার ছেলে।
সরাইল থানার ওসি মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাস জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরাইল-নাসিরনগর আঞ্চলিক সড়কের সরাইল উপজেলার ধরন্তী এলাকায় এক মোটরসাইকেই চালক সিএনজি চালিত অটোরিকসাকে ওটারটেক করতে গিয়ে ধাক্কা লেগে রাস্তায় ছিটকে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মোটর সাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। মোটরসাইকেল চালকের মাথায় হেলমেট ছিল না। মৃতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য জেনারেল হাসপাতাল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং লক্ষ্মীপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে নৌযান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এরই মধ্যে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর জাতীয় সংসদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এবং ২৭৬ লক্ষ্মীপুর-৩ শূন্য আসনে নির্বাচন হবে। এ ধরনের নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন এবং তার আগে ও পরে বিশেষ কয়েকটি নৌযান যথা- লঞ্চ, স্পিড বোট, ইঞ্জিনচালিত যে কোনো ধরনের নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। একইভাবে ৪ নভেম্বর রাত ১২টা থেকে ৫ নভেম্বর রাত ১২টা পর্যন্ত এসব নৌযান চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে ইঞ্জিনচালিত ক্ষুদ্র নৌযান এবং ভোটারদের চলাচলের জন্য ব্যবহৃত ক্ষুদ্র নৌযান এ নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে। এছাড়া রিটার্নিং অফিসারের অনুমতি সাপেক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, তাদের নির্বাচনী এজেন্ট, দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের (পরিচয়পত্র থাকতে হবে) ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা শিথিলযোগ্য।
সেই সঙ্গে নির্বাচনের সংবাদ সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত দেশি-বিদেশি সাংবাদিক (পরিচয়পত্র থাকতে হবে), নির্বাচনের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, নির্বাচনের বৈধ পরিদর্শক এবং কতিপয় জরুরি কাজ যেমন- অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক, টেলিযোগাযোগ ইত্যাদি কার্যক্রমে ব্যবহারের জন্য নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এছাড়া প্রধান প্রধান নৌপথে বন্দর ও জরুরি পণ্য সরবরাহসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিষেধাজ্ঞা শিথিলের বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে ভোটার ও জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সব নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে ও দূর পাল্লার নৌযান চলাচলের ক্ষেত্রে এ নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না।
এ অবস্থায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্তৃপক্ষকে ক্ষমতা প্রদানের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে পূর্ব বিরোধের জের ধরে দু’দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছে। আজ ২৫ জুলাই মঙ্গলবার সকালে উপজেলার পাকশিমুল ইউনিয়নের পরমানন্দপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পরমানন্দপুর গ্রামের নূর আলী-আইয়ুব গ্রুপ ও মতি-জাফর-গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জেরে মঙ্গলবার উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন পরমানন্দপুর গ্রামের মোঃ রুবেল মিয়া (২৮), একই এলাকার মোঃ ফারুক মিয়া (৩৫), আবেদ মিয়া (২৫), হাফেজ মাহাদি হাছান (২৩) ও ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্বাস খাঁন (৩৮)।
সংঘর্ষে উভয়পক্ষের ৩০ জন আহত হয়। আতদের মধ্যে মনির (৩০), রনি (৩২), মাহফুজ (৩০), বোরহান (৪৬), রুবেল (২৫), ফারুক (৩০), রামিম (১৫) এর নাম জানা গেছে। আহতরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলার বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে আছে। আমরা ৫ দাঙ্গাবাজকে গ্রেফতার করেছি। এ ঘটনায় এখনো থানায় কোন মামলা হয়নি।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তিতাস নদীতে ড্রেজারে কাটছে মাটি। সেই মাটি যাচ্ছে এক কিলোমিটার দূরে এশিয়া নামক ইটভাটায়। ভাটায় ব্যবহারের পরও ওই মাটি চড়া দামে অন্যত্র বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। ওদিকে স্বল্প প্রস্থের নদীর গভীরতা বাড়তে থাকায় দু’পাড়ের শতশত একর ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর এলাকার নদী সংলগ্ন ফসলি মাঠে এমন হরিলুট করছে মাটি খেকোঁ চক্র। নদী ও মাটি খেকোঁ প্রভাশালী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় সেখানকার কৃষকরা। ভয়ে মুখ খোলার সাহসও করছেন না তারা।
সরজমিন অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগী কৃষকরা জানায়, ধর্মতীর্থ এলাকার কৃষকরা বারবার নদী, ফসলি জমি ও মাটি খেঁকো একটি চক্রের শিকার হচ্ছেন। ওই চক্রটির কাজ হচ্ছে ইটভাটায় মাটি বিক্রির বাণিজ্য করা। এই লক্ষে তারা ধর্মতীর্থ চানপুর সহ অত্র এলাকার হাওরের ফসলি জমির মালিকদের টার্গেট করে। সহজ সরল কৃষকদের ফুসলিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমি ও গোচারণ ভূমির মাটি ক্রয় করে আসছে।
একটি জমি ক্রয় করে আশপাশের জমির মালিকদের বেকায়দায় ফেলে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে ওই চক্রটি। হাওরের শতশত একর ফসলি জমি এখন চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। ফসলি জমির পর এখন তারা নদীর দিকে নজর দিয়েছেন। চানপুর মৌজায় তিতাস নদীতে গত ১৫ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে এক কিলোমিটার দূরে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে এশিয়া নামক ইটভাটায় নিচ্ছেন। সেখান থেকে ট্রাকে করে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন। ওদিকে ড্রেজারে লাগাতার মাটি উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে করে নদীর দু’পাড়ে শতশত একর ফসলি জমি এখন ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। কৃষকদের আর্তনাদ ও প্রতিবাদ কোন আমলে নিচ্ছেন না প্রভাবশালী মাটি খেঁকোরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায় নদীর মাঝখানে বিকট শব্দে চলছে ড্রেজার। প্রায় ৮-১২ ইঞ্চি প্রস্থের পাইপ দিয়ে এক কিলোমিটার দূরে মাটি যাচ্ছে। ড্রেজারের পরিদর্শক নুর নবী দাঁড়িয়ে আছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়েই ড্রেজারের কাছ থেকে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন নুরনবী।
ড্রেজার চালক লাখাই থানার মো. ইসমাঈল মিয়া (৪০) নদীর মাটি ইটভাটায় যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার মফিজ মিয়া, হযরত আলী ও সাইজ উদ্দিন। আমরা শ্রমিক। ৪ জনের মধ্যে আমিসহ দু’জনের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকা। অপর দু’জনের মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা। অনুমতি বা বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা আমরা জানি না।
ড্রেজার চালিয়ে নদীতে মাটি কাটাই আমাদের কাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক কৃষক সামনে পেছনে তাকিয়ে বলেন, তারা হাওরের ফসলি জমি খাইছে। এখন মাটি কেটে যেভাবে গভীর করছে নদীর পাড়ের ফসলি জমি গুলো ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যাবে। আমরা শেষ। স্যার পারলে জমি গুলো রক্ষা করে আমাদের বাঁচান। আমাদের নাম লিখলে তারা মেরে ফেলবে। ঠিকাদার মফিজ মিয়া নদীর মাটি ইটভাটায় বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, এশিয়া ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছি। অনুমতির কথা দূর্গাচরণ দাদা বলতে পারবে। তিনিই কাজটি করছেন। আমরা শুধু দেখা শুনা করি।
দূর্গাচরণ দাস ও মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নদী খননের অনুমতি এনেছি। সেখানে মাটি কাটার কথা বলা আছে। তবে ইটভাটায় বিক্রির কথা বলা নেই। এটি উন্নয়ন প্রকল্প। মাটি বিক্রি না করলে রাখব কোথায়? ফসলি জমির ক্ষতির জন্য আমি দায়বদ্ধ।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, দূর্গাচরণ দাস অনুমতির কোন কাগজ আমাকে দেখাতে পারেননি। অনুমতি ছাড়া উনি যা করছেন, তা করতে পারেন না। আমি উনাকে ড্রেজারে নদীতে মাটি কাটা বন্ধ রাখতে বলেছি। কথা না শুনলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।
চলারপথে রিপোর্ট :
সরাইলে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ফটকের তালা কেটে চুরির ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা সদরের সৈয়দটুলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত রবিবার দিবাগত রাতে দেড় লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়েছে। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বলছেন, নৈশ প্রহরী রাসেল মিয়া নিয়মিত দায়িত্ব পালনে অবহেলা করে আসছেন। নৈশ প্রহরী রাসেল বলছেন রাত ১২টা পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে বাড়িতে চলে যান। তার বদলে ঝাঁড়- দেন সামছু বেগম।
প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, থানায় সাধারণ ডায়েরী করতে গেলে মঙ্গলবারে ঘটনাস্থল সরজমিনে তদন্ত করে শেষে জিডি গ্রহনের কথা জানিয়েছেন পুলিশ। বিদ্যালয় সূত্র জানায়, অন্যান্য দিনের মত গত রবিবারও বিদ্যালয়ের পাঠদানসহ অন্যান্য কাজ শেষ করে দরজা জানালা বন্ধ করে প্রধান ফটকে তালা দিয়ে বিদ্যালয় ত্যাগ করেন সকল শিক্ষক শিক্ষিকা। পরের দিন অর্থাৎ গতকাল সোমবার সকালে যথা নিয়মে যথা সময়ে বিদ্যালয়ে হাজির হন শিক্ষকরা। তারা বিদ্যালয়ের নীচতলার তালা কাটা দেখতে পেলেও বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষ বন্ধ দেখতে পান। কিন্তু পাশের একটি কক্ষে রক্ষিত সোলারে ব্যবহৃত বড় ১টি ব্যাটারী ও একটি পানির পাম্প নেই। পরে দ্বিতীয়তলায় গিয়ে দেখেন গেইটের তালা কাটা। সেখানে ১টি কক্ষে রক্ষিত বড় ব্যাটারিও নেই। অর্থাৎ ২টি ব্যাটারীসহ প্রায় দেড় লক্ষাধিক টাকা মূল্যের মালামাল নিয়ে গেছে চোরেরা।
তবে ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়ে নৈশ প্রহরী পদে নিয়োগ পাওয়া রাসেল মিয়ার বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। কর্তৃপক্ষ বলছেন সঠিক সময়ে নিয়মিত ভাবে দায়িত্ব পালন করেন না নৈশপ্রহরী। দিনে রাতে যখন মন চায় বিদ্যালয়ে আসেন। ইচ্ছেমত আবার বাড়ি চলে যান।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কথা শুনেন না। নৈশ প্রহরী রাসেল নিজেই মুঠোফোনে বলেন, আমি রাত ১২টা কোন সময় ১টা পর্যন্ত বিদ্যালয়ে থাকি। এরপর বাড়িতে গিয়ে ঘুমায়। কারণ আবার মাঝে মধ্যে সকালে আসতে হয়। বিদ্যালয় ঝাঁড়- মুছার কাজটি আমি বদলি দিয়ে রেখেছি সামছু আপাকে। আমি মাস শেষে ১৬ হাজার ১ শত টাকা পায়। সামছু আপাকে ২ হাজার টাকা দেয়। দায়িত্ব ঠিক মতই পালন করছি। কে বা কাহারা চুরি করেছে বলতে পারছি না। তবে খোঁজ খবর নিয়ে চোর ধরা পড়তে পারে।
প্রধান শিক্ষক মাহবুবা আক্তার শাপলা চুরির ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রায় ১১ বছর আগে বিদ্যালয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত নৈশ প্রহরী মো. রাসেল মিয়া দায়িত্ব পালনে চরম অবহেলা করে আসছেন। তার অবহেলার বিষয়ে প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে একাধিকবার লিখিত ভাবে অবহিত করেছি। রবিবারের চুরির বিষয়টি এসএমসিকে জানিয়েছি। জিডি করার জন্য সরাইল থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ বলেছেন মঙ্গলবারে সরজমিনে ঘটনাস্থল তদন্ত করে জিডি নথিভুক্ত করবেন।
বিষয়টি দেখার দায়িত্বপ্রাপ্ত এস আই মো. রহমান খান পাঠান বলেন, মঙ্গলবার এসে জিডিতে স্বাক্ষর করে জমা দিতে বলেছি। তারপর চেষ্টা করে দেখি বের করতে পারি কিনা।