চলারপথে রিপোর্ট :
নাসিরনগরে খালের পানি থেকে হাদিস মিয়া(১৯) নামে এক শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করেছে এলাকাবাসী। আজ ২ অক্টোবর সোমবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে উপজেলার গোকর্ণ-কুন্ডা বেড়িবাঁধে কুকুরিয়া ব্রীজের দক্ষিণ পাশে পানি থেকে ওই প্রতিবন্ধীর লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রতিবন্ধি হাদিস গোকর্ণ পশ্চিম পাড়ার উজ্জল মিয়ার ছেলে।
নিহত হাদিসের পিতা উজ্জল মিয়া ও স্থানীয়রা জানান, হাদিস মিয়া জম্মের পর থেকেই শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধি ছিল। ঘটনার সময় পরিবারের অজান্তে বাড়ির পার্শ্ববতী কুকুরিয়া ব্রীজের খালে মাছ ধরতে যায়। এসময় খালের পানিতে স্রোত থাকায় পানিতে তলিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে নাসিরনগর থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌঁছার সাথে সাথেই স্থানীয় লোকজন খোজাঁখুজি করে প্রতিবন্ধি হাদিস মিয়ার লাশ উদ্ধার করে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন জানান, হাদিস মিয়া জন্মের পর থেকেই শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী ছিল। মাছ ধরতে গিয়ে পানিতে তলিয়ে গিয়ে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: সোহাগ রানা জানান, এঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
লাইব্রেরিতে উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি দিন বই পড়ায় ২২ শিক্ষার্থীকে পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে। গতকাল ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।
নাসিরনগরে সর্বাধিক দিন বই পড়লে পুরস্কার দেওয়ার প্রথা অব্যাহত রেখেছে এই উপজেলা প্রশাসন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বালিকা বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে সাদিয়া বুশরা, হাফছা বেগম, নুসরাত সাকুরা, সুমাইয়া আফরিন, মহিমা রায়, সৃষ্টি রায়, শাহ-সামিয়া, নুসরাত সোহা, লামিয়া আক্তা ও ইস্পা আক্তার।
১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে আদ্রিতা। ১১ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছে ইসরাত তানিশা।
বালক বিভাগে ১৪ দিন উপস্থিত থেকে প্রথম হয়েছে পৃথিবী দাস সূর্য্য, গগনদীপ কুন্ডু, সৌমিক রায়, স্নেহাল গোপ পান্না, চৌধুরী আনাস ও আব্দুল গফফার। ১৩ দিন উপস্থিত থেকে দ্বিতীয় হয়েছে সৌভিক রায়, সপ্তদীপ কুন্ডু ও অনির্বান দাস।
১২ দিন উপস্থিত থেকে তৃতীয় হয়েছেন তন্ময় সরকার। নাসিরনগরের ইউএনও মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া জানান, মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পাঠের কোনো বিকল্প নেই। ভালো কিছু করার জন্যই এই উদ্যোগ। স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীরা বই পড়ুক, সেই উৎসাহ দানের জন্যই এই পুরস্কার।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে লাইব্রেরিতে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সবচেয়ে বেশি বই যারা পড়ছে তাদের পুরস্কৃত করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
চলারপথে রিপোর্ট :
আজ ৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার শেষ হলো সপ্তাহব্যাপী বইমেলার সমাপনী, বিকালে আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
উৎসকৃষ্ট বই মানুষকে দেয় অনাবিল আনন্দ। আর এই বইয়ের যোগান দেয় বইমেলা। তাইতো পছন্দের বই কিনতে বইপ্রেমীরা মুখিয়ে থাকেন অমর একুশে বইমেলার দিকে। কিন্তু সেই বইমেলা যদি বাসার পাশেই হয় তবে তো কথাই নেই। গ্রন্থের সাহচর্যেই মানুষ অগ্রসর হয়ে চলে সভ্যতা ও সংস্কৃতির ক্রম-অগ্রযাত্রার পথে। এর ধারা অব্যাহত রাখতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা প্রশাসন আয়োজন করে ৭দিন ব্যাপী প্রাণের বইমেলা। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত বইমেলা মঞ্চে প্রতিদিন আলোচনা সভা,বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে,কবিতা আবৃত্তি,সাধারণ জ্ঞান,কুইজ প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রায় এক যুগ পর অনুষ্ঠিত বইমেলায় উচ্ছ্বাস দেখা গেছে অনেকের মাঝেই। প্রতিদিনই পাঠকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছিল বইমেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছেলেমেয়েরাও মেলায় বই কিনতে আসে।মেলায় শিশুদের উপযোগী বইও এনেছেন বিক্রেতারা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়ার সভাপতিত্বে মেলার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: রাফিউদ্দিন আহমেদ। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এ বইমেলায় দেশের প্রখ্যাত লেখকদের বই দিয়ে সাজানো ছিল ২০টি বইয়ের স্টল। মেলায় সকাল থেকে শতশত বইপ্রেমী ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে উৎসবমূখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বইপ্রেমীরা এসে পছন্দের বই কিনে ঘরে ফিরেছেন। সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৫ টা পর্যন্ত চলে বইমেলা। বইমেলায় বিক্রি সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। তবে গত সাতদিনে ২০টি স্টলে প্রায় ৬ লক্ষাধিক টাকার বই বিক্রি হয়েছে। শেষদিন ছিল ক্রেতাদের অনেক সমাগম। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শিবলী চৌধুরী বলেন বই কিনতে আগে ঢাকায় যেতে হতো। ঢাকা যাওয়া কষ্টকর। এখানে ঘরের পাশেই পছন্দের বই পাওয়া যাচ্ছে আমাদের প্রাণে বইমেলায়। তাই দীর্ঘ একযুগ পর নাসিরনগরে বইমেলার আয়োজন করায় নবাগত উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
নাসিরনগর আশুতোষ পাইলট উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: আবদুর রহিম বলেন,বই হচ্ছে প্রাণের খোরাক। আমার মনে হয় প্রতিটি মানুষের মাসে অন্তত ১টি বই কেনা উচিত এবং সেটা পড়া উচিত। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়াকে আমার বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অভিনন্দন এমন চমৎকার বইমেলার আয়োজন করার জন্য।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ইমরানুল হক ভূইয়া বলেন শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষের মাঝে বই পড়ার আগ্রহ তৈরী ও অভ্যাস গড়ে তোলার জন্যই বইমেলার আয়োজন করা। কিন্তু এত মানুষের ভালবাসা ও আগ্রহ বইমেলার প্রতি এটা আমার ধারণা ছিল না। সবাই পছন্দের বই কিনছে এটা দেখে আমি খুবই আনন্দিত। ভবিষ্যতেও আমরা এই বইমেলা অব্যাহত রাখবো।
চলারপথে রিপোর্ট :
ঐতিহ্যবাহী ফান্দাউক দরবার শরীফের পীরে কামেলে মোকাম্মল হযরত শাহসূফী আলহাজ¦ সৈয়দ আবদুস ছাত্তার নকশে বন্দী (রঃ) ও পীরে কামেলে মোকাম্মেল হযরত শাহসূফী আলহাজ¦ সৈয়দ নাছিরুল হক (মাসুম) নকশে বন্দী মোজাদ্দেদী ফান্দাউকী (রঃ) দ্বয়ের বার্ষিক ইছালে ছওয়াব উপলক্ষে ২ দিনব্যাপী ফান্দাউকের সভা আগামী ১৬ ও ১৭ ফেব্রুয়ারি শুক্র ও শনিবার নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক খেলার মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
দু‘দিনব্যাপী মাহফিলের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে শুক্রবার বিকেল থেকে। মাহফিল উপলক্ষে প্রায় ১৫ দিন ধরে সামিয়ানা টানানোসহ অন্যান্য কাজ চলছে। বিশাল প্যান্ডেল টানানো হয় আশেকানদের জন্য। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, ভৈরবসহ বিভিন্ন স্থান থেকে লাখো মানুষের সমাগম ঘটে। তাদের সুবিধার জন্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা থাকবে। শতাধিক শৌচাগার নির্মাণ করা হয়েছে। ৫ হাজার লোক এক সাথে খাবার খাওযার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশাল এলাকা জুড়ে প্যান্ডেল নির্মান কাজ প্রায় শেষের পথে। আর এর পুরোটাই করা হচ্ছে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে। এক পাশ থেকে অন্যপাশ দেখা যায় না। এ মাহফিলকে ঘিরে এলাকার লোকজনের মধ্যে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়। প্রতিবারের ন্যায় এবারও লাখো মুসল্লির অংশগ্রহনে মূখরিত হবে ফান্দাউক দরবার শরীফ। মাহফিলে তা‘লীম তারবিয়াত প্রদান করবেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন আলহাজ¦ মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আহ্মাদ (মামুন)। ওই মাহফিলে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ উপস্থিত হয়ে দু‘জাহানের অশেষ ছওয়াব হাসিলের জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। ১৮ ফেব্রুয়ারি রবিবার বাদ ফজর আখেরী মোনাজাত পরিচালনা করবেন ফান্দাউক দরবার শরীফের গদ্দীনিশীন আলহাজ¦ মাওলানা সৈয়দ ছালেহ আক্ষাদ (মামুন)।
উল্লেখ্য, মাহফিলে দরবার শরীফের আওতায় পরিচালিত প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ফান্দাউক মদিনাতুল উলুম মাদ্রাসার ছাত্রদেরকে পাগড়ি প্রদান করা হবে।
চলারপথে রিপোর্ট :
‘কৃষক বাঁচাও, দেশ বাঁচাও’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগরে বাংলাদেশ কৃষকলীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
আজ ১৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ কৃষকলীগ নাসিরনগর উপজেলা শাখার আয়োজনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ, শোভাযাত্রা, কেক কাটা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ নাজির মিয়া নেতৃত্বে উপজেলা সদরে একটি শোভাযাত্রা বের হয়।
শোভাযাত্রা শেষে উপজেলা কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিসৌধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পমাল্য অর্পণ করা হয়। পরে নাসিরনগরস্থ আলহাজ¦ নাজির মিয়ার বাসভবন প্রাঙ্গণে উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি হাজী মোঃ অলি মিয়ার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ¦ মোঃ নাজির মিয়া।
উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম নুরে আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রুমা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আবদুল আহাদ, সাবেক জেলা পরিষদের সংরক্ষিত আসনের সদস্য শাহিন আরা খানম, অ্যাডভোকেট রেজাউল হক আমজাদ, আওয়ামী লীগ নেতা আলীরাজ ও উপজেলা কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান।
সভায় ইউপি সদস্য মো: জজ মিয়া, সাবেক ইউপি সদস্য আবদুল কুদ্দুস খাঁন, ধরমন্ডল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহম্মদ উদ্দিন জালালসহ আরো অনেকে বক্তব্য রাখেন।
এ সময় কৃষকলীগের দলীয় নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আলহাজ¦ মোঃ নাজির মিয়া বলেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন ও কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষকলীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাতাকাল থেকে কৃষকলীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায় এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
চলারপথে রিপোর্ট :
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলায় ফেব্রুয়ারি মাসে পাবলিক লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত হয়ে বই পড়ায় ৯ শিক্ষার্থীকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।
আজ ১৯ মার্চ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূইয়া শিক্ষার্থীদের হাতে এ পুরষ্কার তুলে দেন।
পুরস্কার পাওয়া শিক্ষার্থীরা হলেন, বালিকা ক্যাটাগরিতে যৌথভাবে প্রথম হয়েছেন ছাত্রী শেখ সুমাইয়া ও ঐশী সরকার, যৌথভাবে ২য় হয়েছে ইসরাত জাহান ও হাফসা বেগম এবং ৩য় হয়েছে সুমাইয়া জাহান। বালক ক্যাটাগরিতে প্রথম অময় সরকার, ২য় সৌমক রায়, ৩ যৌথ ভাবে হয়েছে অয়ন সূত্রধর ও অনির্বান দাস।
জানা যায়, আগে উপজেলার লাইব্রেরিতে আগে তেমন পাঠক ছিলো না। জরাজীর্ণ ভবনে নানান রকমের বই থাকলেও গড়ে এক বা দুইজন শিক্ষার্থী এখানে আসতেন। পাঠক ফেরাতে সপ্তাহব্যাপী বই মেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘোষণা দিয়েছিলেন লাইব্রেরিতে সর্বাধিক উপস্থিত ব্যক্তি পাবেন পুরস্কার। সেই ঘোষণায় বেড়েছে নাসিরনগর পাবলিক লাইব্রেরিতে পাঠক উপস্থিতি।
এ উপলক্ষে পুরষ্কার প্রদান অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম, আশুতোষ উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম প্রমুখ।
এ সময় মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া বলেন, বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় পাবলিক লাইব্রেরি নেই। এটি নাসিরনগরের সৌভাগ্য যে উপজেলায় একটি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। আমি উপজেলায় যোগদানের পর লাইব্রেরি ভিজিট করতে গিয়ে দেখতে পাই প্রতিদিন পাঠক সংখ্যা খুবই কম। পরে ফেব্রুয়ারি মাসে আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় আমি ঘোষণা দিয়েছিলাম পাবলিক লাইব্রেরিতে যারা সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বই পড়বেন, তারা আমার পক্ষ থেকে পুরস্কার পাবেন। পাশাপাশি লাইব্রেরিটি সংস্কার করা হচ্ছে। ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে সর্বাধিক দিন উপস্থিত থেকে সর্বোচ্চ বইয়ের পাঠকদেরকে আমরা পুরস্কৃত করেছি।