চলারপথে রিপোর্ট :
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু’র ঘনিষ্ঠ সহচর ও একনিষ্ঠ কর্মী, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইস্টার্ণ কমান্ড কাউন্সিলের প্রধান, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক সাবেক জেলা রেজিষ্টার (ভূমি), বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মোহাম্মদ আলী বিল্লাল এর কনিষ্ঠপুত্র, আওয়ামী লীগের অনুগত পরিবারের সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ জাপান শাখার সভাপতি, সরাইল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড এর সিনিয়র সহ-সভাপতি, মানবিক সরাইল জেবি এর প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশকে দেওড়া দক্ষিণপাড়া এলাকাবাসীর উদ্যোগে আজ ২ অক্টোবর সোমবার গণসংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে। এ সময় দেওড়া দক্ষিণপাড়ার বিপুল সংখ্যক লোকজন উপস্থিত ছিলেন। গণসংবর্ধনা জবাবে ইঞ্জিনিয়ার আবু শামীম মোহাম্মদ পিয়ার পলাশ সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, আমি যদি এই আসনে নৌকার মনোনয়ন পাই তাহলে আমার নির্বাচনী এলাকা (সরাইল-আশুগঞ্জ)-কে একটি মডেল এলাকায় রূপান্তরিত করবো ইনশাল্লাহ।
স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে আশিষ চন্দ্র দাস (২০) নামের এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে সরাইল নোয়াগাঁও গোগদ (ইসলামাবাদ) এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মোটরসাইকেলটি আশিষ নিজেই চালাচ্ছিল। আশিষ চন্দ্র দাস সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের বড় ধীতপুর গ্রামের দাসপাড়া এলাকার শচীন্দ্র চন্দ্র দাসের ছেলে।
হাসপাতাল সূত্রে ও পুলিশ জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে গোগত (ইসলামাবাদ) এলাকায় অজ্ঞাত এক পরিবহনের সাথে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় আশিষ চন্দ্র দাস গুরুতর আহত হয়। তারপর রাস্তার পাশে দাড়িয়ে থাকা পিকআপের চালক আলম আহত আশিষ চন্দ্র দাসকে জেলা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মো. আওয়াতিফ ইবনে মাতিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আশিষ চন্দ্র দাস মারা যায়। পরে লাশ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করি।
খাঁটিহাতা হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুখেন্দু বসু ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, একজন মোটরসাইকেল চালক নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে পিকআপ ও মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করেছি। লাশ জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা আছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে ৮ কেজি গাঁজাসহ মোঃ মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম (৩৮) ও মোঃ হাসান মিয়া (৩৪) নামে দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ইসলামাবাদ গ্রাম থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত মোরশেদ আলম ওরফে আতিকুল ইসলাম উপজেলার সৈয়দটুলা গ্রামের খন্দকার মোঃ শফিকুর রহমানের ছেলে এবং হাসান মিয়া একই গ্রামের তালিব হোসেনের ছেলে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ এমরানুল ইসলাম বলেন, তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ ১৬ আগস্ট বুধবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
সরাইল প্রতিনিধি:
শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়া হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে আজ ২১ জানুয়ারি সরাইলে এলাকাবাসীর উদ্যোগে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল উপজেলার পশ্চিম কুট্টাপাডা গ্রামের ভিতরের রাস্তায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধন প্রতিবাদ সমাবেশে হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবী জানান।আজ শনিবার অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এলাকার জনপ্রতিনিধ সাদেক মেম্বার, বিশিষ্ট সরদার আহাদ আলী, আনারুল্লা, সানাউল্লা, দানু মিযা আলমাস মিযা, সিদ্দিক মিযা শেখ আবুল কালাম, আক্কি মিয়া, ওসমান মিয়া, হামিদ মিয়া, আবুল ফয়েজ, ওসমান মিযা, জামির আলী, আবেদ আলী, নিহতের সন্তান মোহাম্মদ আসমত আলীসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ এলাকা সাধারণ নারী পুরুষ।
মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, মামলার আসামিরা জামিনে এসে বাদিসহ অন্যান্যদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে হুমকি দিয়ে আসছে। বক্তারা এর প্রতিবাদ করে অবিলম্বে শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়া হত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। বক্তারা মানববন্ধনে এ হত্যাকা- ও জামিনে এসে হুমকি-ধমকির ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে দ্রুত বিচারসম্পন্ন করে দোষীদেরকে কঠোর শাস্তির দাবি দেয়ার দাবী জানান। বক্তারা জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ নভেম্বর জেলার সদর উপজেলার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড়ে শ্রমিক নেতা ছায়েদ মিয়াকে মারধর করে দুষ্কৃতিকারীরা। পরে ২৭ নভেম্বর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা নেয়ার পথে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এ ঘটনায় সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়াই তিতাস নদীতে ড্রেজারে কাটছে মাটি। সেই মাটি যাচ্ছে এক কিলোমিটার দূরে এশিয়া নামক ইটভাটায়। ভাটায় ব্যবহারের পরও ওই মাটি চড়া দামে অন্যত্র বিক্রি করছে একটি সিন্ডিকেট। ওদিকে স্বল্প প্রস্থের নদীর গভীরতা বাড়তে থাকায় দু’পাড়ের শতশত একর ফসলি জমি এখন হুমকির মুখে পড়েছে।
সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ ইউনিয়নের চানপুর এলাকার নদী সংলগ্ন ফসলি মাঠে এমন হরিলুট করছে মাটি খেকোঁ চক্র। নদী ও মাটি খেকোঁ প্রভাশালী সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় সেখানকার কৃষকরা। ভয়ে মুখ খোলার সাহসও করছেন না তারা।
সরজমিন অনুসন্ধান ও ভুক্তভোগী কৃষকরা জানায়, ধর্মতীর্থ এলাকার কৃষকরা বারবার নদী, ফসলি জমি ও মাটি খেঁকো একটি চক্রের শিকার হচ্ছেন। ওই চক্রটির কাজ হচ্ছে ইটভাটায় মাটি বিক্রির বাণিজ্য করা। এই লক্ষে তারা ধর্মতীর্থ চানপুর সহ অত্র এলাকার হাওরের ফসলি জমির মালিকদের টার্গেট করে। সহজ সরল কৃষকদের ফুসলিয়ে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে ফসলি জমি ও গোচারণ ভূমির মাটি ক্রয় করে আসছে।
একটি জমি ক্রয় করে আশপাশের জমির মালিকদের বেকায়দায় ফেলে মাটি বিক্রি করতে বাধ্য করে ওই চক্রটি। হাওরের শতশত একর ফসলি জমি এখন চাষাবাদের অযোগ্য হয়ে পড়ে আছে। ফসলি জমির পর এখন তারা নদীর দিকে নজর দিয়েছেন। চানপুর মৌজায় তিতাস নদীতে গত ১৫ দিন ধরে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে এক কিলোমিটার দূরে সরাইল-নাসিরনগর-লাখাই আঞ্চলিক সড়কের পাশে এশিয়া নামক ইটভাটায় নিচ্ছেন। সেখান থেকে ট্রাকে করে বিভিন্ন ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছেন। ওদিকে ড্রেজারে লাগাতার মাটি উত্তোলন করায় নদীর গভীরতা অস্বাভাবিক ভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এতে করে নদীর দু’পাড়ে শতশত একর ফসলি জমি এখন ভেঙ্গে নদী গর্ভে বিলীন হওয়ার পথে। কৃষকদের আর্তনাদ ও প্রতিবাদ কোন আমলে নিচ্ছেন না প্রভাবশালী মাটি খেঁকোরা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দেখা যায় নদীর মাঝখানে বিকট শব্দে চলছে ড্রেজার। প্রায় ৮-১২ ইঞ্চি প্রস্থের পাইপ দিয়ে এক কিলোমিটার দূরে মাটি যাচ্ছে। ড্রেজারের পরিদর্শক নুর নবী দাঁড়িয়ে আছেন। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতি টের পেয়েই ড্রেজারের কাছ থেকে দ্রুত সটকে পড়ার চেষ্টা করেন নুরনবী।
ড্রেজার চালক লাখাই থানার মো. ইসমাঈল মিয়া (৪০) নদীর মাটি ইটভাটায় যাওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, ঠিকাদার মফিজ মিয়া, হযরত আলী ও সাইজ উদ্দিন। আমরা শ্রমিক। ৪ জনের মধ্যে আমিসহ দু’জনের মাসিক বেতন ৪০ হাজার টাকা। অপর দু’জনের মাসিক বেতন ৩০ হাজার টাকা। অনুমতি বা বৈধ কাগজপত্র আছে কিনা আমরা জানি না।
ড্রেজার চালিয়ে নদীতে মাটি কাটাই আমাদের কাজ। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সেখানকার একাধিক কৃষক সামনে পেছনে তাকিয়ে বলেন, তারা হাওরের ফসলি জমি খাইছে। এখন মাটি কেটে যেভাবে গভীর করছে নদীর পাড়ের ফসলি জমি গুলো ভেঙ্গে নদীতে পড়ে যাবে। আমরা শেষ। স্যার পারলে জমি গুলো রক্ষা করে আমাদের বাঁচান। আমাদের নাম লিখলে তারা মেরে ফেলবে। ঠিকাদার মফিজ মিয়া নদীর মাটি ইটভাটায় বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, এশিয়া ইটভাটায় মাটি বিক্রি করছি। অনুমতির কথা দূর্গাচরণ দাদা বলতে পারবে। তিনিই কাজটি করছেন। আমরা শুধু দেখা শুনা করি।
দূর্গাচরণ দাস ও মাটি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় থেকে নদী খননের অনুমতি এনেছি। সেখানে মাটি কাটার কথা বলা আছে। তবে ইটভাটায় বিক্রির কথা বলা নেই। এটি উন্নয়ন প্রকল্প। মাটি বিক্রি না করলে রাখব কোথায়? ফসলি জমির ক্ষতির জন্য আমি দায়বদ্ধ।
সরাইল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, দূর্গাচরণ দাস অনুমতির কোন কাগজ আমাকে দেখাতে পারেননি। অনুমতি ছাড়া উনি যা করছেন, তা করতে পারেন না। আমি উনাকে ড্রেজারে নদীতে মাটি কাটা বন্ধ রাখতে বলেছি। কথা না শুনলে আইনগত ব্যবস্থা নিব।